ইনসাইড বাংলাদেশ

সাইবার সন্ত্রাসীদেরকে রুখতেই হবে!


Thumbnail সাইবার সন্ত্রাসীদেরকে রুখতেই হবে!

সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর আওতায় পড়ে ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্ম। এ সকল প্লাটফর্মে তাদের নিজস্ব প্রণিত নিয়ম সোশ্যাল কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস বা সোশ্যাল কমিউনিটি গাইডলাইনস ব্যথিত আর কোনো ধরনের সেন্সর না থাকার কারণে বিশ্বের যে কোনো স্থান থেকে- যে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি- এমনকি রাষ্ট্র প্রধান সম্পর্কেও মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া গল্প-গুজব বানিয়ে প্রচার এবং প্রকাশ করা হরহামেশাই চোখে পড়ছে। বাংলাদেশের সরকার, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এমনকি সরকার প্রধানও এ ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া গল্প-গুজব এবং অপপ্রচারের শিকার হচ্ছেন বারবার।  

বাংলাদেশের সাইবার আইন অনুযায়ী এ ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য প্রকাশ ও প্রচার এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু দেশের সীমানার বাইরে থেকে এই সাইবার সন্ত্রাসীরা মিথ্যা, বানোয়াট, বিকৃত এবং মনগড়া তথ্য প্রকাশ করে দেশে এবং দেশের বাইরে গণমানুষের মনে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যাচ্ছে প্রতিদিনই। কিন্তু এসবের প্রতিকার কি? প্রতিরোধ করার উপায় কি? এখনই সময় এসব সাইবার সন্ত্রাসীদের রুখে দেবার। এসব সাইবার সন্ত্রাসীদের রুখতেই হবে। 

সূত্র জানায়, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্য সফরকে কেন্দ্র করেও এ ধরনের মিথ্যাচার এবং গুজব ছড়ানো হয়েছে। অতি সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ৪০তম রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অুনষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাজ্য সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (৫ মে) লন্ডন পলমলে কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটের মার্লবোরো হাউসের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক কক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও  যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যে বৈঠকের ছবি বাংলাদেশের মূল ধারার গণম্যাধ্যম এবং বিশ্ব গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারিত এবং প্রকাশিত হয়েছে। 

দেশের মূলধারার গণমাধ্যম এবং বিশ্ব গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্য সফরে যুক্তরাজ্যের (ইউকে) প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একজন সফল অর্থনৈতিক নেতা হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, ‘আপনি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা।’ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ঋষি সুনাক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘আমি আপনাকে অনেক বছর ধরে অনুসরণ করছি। আপনি একজন সফল অর্থনৈতিক নেতা।’

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, তার দুই মেয়ে এবং স্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভক্ত। সুনাক চান- তার মেয়েরা যেন শেখ হাসিনার মতো নেতা হন। সুনাক বলেন, ‘আপনি আমার দুই মেয়ের জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা।’    

অথচ এই সাইবার সন্ত্রাসীরা বলছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কোনো বৈঠকই হয়নি। এ ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট, গুজব, অপপ্রচার সাইবার আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এসব সাইবার অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা এখন সময়ে দাবি।

সূত্রমতে, মুশফিকুল ফজলে আনসারি নামের একজন বাংলাদেশি ব্যক্তি আমেরিকায় অবস্থান করার সুবাধে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তার ফেইসবুক প্রোফাইলের মাধ্যমে এসব অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। সে সব সময়ই বাংলাদেশের বর্তমান সরকার, সরকার প্রধান এবং সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া গল্প তার ফেসবুক প্রোফাইলে এবং ইউটিউবে প্রচার করে থাকে। এ ধরনের সাইবার সন্ত্রাস বাংলাদেশের সাইবার আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেই জানিয়েছে সূত্র।    

মুশফিকুল ফজলে আনসারির ফেইসবুক প্রোফাইল পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বাংলাদেশের সরকার বিরোধী মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া বিভিন্ন কন্টেন্ট, সরকারের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে সরাসরি কটাক্ষ করে মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া কন্টেন্ট এবং সরকার বিরোধী বিভিন্ন সংবাদ তার ফেসবুক প্রোফাইলে শোভা পাচ্ছে। এছাড়াও, সে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওয়াশিংটন সফরকে ঘিরে সরকার বিরোধী বিভিন্ন ব্যক্তিদের প্রধানমন্ত্রীর সফর সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট এবং নেতিবাচক বক্তব্য বা কন্টেন্ট তার টাইমলাইনে দিয়ে রেখেছে।

এছাড়াও, বেশ কিছুদিন থেকেই পিনাকি ভট্টাচার্য নামের একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার প্রপাগাণ্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। সে সম্প্রতি সরকারি বিভিন্ন আমলা এবং সরকার দলীয় নেতারা বাংলাদেশের ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়ে বিদেশে পাচার করার মিথ্যা তথ্য দিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করে ফেসবুক এবং ইউটিউবে ছড়িয়ে দিয়ে জনগণের মাঝে বিভ্রন্তি ছড়িয়েছে। ওই কন্টেন্টে সে বাংলাদেশ সরকারকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেও অভিহিত করেছে। তাছাড়া, বাংলাদেশের সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়েও মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য দিয়ে কন্টেন্ট তৈরি, এমনকি কুৎসিত, অসংলগ্ন ভাষা ব্যবহার করেও কন্টেন্ট তৈরি করে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। সেসব কন্টেন্টগুলো সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে হরহামেশাই দেখা যাচ্ছে।         

সূত্র আরও জানায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিশেষ করে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে টিটো রহমান এবং নাজমুস সাকিবের নামে গত রোববার (৭ মে) রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা হয়। মামলাটির বাদী হয়েছেন রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ইব্রাহীম আলী ও আনিস মিয়া। একইসঙ্গে মামলায় ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলাটি আমলে নিয়ে রংপুরের সিআইডি পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ড. আব্দুল মজিদ। মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন শাম্মি আক্তার, আজগার আলী, আমিনুল ইসলাম, আহসান হাবীব জুয়েলসহ কয়েকজন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন রুহুল আমিন তালুকদার।   

অভিযুক্ত টিটো রহমান রাজধানীর জিগাতলা এলাকার মৃত ডা. মতিনুর রহমানের ছেলে। বর্তমানে কানাডা প্রবাসী। ‘নাগরিক টিভি’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিজের পরিচয় দেন তিনি। নাজমুস সাকিব সবুজবাগ এলাকার জলিলুর আজমের ছেলে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নাজমুস সাকিব নিজের পরিচয় দেন নাগরিক টিভির বার্তা সম্পাদক হিসেবে।

সূত্রটি দাবি করছে, এ ধরনের অপরাধে শুধুমাত্র বাংলাদেশের সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করলেই হবে না। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে এই সকল সাইবার সন্ত্রাসীদের যে কোনোভাবে রুখতেই হবে। এখন বাংলাদেশে একটিই সমস্যা, সেটা হচ্ছে এই সাইবার সন্ত্রাস। এরা বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদেরকে বিভিন্ন জায়গায় এমনভাবে আক্রমণ করছে, যাতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। 

সূত্রটি বলছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে যেসব ব্যক্তিরা এসব সাইবার সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের নেপথ্যে থেকে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারেক লন্ডনে বসে থেকে এবং বাংলাদেশ থেকে দলীয় পদ বাণিজ্য, চাঁদা বাণিজ্য প্রভৃতির মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে এসব সাইবার সন্ত্রাসীদের পৃষ্টপোষকতা দিয়ে লালন-পালন করছে। সোশ্যাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে বাংলাদেশের সরকার এবং সরকারের বিভিন্ন ব্যক্তিদের বিতর্কিত করতেই এই সাইবার সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে তারেক রহমান।      

এসব সাইবার সন্ত্রাসীদের রুখতে হলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেরও এখনই পদক্ষেপ দিতে হবে। যেমন, কানাডা এবং ভারত ইতিমধ্যেই গুগলের কাছে আবেদন জানিয়েছে, এসব সাইবার সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণের জন্য তাদের দেশে ফেসবুক এবং ইউটিউবের অফিস করার জন্য। বাংলাদেশেরও এখনই সময় সাইবার সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার।  


সাইবার   সন্ত্রাস   অপপ্রচার   প্রপাগাণ্ডা   সরকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বুলেট থাকতে ব্যালটে কেউ হাত দিতে পারবে না: ফরিদপুর জেলা প্রশাসক

প্রকাশ: ১০:৪৫ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেছেন, ‘একটি ব্যালটের বিপরীতে একটি বুলেট ব্যবহার করা হবে। বুলেট থাকতে ব্যালটে কেউ হাত দিতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘কেউ ভোট কাটতে একটা ব্যালটে হাত দিতে চাইলে তার জন্য একটি বুলেট খরচ করা হবে। তাই যারা এই পরিকল্পনায় আছে তারা ভুলে যান, এবার অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে সদরপুর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপ উপলক্ষে প্রিসাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) মো. সৈয়দ মোরাদ আলীর সভাপতিত্বে ওই মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মোর্শেদ আলম, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার তারেক আহম্মদ, সদরপুর থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাচন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।


জেলা প্রশাসক   কামরুল আহসান তালুকদার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা

প্রকাশ: ১০:০৩ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

কাঁচা মরিচের দাম আরও বেড়েছে। গত ১০ দিনের ব্যবধানে এই পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়ে প্রতি কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। কোথাও কোথাও আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বছরের এই সময়ে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি থাকে। ফলে আমদানি করে মরিচের প্রয়োজন মেটাতে হয়। তবে এবার দাম বাড়তে থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে দাম নিয়ন্ত্রণে এখনো কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

এবার কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে ঈদুল আজহার মাসখানেক আগে থেকেই। গত বছর কোরবানির সময়ে ঢাকায় কাঁচা মরিচের কেজি ৭০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তখন দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছিল।

গত পাঁচ বছরের বাজারের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বছরের এই সময়ে উৎপাদন কমে যাওয়ায় কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা বাড়ে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশে বৃষ্টিসহিষ্ণু মরিচের জাত কম। ফলে বৃষ্টি বেশি হলে কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমে যায়। তখন আমদানি করে কাঁচা মরিচের চাহিদা মেটানো হয়। সাধারণত ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়। তবে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকেও কিছু কাঁচা মরিচ আসে। মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধের কারণে কাঁচা মরিচ আমদানিতে ভারতের ওপর নির্ভর করতে হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সঙ্গনিরোধ শাখা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেওয়া হয়নি। তবে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ও সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।


কাঁচা   মরিচ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জুজুৎসুর নিউটন ভয়ংকর যৌন নিপীড়ক: র‍্যাব

প্রকাশ: ০৯:৫৫ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

নারী ক্রীড়াবিদদের ধর্ষণ ও শারীরিক নিপীড়ন। অপ্রাপ্তবয়স্ক ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে গর্ভবতী হলে তাদের গর্ভপাত করানোর মতো ভয়ংকর কাজও করেছেন তিনি। নারী ক্রীড়াবিদকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় প্রধান আসামি বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম নিউটনকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জেনেছে র‍্যাব।

তার অনৈতিক এ কাজে আরেক নারী সহযোগী ক্রীড়াবিদকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় দ্বিতীয় আসামি ওই নারী ক্রীড়াবিদকে ইতোমধ্যে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

র‍্যাব কমান্ডার আরাফাত ইসলাম জানান, ১৮ মে রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে রফিকুল ইসলাম নিউটন ও তার সহযোগী একজন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। জুজুৎসু এসোসিয়েশনের একজন নারী ক্রীড়াবিদদের করা নারী শিশু নির্যাতন দমন ও পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

সংবাদ সম্মেলনে  র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছেন। রফিকুল ইসলাম নিউটন জুজুৎসু (জাপানি মার্শাল আর্ট) খেলার প্রশিক্ষক। অ্যাসোসিয়েশনের অধিকাংশ প্রশিক্ষণার্থী নারী। যেখানে অভিভাবক হিসেবে কোমলমতি মেয়েদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি কোমলমতি মেয়েদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তার হীন চরিত্র চরিতার্থ করার প্রয়াস চালান।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, রফিকুল ইসলাম নিউটন অ্যাসোসিয়েশনের অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে কেউ গর্ভবতী হলে তাদের গর্ভপাত করাতেন। এছাড়া অনুশীলনের আগে মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে প্রবেশ করে তাদের জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ ও নগ্ন ছবি তুলে রাখতেন তিনি। পরে ধারণ করা নগ্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল‍্যাকমেইল করে বারবার ধর্ষণ করতেন।


জুজুৎসু   নিউটন   র‍্যাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ


Thumbnail

আগামী ২১ মে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ২ জন। এর মধ্যে জনগণের ও সরকার দলীয় কর্মীদের পছন্দের প্রার্থী তালিকায় অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ অন্যতম। অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদের আনারস প্রতীকে ভোট দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ভোটাররা।

অপর প্রার্থী আলতাফ হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। তবে তার বিরুদ্ধে চরের জমি নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, আইন অমান্য করে মাছ শিকারসহ জেলেদেরকে দিয়ে নদী দখল ও বাস্তুচ্যুতদের মহিষ দিয়ে চর দখলে রেখেছেন।

প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটারদের মন জয় করতে নানা কুরুচীপূর্ণ বক্তব্য দিতেও সংকোচ বোধ করছেন না অনেকে।

এদিকে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি  মেনে চলার  আহ্বান জানিয়েছে।


বিজয়   অধ্যক্ষ   মামুনুর রশীদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যে কারণে ডিবি কার্যালয়ে যান মামুনুল হক

প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হক প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থান করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে। পরে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি ডিবির কার্যালয় ত্যাগ করেন।

সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নেওয়ার জন্য তিনি ডিবি কার্যালয়ে এসেছিলেন।

মামুনুল হক বলেন, আমাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তখন মামলার আলামত হিসেবে আমার মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছিল। সেই মোবাইল ফোনটি নিতে আমি আজ ডিবি কার্যালয়ে এসেছি।

ডিবি কার্যালয়ে মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে ডিবি ডাকেনি এবং মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি।

মোবাইল ফোনটি তিনি ফেরত পেয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই হেফাজতের এই নেতা গাড়িতে উঠে যান।


মোবাইল   ডিবি   মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন