ইনসাইড পলিটিক্স

কার ইশারায় রওশনপন্থিরা মাঠে

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

গতকাল শুক্রবার আকস্মিকভাবে জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদ পন্থিরা কাকরাইলে জাতীয় পার্টির অফিস দখল করে নিয়েছিল। তবে এই দখলদারিত্ব বেশিক্ষণ টেকেনি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আবার জি এম কাদের পন্থিরা সেই অফিস পুনরুদ্ধার করে এবং অফিসে তালা লাগিয়ে দেয়। তবে রওশন পন্থিরা এখনও তাদের অবস্থান সংহত করার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন জাতীয় পার্টির নিষ্ক্রিয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। সামনের দিনগুলোতে তারা আরও বড় ধরনের শোডাউন করবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। 

আগামী মার্চে রওশন পন্থিরা জাতীয় সম্মেলন ডেকেছে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে তারা জি এম কাদেরকে দল থেকে পুরোপুরি বাদ দেবে এমন পরিকল্পনাও তারা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে। ইতোমধ্যে রওশন পন্থিরা জিএম কাদের এবং জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে এবং রওশন এরশাদ নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেছে। যদিও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু রওশন এরশাদের এই সিদ্ধান্তকে হাস্যকর বলেছেন এবং এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার তার নাই  বলেও ঘোষণা করেছেন। কিন্তু জাতীয় পার্টির নেতারা মনে করছেন, রওশন পন্থিরা স্ব উদ্যোগে, স্ব ইচ্ছায় এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়। তাদের পেছনে কোন শক্তি রয়েছে। সরকারের দিকে ইঙ্গিত করে তারা বলছে, জাতীয় পার্টিকে চাপে রাখার জন্যই সরকার রওশন পন্থিদের মাঠে রেখেছে। 

তবে জাতীয় পার্টির বিভিন্ন নেতারা মনে করছেন, রওশন এরশাদ আসলে দেনা পাওনার হিসেব মেটানোর জন্যই আলাদা অবস্থান গ্রহণ করেছেন। শুধু রওশন এরশাদ না, গত নির্বাচনে যারা বঞ্চিত হয়েছেন যাদের মধ্যে এবং যারা পরাজিত হয়েছেন তারা সবাই জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়েছেন। এই অংশ কম নয়। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জাতীয় পার্টির বিপর্যয় ঘটে। ২৬ টি আসনে তাদেরকে আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিলেও তারা মাত্র ১১ টি আসনে জয় লাভ করতে সক্ষম হন। অনেকে মনে করেন, জি এম কাদের এই নির্বাচন নির্বাচন পরিচালনার নেতৃত্ব দিতে সীমাহীন ব্যর্থতা পরিচয় দিয়েছেন। 

জাতীয় পার্টির মধ্যে দু টি অংশ রয়েছে। একটি অংশ মনে করে যে, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন জাতীয় পার্টির বর্জন করা উচিত ছিল। অন্য অংশ মনে করে নির্বাচনের জন্য যে সমস্ত অর্থ এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছিল তা জিএম কাদের এবং তার মিত্ররা তছরুপ করেছেন। ফলে প্রার্থীরা নির্বাচনের প্রচারণা নিয়ে অসহায় হয়েছেন। তারা ঠিক মতো টাকাপয়সা পাননি এবং এই কারণেই নির্বাচনে বিপর্যয় হয়েছে। যদিও জিএম কাদের নির্বাচনের পর এটিকে একটি নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তার মতে, যেখানে সরকার চলছে সেখানে নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে, যেখানে সরকার যাকে জেতাতে চেয়েছে তাকে জিতিয়েছে। এই সমস্ত সমালোচনার পরও জি এম কাদের জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা হিসাবে যোগ দিয়েছেন এবং সংসদ কার্যক্রমে তিনি বলেছেন, এত স্বল্প সংখ্যক সদস্য দিয়ে সত্যিকারের বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করা সম্ভব নয়। 

বিরোধী দল শূন্যতা নিয়ে তিনি তার উদ্বেগের কথাও বলেছেন। আর জি এম কাদেরের ভূমিকা রহস্যময়। জি এম কাদেরকে বিশ্বাস করা যায় না বা আস্থায় দেওয়া যায় না এরকম একটি ভাবনা থেকেই জাতীয় পার্টিতে রওশন এরশাদ পন্থীদের উত্থান বলে অনেকে মনে করছেন। তারা মনে করছেন, রওশন এরশাদ পন্থিরা সবসময় জি এম কাদেরকে চাপে রাখবে এবং এই চাপে থাকার কারণে জি এম কাদের সরকারের নাগালের বাইরে যেতে পারবেন না। তবে এই ধারণাকে উড়িয়ে দিয়েছেন অনেকে। তারা বলছেন, জি এম কাদেরের সঙ্গে সরকারের বিরোধিতা যাই থাকুক না কেন, রওশন পন্থিদেরকে ব্যবহার করে জি এম কাদেরকে চাপে রাখার কৌশল সরকার কোন ভাবে নেবে না। বরং জি এম কাদের সংসদে যাদেরকে নিয়ে আছেন, তাদের মধ্যেই অনেকে আওয়ামী লীগের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। যেমন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বা আরও কয়েকজন এমপি আছেন, যাদের সাথে সরকারের আস্থা এবং বিশ্বাসের সম্পর্ক রয়েছে। তাহলে রওশন পন্থিদেরকে কারা মাঠে নামল? 

কেউ কেউ মনে করছেন, রওশন এরশাদ যেন সংরক্ষিত আসনে এমপি হতে পারেন তা নিশ্চিত করার জন্যই রওশন পন্থিরা মাঠে নেমেছেন। জি এম কাদেরের অংশ সংরক্ষিত আসনে যে দুইজন সংসদ সদস্য হবেন তাদের চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। এদের মধ্যে একজন ঢাকা-১ আসন থেকে নির্বাচন করে পরাজিত সালমা ইসলাম। অন্যজন শেরীফা কাদের।  শেরীফা কাদেরও ঢাকা-১৮ থেকে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। কাজেই এই দুজনকে সংসদ আনতে চান জি এম কাদের পন্থিরা। কিন্তু রওশন পন্থিরা এই মতের সঙ্গে একমত নন। সালমা ইসলামের ব্যাপারে তাদের আপত্তি নেই। কিন্তু শেরীফা কাদেরের বদলে রওশন এরশাদ যেন সংসদে আসেন এটিই তাদের ইচ্ছা। আর এই অভিপ্রায়ের কারণেই রওশন পন্থিরা এখন নতুন করে আন্দোলন করছে এবং শক্তি প্রদর্শন করছে। এটি আসলে জি এম কাদেরের ওপর এক ধরনের চাপ সৃষ্টি। যে চাপের ফলে তিনি রওশন এরশাদকে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দিতে বাধ্য হবেন। 


জাতীয় পার্টি   রওশন এরশাদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলাতেও ভুল কৌশলে ব্যাকফুটে বিএনপি

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

একের পর এক ভুল কৌশল বিএনপির রাজনীতির অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। এবার উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপি যে কৌশল গ্রহণ করেছিল, প্রথম দফা ভোটগ্রহণের পর সেই কৌশল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপির ভোট বর্জন যেমন সাধারণ মানুষ সাড়া দেয়নি ঠিক তেমনি ভাবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরাও নির্বাচনে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যাননি। সাত জন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর ফলে আগামী ধাপগুলোতে যারা বিএনপির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং যারা দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তারা আবার নতুন করে উৎসাহ পাবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাবেন। এর ফলে বিএনপির বহিষ্কার কৌশল ব্যর্থ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতোই অবস্থান গ্রহণ করেছিল। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচন বিএনপি বর্জন করবে এবং এই নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে। যেমন কথা তেমন কাজ। উপজেলা নির্বাচনে প্রথম দফায় ৭৩ জন বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ে নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৬৩ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু বিএনপির এই বহিষ্কারাদেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা উপজেলা নির্বাচনে বহাল ছিলেন। 

প্রথম দফা ভোটগ্রহণের পর বিএনপির বহিষ্কৃত কোনো প্রার্থী নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনেননি। নির্বাচনকে নিয়ে তাদের কোন প্রশ্ন ওঠেনি। স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে যে ধরনের সহিংসতা এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার কথা তেমন কিছু ঘটেনি। বরং উপজেলা নির্বাচন বা উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে একধরনের আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অন্যান্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের তুলনায় এবার উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। কিন্তু একেবারেই হতাশাজনক নয়। 

নির্বাচন কমিশন বলেছে, ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোটার উপজেলা নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন। প্রধান বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জনের পরও ৪০ শতাংশ ভোটার ভোট দেওয়াটা খুব একটা খারাপ দৃষ্টান্ত নয়। 

বিএনপি শুধু উপজেলা নির্বাচনে তাদের দলীয় প্রার্থীদেরকে নিরুৎসাহিত করেনি, ভোটারদেরকে ভোট বর্জনের জন্য  প্রচারণায় অংশ নিয়েছিল। বিএনপি বলেছিল যে, জনগণকে ভোট বর্জনের জন্য তারা উদ্বুদ্ধ করবে। কিন্তু বিএনপির এই ভোট বর্জনের প্রচারও না ফ্লপ করেছে। বিএনপির ভোট বর্জনের ডাকে সাধারণ মানুষ সাড়া দেয়নি। কোনো কোনো উপজেলাতে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে দুই পক্ষের মধ্যে। সবকিছু মিলিয়ে নির্বাচন একেবারে নিষ্প্রাণ হয়েছে এমনটি বলা যাবে না। এই নির্বাচন আরও ভালো হতে পারতো যদি বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতো। কিন্তু বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়াও যে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গেছেন এবং নির্বাচন সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে এটা বিএনপির জন্য একটা বড় পরাজয়। তার চেয়ে বিএনপির বড় পরাজয় যে, দলের শৃঙ্খলা এখন ভেঙে পড়েছে। দলের নির্দেশনা মানছেন না বিদ্রোহীরা। এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে যাবে বলেই অনেকে মনে করছেন। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির যে ভোট বর্জনের প্রচারণা সেই প্রচারণায় জনগণ সাড়া দেয়নি। তাহলে উপজেলা নির্বাচনের ভুল কৌশল কি বিএনপিকে আরও এক ধাপ নিচে নামিয়ে দিলো?


উপজেলা নির্বাচন   বিএনপি   রাজনীতির খবর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

প্রকাশ: ০৫:১১ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যের ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

বুধবার (৮ মে) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারের বাসভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুকও অংশ নেয়।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সোয়া এক ঘণ্টার ওই বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, মানবাধিকার সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ অংশ নেন।


যুক্তরাজ্য   পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নোয়াখালীতে হেরে গেলেন কাদের

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নোয়াখালীতে মর্যাদার লড়াইয়ে হেরে গেলেন।নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ  এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীকে পরাজিত করে সেখানে গতকাল নির্বাচিত হয়েছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক ওরফে সাবাব চৌধুরী। 

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি এবং টানটান উত্তেজনা ছিল। নোয়াখালী রাজনীতিতে একরামুল করিম চৌধুরীকে মনে করা হয় ওবায়দুল কাদেরের প্রতিপক্ষ। একরামুল করিম চৌধুরী একবার ওবায়দুল কাদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং একরামুল প্রার্থী হওয়ার কারণেই ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। 

আওয়ামী লীগের অনেকে মনে করে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না- এই অবস্থানটি নেওয়ার পিছনে নোয়াখালীর রাজনীতি কাজ করেছে। এই নির্বাচনে যেন শেষ পর্যন্ত অধ্যক্ষ সেলিম বিজয়ী হন সেজন্য বিভিন্ন রকমের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চেয়েছিলেন নোয়াখালী জেলার সভাপতি যেন বিজয়ী হন। আর এই কারণেই শাবাব চৌধুরীকে নির্বাচন থেকে বসানোর জন্য চেষ্টা তদবির করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একরামুল করিম চৌধুরীর একগুঁয়েমির কারণে শাবাব চৌধুরী নির্বাচন থেকে বসেননি। বরং একরামুল করিম চৌধুরী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, সন্তান বড় হলে অভিভাবকদের নিয়ন্ত্রণ থাকে না। 

একরামুল করিম চৌধুরী মুখে যাই বলুক না কেন, এই নির্বাচনে জেতানোর জন্য তিনি এবং তাঁর স্ত্রী মরিয়া চেষ্টা করেছেন। একরামুল করিম চৌধুরী যেমন নোয়াখালী- আসনের এমপি, তেমনই তাঁর স্ত্রী কবিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। স্বামী-স্ত্রী মিলে সন্তানকে রাজনীতিতে অভিষিক্ত করার এক মরণপণ লড়াই করেছিলেন এবং এই লড়াইয়ে অবশেষে গতকাল ৭০৩ ভোটের ব্যবধানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে পরাজিত করেছেন শাবাব। এটির ফলে নোয়াখালীতে একরামুল করিম চৌধুরীর কর্তৃত্ব আরও বেড়ে গেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যেহেতু কবিরহাট এবং সুবর্ণচর দুটি উপজেলার চেয়ারম্যানের পদ তাঁর দখলে এবং তিনি নিজে এমপি। নোয়াখালীর রাজনীতিতে তাঁর আগে থেকেই প্রভাব রয়েছে। আর এ কারণেই অনেকে মনে করছেন যে, এই নির্বাচনের মাধ্যমে আসলে ওবায়দুল কাদেরকে হারিয়ে দিলেন একরামুল করিম চৌধুরী।

তবে ওবায়দুল কাদেরের সমর্থকরা বলছেন, উপজেলা চেয়ারম্যান কে হলো না হলো তাতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের কিছু যায় আসে না। তিনি এই নির্বাচনে কারও পক্ষেও ছিলেন না আবার কারও বিপক্ষেও ছিলেন না। বরং তিনি চেয়েছিলেন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে যেন জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। কিন্তু একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলের এই বিজয় নোয়াখালীর রাজনীতিতে একটি বড় ধাক্কা বলেই নিরপেক্ষ বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

নোয়াখালী   ওবায়দুল কাদের   একরামুল করিম চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডিএমপিতে বিএনপি তিন নেতা

প্রকাশ: ০৩:২৩ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামীকাল শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি ঘোষিত সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে আলোচনার জন্য ডিএমপি কার্যালয়ে গিয়েছে দলটির প্রতিনিধি দল। এ নিয়ে বিকেলে সিদ্ধান্ত জানাতে পারে ডিএমপি।

আলোচনা শেষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আবদুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শুক্রবার ট্রাফিক সংক্রান্ত সমস্যা থাকবে না। তাই সেদিন সমাবেশ ও মিছিল করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। ডিএমপি এ বিষয়ে ইতিবাচক এবং সমাবেশে তারা সার্বিক সহযোগিতা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি বলেন, আন্দোলনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঈদের পর গত এপ্রিলে এই সমাবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু তাপপ্রবাহের কারণে সেটি পিছিয়ে যায়।

ডিএমপি   বিএনপি   বিক্ষোভ মিছিল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন বিএনপির যেসব বহিষ্কৃত নেতা

প্রকাশ: ০২:৪৪ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট সম্পন্ন হয়েছে গতকাল বুধবার (৮ মে) । বিএনপি এ নির্বাচন বর্জন করলেও দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে দলটির বহু নেতা নির্বাচনে অংশ নেন। যারা সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করেছেন তাদের দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। তবে ভোটের লড়াইয়ে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত বেশ কয়েকজন নেতা।

দেখা গেছে, বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত অন্তত ৭ জন নেতা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বান্দরবান সদর উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন আব্দুল কুদ্দুছ। তিনি ১৯ হাজার ১৪৪ ভোট পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীরকে পরাজিত করেছেন।

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় দোয়াত-কলম প্রতীকে ১৮ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির আরেক বহিষ্কৃত নেতা আমিনুল ইসলাম বাদশা। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ ফারুককে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ফারুক ভোট পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫২টি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দুটিতেই বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতারা। গোমস্তাপুরে আশরাফ হোসেন আলিম ও ভোলাহাটে চেয়ারম্যান হয়েছেন আনোয়ার হোসেন। আশরাফ হোসেন গোমস্তাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হুমায়ুন রেজাকে পরাজিত করেছেন। আর আনোয়ার হোসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালেককে ভোটে হারিয়েছেন।

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ আনাসর প্রতীকে ৩৪ হাজার ১৮৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য।

গাজীপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান ইজাদুর রহমান মিলন। তিনি পান ১৮ হাজার ৯৬৯ ভোট। মিলন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রীনা পারভীনকে পরাজিত করেছেন।

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ১৩ হাজার ৩২২ ভোট পান। সুহেল আহমদ উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমেদকে পরাজিত করেছেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান   উপজেলা নির্বাচন   বিএনপি   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন