ইনসাইড পলিটিক্স

রাজনীতিতে বড় শঙ্কা জাগিয়ে বিদায় নিলো ২০২২

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

শেষ হতে চলেছে আরও একটা বছর। চলতি বছরের একের পর এক রাজনৈতিক ঘটনা ক্যালেন্ডারের পাতায় দাগ কেটেছে। কারণ ব্যক্তি থেকে পরিবার, সমাজ থেকে রাষ্ট্র, দেশ থেকে বিশ্ব, সবকিছুর চালিকায় রাজনীতি। বিভিন্ন ঘটনাবলি দিয়ে সারা বছর জুড়েই ছিল রাজনীতির খোরাড়। এ সময় হারিয়েছি প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজনকে। এরই মধ্যে শুরু হতে যাচ্ছে আরেক নতুন বছর। সংক্ষিপ্তভাবে দেখে নেওয়া যাক ২০২২ সালে বাংলাদেশের আলোচিত রাজনৈতিক চালচিত্র।

আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের সন্মেলন

গত ২৪ ডিসেম্বর সদ্য সমাপ্ত হলো আওয়ামী লীগের ২২ তম জাতীয় কাউন্সিল। এই সন্মেলনে শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের পুর্নরায় সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর আগে গত ২৮ অক্টোবর গণভবনে অনুষ্ঠিত দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় ২২ তম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। আর এর আগে ভ্রাতৃপ্রতীম সহযোগী সংগঠনগুলোর সন্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।  ২৫ নভেম্বর স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সন্মেলন, ২৬ নভেম্বর মহিলা আওয়ামী লীগের সন্মেলন, ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ছাত্রলীগের যৌথ বার্ষিক সম্মেলন, ৩ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার সন্মেলন, ৬ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সন্মেলন, ১৫ ডিসেম্বর যুব মহিলা লীগের সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বছরও শুরু হয়েছিল তৃণমূলের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে এবং বছরও শেষ হলো সাংগঠনিক কার্যক্রম দিয়ে। সাংগঠনিক কার্যক্রম ব্যস্ত থাকলেও শেষ সময়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে দলটির নেতাকর্মীদের। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে মহানগর, জেলা, উপজেলা ও থানা-পর্যায়ের সম্মেলন করেছে দলটি। সমান তালে চলছে প্রচার-প্রচারণাও। এই প্রচার-প্রচারণায় যুক্ত হয়েছেন স্বয়ং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে গত ২৪ নভেম্বর যশোর, ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম ও ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারে মহাসমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। ওই তিন মহাসমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিটি মহাসমাবেশে কয়েক লাখ মানুষ অংশ নেন।  

গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সপরিবারে কাদের সিদ্দিকীর সাক্ষাৎ

গত ২৩ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সপরিবারে সাক্ষাৎ করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। এসময় কাদের সিদ্দিকীর সহধর্মিনী বেগম নাসরিন ও তাদের দুই মেয়েও উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির রাষ্ট্র মেরামত রূপরেখার ২৭ দফা

গত ১৯ ডিসেম্বর রাষ্ট্র মেরামত রূপরেখার ২৭ দফা ঘোষণা করেছে বিএনপি।  রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনা এবং দুই মেয়াদের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া সংবিধান সংস্কারে কমিশন গঠন, দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ বেশকিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। তাদের এই রূপরেখার কিছু প্রস্তাব ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছেন সুশীল সমাজ। তবে, এর বাস্তবায়ন নিয়ে ‘সন্দিহান’ তারা। বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গীরা ২৭ দফা রূপরেখা অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গীরা বলছেন, এটি বিএনপির স্বাধীনতাবিরোধী রাজনীতিকে পাকাপোক্ত করার একটি হাতিয়ার মাত্র।

১০ ডিসেম্বর ঘিরে উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ

বছরের সবচেয়ে বেশি আলোচিত এবং উত্তাপ্ত ছড়িয়ে ১০ ডিসেম্বর ঘিরে। কি হবে ১০? এই প্রশ্ন ভারি হয়ে উঠেছিল রাজনীতির বাতাস। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। এদিনে সরকার পতনের ঘোষণা দিয়েছিল দলটি। দলটির নেতা আমানউল্লাহ আমান বলেছিলেন, ১০ ডিসেম্বরের পর সরকারের কথায় দেশ চলবে না। ১০ ডিসেম্বরের পর বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের কথায় দেশ চলবে। ১০ ডিসেম্বরের পর তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবে। ১০ ডিসেম্বর অতিক্রম হয়েছে। কিন্তু এসবের কিছুই ঘটেনি। তবে ১০ ডিসেম্বর ঘিরে দেশব্যাপী এক আশঙ্ক তৈরি হয়েছিল বৈকি। বিশেষ করে ১০ 

ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার ব্যাপারে দরটির অনড় অবস্থান এবং অন্যদিকে প্রশাসনের নারাজ অবস্থান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তুলেছিল। বিশেষ করে ৭ ডিসেম্বর দলটির নেতাকর্মীদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান গ্রহণ এবং তাদের সরে যেতে বললে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা রাজনীতিতে এক অনিশ্চিত বার্তা ছড়িয়েছিল। ৭ ডিসেম্বরে সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টা অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছিল আওয়ামী লীগও। তবে সব কিছুকে বেশ দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। ১০ ডিসেম্বর নিয়ে যত অনিশ্চিত আর শঙ্কা দেখা দিয়েছিল তার কিছুই ঘটেনি। বিএনপির শোচনীয় পরাজয় হয়েছে বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। 

উল্লেখ্য, ৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস গ্রেফতার হন। এর আগে ৭ ডিসেম্বর বিএনপি একাধিক নেতা নয়াপল্টন থেকে গ্রেফতার হন।

বিএনপির গণসমাবেশ, আওয়ামী লীগের তৃণমূলে সন্মেলন

গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে বিভাগীয় গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে বিএনপি দেশব্যাপী গণসমাবেশের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর ধীরে  ধীরে ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, সিলেট, ফরিদপুর, কুমিল্লা, রাজশাহী এবং সর্বশেষ ঢাকায় বিভাগীয় গণসমাবেশ সহ 

মোট ১০টি সমাবেশ করে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের আগে থেকেই তৃণমূলে সন্মেলন করে আসলেও বিএনপির গণসমাবেশের সময় জেলায় জেলায় সন্মেলন কার্যক্রম বৃদ্ধি করে। এর মধ্য দিয়ে তৃণমূলের কর্মীদের উজ্জীবিত করার এক কৌশল গ্রহণ করে।

২০ দলীয় জোট ভেঙ্গে ১২ দল জোট গঠন

গত ২২ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট বিলুপ্ত হওয়ার পর ১২টি দল মিলে নতুন ‘১২ দলীয় জোট’ গঠন করা হয়।  এই জোটের মাত্র একটি দল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। 

১২ দলীয় এই জোটে রয়েছে- মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি (জাফর), সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (নিবন্ধিত), মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের বাংলাদেশ লেবার পার্টির একাংশ (অনিবন্ধিত), সৈয়দ এহসানুল হুদার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয় দল, কে এম আবু তাহেরের এনডিপি, শাহাদাত হোসেন সেলিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ এলডিপি, জুলফিকার বুলবুল চৌধুরীর বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (অনিবন্ধিত), মুফতি মহিউদ্দিন ইকরামের জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, মাওলানা আবদুর রকীবের ইসলামী ঐক্যজোট (অনিবন্ধিত), তাসমিয়া প্রধানের জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা-নিবন্ধিন বাতিল), নুরুল ইসলামের বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, আবুল কাসেমের বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি (অনিবন্ধিত)। 

বিএনপির সাত এমপির পদত্যাগ

গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশে এক যোগে সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্য। এ ঘটনাকে আওয়ামী লীগ বিএনপি হঠকারী সিদ্ধান্ত বলে অভিহিত করে। 

জাতীয় পার্টির গৃহযুদ্ধ

চলতি বছরের রাজনীতির ঘটনাপ্রবাহের অন্যতম একটি হলো জাতীয় পার্টি গৃহযুদ্ধ এবং দল ভাঙনের গুঞ্জন। ২৬ নভেম্বর দলের জাতীয় কাউন্সিলের ডাক দেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্টপোষক এবং সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। এর ফলে দলের প্রেসিডিয়ামে সিদ্ধন্ত হয় রওশন এরশাদকে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া। এই সিদ্ধান্তের কথা বাইরে ফাঁস করে দেওয়া অভিযোগ উঠেছে সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার বিরুদ্ধে। এরপর দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দল থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়। জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ কোন্দল তুঙ্গে পৌঁছে যায়। গুঞ্জন উঠে দল ভাঙনের। তবে নানা নাটকীয় মধ্য দিয়ে দল শেষ পর্যন্ত ভাঙ্গেনি। বরং এখন একটি সমঝোতার কথা রাজনৈতিক মহলে বিশেষভাবে আলোচিত হচ্ছে।

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর চির বিদায় 

গত ১১ সেপ্টেম্বর বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী পৃথিবী থেকে চির বিদায় নেন। 

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ ও মা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। তিন ছেলে ও এক মেয়ের জননী সাজেদা চৌধুরীর স্বামী গোলাম আকবর চৌধুরী ২০১৫ সালে মারা গিয়েছিলেন।

১৯৫৬ সাল থেকে সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৬৯-১৯৭৫ সময়কালে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-১৯৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্ল গাইডসের ন্যাশনাল কমিশনার এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি জাতীয় সংসদের উপনেতা হন।

২২ টি সমমনা দলের সঙ্গে বিএনপির সংলাপ

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জাতীয় ঐক্য গড়ার লক্ষ্যে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অক্টোবরে দ্বিতীয় দফায় বিএনপর সমমনা ২২টি রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ শুরু করে বিএনপি।

নতুন রাজনৈতিক জোট ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’র আত্মপ্রকাশ

গত ৮ আগস্ট সাতদলীয় নতুন রাজনৈতিক জোট ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ আত্মপ্রকাশ করে। ‘ফ্যাসিবাদী দুঃসময়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গণসংগ্রাম জোরদার করুন’—এ  স্লোগান নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে এ জোট। 

নতুন এ রাজনৈতিক জোটে আছে নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জেএসডি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, গণসংহতি আন্দোলন এবং গণঅধিকার পরিষদ।

ইসির সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ 

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ১৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংলাপে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে এ সংলাপ বিএনপি এবং বাম গণতান্ত্রিক জোট অংশ নেয়নি।

উত্তপ্ত ইডেন কলেজ এবং ঢাবি ক্যাম্পাস

থেমে থেমে উত্তপ্ত ছিল ছাত্র রাজনীতি। বিশেষ করে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সিট বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, শিক্ষার্থী নির্যাতনসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে ওই দিন রাতেই ছাত্রলীগের একাংশের বিক্ষোভে ইডেন কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা রীভা ও রাজিয়ার বহিষ্কারের দাবি জানান। পরে রিভা ও রাজিয়াকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ছাত্রলীগের একাংশ। এমনকি দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। পরে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ১৬ জন নেতাকর্মীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

এর আগে মে মাসের শেষ দিকে ছাত্রদল-ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ছাত্রদলের মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসজুড়ে অস্ত্রের মহড়া দেয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে উভয় ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর, কার্জন হল ও হাইকোর্ট এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে অন্তত: ২৫-২৫ জন আহত হয়।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপিকে আমন্ত্রণ

২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে আমন্ত্রণ জানানো হয় বিএনপির সাত নেতাকে। আমন্ত্রণ পাওয়া বিএনপির সাত নেতা হলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। কিন্তু আমন্ত্রণ পত্র পেয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপি অংশ নেবে কিনা এই নিয়েও রাজনীতিতে আলোচনা ছিল তুঙ্গে।

শ্রীলঙ্কা নিয়ে উত্তপ্ত রাজনীতি

বছরের শুরুর দিকে দেউলিয়া হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। অপ্রয়োজনীয় কিছু মেগা প্রকল্পের ঋণের ফাঁদে পড়ে দেশটি। বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সেটি আমাদের দেশের সাথে তুলনা করে। গুজব তুলে শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া হতে যাচ্ছে বাংলাদেশও। এ নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিসহ অন্যান্য সরকার বিরোধী দলগুলোর রাজনীতিতে খোরাড় যুগিয়েছিল কয়েক মাস ধরে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে এমন কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বা অন্য কোনো কিছুতে।

নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ

বছরের শুরুতে অন্যতম আর্কষণ নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন। দেশের প্রথমবারের মতো আইন অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। এর আগে রাষ্ট্রপতি একটি সার্চ কমিটি গঠন করেন। যে সার্চ কমিটি দেশের রাজনৈতিক দলগুলোসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং কমিশন গঠন করতে নাম প্রস্তাব আহ্বান করেন। এর পর সার্চ কমিটি কতগুলো নাম মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবিত নাম থেকে রাষ্ট্রপতি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেন।


রাজনীতি   নির্বাচন   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওমরাহ শেষে দেশে ফিরলেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৩:৩৪ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সৌদি আরবে ওমরাহ হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (৮ মে) দুপুর দেড়টার দিকে সস্ত্রীক ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেন তিনি।

বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২ মে মির্জা ফখরুল বাংলাদেশ বিমানে মদিনা পৌঁছেন। মদিনা পৌঁছে বিএনপি মহাসচিব ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করেন। শুক্রবার মসজিদে নববীতে জুম্মার নামাজ আদায় করেন বিএনপি মহাসচিব। শনিবার এশার নামাজের পর সৌদি আরবের মক্কায় ওমরাহর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।

বিএনপি মহাসচিব   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ফালুকে নিয়ে বিএনপিতে নতুন করে আলোচনা

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

পর্দার আড়ালে ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে মূলধারার রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। বিদেশে পলাতক জীবনযাপন করছেন। সেখানে বসেই বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছেন। সরকারের সাথেও নানা রকম ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়েই হঠাৎ করে আলোচনা জমে উঠেছে। শুধু বিএনপির মধ্যে নয়, রাজনৈতিক অঙ্গনে মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়ে এখন আলোচনা জমজমাট।

এর কারণ হল সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সৌদি আরবে মোসাদ্দেক আলী ফালুর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। যদিও মোসাদ্দেক আলী ফালুর ঘনিষ্ঠরা এবং বিএনপির পক্ষ থেকে এটিকে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হিসেবে অস্বীকার করা হয়েছে। তারা বলেছেন যে, যেহেতু মোসাদ্দেক আলী ফালু সৌদি আরবে অবস্থান করছেন এবং বিএনপির মহাসচিব সেখানে গেছেন, তারা দীর্ঘদিনের পরিচিত, ঘনিষ্ঠ- এ কারণে তার বাসায় আপ্যায়ন করা হয়েছে। এ বিষয়টির সঙ্গে কোন রাজনীতি নেই।

ফালুর ঘনিষ্ঠ একজন আত্মীয় বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন যে শুধু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নন, বিএনপির যেকোন নেতা গেলেই ফালু তাদেরকে আপ্যায়িত করেন পুরনো সম্পর্কের জেরে। এর সঙ্গে কোন রাজনীতির সম্পর্ক নেই। মোসাদ্দেক আলী ফালু বর্তমানে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে রাজনীতি করেন না।

কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন সময় ফালুর সঙ্গে দেখা করেছেন, যখন বিএনপিতে অনেকগুলো ইস্যু নিয়ে টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করছে। মোসাদ্দেক আলী ফালু খালেদাপন্থী বিএনপি অংশের অন্যতম প্রধান নেতা হিসেবে বিবেচিত হন এবং বেগম জিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্কের কারণেই তাকে তারেক জিয়া কোনঠাসা করেছেন- এমন বক্তব্য বিএনপিতে ব্যাপকভাবে প্রচলিত আছে। আর এরকম পরিস্থিতির কারণে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে যারা বিএনপিতে এখন কোনঠাসা তারা এখন মোসাদ্দেক আলী ফালুর উত্থান চাচ্ছে। মোসাদ্দেক আলী ফালু যেন এখন রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন সেটা তারা কামনা করছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গেও মোসাদ্দেক আলী ফালুর এই সাক্ষাতের পর বিএনপিতে খালেদাপন্থীরা আবার চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। অনেকেই মনে করছেন যে, মোসাদ্দেক আলী ফালু যদি রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতেন তাহলে বিএনপি একের পর এক এই ভুল সিদ্ধান্তগুলো করতেন না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে, ফালু যখন বেগম খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ ছিলেন তখনও তিনি বিএনপির সমালোচনা করতেন, যে কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তার নিজস্ব মতামত রাখতেন। এ রকম লোক বিএনপিতে দরকার আছে।

তবে কেউ কেউ মনে করছেন যে, মোসাদ্দেক আলী ফালুর সঙ্গে তারেক জিয়ার এখন সম্পদের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে একটা টানাপোড়েন চলছে। কারণ খালেদা জিয়ার যে সমস্ত সম্পদ তার একটি বড় অংশ মোসাদ্দেক আলী ফালুর নামে রয়েছে এবং ফালু এই সমস্ত সম্পত্তিগুলো দেখভাল করেন। কিন্তু তারেক জিয়া এই সমস্ত সম্পত্তিগুলোর অংশীদারিত্ব চান, মালিকানা চান। এ কারণে তারেক জিয়া গত কিছুদিন ধরে মোসাদ্দেক আলী ফালুর উপর চাপ সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

আর এ কারণেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিষয়টির মধ্যস্থতা করার জন্যই ফালুর সঙ্গে দেখা করেছেন কিনা তা নিয়েও কারও কারও অভিমত রয়েছে। অনেকেই মনে করেন যে, মোসাদ্দেক আলী ফালু একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি এবং তার যে বিপুল সম্পদ তা পুরোটাই বেগম খালেদা জিয়ার। যেখান থেকে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা সিঁথি কিছু পান এবং সেই টাকা দিয়ে তিনি লন্ডনে চলেন।

এখন তারেক জিয়া এই সমস্ত সম্পদের হিসাব এবং সম্পদগুলো যেন জিয়া পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয় সেজন্য চাপ দিচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন একজন ব্যক্তি যিনি ফালু এবং তারেক জিয়া দুজনেরই ঘনিষ্ঠ এবং আস্থাভাজন। তিনি কি তাহলে ফালুর সঙ্গে তারেক জিয়ার সমঝোতা করতেই ওখানে গিয়েছিলেন? নাকি তারেকপন্থীদের কোণঠাসা করার জন্য ফালুকে রাজনীতিতে সামনে আনার নতুন করে চেষ্টা হচ্ছে।


তারেক জিয়া   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   মোসাদ্দেক আলী ফালু   বিএনপি   রাজনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মন্ত্রী-এমপিদের সাথে তৃণমূলের শেষ লড়াই?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামীকাল দেশের ১৪০টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। এ ব্যাপারে তারা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। সরকারের পক্ষ থেকেও নির্বাচন যেন সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক হয় সে জন্য যথা সম্ভব সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। 

আওয়ামী লীগ এবার নির্বাচনে তাদের দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না। নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছে। নির্বাচনে যেন ভোটার উপস্থিতি বাড়ে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয় সে কারণেই আওয়ামী লীগ এই কৌশল গ্রহণ করেছে। এই কৌশলের কারণে প্রায় প্রতিটি উপজেলায় একাধিক আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতারা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচন অধিকাংশ স্থানে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

জাতীয় নির্বাচনের মতোই বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জন করেছে। তারা উপজেলা নির্বাচনে যেন ভোটাররা ভোট দিতে না যায় সে জন্য প্রচারণা করছে। তবে তাদের প্রচারণা খুব একটা সাড়া ফেলেনি। কারণ ১৪০ টি উপজেলার মধ্যে ৭৩ টিতে বিএনপির প্রার্থী রয়েছে। বিএনপি ঘোষণা করেছিল যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে এবং এই কারণে দলের ৭৩ জন স্থানীয় পর্যায়ে নেতাকে ইতোমধ্যে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু দলের বহিষ্কারাদেশকে তোয়াক্কা না করে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন এই সমস্ত বিএনপির নেতৃবৃন্দ। তবে নির্বাচনের মাঠে থাকলেও তারা তেমন সুবিধা করতে পারছেন না। কারণ একদিকে যেমন কর্মী সমর্থকরা বহিষ্কারাদেশের ভয়ে প্রচারে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না, অন্যদিকে দলীয় সমর্থন না পাওয়ার কারণে বিএনপির প্রার্থীদের অবস্থা খুব একটা সুবিধাজনক নয়। আর সেই কারণেই এবার উপজেলা নির্বাচন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের নির্বাচন হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। 

তবে উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের লড়াইয়ের চেয়েও মন্ত্রী-এমপিদের মাইম্যানদের সাথে তৃনমূলের লড়াই হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ১৪০ টি উপজেলার মধ্যে ৩১ টি উপজেলায় মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। তবে সবগুলো উপজেলাতেই মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব পছন্দের প্রার্থী বা মাইম্যান রয়েছে। যে সমস্ত প্রার্থীদেরকে মন্ত্রী এমপিরাই নির্বাচনে দাঁড় করানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করেছেন, প্ররোচনা দিয়েছেন এবং তারা স্থানীয় পর্যায়ে মন্ত্রী-এমপির লোক হিসেবে পরিচিত। আর এই কারণেই এই সমস্ত ব্যক্তিরা এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। মন্ত্রী-এমপিদের কর্মীবাহিনী এবং সমর্থকরা ওই সব প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তারা সবসময় সচেষ্ট থাকছেন যেন মন্ত্রী-মন্ত্রীদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হতে পারেন। আর এ কারণেই মন্ত্রীদের একাধিপত্য, তাদের পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে তৃণমূল অধিকাংশ স্থানে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। কর্মী সমর্থকদের একটি বিপুল অংশ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছে এবং তাদের পক্ষে একট্টা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা স্বীকার করেছেন, উপজেলা নির্বাচন আসলে মন্ত্রী-এমপিদের মাইম্যানদের সাথে তৃণমূলের লড়াই এবং এই লড়াইয়ে যদি তৃণমূল হেরে যায় তাহলে মাঠ পর্যায়ে আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে হতাশা আসবে। যারা ত্যাগী পরীক্ষিত তারা অসহায় বোধ করবে এবং আওয়ামী লীগের সবচেয়ে শক্তিশালী যে দিকটি অর্থাৎ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা হতশ এবং আশাহত হবেন। এ কারণেই আওয়ামী লীগে স্বজন প্রীতি বন্ধ করার জন্য আহবান জানানো হয়েছিল। যারা মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজন তারা যেন নির্বাচন অংশগ্রহণ না করে সে জন্য বার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে বার্তা কর্ণপাত করেননি অধিকাংশ মন্ত্রী-এমপিরা। এখন দেখার বিষয় মন্ত্রী-এমপিদের সাথে তৃণমূল যে যুদ্ধ করছে সেই যুদ্ধে কতটুকু সফল হয়। কার কাও মতে এটাই তৃণমূলের শেষ যুদ্ধ। যদি এলাকায় মন্ত্রী-এমপিদের পছন্দের প্রার্থী  জয়ী তাহলে তৃণমূলের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। প্রতিটি এলাকায় মন্ত্রী-এমপিদের একচ্ছত্র প্রতিষ্ঠা হবে। আর যদি মন্ত্রী-এমপিরা পরাজিত হয় তাহলে তৃণমূল শক্তিশালী হবে। 

উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তাপদাহে স্থগিত বিএনপির সমাবেশ শুক্রবার

প্রকাশ: ০৯:১৯ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপদাহের কারণে স্থগিত সমাবেশ আগামী শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।

সোমবার (৬ মে) বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে আগামী ১০ মে নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সভাপতিত্ব করবেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম এবং সঞ্চালনায় থাকবেন সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।

বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপিকে দাওয়াত করা হবে: কাদের

প্রকাশ: ০৮:৫৫ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ বছরও বিএনপিকে দাওয়াত করা হবে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (৬ মে) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ২৩ জুন আলোচনা সভায় নেতাদের পাশাপাশি বুদ্ধিজীবীদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। আমরা আমাদের সব অনুষ্ঠানে বিএনপিকে দাওয়াত দিয়েছি। এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও দাওয়াত করা হবে। তবে বাস্তবতার কথা বিবেচনা করেই আমরা চিন্তাভাবনা করছি বিদেশি অতিথিদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না।’

তিনি বলেন, ‘বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় আমরা পার্টির হীরকজয়ন্তী উদযাপন করব। ব্যাপকভাবে এটা সংগঠিত করার চিন্তাভাবনা করছি। ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত কর্মসূচি হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে থাকবে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি। বিদ্যুতের সংকটের কথা বিবেচনা করে আলোকসজ্জা বাদ দিয়েছি। আনন্দ র‍্যালি করবে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন।’

তিনি আরও বলেন, ‘২৩ জুন বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভা হবে। আলোচনা সভার আগে আধাঘণ্টা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। দুপুরে সব ধর্মালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে। বিশেষ স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে সবুজ ধরিত্রী কর্মসূচি নিয়েছি। সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করবে ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত।’

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৭ মে সকালে নেতাদের সঙ্গে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী। সারাদেশে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করা হবে। দুপুরে সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা হবে। বিকেলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ অফিস কার্যালয়ে আলোচনা সভা করা হবে। আগের দিন ১৬ মে দুপুরে অসচ্ছল গরিব মানুষদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তবে আলোকসজ্জার পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হয়েছে।’

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী   বিএনপি   ওবায়দুল কাদের   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন