আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা গভীর রাতে দেশে ফিরেছেন। আগামীকাল বিএনপির মহাসমাবেশ এবং তার পাল্টা হিসেবে আওয়ামী লীগের তিনটি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের যৌথ ‘তারণ্যের সমাবেশ’ হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যেই প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি ভাবছেন? বিভিন্ন রাজনৈতিক সঙ্কটে তিনি চমক নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন, বিভিন্ন রকম ঘোষণা দিয়ে তিনি রাজনৈতিক উত্তাপে জল ঢেলেছেন। এবার তিনি কি করবেন?- এই প্রশ্ন অনেকের। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সামনের কয়েকটি দিন গুরুত্বপূর্ণ- এরকম সময় প্রধানমন্ত্রী যে কোনো নাটকীয় ঘোষণা দিতে পারেন।
দীর্ঘ দিন ধরেই রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে অনেকটাই নিরুদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ধরনের পরিস্থিতিতে তিনি মোটেও বিচলিত নন। বরং তিনি বার বার একটি কথা বলছেন, নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য একটি অনির্বাচিত শক্তিকে ক্ষমতায় আনার জন্যই বিএনপি আন্দোলন করছে। ইতালিতেও গণসম্বর্ধনায় তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী এটিও বলেছেন যে, কয়েকটি দেশ চায় না যে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসুক। বাংলাদেশের উন্নয়ন তাদের জন্য চক্ষুশূলের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতেই হবে এবং এই নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয়- সেটি যেমন নিশ্চিত করতে হবে, পাশাপাশি নিশ্চিত করতে হবে যে, সে নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক হয়। আর এই নির্বাচন যে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে- এই বার্তাটি প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্টভাবেই দিয়েছেন এবং যারা শেখ হাসিনাকে চিনেন, তারা জানেন, তার প্রতিশ্রুতির কোনো ব্যত্যয় হয় না। কাজেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যে অবাধ, সুষ্ঠু হবে- এ নিয়ে অন্তত আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো সংশয় নেই। বরং আওয়ামী লীগের অনেকেই মনে করছেন, এই নির্বাচনে বিএনপিকে আনার জন্য শেখ হাসিনা কোনো নাটকীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন কি না?
উল্লেখ্য যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার বলেছেন, কোন দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করল, না করল- সেটি দেখার বিষয় নয়, নির্বাচন যথা সময়ে হবে। কিন্তু এটি বললেও লক্ষ্য করা গেছে যে, প্রতিটি নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি করে চমক দেখিয়েছেন। এবার তিনি কি ধরনের পদক্ষেপ দেখাবেন- সেটির অপেক্ষায়। সামনে প্রধানমন্ত্রীর দুইটি রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে। একটি রংপুরের সমাবেশ, যেটি ২ আগস্ট হওয়ার কথা। অন্যটি ৬ আগস্ট- যেদিন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভা ডেকেছে। যে বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা, সংসদ সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। এ দুটি সভার যে কোনো একটিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ এবং নাটকীয় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের কোনো কোনো মহল মনে করছে, যেহেতু রংপুরে একটি জনসমাবেশ। কাজেই সেই জনসমাবেশে নয়, আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এ ধরনের নাটকীয় ঘোষণা আসতে পারে বলে তারা মনে করছে। আর এ ধরনের ঘোষণার অবয়ব কি হবে- না হবে, সে সম্পর্কে কোনো ধারণা কেউই দিতে পারেনি। আওয়ামী লীগের বহু নেতাই মনে করেন যে, শেখ হাসিনা এ ধরনের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো একান্তই নিজস্ব উদ্যোগে গ্রহণ করেন এবং এ সমস্ত সিদ্ধান্ত তিনি আগাম দলীয় কোনো নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনাও করেন না। আর তাই প্রধানমন্ত্রী কি ধরনের ঘোষণা দিবেন, আদৌ কোনো ঘোষণা দিবেন কি না বা কোন ধরনের চমক দেখাবেন- সেটা তিনি না বলা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কোনো নেতার পক্ষে জানা সম্ভব নয়। তবে রাজনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে উঠার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে- নির্বাচনের আগে একটা পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন- সেটি মোটামুটি নিশ্চিত। তবে কখন কিভাবে তিনি এই পদক্ষেপ নিবেন সেটিই হলো রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় চমক।
ঘোষণা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী সমাবেশ নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন
মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
ওবায়দুল কাদের ক্ষমতায় বিদেশি দাসত্ব বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব।
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।