বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয় থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে যেতে নিষেধ করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও সেখানে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
বুধবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদারের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাত ১০টা
৪০ মিনিটে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলামের
নেতৃত্বে পুলিশের ১৫ সদস্যের একটি
দল ওই কার্যালয়ে গিয়ে
তল্লাশি চালায়। প্রায় ১৫ মিনিট অবস্থান
করে পুলিশ সদস্যরা কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষের ভিডিওধারণ করেন। এ সময় পুলিশ
কর্মকর্তারা বলেন, আগামীকাল সকালে কেউ এই কার্যালয়ে
এলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে। এ
ছাড়া আগামীকাল বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শহীদ
বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে অর্পণের জন্য এনে রাখা
ফুলের রিং নিয়ে যায়
পুলিশ।
সেখানে আরও বলা হয়, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আগামীকাল সকালে ওই কার্যালয় থেকে একটি প্রতিনিধি দল মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে যাওয়ার কথা। চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে পুলিশ প্রবেশের সময় সেখানে অফিস কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খানও একটি গণমাধ্যমকে এ ঘটনার কথা জানিয়েছেন।
তবে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বরাতে গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম
গণমাধ্যমকে বলেছেন, রাতে গুলশান থানার
পুলিশ বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে গিয়ে কাউকে শাসায়নি
বা ফুলের রিং নিয়ে আসেনি।
সেখানে গ্রেপ্তার পরোয়ানার আসামি জড়ো হয়েছে কিনা,
পুলিশ তা খোঁজ নেওয়ার
জন্য যেতে পারে।
বুদ্ধিজীবী দিবস বিএনপি বিজ্ঞপ্তি
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
যুক্তরাজ্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিএনপি
মন্তব্য করুন
নোয়াখালী ওবায়দুল কাদের একরামুল করিম চৌধুরী
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাচন বিএনপি বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
একের পর এক ভুল কৌশল বিএনপির রাজনীতির অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। এবার উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপি যে কৌশল গ্রহণ করেছিল, প্রথম দফা ভোটগ্রহণের পর সেই কৌশল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপির ভোট বর্জন যেমন সাধারণ মানুষ সাড়া দেয়নি ঠিক তেমনি ভাবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরাও নির্বাচনে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যাননি। সাত জন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর ফলে আগামী ধাপগুলোতে যারা বিএনপির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং যারা দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তারা আবার নতুন করে উৎসাহ পাবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাবেন। এর ফলে বিএনপির বহিষ্কার কৌশল ব্যর্থ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নোয়াখালীতে মর্যাদার লড়াইয়ে হেরে গেলেন।নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীকে পরাজিত করে সেখানে গতকাল নির্বাচিত হয়েছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক ওরফে সাবাব চৌধুরী।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট সম্পন্ন হয়েছে গতকাল বুধবার (৮ মে) । বিএনপি এ নির্বাচন বর্জন করলেও দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে দলটির বহু নেতা নির্বাচনে অংশ নেন। যারা সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করেছেন তাদের দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। তবে ভোটের লড়াইয়ে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত বেশ কয়েকজন নেতা।