নানান নাটকীয়তার পর শেষ পর্যন্ত তৃণমূল বিএনপির প্রতীক সোনালী আঁশেই নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলটির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। নিজের দলের প্রতীক সোনালি আঁশ নিয়েই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেব। আমার বিশ্বাস জনগণ আমাদের পাশে থাকবে। আমরা সরকারের সঙ্গে ফাইট দিতে পারব। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার
(২৩ নভেম্বর) একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া
একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা
বলেন।
তৈমূর
আলম বলেন, আমরা বাংলাদেশের অনেক
বড় বড় নেতার মতো
নৌকা নিয়ে নির্বাচন করব
না। আমরা নির্বাচন করব
আমাদের প্রতীক সোনালি আঁশ নিয়েই। আমাদের
সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মকান্ড দীর্ঘদিনের। জনগণ আমাদের সম্পর্কে
জানে। আমার কর্মকান্ড সম্পর্কেও
জানে।
তিনি
বলেন, সাবেক এমপি, আমলা, উপজেলা চেয়ারম্যান, এমন অনেকেই আমাদের
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আওয়ামী লীগের জোট প্রসঙ্গে তৈমূর
আলম বলেন, আমি কখনোই আমার
কথা থেকে সরে আসিনি।
আমি পরিষ্কার ভাষায় বলে দিচ্ছি। বর্তমানে
দেশের যে পরিস্থিতি এবং
আমাদের যে অবস্থা, তাতে
আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো জোট করার
সম্ভাবনা নেই।
এই নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে কোনো চাপ অনুভব
করছেন কি না, এমন
প্রশ্নের জবাবে তৈমূর আলম বলেন, আমি
বহুবার জেল খেটেছি, ডিটেনশন
খেটেছি, গুলি খেয়েছি। আল্লাহকে
বিশ্বাস করে আছি। চাপ
বলতে কোনো শব্দ আমার
কাছে নেই।
নির্বাচন
কমিশনের ওপর আস্থা রাখতে
পারছেন কি না- এমন
প্রশ্নের জবাবে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, নির্বাচন
কমিশন যদি এবার সুষ্ঠুভাবে
নির্বাচন না করে, তাহলে
বাংলার জনগণ তাদের ভবনের
ইট খুলে নিয়ে আসবে।
কমিশনের কোনো পাত্তা থাকবে
না। তাদের হুঁশিয়ার হয়ে যাওয়া উচিত।
এক প্রশ্নের উত্তরে তৈমূর বলেন, বিএনপি আমাকে দল থেকে বহিষ্কার
করার পর আমি শুকরিয়া
আদায় করেছি। তারা আমাকে আত্মপক্ষ
সমর্থনের কোনো সুযোগ দেয়নি।
জনগণ জানে আমি সুস্থ
ধারার রাজনীতি করি।
তিনি
বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, এবারের নির্বাচন সম্পূর্ণ সুষ্ঠু ও ফ্রি ফেয়ার
হবে। কোনো প্রশাসনিক চাপ
থাকবে না। লেভেল প্লেয়িং
ফিল্ড থাকবে। এমপি-মন্ত্রীরা পুলিশ
পেলে সব প্রার্থীই পুলিশি
নিরাপত্তা পাবে। তাই আমরা প্রত্যাশা
করি এবং বিশ্বাস করি,
নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। নির্বাচনে তৃণমূল
বিএনপির কত আসনে জয়ী
হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে
তৈমূল আলম খন্দকার বলেন,
প্রধানমন্ত্রী যেভাবে কমিটমেন্ট করেছেন, তাতে আমাদের জয়
নিশ্চিত। হয়তো ৭৫ বছর
বয়সী আওয়ামী লীগের সঙ্গে এ বছর পেরে
উঠতে পারব না, তবে
আমরাই হব প্রধান বিরোধী
দল।
বিএনপির
জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেন,
আমি বিআরটিসির চেয়ারম্যান ছিলাম। যখন দেখতাম বিআরটিসির
গাড়ি পোড়াচ্ছে, তখন আমার হার্টে
লাগত। তাই গাড়ি পোড়ানোর
নিন্দা জানাই। অন্যদিকে গণহারে গ্রেফতারের বিরোধিতা করি। আমি মনে
করি, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিন দিলে যদি আলোচনার
দ্বার উন্মুক্ত হয়, তাহলে তার
জামিন হওয়া উচিত।
তৈমুর আলম তৃণমূল বিএনপি নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন
মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
ওবায়দুল কাদের ক্ষমতায় বিদেশি দাসত্ব বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব।
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।