ইনসাইড পলিটিক্স

রুমিন বাংলার নব্য ঘসেটি বেগম

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২৩ জুন, ২০১৯


Thumbnail

আজকের দিনটি বাংলা ও বাঙালি জাতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ দিন। মীর জাফরদের বেঈমানিতে এই দিনে অর্থাৎ ২৩শে জুন ১৭৫৭ পলাশীর প্রান্তরে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের মাধ্যমে বাংলা তার স্বাধীনতা হারায়। এদিন পলাশীর প্রান্তরে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির যুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হন এবং ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সূচিত হয়। কিন্তু এর ঠিক ১৯২ বছর পরে ১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন বাংলার স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার সুপ্ত বাসনা নিয়ে পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে প্রতিষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। অন্য দিকে বাংলার উত্তরের মঙ্গা পীড়িত মানুষের অর্থনৈতিক চাকা সচল করতে ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। একারণে আজকের দিনটি বাংলা ও বাঙ্গালীর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।

আজকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও পলাশীর যুদ্ধ নিয়ে অনেক নিবন্ধ প্রকাশিত হবার কথা। কিন্তু নেংটি ইঁদুর ব্যবসায়ী রায় দুর্লভ, জগত শেঠ, খালা ঘষেটি বেগম বা মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতার কথা তেমন করে লেখা হবার কথা না। আমরা বাঙ্গালীরা মানুষকে সরল বিশ্বাস করে এগিয়ে চলি পরে রায় দুর্লভ, জগত শেঠ, ঘষেটি বেগম বা মীর জাফরদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে আমরা স্বাধীনতা হারা হই। আমি আজ বর্তমান বাংলার এক নব্য ঘসেটি বেগমের কথা বলতে চাই।

প্রথমেই বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর কথা বলি যা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে মানুষকে মঙ্গার হাত থেকে বাঁচাতে, নিজেদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রিতে আর কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বিরাট অবদান রেখেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে ১৯৫৪ সাল থেকেই নানা ফোরামে উত্তরাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য যমুনা সেতুর উপর একটা সেতু তৈরির দাবি উত্থাপিত হতে থাকে। পরে ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে বেতার-টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণদান কালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর দলের নির্বাচনী ওয়াদা হিসেবে যমুনা সেতু নির্মাণের কথা উল্লেখ করেন। কিন্তু এ সকল প্রচেষ্টা তৎকালীন রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং মুক্তিযুদ্ধের কারণে বাস্তবায়িত হতে পারে নি। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৭২ সালে যমুনা নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেয় এবং ১৯৭২-৭৩ সালের বাজেটে এজন্য বরাদ্দ রাখা হয়। বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকা ১৯৭৩ সালে যমুনা নদীর উপর একটি সড়ক-কাম-রেলসেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা-সমীক্ষা হাতে নেয়। ১৯৭৬ সালে জাপান তাদের সমীক্ষা শেষ করে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরে বাংলার নব্য রায় দুর্লভ, জগত শেঠ, ঘষেটি বেগম বা মীর জাফরদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে বাংলার গণ মানুষের জীবন মান উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর কোন উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয় না।

এটা শুনে অনেকেই অবাক হতে পারেন যে, বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান বৃহত্তর ফরিদপুর হবার কারণে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর ফরিদপুর ভেঙ্গে নবগঠিত কোন জেলাতেই অবকাঠামোগত উন্নয়ন তো দুরের কথা প্রায় সব ধরণের উন্নয়নের প্রকল্পের আওতা থেকে বাদ রাখা হয়। এলজিইডি ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের সূত্রের দাবি এই যে, ১৯৯৬ সালের পূর্বে ফরিদপুর হয়ে মাগুরা সড়ক, আর ফরিদপুর শহরের মধ্যে যাবার সামান্য কিছু সড়ক, আর রাজবাড়ি হয়ে কুষ্টিয়ার যাবার জন্য সামান্য কিছু পাকা রাস্তা ছাড়া মাদারীপুর, শরিয়তপুর, গোপালগঞ্জ জেলা আর উপজেলা সদরে কিছু আধপাকা সড়ক ছিল। এমনভাবেই এই বৃহত্তর ফরিদপুরকে উন্নয়ন বঞ্চিত করা হয় কারণ সেটা বঙ্গবন্ধুর জন্মভূমি। তাই ১৯৯৬ সালের পরে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এলে প্রথমে এলজিইডির মাধ্যমে আর ডি পি ২৪ নামে একটি প্রকল্প, আর পরে স্মল স্কেল ওয়াটার ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় কিছু উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুরু হয়। অন্য দিকে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কিছু সড়ক ও ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয় যা বৃহত্তর ফরিদপুর ছুঁয়ে যায়। গত দুই বছর আগে পদ্মা সেতু থেকে সোজা বেনাপোল যোগাযোগের জন্য কিছু কাল্ভারট আর কালনা ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। কারণ এর ফলে বেনাপোল থেকে সড়কপথে ঢাকার যোগাযোগে ১০০ কলমিটার পথ কমে যাবে। এসব জেনেই হালের ঘসেটি বেগম সাংসদ রুমিন ফারহানা বিভ্রান্তমূলক ১৯ জুন এক বক্তব্যে বলেছেন গোপালগঞ্জ জেলাতে উন্নয়ন বরাদ্দ ৫ গুণেরও বেশী। প্রায় দুই যুগের বঞ্চনার পরে যখন মিনিমাম উন্নয়নের ছোঁয়া দিয়ে যখন মাদারীপুর, শরিয়তপুর, গোপালগঞ্জ জেলার অবকাঠামোগত উন্নয়নকে অন্য জেলার কাছাকাছি আনার চেষ্টা হচ্ছে তখন নব্য ঘসেটি বেগম সাংসদ রুমিন ফারহানা বিভ্রান্তমূলক এই বক্তব্য দিচ্ছেন।

গত ২০শে জুন ২০১৯ তারিখে এই নব্য ঘসেটি বেগম সাংসদ রুমিন ফারহানা টেলিভিশনের এক টক শোতে বলেছেন বর্তমান সরকার কেন ‘জামায়াতকে নিষিদ্ধ করছে না’? হঠাৎ করে উনি জামায়ের বিরুদ্ধে কেন খেপলেন! এর সমীকরণ দুইটা হতে পারে। এক- বিভিন্ন পত্রিকা আর সোশ্যাল মিডিয়ায় সাংসদ রুমিন ফারহানা সম্পর্কে যা পাওয়া গেছে তাতে উনি যে জীবনযাপনে অভ্যস্ত তা জামায়াতের মূল নীতির সাথে প্রকাশ্যে মেলে না। জামায়াত সাংসদ রুমিন ফারহানার পক্ষ নিলে তাদের ১৯৭১ চরিত্র সামনে এসে যেতে পারে। সাংসদ রুমিন ফারহানার পাকিস্তানি আইএসআই কানেকশন এখন ওপেন সিক্রেট। লন্ডনে বসবাসরত এক আইএসআই অফিসারের ছেলে উনার জানি দোস্ত। তার মাধ্যমে আইএসআইএর অর্থায়নে তিনি এম পি সাহেবা নিয়মিত টকশোতে জ্বালাময়ী বক্তব্য দেন। এর সাথে জামাতের যোগসূত্র খুঁজে পাবেন সবাই। তার দল বিএনপি এখনো জামায়াতের সাথে গাঁঠছড়া বাঁধা অবস্থায় এমতাবস্থায় তার এই বক্তব্যের উদ্দেশ্য যে অসৎ তা বুঝতে ব্যারিস্টার হওয়া লাগে কি? দুই- জামায়াত নিষিদ্ধ হবার সাথে সাথে তাঁদের একটা বিরাট অংশ নিষিদ্ধ আইএস এ যোগ দিয়ে সারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। তাতে দেশ আর সরকার বিপদে পড়বে, উন্নয়ন ব্যহত হবে। বিদেশী উন্নয়ন সহযোগীরা নিরাপত্তার অভাবে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাবেন। তাঁদের আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশ হয়ে দাঁড়াবে ২য় পাকিস্তান। এটাই কি তার কামনা না লক্ষ্য!

রুমিন ফারহানা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে খুব আনন্দ পান তার প্রমাণ ইতোমধ্যে পাওয়া গেছে। রুমিন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার একদিন আগে শনিবার (৮ জুন) বিকালে ‘কাবিখা’ কর্মসূচির (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) ও গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির (টিআর) বরাদ্দ নেওয়াকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরে ফাস্ট গেইট এলাকায় বিএনপির দু গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার সমর্থক এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার সমর্থকদের মধ্যে ওই সংঘর্ষ ঘটে। উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার সাথে ভোটে হেরেছেন বটে কিন্তু এটা করেই উনি তার হারের প্রতিশোধ আর নির্বাচনের সময় যে খরচ হয়েছে তা উঠাতে আর্থিক ফায়দা আদায় করতে চান বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকার তার ঘনিষ্ঠজনেরা মন্তব্য করেন। তাঁরা বলেন যে, বাংলার নব্য এই ঘসেটি বেগমের দ্বারা সব সম্ভব।

বাংলা ইনসাইডার



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এবার বিএনপির ৬১ নেতাকে শোকজ

প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৬১ নেতাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে বিএনপি। 

বৃহস্পতিবার (২ মে) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। চিঠিতে নেতাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

শোকজ নেতাদের মধ্যে ২৫ জন চেয়ারম্যান পদে, ২০ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন অংশ নিয়েছেন।

শোকজ চিঠিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএনপির নেতা হিসাবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিএনপি   শোকজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

এভারকেয়ার হাসপাতালে আবার গত রাতে ভর্তি হয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে বেগম খালেদা জিয়াকে আবার ভর্তি করা হয়। একাধিক বিএনপির সূত্রগুলো এ ব্যাপারে দুই রকমের মতামত দিয়েছে। 

বিএনপির কোন কোন নেতা বলছেন যে, খালেদা জিয়ার কিছু শারীরিক জটিলতা আবার নতুন করে দেখা দিয়েছে। এ কারণেই চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আরও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন। এ সমস্ত পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাপারে তারা কী করবেন। অন্য একটি সূত্র বলছে যে, বেগম খালেদা জিয়াকে নতুন করে বিদেশে পাঠানোর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে। সেই উদ্যোগের অংশ হিসাবে বেগম জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

বিএনপির কয়েকজন নেতা বাংলা ইনসাইডারকে জানিয়েছেন যে, তার পরিবারের সদস্যরা দলের বাইরে গিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি নিয়ে দর কষাকষি করছেন। তারা যে কোনো মূলে বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে চান। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এ ব্যাপারে মূল ভূমিকা পালন করছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও লন্ডনে অবস্থানরত প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা সিঁথিও বেগম খালেদা জিয়াকে যে কোনো মূল্যে বিদেশে নেওয়ার পক্ষপাতী। আর এ কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যদেরকে ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে তা হল বেগম জিয়া যদি তার অপরাধ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা মার্জনা আবেদন করেন তাহলে সরকার সেটি বিবেচনা করবে। এবং এই বাস্তবতায় বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করার পক্ষে। বেগম জিয়ার পরিবারের অন্তত দুজন সদস্য শামীম ইস্কান্দার এবং শর্মিলা সিঁথি মনে করেন যে, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা ভিক্ষার আবেদন করার মধ্যে অসম্মানের কিছু নেই। তারা এ নিয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং বিএনপির কয়েকজন নেতার সঙ্গেও কথা বলেছেন। এমনকি বিএনপি নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ডেকে নিয়ে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। 

তবে বিএনপির প্রায় সব নেতাই রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন এর তীব্র বিরোধী। তারা মনে করছেন, এই ধরনের আবেদন করা অনভিপ্রেত এবং বেগম খালেদা জিয়া সারা জীবনের রাজনৈতিক অর্জন এক নিমেষে ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। এ কারণে তারা কোন অবস্থাতেই এ ধরনের আত্মসমর্পণের পক্ষে নয়। তবে বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা মনে করেছেন, তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার এটাই একমাত্র উপায় নেই। 

বিএনপির পরিবারের সদস্যরা মনে করছেন, বেগম জিয়া যে বয়স এবং যে শারীরিক অবস্থা তাতে তিনি ক্ষমা চাইলেই কী আর না চাইলে কী। তিনি এই শারীরিক অবস্থায় আপাতত রাজনীতিতে ফিরে আসতে পারবে না। এ কারণে তার সহজ সমাধানে যাওয়াটাই উচিত। তবে বিএনপির কোন কোন সদস্য বলছেন, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া মানে হল দোষ স্বীকার করে নেওয়া। বেগম খালেদা জিয়াকে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকৃত দুর্নীতিবাজ হিসেবে প্রমাণের জন্যই সরকারের এটি কৌশল। এই কৌশলের ফলে বিএনপির রাজনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে। এটি করা কোনভাবেই উচত না বলে তারা মনে করেন। তবে তারেক জিয়া এ ধরনের ক্ষমা প্রার্থনা বা রাষ্ট্রপতির কাছে অনুকম্পা ভিক্ষা করার তীব্র বিরোধী। তিনি এখন পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার সব ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। তিনি কোন ভাবেই এটি হতে দিতে রাজি নন। কিন্তু শামীম ইস্কান্দারের সাথে তারেক জিয়ার মতপার্থক্য এবং দ্বন্দ্ব এখন বিএনপিতে প্রকাশ্যে বিষয়। দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত শামীম ইস্কান্দার জয়ী হন নাকি বেগম জিয়ার ব্যাপারে তার সন্তানের সিদ্ধান্তই শেষ সিদ্ধান্ত হিসেবে পরিগণিত হয়।

রাষ্ট্রপতি   খালেদা জিয়া   শামীম ইস্কান্দার   তারেক জিয়া   রাজনীতির খবর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের সাধারণ ক্ষমা?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

শেষ পর্যন্ত কিছুই হচ্ছে না আওয়ামী লীগের নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অন্তত পাঁচবার সংবাদ সম্মেলন করে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজনরা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিল তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। দলের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছিল। একই সাথে বলা হয়েছিল যে, সারাদেশে যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন তাদের তালিকা প্রণয়ণ করতে হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের কিছুই হচ্ছে না। 


আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে গণভবনে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে সে রকমই ইঙ্গিত দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রথমে পরিবারের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, স্বামী-স্ত্রী এবং সন্তান এরাই হল পরিবার। অন্যরা স্বজন নয়। সেই বিবেচনায় যারা শ্যালক, ভাতিজা, খালাতো ভাই, চাচাতো ভাইদের প্রার্থী করেছেন তারা পার পেয়ে যাবেন। 

এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী-এমপির সন্তান বা পরিবারের সদস্যরা আওয়ামী লীগের নানা কমিটিতে আছে। কেউ আগে থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। কেউ পৌরসভার চেয়ারম্যান আছেন। তারা রাজনীতির মধ্যে আছেন। এখন তাদেরকে নির্বাচনে বারণ করা যায় কীভাবে। অর্থাৎ এই যুক্তিতে ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান সহ যে সমস্ত আওয়ামী লীগ নেতাদের স্বজনরা আগে থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, বিভিন্ন কমিটিতে আছে বা আগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের নির্বাচনে আর কোন বাধা থাকল না। 


প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, যারা তৃণমূলের নেতাকর্মী আছেন তাদেরকেও যেন সুযোগ দেওয়া হয়। সব পথ যেন তারা না নিয়ে নেয়। অর্থাৎ এটি একটি অনুরোধ। কোন নির্দেশনা নয় বা আবশ্যক পালনীয় বা বাধ্যতামূলকও নয়। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি যখন এই বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন তার পাশে বসেছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এর মধ্য দিয়ে সুস্পষ্ট হয়ে গেল যে, ওবায়দুল কাদের যে কথাগুলো বলেছিলেন বা যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন তা আসলে তেমন ভাবে কার্যকর হচ্ছে না। অন্তত আপাতত আওয়ামী লীগ দলের নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। আর এটির প্রথম ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল গত ৩০ এপ্রিল। ওই দিন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে উপজেলায় যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার জন্য সুপারিশ করা হবে মর্মে আওয়ামী লীগের নেতাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল। কিন্তু ওই বৈঠকে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কোন আলোচনাই হয়নি। কৌশলগত কারণে আওয়ামী লীগ সভাপতি এই প্রসঙ্গটি আনেননি। এখন বুঝা গেল যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তারা কোন রকম শাস্তি পাচ্ছেন না। 

তবে আওয়ামী লীগে অনেক ধরনের শাস্তি হয়। আওয়ামী লীগ সরাসরি কাউকে বহিষ্কার বা কাউকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নীতি কম অনুসরণ করে। বরং আওয়ামী লীগের শাস্তি হয় তিলে তিলে এবং নানা রকম ভাবে। অদূর ভবিষ্যতে বুঝা যাবে যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে প্রার্থী হয়েছেন তাদের পরিণতি কী হয়।

আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বাংলাদেশ ছেড়েছেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৪:২৬ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা ছেড়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পবিত্র ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরব গেছেন তিনি। সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে মদিনার উদ্দেশে রওনা হন বলে জানিয়েছেন তার একান্ত সহকারী ইউনুস আলী।

তিনি বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন করতে ম্যাডামসহ স্যার সৌদি আরব গেছেন। প্রথমে তারা সরাসরি মদিনায় যাচ্ছেন। সেখানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন এবং মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় করবেন। এরপর মদিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালনের আনুষ্ঠানিক শুরু করবেন তারা। কাবা শরিফ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন, মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করবেন।

আগামী ৮ মে বিএনপির মহাসচিব দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

বিএনপি   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘এক জায়গা বউকে, আরেক জায়গা ছেলেকে দিল, এগুলো ঠিক না’

প্রকাশ: ০২:০১ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউ কেউ আগে থেকেই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, বা উপজেলা চেয়ারম্যান আছেন। আবার নিজের স্ত্রী বা ছেলেকে নির্বাচনে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন। এক জায়গা বউকে দিল, আরেক জায়গায় ছেলেকে দিল, এগুলো ঠিক না। কর্মীদের মূল্যায়ন করা উচিত।

থাইল্যান্ড সফর নিয়ে বৃহস্পতিবার (২ মে) গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
 
উপজেলা নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের দলীয় নির্দেশনা সংক্রান্ত ওই প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা আরও বলেন, পারিবারিক ফর্মুলায় কারা পড়েন? নিজের ছেলে-মেয়ে-স্ত্রী, এই তো? হিসাব করে দেখেন কয়জন ছেলে-মেয়ে, কয়জন স্ত্রী নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন? এর বাইরে তো পরিবার ধরা হয় না। আমাদের কথা হচ্ছে নির্বাচন যেন প্রভাবমুক্ত হয়। মানুষ যেন স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে। আমাদের লক্ষ্য।

শেখ হাসিনা বলেন, সবকিছু নিজেরা নিয়ে নেব, আমার নেতাকর্মীদের জন্য কিছু রাখবো না, এটা হয় না। সেই কথাটা আমি বলতে চেয়েছি। যেন প্রভাব বেশি না ফেলে। সবাই দাঁড়িয়েছে, নির্বাচন করছে, সেটার লক্ষ্য হলো নির্বাচনকে অর্থবহ করা।’ 

তিনি বলেন, অনেকগুলো রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছে। বর্জন করে কেন? নির্বাচন করার মতো সক্ষমতাই নাই। পার্লামেন্ট নির্বাচন করতে হলে জাতিকে দেখাতে হবে যে পরবর্তী নেতৃত্বে কে আসবে, প্রধানমন্ত্রী কে হবে, নেতা কে হবে? একটা নেতা দেখাতে হবে। আপনার কাছে উপযুক্ত নেতা না থাকলে তখন তো আপনাকে ছুতা খুঁজতে হয়। নির্বাচন করলাম না,বিরাট ব্যাপার দেখালাম।আমাদের দেশে সেটাই হচ্ছে। 

উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   সংবাদ সম্মেলন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন