আগামী ২৭ জুলাই আবার বিএনপিকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে আওয়ামী লীগকে। আওয়ামী লীগ বিএনপির সমাবেশের পাল্টা সমাবেশ হিসেবে শান্তি সমাবেশ ডেকেছে। যদিও আওয়ামী লীগ বলছে, এটি কোনো পাল্টা কর্মসূচি নয়, দেশের সংবিধান অক্ষুন্ন রাখা, শান্তি-শৃঙ্খলা অব্যাহত রাখার স্বার্থে আওয়ামী লীগ ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি পালন করছে। আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা বলেছেন, তারা রাজপথে থাকতে চান এবং কোনোভাবেই যেন নৈরাজ্য, সন্ত্রাস, সহিংসতা না হয়- সে ব্যাপারে নজর রাখতে চান। আওয়ামী লীগের এবারের কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য হলো- বিএনপিকে মাঠ দখল করতে না দেওয়া। সেই চেষ্টায় আওয়ামী লীগ কতটুকু সফল হবে- সেটাই দেখার বিষয়। তবে ২০১৩, ১৪-এর আন্দোলনে আওয়ামী লীগের কৌশল সফল হয়েছে। সেই সময় আওয়ামী লীগ ঢাকাকে বিএনপি’র আন্দোলন মুক্ত করার চেষ্টা করেছিল। এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এবার বিএনপির প্রধান লক্ষ্য হল ঢাকা দখল করা। আর সে কারণেই আগামীকালের সমাবেশ আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, আগামীকালের সমাবেশের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট এবং আন্দোলন একটি নতুন মেরুকরণে পৌঁছাবে এবং এর পরবর্তী সময়গুলোতে কি হয়, তার উপর নির্ভর করবে আগামী নির্বাচনের অনেক কিছু। তবে এবারে বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে পাঁচটি আতংক বা ভয় কাজ করছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে:-
১. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব: বিগত দুই বছর ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিরোধী একটি মনোভাব প্রকাশ্যে দেখাচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমান সরকারের সঙ্গে তাদের টানাপোড়েনের বিষয়টি এখন আর গোপন নয়। সম্প্রতি গতকাল ইটালিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে আবারো স্পষ্ট করে কথা বলেছেন। এ নিয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে বললেন, ‘তারা আমাদেরকে, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে নামাতে চায়।’ বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপগুলো নিচ্ছে, সেটি আওয়ামী লীগের জন্য উদ্বেগের। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত কি করে, সেটি নিয়ে তারা কিছুটা হলেও আতঙ্কে আছেন।
২. দলের ভেতর বিশৃঙ্খলা: আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এখন অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। দল কিছুতে ঐক্যবদ্ধ হতে পারছে না। দলের মধ্যে তৃণমূল পর্যন্ত বিভক্তি ছড়িয়ে পড়েছে। বিএনপির আন্দোলন মোকাবেলা করার জন্য ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সেখানে কিছু সমস্যা এখনো রয়ে গেছে।
৩. কর্মীদের রাজপথে নামার ক্ষেত্রে অনিহা: আওয়ামী লীগ একটি ত্যাগী দল। দীর্ঘ আন্দোলন, সংগ্রামে অভিজ্ঞ দল। কিন্তু টানা প্রায় ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার ফলে আওয়ামী লীগের অনেক নেতার মধ্যে এখন একটি আয়েশি ভাব এসেছে। অনেক অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিড আওয়ামী লীগে প্রবেশ করেছেন- যারা আন্দোলন সংগ্রামে অভ্যস্ত নয়। এই সমস্ত নেতা-কর্মীদেরকে আন্দোলনের মাঠে কতটা পাওয়া যাবে- তা নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। এটি আওয়ামী লীগের জন্য একটি উদ্বেগের কারণ।
৪. আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং প্রশাসনের ভূমিকা: গত ১৪, ১৫ বছর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আওয়ামী লীগের পক্ষেই কাজ করেছে। বিশেষ করে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা, নতুন ভিসা নীতি ইত্যাদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কিছুটা হলেও চিন্তিত করেছে। তারা এখন দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রেই দ্বিধান্বিত। আর এটির প্রভাব পড়েছে আন্দোলনের উপর। আগে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আন্দোলনের নামে নাশকতা বা অপতৎপরতাকে দমন করতো। কিন্তু এখন সেক্ষেত্রে তারা কতটুকু কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে, সেটা নিয়ে কারো কারো সংশয় এবং সন্দেহ রয়েছে।
৫. রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগের একাকীত্ব: আওয়ামী লীগ সব সময় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে বিশ্বাসী একটি রাজনৈতিক দল। ২০০৮ এর নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ মহাজোট গঠন করেছিল। ২০০১ এর নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর আওয়ামী লীগ ১৪ দল গঠন করেছিল। তাছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে, বিশেষ করে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সব সময় ছিল। কিন্তু ২০১৮ এর পর থেকে আওয়ামী মিত্রের সংখ্যা আস্তে আস্তে কমতে শুরু করেছে। ১৪ দল ততোটা সক্রিয় নয়। যদিও সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ দলের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। তারপরও ১৪ দল এখন আগের মতো তৎপর নয়। জাতীয় পার্টির সঙ্গেও আওয়ামী লীগের সম্পর্কের মধুরতা আগের মত নেই। এ রকম অবস্থায় রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগ অনেকটা একলা।
এসব উদ্বেগ কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ কতটুকু আন্দোলন মোকাবেলা করতে পারবে এবং সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য একটি নির্বাচন করতে পারবে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বিএনপি ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সস্ত্রীক সৌদি আরবে গেছেন। সেখানে তিনি ওমরাহ পালন করার জন্য গেছেন বলেও দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আগামী ৮ মে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। কিন্তু সৌদি আরবে ওমরাহ’র ফাঁকে বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে এক সময়ের বিএনপির প্রভাবশালী নেতা এবং বেগম জিয়ার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি মোসাদ্দেক আলী ফালুর বৈঠক নিয়ে বিএনপিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, সৌদি আরবে অবস্থানরত মোসাদ্দেক আলী ফালুর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং সেই বৈঠকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্ত্রীও ছিলেন।
তবে সৌদি আরবের প্রবাসী বিএনপির নেতৃবৃন্দ দাবি করেছেন যে, যেহেতু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সৌদি আরব সফরে গেছেন এবং যেহেতু তিনি মোসাদ্দেক আলী ফালুর ঘনিষ্ঠ পূর্বপরিচিত ও রাজনৈতিক সহকর্মী, সে কারণেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সপরিবারে নৈশভোজে দাওয়াত দিয়েছিলেন। তবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ফালুর বৈঠক লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া ইতিবাচকভাবে দেখছেন না। তারেক জিয়ার সঙ্গে ফালুর বিরোধের খবর বিএনপিতে অজানা নয়। বিশেষ করে তারেক জিয়ার অনাগ্রহ এবং আপত্তির কারণেই মোসাদ্দেক আলী ফালু রাজনীতি ছেড়েছেন বলেই অনেকে মনে করেন।
মোসাদ্দেক আলী ফালু ছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার দেহরক্ষী। পরে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় এবং সেই ঘনিষ্ঠতার সূত্র ধরেই ১৯৯১ সালে বেগম জিয়া ক্ষমতায় আসার পর তাকে একান্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ দেন। একান্ত সচিব হলেও ক্ষমতাকেন্দ্রে মোসাদ্দেক আলী ফালু তখন থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন।
অনেকেরই ধারণা যে, বেগম খালেদা জিয়ার যে অবৈধ সম্পদ তার একটি বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করে মোসাদ্দেক আলী ফালু। মোসাদ্দেক আলী ফালু বাংলাদেশে এনটিভির মালিক। আইএফআইসি ব্যাংকে তার শেয়ার রয়েছে। এছাড়া আরও বেশ কিছু শিল্প কলকারখানায় তার বিনিয়োগ রয়েছে। এই সমস্ত বিনিয়োগের অর্থ বেগম খালেদা জিয়ার কাছ থেকে পাওয়া বলে একাধিক সূত্র দাবি করে। যদিও এ ব্যাপারে মোসাদ্দেক আলী ফালু সবসময় অস্বীকার করে আসছিলেন।
এক এগারোর সময় দুর্নীতির অভিযোগে মোসাদ্দেক আলী ফালুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ অর্থের সন্ধান পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তিনি জামিনে মুক্তি পান এবং এই মামলাগুলো যখন বিচারিক আদালতে ওঠে তখন ফালু পালিয়ে সৌদি আরবে যান। এখনও তিনি সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।
এর মধ্যে বিএনপিতেও তার অবস্থান নড়বড়ে হয়ে যায়। তারেক জিয়া যখন বিএনপিতে নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী হন, তখন মোসাদ্দেক আলী ফালুকে অপাংক্তেয় করা হয়। তাকে একটি অসম্মানজনক পদ দেওয়া হয়েছিল সর্বশেষ কাউন্সিলে। এই পদ প্রাপ্তির পর মোসাদ্দেক আলী ফালু অভিমান করেন এবং তিনি বিএনপি থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পদত্যাগ করেন। যদিও ফালুর ঘনিষ্ঠরা বলছেন, তিনি নিজেকে রাজনীতি থেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু এখনও খালেদা জিয়ার সমর্থকরা এবং তারেক জিয়া বিরোধীরা নিয়মিত মোসাদ্দেক আলী ফালুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিভিন্ন নেতা কর্মীদের বিপদে আপদে তিনি সহযোগিতা করেন বলেও জানা গেছে।
ফালুর একটি আলাদা প্রভাব বলয় রয়েছে বিএনপিতে। সাম্প্রতিক সময়ে তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে যখন বিএনপির অনেকেই সোচ্চার, বিশেষ করে তার অদূরদর্শী রাজনৈতিক নেতৃত্ব নিয়ে হতাশা প্রকাশ করছেন, তখন অনেকেই নতুন করে ফালুর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ব্যয় ছাড়াও অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ মোসাদ্দেক আলী ফালুই করে থাকেন বলে বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করে।
আর এই কারণেই বিএনপিতে ফালু না থেকেও আছেন। ফালু এখনও বিএনপিতে অত্যন্ত প্রভাবশালী বলেই অনেকে মনে করেন। আর এ কারণেই তারেক জিয়ার চক্ষুশূল মোসাদ্দেক আলী ফালুর সঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈঠক নতুন করে রহস্যের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করেন যে, তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন তারেক জিয়ার উপর আস্থা রাখতে পারছেন না। আর একারণেই ফালুর সঙ্গে একটি ঘনিষ্ঠতা তিনি ঝালাই করে নিলেন।
তবে অনেকেই মনে করেন যে, এটি একটি স্রেফ সৌজন্য সাক্ষাৎ। বিদেশে গেলে নিকটজনের সাথে সাক্ষাৎ করলে একটা অন্যরকম আমেজ পাওয়া যায়। সেজন্যই ফালুর সঙ্গে নৈশভোজে মিলিত হয়েছিলেন মির্জা ফখরুল।
তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মোসাদ্দেক আলী ফালু বিএনপি রাজনীতি
মন্তব্য করুন
কাগজে কলমে উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেই। আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছেন না। নৌকা প্রতীক ছাড়াই আওয়ামী লীগের এমপিরা যে যার মতো করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছেন। ১৫০ টি উপজেলায় প্রথম ধাপে ৮ মে এই নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আজ মধ্যরাত থেকেই নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা বন্ধ হচ্ছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সস্ত্রীক সৌদি আরবে গেছেন। সেখানে তিনি ওমরাহ পালন করার জন্য গেছেন বলেও দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আগামী ৮ মে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। কিন্তু সৌদি আরবে ওমরাহ’র ফাঁকে বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে এক সময়ের বিএনপির প্রভাবশালী নেতা এবং বেগম জিয়ার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি মোসাদ্দেক আলী ফালুর বৈঠক নিয়ে বিএনপিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, সৌদি আরবে অবস্থানরত মোসাদ্দেক আলী ফালুর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং সেই বৈঠকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্ত্রীও ছিলেন।