ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির সভা-সমাবেশ, জনসাধারণের ভোগান্তি!

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০১ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

রাজধানীর নয়াপল্টনে এক পাশের সড়ক বন্ধ করে সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনটির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সমাবেশ করেছে ছাত্র সংগঠনটি। রবিবার (১ জানুয়ারি) বেলা আড়াইটায় এ সমাবেশ শুরু হয়। এ সময় বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতির কারণে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তি পোহাতে হয় স্থানীয় জনসাধারণ এবং ওই পথে চলাচলকারীদের। 

এদিকে, নয়া পল্টনে বিএনপি, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিএনপির বিভিন্ন  অঙ্গ-সংগঠনের সমাবেশ মানেই রাজধানী ঢাকার মানুষের ভোগান্তি বলে মন্তব্য করেছেন একাধিক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক। তারা বলছেন, গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করেও রাজধানীতে বসবাসরত প্রায় দুই কোটি মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিএনপির সকল কর্মকাণ্ড জনগণের জন্য হয়রানিমূলক, জনভোগান্তির কারণ।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা আরও বলছেন, নয়া পল্টনের প্রধান সড়কের পাশে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবস্থিত হওয়ায়, বিএনপি বা এর অঙ্গ-সংগঠনের কোনো সভা-সমাবেশ মানেই রাজধানীতে গাড়ি চলাচল বন্ধ, যানজট, জনসাধারণের ভোগান্তি। এ কারণে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিএনপি তা মেনে নেয়নি, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়া পল্টনেই রাস্তার উপরে সমাবেশ করতে অনঢ় অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। যে কারণে, ৭ ডিসেম্বর অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়  এবং এই দিন একজনের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে বাধ্য হয়ে গোলাপবাগ মাঠে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ করে বিএনপি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীদের এ ধরনের সিদ্ধান্ত থেকেই স্পষ্ট প্রমাণ হয়, বিএনপি জনভোগান্তি সৃষ্টি করতেই বিভিন্ন সভা-সমাবেশ নয়া পল্টনে আয়োজন করে থাকে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানান, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, বেলা দুইটা থেকে ছাত্রদলের এ সমাবেশ শুরুর কথা ছিল। তবে বেলা পৌনে একটা থেকেই বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হতে থাকেন। ছাত্র সমাবেশের মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে একটি পিকআপ ভ্যানে। সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের বসার ব্যবস্থা করতে সড়কে বিছানো হয়েছিল কার্পেট। বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতির কারণে বেলা দেড়টা থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই ধরনের কোনো সভা-সমাবেশ করার উদ্যোগ নেয়া হলেই বিএনপি বা এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কেন রাস্তা বন্ধ করবেন? কেন কোনো উদ্যান বা উন্মুক্ত  স্থানে সভা-সমাবেশে করবে না বিএনপি? -এসব বিষয়ে প্রশ্ন রাখেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন, আজ বছরের প্রথম দিন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রখ্যাত ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয় নয়া পল্টনে। রবিবার (১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব আবুল হোসেন এই জানাজা পরিচালনা করেন। এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাজাহান ওমর, উপদেষ্টা পরিষদের হাবিবুর রহমান হাবিব, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, আবেদ রাজা, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, বাংলাদেশ লেবার পার্টির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির একজন বয়জেষ্ঠ্য নেতা এবং প্রখ্যাত একজন আইনজীবির জানাজার নামাজও বিএনপি কার্যালয়ের সামনে নয়া পল্টনের রাস্তা দখল করে, রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রেখে অনুষ্ঠিত করেছে বিএনপি। বিএনপির সকল কার্যক্রম, যেমন খিচুড়ি খাওয়া, জানাজার নামাজ, সভা-সমাবেশ সবই কি রাস্তা বন্ধ করেই করতে হয়?-প্রশ্ন রাখেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা আরও বলছেন, বস্তুত, বিএনপির সকল কর্মকাণ্ড জনগণের হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড। বিএনপির কোন সভা-সমাবেশ মানেই আতঙ্ক, সন্ত্রাস, ভয়-ভীতি আর জনভোগান্তি। জনভোগান্তি সৃষ্টি করতেই বিএনপি এবং এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা, বিএনপি এবং বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের সভা-সমাবেশ নয়া পল্টনেই দিয়ে থাকেন। যার ফলে নয়া পল্টনসহ এর আশে-পাশের এলাকায় যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। জনভোগান্তির শিকার হন রাজধানীতে চলাচলরত পথচারীরা। এখন দেখার বিষয়, আর কতদিন বিএনপি এভাবে নয়া পল্টন, কাকরাইল, শান্তিনগর, পল্টনসহ বিভিন্ন সড়ক বন্ধ করে সভা-সমাবেশ চালায়?


বিএনপি   গণসমাবেশ   রাজনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কমে গেল কাদেরের দাপট?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান এমন একজন নেতা যিনি ওবায়দুল কাদেরের এই সিদ্ধান্ত মানেননি। সিদ্ধান্ত না মেনে তিনি ধানমণ্ডি ৩ নম্বর কার্যালয়ে গিয়ে ওবায়দুল কাদেরের তোপের মুখে পড়েন। ওবায়দুল কাদের তাকে বলেন, আপনি তো দলের কোন সিদ্ধান্তই মানেন না। কিন্তু তার পরও শাজাহান খান তার ছেলেকে প্রার্থী হিসেবে রাখেন এবং দলের তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমন আশঙ্কার মধ্যেই তিনি উপজেলা নির্বাচনে ভূমিকা রাখতে শুরু করেন। কিন্তু আজ আওয়ামী লীগ সভাপতির সংবাদ সম্মেলনের পর দেখা গেল যে, ওবায়দুল কাদের যা বলেছেন এবং আওয়ামী লীগের যে সিদ্ধান্ত তার মধ্যে দুস্তর ফারাক রয়েছে। ওবায়দুল কাদের যেভাবে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন বাস্তবতা তা নয়। ওবায়দুল কাদের যত গর্জেছেন বাস্তবে আওয়ামী লীগ তত বর্ষেনি। আর একারণেই এখন ওবায়দুল কাদেরের কর্তৃত্ব নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।


এমনিতেই আওয়ামী লীগে বেশ কিছুদিন ধরে এক ধরনের বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির বাইরে অন্য কোন নেতার কথা তৃণমূলের আওয়ামী লীগ বা মাঠ পর্যায়ের নেতারা মোটেও কর্ণপাত করেন না। তাদেরকে খুব একটা আমলে নেন না। তারপরও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে কথা। তিনি দলের দ্বিতীয় ক্ষমতাবান ব্যক্তি। সেই ক্ষমতাবান ব্যক্তি যখন বলছেন, সকলে ধরে নিয়েছিল যে, এটি আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা এবং ওবায়দুল কাদের এটিকে শেখ হাসিনার নির্দেশনা বলেই অভিহিত করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলার পরে তিনি আওয়ামী লীগের নেতা একরামুল করিম চৌধুরী, শাজাহান খান এবং ড. রাজ্জাকের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছিলেন এবং তাদের স্বজনদেরকে প্রার্থিতা থেকে সরে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু এই তিনজনের কেউই ওবায়দুল কাদেরের কথায় কর্ণপাত করেননি। 

ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশনা অমান্য করে তারা প্রার্থী হওয়ার পর এখন দেখা গেল যে, ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের অবস্থানই এখন আর সঠিক নেই। ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কোন আলোচনাই হয়নি। অথচ ওবায়দুল কাদের একাধিক গণমাধ্যমে বলেছিলেন যে, ৩০ এপ্রিল যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু ৩০ এপ্রিল এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনাই হয়নি। তাহলে কী ওবায়দুল কাদের বাড়িয়ে বলেছেন? 


কেউ কেউ দাবি করেন, যেহেতু একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন সেহেতু ওবায়দুল কাদের বিষয়টিকে বড় করে দেখেছেন এবং তিনি নিজেই উপজেলা নির্বাচনের বিষয় নিয়ে আগ্রহী ছিলেন। কারণ তার নির্বাচনী এলাকায় যদি একরামুল করিমের সন্তানও উপজেলা চেয়ারম্যান হয় তাহলে তার এলাকায় আধিপত্য কমে যাবে। আর একারণেই হয়তো তিনি বিষয়টিকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ করেছিলেন বলে অনেকে মনে করেন।

আজ আওয়ামী লীগ সভাপতির বক্তব্য থেকে স্পষ্টতই মনে হয় যেভাবে আওয়ামী লীগের নেতারা এই বিষয় নিয়ে গর্জে ছিলেন বাস্তবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বিষয়টিকে অতটুকু গুরুত্বতর মনে করেন না। বরং তার প্রধান আগ্রহের ব্যাপার হলো উপজেলা নির্বাচন যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়। আর এ কারণেই প্রশ্ন উঠেছে তাহলে ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনা সবসময় যা বলেন সেটিরই পুনঃউচ্চারণ করেন এই বক্তব্যটি ঠিক না। শেখ হাসিনা আত্নীয় স্বজনদের ব্যাপারে ওবায়দুল কাদেরের অবস্থানের সঙ্গে পুরোপুরি একই রকম বক্তব্য রাখেননি। আর এর ফলে ভবিষ্যতে ওবায়দুল কাদেরের হুশিয়ারি বা নির্দেশনা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কতটুকু শুনবে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে প্রশ্ন করেছেন তাহলে কী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দাপট কমে গেল?




ওবায়দুল কাদের   আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিতে কী ধর্মঘট চলছে?

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না। 

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ সৌদি আরবে যাচ্ছেন ওমরা পালনের জন্য। অন্যান্য নেতারাও তীব্র গরমে বাসায় শীততাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ছেড়ে দিয়ে চুপচাপ বসে আছেন। কোন নেতাই কোন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন না। একমাত্র আশার প্রদীপ হয়ে জ্বলে আছেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি সারাক্ষণ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে আর্তনাদের মতো শোনাচ্ছে।


বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রগুলো বলছে, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বিএনপির মধ্যে এখন এক ধরনের হতাশা দেখা দিয়েছে এবং এই হতাশার কারণে বিএনপির সিনিয়র নেতারা এখন বিরক্ত। 

বিএনপির বিভিন্ন নেতার সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে, মূলত তারেক জিয়ার খাম খেয়ালিপনা এবং স্ব-বিরোধী সিদ্ধান্তের জন্যই বিএনপি নেতারা বিরক্ত এবং নিজেদের হাত পা গুটিয়ে বসে আছেন। 


বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন যে, আমাদের কোন ক্ষমতা নেই। সিদ্ধান্ত তিনি নিচ্ছেন, তিনি আমাদেরকে জানাচ্ছেন। কাজেই আমরা কী করব? স্থায়ী কমিটির আসলে কোন কাজ নেই। স্থায়ী কমিটিতে দূরের কথা, কেন্দ্রীয় কমিটিতেও কোন কাজ নেই। 

তিনি বলেন, বিএনপির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে উপজেলা নির্বাচনে তারা বর্জন করবে। কিন্তু যারা উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র অংশগ্রহণ করছে তাদের বহিষ্কারের ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করার কথা ছিল সেই প্রক্রিয়ার কোনটাই অনুসরণ করা হয়নি। তাদেরকে কোনো কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়নি, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। এমনকি এমন অন্তত ৫ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে যারা কাগজে কলমে বিএনপিও করে না। বিএনপি শুভাকাঙ্খী হিসেবে, বিএনপির সমর্থক হিসেবে  তারা পরিচিত। এই যদি হয় দলের অবস্থা তাহলে সেই দলে যে কোন কথা বলে বিপদ বলে মনে করেন ওই স্থায়ী কমিটির সদস্য। 

এরকম কথাবার্তা শোনা যায়, বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের মুখে। বিএনপির আন্দোলনের কর্মসূচি এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নতুন করে আন্দোলন শুরু করার কথা বলেছেন, বারবার তাগাদা দিচ্ছেন। কিন্তু এ নিয়ে উদ্যোগ নিচ্ছেন না কোন বিএনপির সদস্যরা। 


বিএনপির স্থায়ী কমিটির একটি বড় অংশ অসুস্থ অথবা অকার্যকর। স্থায়ী কমিটির পুনর্গঠনের জন্য বলা হয়েছিল দু মাস আগে। তারেক জিয়া তখন নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, স্থায়ী কমিটিতে ৫ জন সদস্য নিয়োগ দেয়া হবে। তিনি ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত ঐ বৈঠকে ঘোষণা করেছিলেন যে, এক মাসের মধ্যে স্থায়ী কমিটির শূণ্যপদ পূরণ করা হবে। কিন্তু ২ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও স্থায়ী কমিটির ঐ শূণ্যপদগুলো পূরণ করা হয়নি। বিএনপিতে কাউন্সিল অনুষ্ঠানের কথা ছিলো, সে কাউন্সিল নিয়েও তারেক জিয়া কোন রকম সিদ্ধান্ত দেননি। ফলে দলের নেতাকর্মীরা এখন গা ছেড়ে দিয়েছেন। 

বিএনপির একজন নেতা বলছেন যে, বিএনপিতে এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার এখন কারও নেই। যার কারণে সিদ্ধান্ত যদি না দিতে পারা যায়, তাহলে দলের হাল ধরাও কঠিন। আর তাই বিএনপি নেতারা হালও ধরছেন না সিদ্ধান্তও দিচ্ছেন না। তারা এক ধরনের অঘোষিত ধর্মঘটে আছেন।  


বিএনপি   ধর্মঘট   রাজনীতির খবর   তারেক জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কেন পিছু হঠল আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে। 

প্রশ্ন উঠল, আওয়ামী লীগ কেন তারা অবস্থান থেকে সরে এলো বা কেন আওয়ামী লীগ আত্মীয় স্বজনদের প্রার্থী করার বিষয়টি নিয়ে পিছু হঠল।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র এ ব্যাপারে একেক রকম মতামত দিয়েছে। আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি কখনোই আত্মীয় স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না- এ ধরনের মনোভাব পোষণ করেননি বা সরাসরি এ ধরনের কথা বলেননি। তার বক্তব্য হয়তো আওয়ামী লীগের অনেকেই বুঝতে পারেননি এবং বোঝার চেষ্টা করেননি। শেখ হাসিনা কী বলতে চান তা আজ সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট করেছেন। 

তিনি বলেছেন, যারা মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্যদের কথা। পরিবারের সদস্য বলতে তিনি সন্তান, স্ত্রী এবং পরিবারের মূল ব্যক্তিকে বুঝিয়েছেন। অন্য আত্মীয়দেরকে বোঝাননি। এখানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের হয়তো বুঝতে ভুল হয়েছে। 

দ্বিতীয়ত, আওয়ামী লীগ সভাপতি তাদেরকে নির্বাচন করা যাবে না এমনটা বলেননি, বরং তিনি বলেছেন যে, তারা যেন তৃণমূলের অন্যান্য নেতাকর্মীদেরকেও সুযোগ দেয়। সবকিছু যেন তারা দখল করে না নেয়। 

তৃতীয়ত, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা বিভিন্ন পদ পদবীতে আছেন বা নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে ইতোমধ্যে দায়িত্ব পালন করেছেন তারা নির্বাচন করবে না কেন? অর্থাৎ যারা বিভিন্ন দায়িত্বে আছেন উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে, পৌরসভার মেয়র হিসেবে বা আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতে অর্থাৎ আগে থেকে রাজনীতি করছেন তারা নির্বাচন করলে কোনো বাধা নেই। অর্থাৎ ড. রাজ্জাক বা শাজাহান খানের তার ছেলে বা ভাই নির্বাচন করলে সেটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি সুস্পষ্ট ভাবে কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল না, মন্ত্রী-এমপি হওয়ার সুবাদে ছেলে বা স্ত্রীকে রাজনীতিতে টেনে আনায় আনা হয়েছে এবং এলাকায় দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এরকম ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছেন। এরকম ব্যক্তির সংখ্যা খুবই কম। আওয়ামী লীগ সভাপতি আজ সংবাদ সম্মেলনেও সাংবাদিকদের কাছে জানতে চাইছেন এই সংখ্যা কত জন। ওই সাংবাদিক বলেছেন, জনা পঞ্চাশেক হবে। তিনি বলেছেন, এই সংখ্যা খুব কম নয়। 

তবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের প্রার্থী হওয়ার কারণে এলাকায় এক ধরনের উত্তেজনা এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি হয়েছে। একদিকে মন্ত্রী-এমপিদের প্রার্থী এবং অন্যদিকে মন্ত্রী-এমপিদের আধিপত্যের বিরুদ্ধে তৃণমূলের ঐক্য। সব কিছু মিলিয়ে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আর প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন মানেই হলো ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধি। আর সেই ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্যই প্রধানমন্ত্রী হয়তো তার কৌশলের ব্যাখ্যা দিলেন। আসলে আওয়ামী লীগের পিছু হঠা নয়, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য একটাই। নির্বাচন যেন অর্থপূর্ণ হয়, ভোটার উপস্থিতি যেন বাড়ে। আর সে কারণেই আপাতত নির্দেশ অমান্যকারীদেরকে স্বাগত জানাচ্ছে আওয়ামী লীগ। যেমন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে স্বতন্ত্রদের স্বাগত জানিয়েছিল।

আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন   কার্যনির্বাহী কমিটি   ওবায়দুল কাদের   রাজনীতির খবর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এবার বিএনপির ৬১ নেতাকে শোকজ

প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৬১ নেতাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে বিএনপি। 

বৃহস্পতিবার (২ মে) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। চিঠিতে নেতাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

শোকজ নেতাদের মধ্যে ২৫ জন চেয়ারম্যান পদে, ২০ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন অংশ নিয়েছেন।

শোকজ চিঠিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএনপির নেতা হিসাবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিএনপি   শোকজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

এভারকেয়ার হাসপাতালে আবার গত রাতে ভর্তি হয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে বেগম খালেদা জিয়াকে আবার ভর্তি করা হয়। একাধিক বিএনপির সূত্রগুলো এ ব্যাপারে দুই রকমের মতামত দিয়েছে। 

বিএনপির কোন কোন নেতা বলছেন যে, খালেদা জিয়ার কিছু শারীরিক জটিলতা আবার নতুন করে দেখা দিয়েছে। এ কারণেই চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আরও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন। এ সমস্ত পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাপারে তারা কী করবেন। অন্য একটি সূত্র বলছে যে, বেগম খালেদা জিয়াকে নতুন করে বিদেশে পাঠানোর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে। সেই উদ্যোগের অংশ হিসাবে বেগম জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

বিএনপির কয়েকজন নেতা বাংলা ইনসাইডারকে জানিয়েছেন যে, তার পরিবারের সদস্যরা দলের বাইরে গিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি নিয়ে দর কষাকষি করছেন। তারা যে কোনো মূলে বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে চান। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এ ব্যাপারে মূল ভূমিকা পালন করছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও লন্ডনে অবস্থানরত প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা সিঁথিও বেগম খালেদা জিয়াকে যে কোনো মূল্যে বিদেশে নেওয়ার পক্ষপাতী। আর এ কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যদেরকে ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে তা হল বেগম জিয়া যদি তার অপরাধ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা মার্জনা আবেদন করেন তাহলে সরকার সেটি বিবেচনা করবে। এবং এই বাস্তবতায় বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করার পক্ষে। বেগম জিয়ার পরিবারের অন্তত দুজন সদস্য শামীম ইস্কান্দার এবং শর্মিলা সিঁথি মনে করেন যে, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা ভিক্ষার আবেদন করার মধ্যে অসম্মানের কিছু নেই। তারা এ নিয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং বিএনপির কয়েকজন নেতার সঙ্গেও কথা বলেছেন। এমনকি বিএনপি নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ডেকে নিয়ে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। 

তবে বিএনপির প্রায় সব নেতাই রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন এর তীব্র বিরোধী। তারা মনে করছেন, এই ধরনের আবেদন করা অনভিপ্রেত এবং বেগম খালেদা জিয়া সারা জীবনের রাজনৈতিক অর্জন এক নিমেষে ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। এ কারণে তারা কোন অবস্থাতেই এ ধরনের আত্মসমর্পণের পক্ষে নয়। তবে বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা মনে করেছেন, তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার এটাই একমাত্র উপায় নেই। 

বিএনপির পরিবারের সদস্যরা মনে করছেন, বেগম জিয়া যে বয়স এবং যে শারীরিক অবস্থা তাতে তিনি ক্ষমা চাইলেই কী আর না চাইলে কী। তিনি এই শারীরিক অবস্থায় আপাতত রাজনীতিতে ফিরে আসতে পারবে না। এ কারণে তার সহজ সমাধানে যাওয়াটাই উচিত। তবে বিএনপির কোন কোন সদস্য বলছেন, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া মানে হল দোষ স্বীকার করে নেওয়া। বেগম খালেদা জিয়াকে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকৃত দুর্নীতিবাজ হিসেবে প্রমাণের জন্যই সরকারের এটি কৌশল। এই কৌশলের ফলে বিএনপির রাজনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে। এটি করা কোনভাবেই উচত না বলে তারা মনে করেন। তবে তারেক জিয়া এ ধরনের ক্ষমা প্রার্থনা বা রাষ্ট্রপতির কাছে অনুকম্পা ভিক্ষা করার তীব্র বিরোধী। তিনি এখন পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার সব ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। তিনি কোন ভাবেই এটি হতে দিতে রাজি নন। কিন্তু শামীম ইস্কান্দারের সাথে তারেক জিয়ার মতপার্থক্য এবং দ্বন্দ্ব এখন বিএনপিতে প্রকাশ্যে বিষয়। দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত শামীম ইস্কান্দার জয়ী হন নাকি বেগম জিয়ার ব্যাপারে তার সন্তানের সিদ্ধান্তই শেষ সিদ্ধান্ত হিসেবে পরিগণিত হয়।

রাষ্ট্রপতি   খালেদা জিয়া   শামীম ইস্কান্দার   তারেক জিয়া   রাজনীতির খবর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন