নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১৮ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার তিনটি আসনেই মনোনয়ন নির্বাচন কমিশনের আপিলেও বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনারদের সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ নির্বাচন কমিশনারের চারজনই বেগম জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না বলে মত দিয়েছেন। শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বেগম জিয়ার নির্বাচন করার পক্ষে মত দিয়েছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে বেগম জিয়ার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
বগুড়া-৬, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসনে নির্বাচন করার জন্য খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়ন জমা দিয়েছিল বিএনপি। দুর্নীতির অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত থাকায় তিন আসনেই বিএনপি চেয়ারপারসনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। বেগম জিয়ার মনোনয়ন ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে বিএনপি। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার আপিলের শুনানি শুরু হয়। প্রায় আধা ঘণ্টার শুনানি শেষে তার আপিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে ইসি। আজ বিকেল ৫টার পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলা হয়েছিল। সন্ধ্যা ৬ টার পর আপিলেও বেগম জিয়ার মনোনয়ন বাতিলের খবর জানানো হয়।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বেগম জিয়ার আইনজীবীরা তাঁর মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করবেন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার তারেক জিয়া রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত কিছুই হচ্ছে না আওয়ামী লীগের নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অন্তত পাঁচবার সংবাদ সম্মেলন করে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজনরা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিল তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। দলের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছিল। একই সাথে বলা হয়েছিল যে, সারাদেশে যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন তাদের তালিকা প্রণয়ণ করতে হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের কিছুই হচ্ছে না।