গণতন্ত্র
পুনরুদ্ধারসহ দশ দফা দাবি
আদায়ে আগামী সপ্তাহে রাজধানীর চার স্থানে পদযাত্রা
কর্মসূচি পালন করবে ঢাকা
মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।
এমনটাই ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে
এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। এই
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর উত্তর
বিএনপির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হক,
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, সদস্য সচিব রফিকুল আলম
মজনুসহ উপস্থিত ছিলেন অনেকেই। এর আগে গতকাল
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) 'গণতন্ত্র
হত্যা দিবস' গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর
ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে একটি
সমাবেশ আয়োজন করে বিএনপি। এদিনও
১০ দফা দাবিতে আগামী
৪ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী বিভাগীয় সমাবেশ করবে বলে ঘোষণা
দেয় দলটি।
বিএনপির
একের পর এমন উপর্যোপরি
আন্দোলন এবং সমাবেশের ঘোষণাকে
অহেতুক বলে মন্তব্য করেছেন
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, বিএনপি
দিশেহারা হয়ে এমন একর
পর এক উপর্যোপরি সভা-সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে
বিএনপি জানান দিতে চায়, তার
রাজপথের আন্দোলনে সোচ্চার রয়েছে। কিন্তু এসব আন্দোলনের ঘোষণা
সরকার বা জনগন কেউই
আর তেমনভাবে আমলে নিচ্ছে না।
কেননা বিএনপি যুগপৎ আন্দোলনের যে ১০ দফার
এসব সমাবেশের ঘোষণা দিচ্ছে, এ সম্পর্কে সাধালন
মানুষ অবগত নয়। ফলে
জনসম্পৃক্ততা থেকে পিছিয়ে পড়েছে
বিএনপি।
জানা
গেছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সোমবার (৩০ জানুয়ারি) যাত্রাবাড়ী
থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত পদযাত্রা এবং বুধবার (১
ফেব্রুয়ারি) মুগদা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত
পদযাত্রা। এই কর্মসূচি পালন
করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ
বিএনপি। অন্যদিকে, শনিবার (২৮ জানুয়ারি) শাহজাদপুর
থেকে আবুল হোটেল পর্যন্ত
পদযাত্রা এবং মঙ্গলবার (৩১
জানুয়ারি) গাবতলী থেকে ১০নম্বর গোলচত্বর
পর্যন্ত পদযাত্রা। এই কর্মসূচি পালন
করবে ঢাকা মহানগর উত্তর
বিএনপি।
রাজনৈতিক
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির আন্দোলনে ‘পদযাত্রা’ একটি নতুন শব্দ।
এই কর্মসূচিটি বিএনপির আন্দোলনে আপাতদৃষ্টিতে একটি ভিন্ন ধারা
মনে করা হলেও বস্তুত
এই একই ধারায় চলবে।
সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং বক্তব্য এসবই মূল বিষয়বস্তু।
এই কর্মসূচি বিএনপির আন্দোলনে কোনো ভিন্ন মাত্রা
যোগ করবে বলে মনে
হচ্ছে না।
রাজনৈতিক
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপির
এসব আন্দোলন জনগনকে সম্পৃক্ত করতে পারবে না
বা জনগন স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই
আন্দোলনে যোগ দিবে না।
এখন সভা-সমাবেশে লোক
আনতে হলে মাথা প্রতি
৩০০ থেকে ৫০০ টাকা
গুনতে হয়। সাধারণ মানুষের
মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিদিনই আয় করতে হবে,
পরিবার পরিজন নিয়ে একটু ভালো
খেয়ে-পরে বেঁচে থাকতে
হবে। বিএনপির আন্দোলনে গিয়ে দিনটাই মাটি
করতে চাইবে না কোনো সাধারণ
মানুষ। শুধুমাত্র বিএনপির পদ-পজিশনের আশায়
যারা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছে, তারাই
বিএনপির এমন আন্দোলনে অংশ
নিবে। কিন্তু,পদ-পজিশনের লোভে
যারা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন, তাদের অনেক কর্মীই জেলে
রয়েছেন, অথবা মামলা-জামিন
এসব বিষয় নিয়ে আদালাতে
আদালতে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন। ফলে
এসব কর্মীরাও বিএনপির আন্দোলন সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে পারছে না।
গতকাল
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) ঐতিহাসিক
গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আওয়ামী
লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ
ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল লাল কার্ড দেখাতে
গিয়ে শূন্য হাতে ফিরলেন। সরকার
পতন, ৫৪ দল, ১০
দফা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সবই ভুয়া। বিএনপির
হাঁকডাক, লোটাকম্বল, মশার কয়েল, সাতদিন
আগ থেকে সমাবেশের প্রস্তুতি
সবই ব্যর্থ। বিএনপি সোহরাওয়ার্দীতে আন্দোলন না করে গরুর
হাটে আন্দোলন করেছে। বিএনপির আন্দোলন জোয়ার থেকে ভাটার দিকে
যাচ্ছে। ভুয়া জোটের মাধ্যমে
গঠন করা বিএনপি ভুয়া,
তাদের জনগণ বিশ্বাস করে
না।
আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সত্যতা রয়েছে
বলে জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, গত
১৪ বছর ধরেই বিএনপির
এমন হাঁকডাক জনগন প্রত্যক্ষ করছে।
১০ ডিসেম্বরের পর থেকে বাংলাদেশের
প্রশাসন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কথায় পরিচাীরত হবে
বলেও বক্তব্য রেখেছিলেন এক বিএনপি নেতা।
বস্তুত কি দেখা গেছে?
এসব কারণেই বিএনপি জনগনের বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে। ফরে বিএনপির এসব
আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা না পেয়ে দিশেহারা
হয়ে পড়েছে বিএনপি। এখন শুধুই অপেক্ষার
পালা, বিএনপি এমন অবস্থা থেকে
ফিরে আসতে পারবে কি
না?
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পদযাত্রা
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া লবিস্ট ফার্ম বিএনপি
মন্তব্য করুন
আজ প্রথম দফায় ১৩৯টি উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণ হয়েছে। তবে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা এবং প্রভাব বিস্তারের ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচন কমিশন যেমন উপজেলা নির্বাচন তাদের নিজেদের মতো করে পর্যবেক্ষণ করছে, যারা আচরণবিধি এবং নির্মাণের নির্বাচনের আইন কানুন লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করছে, ঠিক তেমনই আওয়ামী লীগ তার নিজস্ব উদ্যোগে দলের শৃঙ্খলা এবং মন্ত্রী-এমপিদের কার্যক্রম পর্যালোচনা করছে।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকায় টিম সরাসরি কাজ করেছে এবং তারা প্রথম দফায় অনুষ্ঠিত সবগুলো উপজেলার নির্বাচন মনিটরিং করেছে। যেখানে তারা খোঁজখবর নিয়েছে যে, মন্ত্রী-এমপিরা নির্বাচনে কতটা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে; অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনকে তারা কতটা বাধাগ্রস্ত করতে চেষ্টা করেছে এবং তাদের কারণে নির্বাচনে কী কী ধরনের পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। আর এক্ষেত্রে যারা নির্বাচনের স্বাভাবিক এবং স্বতস্ফূর্ত পরিবেশ নষ্টের জন্য দায়ী থাকবেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন যে, এই উপনির্বাচনগুলোতে যারা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নীতিগত অবস্থান নেওয়া হয়েছে। যারা নির্বাচনে তাদের নিজস্ব প্রার্থী বা আত্মীয়স্বজনকে জেতানোর জন্য প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করতে চাইবে বা নির্বাচনের পেশি শক্তি প্রয়োগ করতে চাইবে তারা দলের পদ হারাবেন। উপজেলা নির্বাচনের সবগুলো ধাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়গুলো নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে বলেও আওয়ামী লীগের ওই প্রেসিডিয়াম সদস্য জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেয়েছেন- একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন। যে নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। আর এক্ষেত্রে স্বতঃস্ফূর্ত ভোটাধিকার প্রয়োগে যারা বাধা দেবে; অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বানেকে যারা কলুষিত করতে চাইবে, তাদেরকে আওয়ামী লীগের কোন পদে থাকা রাখা হবে না, তারা যে পর্যায়ে বা যে পদেই থাকুন না কেন।
বিশেষ করে যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিরা তাদের মাই ম্যান হিসাবে প্রার্থীদেরকে দাঁড় করিয়েছেন, তারা যদি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে তাহলে যারা প্রার্থী এবং যারা প্রার্থীদেরকে মদত দিচ্ছেন তারা উভয়ে দলের পদ হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন। আর সবচেয়ে বড় কথা হল যে, এই সব উপজেলা নির্বাচনে যারা দলের নির্দেশ অমান্য করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবেন, নিজস্ব পছন্দের ব্যক্তিকে জয়ী করার জন্য পেশিশক্তি প্রয়োগ করবেন ভবিষ্যতে মনোনয়নের খাতা থেকে খাতা থেকে তাদের নাম বাদ যাবে। তাদেরকে ভবিষ্যতে মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবেন।
উল্লেখ্য যে, এর আগেও যারা দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ করেছিল এবং বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছিল তাদের অনেককেই গত নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। দলের বিরুদ্ধে গিয়ে এলাকায় নিজস্ব কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং এ সমস্ত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত থাকবেন, আগামী নির্বাচনে তাদের মনোনয়ন ঝুঁকিতে পড়বে বলেই আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
পর্দার আড়ালে ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে মূলধারার রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। বিদেশে পলাতক জীবনযাপন করছেন। সেখানে বসেই বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছেন। সরকারের সাথেও নানা রকম ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়েই হঠাৎ করে আলোচনা জমে উঠেছে। শুধু বিএনপির মধ্যে নয়, রাজনৈতিক অঙ্গনে মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়ে এখন আলোচনা জমজমাট।
এর কারণ হল সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সৌদি আরবে মোসাদ্দেক আলী ফালুর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। যদিও মোসাদ্দেক আলী ফালুর ঘনিষ্ঠরা এবং বিএনপির পক্ষ থেকে এটিকে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হিসেবে অস্বীকার করা হয়েছে। তারা বলেছেন যে, যেহেতু মোসাদ্দেক আলী ফালু সৌদি আরবে অবস্থান করছেন এবং বিএনপির মহাসচিব সেখানে গেছেন, তারা দীর্ঘদিনের পরিচিত, ঘনিষ্ঠ- এ কারণে তার বাসায় আপ্যায়ন করা হয়েছে। এ বিষয়টির সঙ্গে কোন রাজনীতি নেই।
ফালুর ঘনিষ্ঠ একজন আত্মীয় বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন যে শুধু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নন, বিএনপির যেকোন নেতা গেলেই ফালু তাদেরকে আপ্যায়িত করেন পুরনো সম্পর্কের জেরে। এর সঙ্গে কোন রাজনীতির সম্পর্ক নেই। মোসাদ্দেক আলী ফালু বর্তমানে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে রাজনীতি করেন না।
কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন সময় ফালুর সঙ্গে দেখা করেছেন, যখন বিএনপিতে অনেকগুলো ইস্যু নিয়ে টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করছে। মোসাদ্দেক আলী ফালু খালেদাপন্থী বিএনপি অংশের অন্যতম প্রধান নেতা হিসেবে বিবেচিত হন এবং বেগম জিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্কের কারণেই তাকে তারেক জিয়া কোনঠাসা করেছেন- এমন বক্তব্য বিএনপিতে ব্যাপকভাবে প্রচলিত আছে। আর এরকম পরিস্থিতির কারণে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে যারা বিএনপিতে এখন কোনঠাসা তারা এখন মোসাদ্দেক আলী ফালুর উত্থান চাচ্ছে। মোসাদ্দেক আলী ফালু যেন এখন রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন সেটা তারা কামনা করছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গেও মোসাদ্দেক আলী ফালুর এই সাক্ষাতের পর বিএনপিতে খালেদাপন্থীরা আবার চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। অনেকেই মনে করছেন যে, মোসাদ্দেক আলী ফালু যদি রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতেন তাহলে বিএনপি একের পর এক এই ভুল সিদ্ধান্তগুলো করতেন না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে, ফালু যখন বেগম খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ ছিলেন তখনও তিনি বিএনপির সমালোচনা করতেন, যে কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তার নিজস্ব মতামত রাখতেন। এ রকম লোক বিএনপিতে দরকার আছে।
তবে কেউ কেউ মনে করছেন যে, মোসাদ্দেক আলী ফালুর সঙ্গে তারেক জিয়ার এখন সম্পদের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে একটা টানাপোড়েন চলছে। কারণ খালেদা জিয়ার যে সমস্ত সম্পদ তার একটি বড় অংশ মোসাদ্দেক আলী ফালুর নামে রয়েছে এবং ফালু এই সমস্ত সম্পত্তিগুলো দেখভাল করেন। কিন্তু তারেক জিয়া এই সমস্ত সম্পত্তিগুলোর অংশীদারিত্ব চান, মালিকানা চান। এ কারণে তারেক জিয়া গত কিছুদিন ধরে মোসাদ্দেক আলী ফালুর উপর চাপ সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আর এ কারণেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিষয়টির মধ্যস্থতা করার জন্যই ফালুর সঙ্গে দেখা করেছেন কিনা তা নিয়েও কারও কারও অভিমত রয়েছে। অনেকেই মনে করেন যে, মোসাদ্দেক আলী ফালু একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি এবং তার যে বিপুল সম্পদ তা পুরোটাই বেগম খালেদা জিয়ার। যেখান থেকে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা সিঁথি কিছু পান এবং সেই টাকা দিয়ে তিনি লন্ডনে চলেন।
এখন তারেক জিয়া এই সমস্ত সম্পদের হিসাব এবং সম্পদগুলো যেন জিয়া পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয় সেজন্য চাপ দিচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন একজন ব্যক্তি যিনি ফালু এবং তারেক জিয়া দুজনেরই ঘনিষ্ঠ এবং আস্থাভাজন। তিনি কি তাহলে ফালুর সঙ্গে তারেক জিয়ার সমঝোতা করতেই ওখানে গিয়েছিলেন? নাকি তারেকপন্থীদের কোণঠাসা করার জন্য ফালুকে রাজনীতিতে সামনে আনার নতুন করে চেষ্টা হচ্ছে।
তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মোসাদ্দেক আলী ফালু বিএনপি রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার দাবি বিএনপির দীর্ঘদিনের। শুধু দাবি নয়, এ নিয়ে বিএনপির তদবিরও করছে। সরকারের সাথে পর্দার আড়ালে নানা রকম আলাপ আলোচনাও চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ক্ষেত্রে তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি। আর বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য তাঁকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি যেন সরকার দেয় এ জন্য দুটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। এই লবিস্ট ফার্মের একটি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক, অন্যটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক। এই লবিস্ট ফার্মগুলো যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করবে এবং বাংলাদেশ সরকারের ওপর যেন এক ধরনের চাপ প্রয়োগ করা হয় সে জন্য চেষ্টা করবে।
আজ প্রথম দফায় ১৩৯টি উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণ হয়েছে। তবে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা এবং প্রভাব বিস্তারের ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচন কমিশন যেমন উপজেলা নির্বাচন তাদের নিজেদের মতো করে পর্যবেক্ষণ করছে, যারা আচরণবিধি এবং নির্মাণের নির্বাচনের আইন কানুন লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করছে, ঠিক তেমনই আওয়ামী লীগ তার নিজস্ব উদ্যোগে দলের শৃঙ্খলা এবং মন্ত্রী-এমপিদের কার্যক্রম পর্যালোচনা করছে।
পর্দার আড়ালে ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে মূলধারার রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। বিদেশে পলাতক জীবনযাপন করছেন। সেখানে বসেই বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছেন। সরকারের সাথেও নানা রকম ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়েই হঠাৎ করে আলোচনা জমে উঠেছে। শুধু বিএনপির মধ্যে নয়, রাজনৈতিক অঙ্গনে মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়ে এখন আলোচনা জমজমাট।