ইনসাইড পলিটিক্স

ডিসেম্বরে কাউন্সিল করতে চায় বিএনপি

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

আন্দোলন এবং সংগঠন দুটিই পাশাপাশি চালাতে চায় বিএনপি। একদিকে যেমন সরকার বিরোধী আন্দোলনকে অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি, অন্যদিকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সংগঠন গোছানোরও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। দীর্ঘ ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি এখন সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য সাংগঠনিক বিন্যাস ঠিক করার ওপরই সবচেয়ে বেশি নজর দিচ্ছে। আর এই নজর দেওয়ার প্রেক্ষিতেই আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে অষ্টম কাউন্সিল করতে চায় বিএনপি। আর এই কাউন্সিলের ব্যাপারে ইতোমধ্যে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে বলে বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে। 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত বৃহস্পতিবার কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন। শুক্রবারই তার সাথে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার কথা হয়েছে এবং এই আলোচনায় সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি এবং সংগঠনকে গোছানোর বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। 

বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন যে, কৌশলগত কারণে বিএনপি এখন সংগঠন গোছাতে মনোযোগ দেবে। প্রথমত, সামনের দিনগুলোতে আন্দোলন করা কঠিন হয়ে পড়বে। কারণ, ক’দিনের মধ্যে রোজা শুরু হচ্ছে। এরপর পবিত্র ঈদুল ফিতর। তারপর বর্ষাকাল। এই সময় বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তুললেও তা সফল হবে না। এছাড়া ২৮ অক্টোবরের পর থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা রকম সঙ্কট, সমস্যা এবং হতাশা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সফলভাবে নির্বাচন করার পর বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা বেড়ে গেছে। 

বিএনপির অনেকেই মনে করছেন, তাদের রাজনৈতিক কৌশল ভুল ছিল। এর ফলে অনেক নেতাই এখন দলে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। তাছাড়া বিএনপির মাঠ পর্যায়ের বহু নেতা কারাগারেই আছেন অথবা আত্মগোপন করে আছেন। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির পক্ষে এই সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলা প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার। আর এটি বিএনপির শীর্ষ স্থানে তারা অনুভব করছেন। 

তবে বিএনপির নেতারা মনে করছেন যে, মাঠ থেকে উঠে আসলে সেটি আরও সর্বনাশ হবে। এজন্য মাঠের আন্দোলন অব্যাহত রাখতে চায় বিএনপি। এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের চেয়ে বিএনপি জোর দেবে বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে। যেমন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস সংকট ইত্যাদি বিষয়কে সামনে নিয়ে আসার পরিকল্পনা নিয়েছে দলটি। 

বিএনপির নেতারা মনে করছেন, সামনে রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে একটি অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। আর এই পরিস্থিতিতে বিএনপি কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করতে চায়। ইস্যু ভিত্তিক কর্মসূচির মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুটিকেও তারা বাঁচিয়ে রাখতে চায়। এ রকম একটি পরিস্থিতিতে আস্তে আস্তে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানোটাই বিএনপির প্রধান লক্ষ্য। এই আন্দোলনের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য বিএনপি একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে যাচ্ছে। আগামী সাতদিনের মধ্যে এই পরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে বলে বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন। 

তৃণমূল থেকে শুরু করে ঢাকার কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা, জেলা উপজেলা পর্যায়ের কমিটি করা, যারা অকার্যকর এবং নিষ্ক্রিয় তাদেরকে বসিয়ে দিয়ে মাঠে যারা রাজনীতি করছেন, দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করছেন তাদেরকে নেতৃত্বে আনার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। একই ভাবে স্থায়ী কমিটিতে নতুন মুখ সংযোজন করা, স্থায়ী কমিটিকে আরও কার্যকর করা এবং এর ধারাবাহিকতায় একটি কাউন্সিল অধিবেশন ডিসেম্বরের মধ্যে করার পরিকল্পনা নিচ্ছে বিএনপি।

বিএনপি মনে করছে যে, এই কাউন্সিলের পর থেকেই বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে জোরেশোরে আন্দোলন করবে এবং সেই আন্দোলনের মাধ্যমেই তারা কিছু অর্জন করতে পারবে। এখন আন্দোলন নয় সংগঠনের ওপরই বেশি মনোযোগ দিতে চায় বিএনপি।

কাউন্সিল   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কেন পিছু হঠল আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে। 

প্রশ্ন উঠল, আওয়ামী লীগ কেন তারা অবস্থান থেকে সরে এলো বা কেন আওয়ামী লীগ আত্মীয় স্বজনদের প্রার্থী করার বিষয়টি নিয়ে পিছু হঠল।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র এ ব্যাপারে একেক রকম মতামত দিয়েছে। আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি কখনোই আত্মীয় স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না- এ ধরনের মনোভাব পোষণ করেননি বা সরাসরি এ ধরনের কথা বলেননি। তার বক্তব্য হয়তো আওয়ামী লীগের অনেকেই বুঝতে পারেননি এবং বোঝার চেষ্টা করেননি। শেখ হাসিনা কী বলতে চান তা আজ সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট করেছেন। 

তিনি বলেছেন, যারা মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্যদের কথা। পরিবারের সদস্য বলতে তিনি সন্তান, স্ত্রী এবং পরিবারের মূল ব্যক্তিকে বুঝিয়েছেন। অন্য আত্মীয়দেরকে বোঝাননি। এখানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের হয়তো বুঝতে ভুল হয়েছে। 

দ্বিতীয়ত, আওয়ামী লীগ সভাপতি তাদেরকে নির্বাচন করা যাবে না এমনটা বলেননি, বরং তিনি বলেছেন যে, তারা যেন তৃণমূলের অন্যান্য নেতাকর্মীদেরকেও সুযোগ দেয়। সবকিছু যেন তারা দখল করে না নেয়। 

তৃতীয়ত, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা বিভিন্ন পদ পদবীতে আছেন বা নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে ইতোমধ্যে দায়িত্ব পালন করেছেন তারা নির্বাচন করবে না কেন? অর্থাৎ যারা বিভিন্ন দায়িত্বে আছেন উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে, পৌরসভার মেয়র হিসেবে বা আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতে অর্থাৎ আগে থেকে রাজনীতি করছেন তারা নির্বাচন করলে কোনো বাধা নেই। অর্থাৎ ড. রাজ্জাক বা শাজাহান খানের তার ছেলে বা ভাই নির্বাচন করলে সেটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি সুস্পষ্ট ভাবে কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল না, মন্ত্রী-এমপি হওয়ার সুবাদে ছেলে বা স্ত্রীকে রাজনীতিতে টেনে আনায় আনা হয়েছে এবং এলাকায় দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এরকম ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছেন। এরকম ব্যক্তির সংখ্যা খুবই কম। আওয়ামী লীগ সভাপতি আজ সংবাদ সম্মেলনেও সাংবাদিকদের কাছে জানতে চাইছেন এই সংখ্যা কত জন। ওই সাংবাদিক বলেছেন, জনা পঞ্চাশেক হবে। তিনি বলেছেন, এই সংখ্যা খুব কম নয়। 

তবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের প্রার্থী হওয়ার কারণে এলাকায় এক ধরনের উত্তেজনা এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি হয়েছে। একদিকে মন্ত্রী-এমপিদের প্রার্থী এবং অন্যদিকে মন্ত্রী-এমপিদের আধিপত্যের বিরুদ্ধে তৃণমূলের ঐক্য। সব কিছু মিলিয়ে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আর প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন মানেই হলো ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধি। আর সেই ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্যই প্রধানমন্ত্রী হয়তো তার কৌশলের ব্যাখ্যা দিলেন। আসলে আওয়ামী লীগের পিছু হঠা নয়, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য একটাই। নির্বাচন যেন অর্থপূর্ণ হয়, ভোটার উপস্থিতি যেন বাড়ে। আর সে কারণেই আপাতত নির্দেশ অমান্যকারীদেরকে স্বাগত জানাচ্ছে আওয়ামী লীগ। যেমন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে স্বতন্ত্রদের স্বাগত জানিয়েছিল।

আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন   কার্যনির্বাহী কমিটি   ওবায়দুল কাদের   রাজনীতির খবর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এবার বিএনপির ৬১ নেতাকে শোকজ

প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৬১ নেতাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে বিএনপি। 

বৃহস্পতিবার (২ মে) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। চিঠিতে নেতাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

শোকজ নেতাদের মধ্যে ২৫ জন চেয়ারম্যান পদে, ২০ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন অংশ নিয়েছেন।

শোকজ চিঠিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএনপির নেতা হিসাবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিএনপি   শোকজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

এভারকেয়ার হাসপাতালে আবার গত রাতে ভর্তি হয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে বেগম খালেদা জিয়াকে আবার ভর্তি করা হয়। একাধিক বিএনপির সূত্রগুলো এ ব্যাপারে দুই রকমের মতামত দিয়েছে। 

বিএনপির কোন কোন নেতা বলছেন যে, খালেদা জিয়ার কিছু শারীরিক জটিলতা আবার নতুন করে দেখা দিয়েছে। এ কারণেই চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আরও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন। এ সমস্ত পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাপারে তারা কী করবেন। অন্য একটি সূত্র বলছে যে, বেগম খালেদা জিয়াকে নতুন করে বিদেশে পাঠানোর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে। সেই উদ্যোগের অংশ হিসাবে বেগম জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

বিএনপির কয়েকজন নেতা বাংলা ইনসাইডারকে জানিয়েছেন যে, তার পরিবারের সদস্যরা দলের বাইরে গিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি নিয়ে দর কষাকষি করছেন। তারা যে কোনো মূলে বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে চান। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এ ব্যাপারে মূল ভূমিকা পালন করছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও লন্ডনে অবস্থানরত প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা সিঁথিও বেগম খালেদা জিয়াকে যে কোনো মূল্যে বিদেশে নেওয়ার পক্ষপাতী। আর এ কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যদেরকে ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে তা হল বেগম জিয়া যদি তার অপরাধ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা মার্জনা আবেদন করেন তাহলে সরকার সেটি বিবেচনা করবে। এবং এই বাস্তবতায় বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করার পক্ষে। বেগম জিয়ার পরিবারের অন্তত দুজন সদস্য শামীম ইস্কান্দার এবং শর্মিলা সিঁথি মনে করেন যে, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা ভিক্ষার আবেদন করার মধ্যে অসম্মানের কিছু নেই। তারা এ নিয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং বিএনপির কয়েকজন নেতার সঙ্গেও কথা বলেছেন। এমনকি বিএনপি নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ডেকে নিয়ে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। 

তবে বিএনপির প্রায় সব নেতাই রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন এর তীব্র বিরোধী। তারা মনে করছেন, এই ধরনের আবেদন করা অনভিপ্রেত এবং বেগম খালেদা জিয়া সারা জীবনের রাজনৈতিক অর্জন এক নিমেষে ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। এ কারণে তারা কোন অবস্থাতেই এ ধরনের আত্মসমর্পণের পক্ষে নয়। তবে বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা মনে করেছেন, তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার এটাই একমাত্র উপায় নেই। 

বিএনপির পরিবারের সদস্যরা মনে করছেন, বেগম জিয়া যে বয়স এবং যে শারীরিক অবস্থা তাতে তিনি ক্ষমা চাইলেই কী আর না চাইলে কী। তিনি এই শারীরিক অবস্থায় আপাতত রাজনীতিতে ফিরে আসতে পারবে না। এ কারণে তার সহজ সমাধানে যাওয়াটাই উচিত। তবে বিএনপির কোন কোন সদস্য বলছেন, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া মানে হল দোষ স্বীকার করে নেওয়া। বেগম খালেদা জিয়াকে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকৃত দুর্নীতিবাজ হিসেবে প্রমাণের জন্যই সরকারের এটি কৌশল। এই কৌশলের ফলে বিএনপির রাজনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে। এটি করা কোনভাবেই উচত না বলে তারা মনে করেন। তবে তারেক জিয়া এ ধরনের ক্ষমা প্রার্থনা বা রাষ্ট্রপতির কাছে অনুকম্পা ভিক্ষা করার তীব্র বিরোধী। তিনি এখন পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার সব ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। তিনি কোন ভাবেই এটি হতে দিতে রাজি নন। কিন্তু শামীম ইস্কান্দারের সাথে তারেক জিয়ার মতপার্থক্য এবং দ্বন্দ্ব এখন বিএনপিতে প্রকাশ্যে বিষয়। দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত শামীম ইস্কান্দার জয়ী হন নাকি বেগম জিয়ার ব্যাপারে তার সন্তানের সিদ্ধান্তই শেষ সিদ্ধান্ত হিসেবে পরিগণিত হয়।

রাষ্ট্রপতি   খালেদা জিয়া   শামীম ইস্কান্দার   তারেক জিয়া   রাজনীতির খবর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের সাধারণ ক্ষমা?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

শেষ পর্যন্ত কিছুই হচ্ছে না আওয়ামী লীগের নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অন্তত পাঁচবার সংবাদ সম্মেলন করে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজনরা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিল তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। দলের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছিল। একই সাথে বলা হয়েছিল যে, সারাদেশে যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন তাদের তালিকা প্রণয়ণ করতে হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের কিছুই হচ্ছে না। 


আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে গণভবনে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে সে রকমই ইঙ্গিত দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রথমে পরিবারের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, স্বামী-স্ত্রী এবং সন্তান এরাই হল পরিবার। অন্যরা স্বজন নয়। সেই বিবেচনায় যারা শ্যালক, ভাতিজা, খালাতো ভাই, চাচাতো ভাইদের প্রার্থী করেছেন তারা পার পেয়ে যাবেন। 

এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী-এমপির সন্তান বা পরিবারের সদস্যরা আওয়ামী লীগের নানা কমিটিতে আছে। কেউ আগে থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। কেউ পৌরসভার চেয়ারম্যান আছেন। তারা রাজনীতির মধ্যে আছেন। এখন তাদেরকে নির্বাচনে বারণ করা যায় কীভাবে। অর্থাৎ এই যুক্তিতে ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান সহ যে সমস্ত আওয়ামী লীগ নেতাদের স্বজনরা আগে থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, বিভিন্ন কমিটিতে আছে বা আগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের নির্বাচনে আর কোন বাধা থাকল না। 


প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, যারা তৃণমূলের নেতাকর্মী আছেন তাদেরকেও যেন সুযোগ দেওয়া হয়। সব পথ যেন তারা না নিয়ে নেয়। অর্থাৎ এটি একটি অনুরোধ। কোন নির্দেশনা নয় বা আবশ্যক পালনীয় বা বাধ্যতামূলকও নয়। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি যখন এই বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন তার পাশে বসেছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এর মধ্য দিয়ে সুস্পষ্ট হয়ে গেল যে, ওবায়দুল কাদের যে কথাগুলো বলেছিলেন বা যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন তা আসলে তেমন ভাবে কার্যকর হচ্ছে না। অন্তত আপাতত আওয়ামী লীগ দলের নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। আর এটির প্রথম ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল গত ৩০ এপ্রিল। ওই দিন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে উপজেলায় যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার জন্য সুপারিশ করা হবে মর্মে আওয়ামী লীগের নেতাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল। কিন্তু ওই বৈঠকে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কোন আলোচনাই হয়নি। কৌশলগত কারণে আওয়ামী লীগ সভাপতি এই প্রসঙ্গটি আনেননি। এখন বুঝা গেল যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তারা কোন রকম শাস্তি পাচ্ছেন না। 

তবে আওয়ামী লীগে অনেক ধরনের শাস্তি হয়। আওয়ামী লীগ সরাসরি কাউকে বহিষ্কার বা কাউকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নীতি কম অনুসরণ করে। বরং আওয়ামী লীগের শাস্তি হয় তিলে তিলে এবং নানা রকম ভাবে। অদূর ভবিষ্যতে বুঝা যাবে যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে প্রার্থী হয়েছেন তাদের পরিণতি কী হয়।

আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বাংলাদেশ ছেড়েছেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৪:২৬ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা ছেড়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পবিত্র ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরব গেছেন তিনি। সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে মদিনার উদ্দেশে রওনা হন বলে জানিয়েছেন তার একান্ত সহকারী ইউনুস আলী।

তিনি বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন করতে ম্যাডামসহ স্যার সৌদি আরব গেছেন। প্রথমে তারা সরাসরি মদিনায় যাচ্ছেন। সেখানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন এবং মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় করবেন। এরপর মদিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালনের আনুষ্ঠানিক শুরু করবেন তারা। কাবা শরিফ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন, মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করবেন।

আগামী ৮ মে বিএনপির মহাসচিব দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

বিএনপি   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন