ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সামরিক ব্যয়ে শীর্ষ ১০ দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:১০ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০১৮


Thumbnail

সামরিক বাহিনী যেকোনো দেশের জন্য একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশ্বজুড়ে পরাশক্তিগুলোর মধ্যে দিন দিন প্রতিযোগিতা বেড়েই চলেছে। ক্ষমতাধর দেশগুলো একে অন্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়িয়ে চলেছে তাদের সামরিক শক্তি। নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্যে তারা প্রতিনিয়ত সামরিক শক্তি সমৃদ্ধ করছে, ব্যয় করছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। বিশ্বে সামরিক ব্যয়ে শীর্ষ ১০টি দেশের কথা জানবো আজ-

যুক্তরাষ্ট্র

সামরিক শক্তি এবং খরচের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে। যুক্তরাষ্ট্রের মোট সাড়ে ৩২ কোটির বেশি জনসংখ্যার মধ্যে মোট সামরিক কাজে নিয়োজিতের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ ৮৩ হাজার। এদের মধ্যে সক্রিয়  রয়েছে প্রায় ১২ লাখ ৮২ হাজার এবং রিজার্ভ ৮০ হাজারের ওপরে। এদের মোট এয়ারক্রাফট ১৩ হাজার তিনশো ৬২ টি। এদের মধ্যে ফাইটার এয়ারক্রাফট উনিশশো ৬২, অ্যাটাক এয়ারক্রাফট দুই হাজার আটশো ৩০, ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট ৫ হাজার ২৪৮, ট্রেইনার এয়ারক্রাফট দুই হাজার আটশো ছাপান্ন। হেলিকপ্টার আছে পাঁচ হাজার সাতশো ৫৮, এর মধ্যে অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৯৭৩ টি।

আর্মিতে কমব্যাট ট্যাংকস রয়েছে ৫ হাজার ৮৮৪, আর্মড ফাইটিং বাহন রয়েছে ৩৮ হাজার ৮২২, সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি ৯৫০, রকেট প্রজেক্টর ১ হাজার ১৯৭ টি।

মোট নেভাল অ্যাসেট রয়েছে ৪১৫। এর মধ্যে এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ২০, ফ্রিজেট ১০, ডেসট্রয়ারস ৬৫, সাবমেরিন ৬৬, পেট্রোল ক্র্যাফট ১৩, মাইন ওয়ারফেয়ার ভেসেল ১১।

চীন

চীনের বিশাল জনগোষ্ঠীর সামরিক বাহিনী বিশ্বে ব্যয়ের দিক থেকে দ্বিতীয় এবং শক্তির দিক থেকে তৃতীয়। এর মোট সামরিক কাজে নিয়োজিতের সংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ ৯৩ হাজার। এদের মধ্যে সক্রিয় রয়েছে প্রায় ২১ লাখ ৮৩ হাজার এবং রিজার্ভ ৫ লাখ ১০ হাজার। এদের মোট এয়ারক্রাফট ৩ হাজার ৩৫। এদের মধ্যে ফাইটার এয়ারক্রাফট ১ হাজার ২৫ টি, অ্যাটাক এয়ারক্রাফট ১ হাজার ৫২৭,  ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট ৭২২, ট্রেইনার এয়ারক্রাফট ৩৫৩। হেলিকপ্টার আছে পাঁচ হাজার ৯৮৫, এর মধ্যে অ্যাটাক হেলিকপ্টার ২৮১।

আর্মিতে কমব্যাট ট্যাংকস রয়েছে ৭ হাজার ৭১৬, আর্মড ফাইটিং বাহন রয়েছে ৯ হাজার, সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি ২ হাজার, রকেট প্রজেক্টর ২ হাজার ৫০ টি।

মোট নেভাল অ্যাসেট রয়েছে ৭১৪টি।  এর মধ্যে এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার একটি, ফ্রিজেট ৫০, ডেসট্রয়ারস ২৯, সাবমেরিন ৭৩, পেট্রোল ক্র্যাফট ২২০, মাইন ওয়ারফেয়ার ভেসেল ২৯।

সৌদি আরব

সৌদি আরবের সামরিক বাহিনী বিশ্বে ব্যয়ের দিক থেকে তৃতীয় এবং শক্তির দিক থেকে ২৬। জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে আটাশ কোটি, এর মোট সামরিক কাজে নিয়োজিতের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৫৬ হাজার। এদের মধ্যে সক্রিয় রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৩১ হাজার এবং রিজার্ভ ২৫ হাজার। এদের মোট এয়ারক্রাফট ৮৪৪। এদের মধ্যে ফাইটার এয়ারক্রাফট ২০৩টি, অ্যাটাক এয়ারক্রাফট ২৮৪,  ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট ২১১, ট্রেইনার এয়ারক্রাফট ২৪৪। হেলিকপ্টার আছে ২৫৪ টি, এর মধ্যে অ্যাটাক হেলিকপ্টার ২২টি।

আর্মিতে কমব্যাট ট্যাংকস রয়েছে ১ হাজার ১৪২টি, আর্মড ফাইটিং বাহন রয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার, সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি ৫২৪, রকেট প্রজেক্টর ৩২২।

মোট নেভাল অ্যাসেট রয়েছে ৫৫টি।  ফ্রিজেট ৭, করভেটস ৪, পেট্রোল ক্র্যাফট ১১, মাইন ওয়ারফেয়ার ভেসেল ৩।

যুক্তরাজ্য

যুক্তরাজ্যর সামরিক বাহিনী বিশ্বে ব্যয়ের দিক থেকে চতুর্থ এবং শক্তির দিক থেকে ষষ্ঠ। সাড়ে ৬৪ কোটির উপরে জনসংখ্যার এর মোট সামরিক কাজে নিয়োজিতের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার। এদের মধ্যে সক্রিয় রয়েছে প্রায় ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৩০ এবং রিজার্ভ ৮১ হাজার ৫০০। এদের মোট এয়ারক্রাফট ৮৪৪। এদের মধ্যে ফাইটার এয়ারক্রাফট ১০৩টি, অ্যাটাক এয়ারক্রাফট ১৪৩,  ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট ২৯৭, ট্রেইনার এয়ারক্রাফট ৩৪২। হেলিকপ্টার আছে ৩৩৩ টি, এর মধ্যে অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৪৯টি।

আর্মিতে কমব্যাট ট্যাংকস রয়েছে ২২৭টি, আর্মড ফাইটিং বাহন রয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার, সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি ৮৯, রকেট প্রজেক্টর ৩৫।

মোট নেভাল অ্যাসেট রয়েছে ৭৬টি।  এর মধ্যে এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার দুইটি, ফ্রিজেট ১৩, ডেসট্রয়ারস ৬, সাবমেরিন ১০, পেট্রোল ক্র্যাফট ২১, মাইন ওয়ারফেয়ার ভেসেল ১৩।

ভারত

বিশাল জনসংখ্যার এই দেশের সামরিক বাহিনী বিশ্বে ব্যয়ের দিক থেকে পঞ্চম এবং শক্তির দিক থেকে চতুর্থ। এর মোট সামরিক কাজে নিয়োজিতের সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ২ লাখ ৭ হাজার ২৫০। এদের মধ্যে সক্রিয় রয়েছে প্রায় ১ কোটি ৩৬ লাখ ২ হাজার ৫০০ এবং রিজার্ভ ২ কোটি ৮ লাখ ৪৪ হাজার ৭৫০। এদের মোট এয়ারক্রাফট দুই হাজার ১৮৫, এদের মধ্যে ফাইটার এয়ারক্রাফট ৫৯০টি, অ্যাটাক এয়ারক্রাফট ৮০৪,  ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট ৭০৮, ট্রেইনার এয়ারক্রাফট ২৫১। হেলিকপ্টার আছে ৭২০ টি, এর মধ্যে অ্যাটাক হেলিকপ্টার ১৫টি।

আর্মিতে কমব্যাট ট্যাংকস রয়েছে ৪ হাজার ৪২৬টি, আর্মড ফাইটিং বাহন রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ১৪৭, সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি ১৯০, রকেট প্রজেক্টর ২৬৬।

মোট নেভাল অ্যাসেট রয়েছে ২৯৫টি।  এর মধ্যে এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ১টি, ফ্রিজেট ১৪, ডেসট্রয়ারস ১১, করভেটস ২২, সাবমেরিন ১৬, পেট্রোল ক্র্যাফট ১৩৯, মাইন ওয়ারফেয়ার ভেসেল ৪।

রাশিয়া

জনসংখ্যায় রাশিয়া যথেষ্ট সমৃদ্ধ, ১৪২ কোটিরও বেশি। এই দেশের সামরিক বাহিনী বিশ্বে ব্যয়ের দিক থেকে ষষ্ঠ এবং শক্তির দিক থেকে দ্বিতীয়।  এর মোট সামরিক কাজে নিয়োজিতের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৬ হাজার ১২৮। এদের মধ্যে সক্রিয় রয়েছে প্রায় ১ কোটি ১৩ হাজার ৬২৮ এবং রিজার্ভ ২ কোটি ৫৭ লাখ ২ হাজার ৫০০। এদের মোট এয়ারক্রাফট ৩ হাজার ৯১৪, এদের মধ্যে ফাইটার এয়ারক্রাফট ৮১৮ টি, অ্যাটাক এয়ারক্রাফট ১ হাজার ৪১৬,  ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট ১ হাজার ৫২৪, ট্রেইনার এয়ারক্রাফট ৪১৪। হেলিকপ্টার আছে ১ হাজার ৪৫১ টি, এর মধ্যে অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৫১১ টি।

আর্মিতে কমব্যাট ট্যাংকস রয়েছে ২০ হাজার ৩০০টি, আর্মড ফাইটিং বাহন রয়েছে প্রায় সাড়ে ২৭ হাজার ৪০০, সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি ৫ হাজার ৯৭০, রকেট প্রজেক্টর ৩ হাজার ৮১৬।

মোট নেভাল অ্যাসেট রয়েছে ৩৫২টি।  এর মধ্যে এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ১টি, ফ্রিজেট ৯, ডেসট্রয়ারস ১৩, করভেটস ৭৮, সাবমেরিন ৬২, পেট্রোল ক্র্যাফট ৬২, মাইন ওয়ারফেয়ার ভেসেল ৪৭।

জার্মানি

প্রায় সাড়ে আশি কোটি এর জনসংখ্যা। এই দেশের সামরিক বাহিনী বিশ্বে ব্যয়ের দিক থেকে সপ্তম এবং শক্তির দিক থেকে দশম। এর মোট সামরিক কাজে নিয়োজিতের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৮ হাজার ৬৪১। এদের মধ্যে সক্রিয় রয়েছে প্রায় ৩৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪১ এবং রিজার্ভ ৩০ হাজার। এদের মোট এয়ারক্রাফট দুই হাজার ৭১৪, এদের মধ্যে ফাইটার এয়ারক্রাফট ৯৪, অ্যাটাক এয়ারক্রাফট ১৮১,  ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট ৩৮১, ট্রেইনার এয়ারক্রাফট ৫২। হেলিকপ্টার আছে ৩৮৪ টি, এর মধ্যে অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৫৮ টি।

আর্মিতে কমব্যাট ট্যাংকস রয়েছে ৪৩২টি, আর্মড ফাইটিং বাহন রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ৬২০, সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি ১২৩, রকেট প্রজেক্টর ৩৮।

মোট নেভাল অ্যাসেট রয়েছে ৮১ টি।  এর মধ্যে ফ্রিজেট ১০, করভেটস ৫, সাবমেরিন ৬, মাইন ওয়ারফেয়ার ভেসেল ১২।

জাপান

জাপানের জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ১২ কোটি। সামরিক শক্তি এবং খরচে এই দেশ অষ্টম স্থানে। এর মোট সামরিক কাজে নিয়োজিতের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ১০ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫৭। এদের মধ্যে সক্রিয় রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৪৭ হাজার ১৫৭ এবং রিজার্ভ ৬৩ হাজার ৩০০। এদের মোট এয়ারক্রাফট ১ হাজার ৫০৮, এদের মধ্যে ফাইটার এয়ারক্রাফট ২৯০ টি, অ্যাটাক এয়ারক্রাফট ২৯০,  ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট ৪৮৬, ট্রেইনার এয়ারক্রাফট ৪০৪। হেলিকপ্টার আছে ৬২২ টি, এর মধ্যে অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৮৪ টি।

আর্মিতে কমব্যাট ট্যাংকস রয়েছে ৬৭৯ টি, আর্মড ফাইটিং বাহন রয়েছে ৩ হাজার ১৭৮, সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি ২০২, রকেট প্রজেক্টর ৯৯।

মোট নেভাল অ্যাসেট রয়েছে ১৩১ টি।  এর মধ্যে এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ৪টি, ডেসট্রয়ারস ৩৬, করভেটস ৬, সাবমেরিন ১৭, পেট্রোল ক্র্যাফট ৬, মাইন ওয়ারফেয়ার ভেসেল ২৫।

ফ্রান্স

ফ্রান্সের জনসংখ্যা ৬৭ কোটির উপরে। সামরিক খরচে এর অবস্থান নবম হলেও সামরিক শক্তির দিকে দিয়ে এই দেশ পঞ্চম স্থানে। এর মোট সামরিক কাজে নিয়োজিতের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৫। এদের মধ্যে সক্রিয় রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৫ হাজার এবং রিজার্ভ ১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৩৫। এদের মোট এয়ারক্রাফট ১ হাজার ২৬২, এদের মধ্যে ফাইটার এয়ারক্রাফট ২৯৯ টি, অ্যাটাক এয়ারক্রাফট ২৯৯,  ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট ৪৩৩, ট্রেইনার এয়ারক্রাফট ২৪৫। হেলিকপ্টার আছে ৫৭০ টি, এর মধ্যে অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৫৪ টি।

আর্মিতে কমব্যাট ট্যাংকস রয়েছে ৪০৬ টি, আর্মড ফাইটিং বাহন রয়েছে ৬ হাজার ৩৩০, সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি ১০৯, রকেট প্রজেক্টর ১৩।

মোট নেভাল অ্যাসেট রয়েছে ১১৮ টি।  এর মধ্যে এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ৪টি, ডেসট্রয়ারস ১১,  সাবমেরিন ১০, পেট্রোল ক্র্যাফট ১৮, মাইন ওয়ারফেয়ার ভেসেল ১৮।

দক্ষিণ কোরিয়া

দক্ষিণ কোরিয়ার মোট জনসংখ্যা ৫১ কোটির বেশি। সামরিক ব্যয়ের দিক দিয়ে এই দেশ দশম হলেও সামরিক শক্তিতে এই দেশ সপ্তম স্থানে। এর মোট সামরিক কাজে নিয়োজিতের সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি ৮ লাখ ৮২ হাজার ২৫০। এদের মধ্যে সক্রিয় রয়েছে প্রায় ৬ লাখ ২৫ হাজার এবং রিজার্ভ রীতিমত ৫ কোটির উপরে। এদের মোট এয়ারক্রাফট ১ হাজার ৫৬০ টি। এদের মধ্যে ফাইটার এয়ারক্রাফট ৪০৬, অ্যাটাক এয়ারক্রাফট ৪৬৬, ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট ৩৮২ হাজার, ট্রেইনার এয়ারক্রাফট ২৭৬। হেলিকপ্টার আছে পাঁচ হাজার ৭৪৮, এর মধ্যে অ্যাটাক হেলিকপ্টার ১১২।

আর্মিতে কমব্যাট ট্যাংকস রয়েছে ২ হাজার ৬৫৪ টি, আর্মড ফাইটিং বাহন রয়েছে ৩ হাজার ৪৮০, সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি ১ হাজার ৮৯০, রকেট প্রজেক্টর ২১৪।

মোট নেভাল অ্যাসেট রয়েছে ১৬৬ টি।  এর মধ্যে এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ১টি, ফ্রিজেট ১২ টি, ডেসট্রয়ারস ১২,  সাবমেরিন ১৬, পেট্রোল ক্র্যাফট ৬৯, মাইন ওয়ারফেয়ার ভেসেল ১১।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্পের নির্দেশেই পর্ন তারকা স্টর্মিকে ঘুষ দিয়েছি: কোহেন

প্রকাশ: ০৩:৪৩ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে ট্রাম্পের নির্দেশেই পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দিয়েছেন বলে হাবি করেছেন ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেন।

সোমবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার সময় মাইকেল কোহেন এ কথা বলেন।

জবানবন্দি দেওয়ার সময় কৌঁসুলি সুসান হফিংগারের প্রশ্নের জবাবে কোহেন বলেন, “আমি যা করেছি, ট্রাম্পের নির্দেশনায় এবং তার লাভের জন্যই করেছি।' 

কোহেনের এই বক্তব্য ঘুষের অর্থ প্রদানের নেপথ্যে যে ট্রাম্প ছিলেন, সে বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে কৌঁসুলিদের সুবিধা হবে।

একপর্যায়ে ফোন রেকর্ড বের করেন কৌঁসুলিরা। তারা দেখান যে, ঘুষ দেওয়ার ওই সময় ফোনে কথা বলেছিলেন ট্রাম্প ও কোহেন। কোহেন ২০১৬ সালের ২৮ অক্টোবর ট্রাম্পকে কল দিয়ে পাঁচ মিনিটের বেশি সময় কথা বলেন। আর ওই দিনই স্টর্মির সঙ্গে সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছিল।

কোহেন আরও বলেন, শেষ পর্যন্ত তিনি স্টর্মির আইনজীবীর কাছে ব্যাংকের মাধ্যমে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার হস্তান্তর করেছিলেন। স্টর্মি সমঝোতা চুক্তি এবং অতিরিক্ত নথিতে স্বাক্ষর করেছিলেন যা তাকে নীরব হতে বাধ্য করেছিল।

বিষয়টি ট্রাম্প জানতেন কি না- কৌঁসুলি সুসানের এমন প্রশ্নের জবাবে কোহেন বলেন, 'তাৎক্ষণিকই' জেনেছেন। তিনি বিষয়টি ট্রাম্পকে জানিয়েছেন। তাকে দেওয়া কাজটি যে সম্পন্ন হয়েছে তিনি তা জানতেন।

মঙ্গলবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছেন আদালত। এ দিনও জবানবন্দি দেবেন কোহেন। সোমবার যখন কোহেন জবানবন্দি এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন, তখন আদালত কক্ষে বসা ট্রাম্পকে চোখ বন্ধ করে সেসব শুনতে দেখা যায়।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পরে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়া হয়েছিল স্টর্মিকে। ব্যবসায়িক রেকর্ডে এ তথ্য গোপন করেছিলেন ট্রাম্প।


মাইকেল কোহেন   পর্ন তারকা   ট্রাম্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গেটস ফাউন্ডেশনে আর থাকছেন না মেলিন্ডা গেটস

প্রকাশ: ১০:১১ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে তিনি।  

সোমবার (১৩ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) প্লাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেলিন্ডা নিজেই। খবর রয়টার্সের।

ওই পোস্টে মেলিন্ডা গেটস লিখেছেন, বিল ও আমি একসঙ্গে যে ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছিলাম, তার জন্য আমি অত্যন্ত গর্বিত। তবে বিল গেটসের সঙ্গে একটি চুক্তি মোতাবেক আমি ফাউন্ডেশন থেকে সরে যাচ্ছি। আমার হাতে বাড়তি ১২.৫ বিলিয় ডলার থাকবে নারী ও অসহায় পরিবারগুলোকে সহায়তায় কাজ করার জন্য।

মেলিন্ডার এ ঘোষণার পরপরই এক্স পোস্টে বিল গেটস লেখেন, মেলিন্ডার চলে যাওয়াতে আমি দুঃখিত। তবে আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতে সে তার জনহিতকর কাজে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।

আগামী ৭ জুন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে শেষ কর্মদিবস কাটাবেন মেলিন্ডা। মেলিন্ডা গেটস ২০০০ সালে তার তখনকার স্বামী বিশ্বের অতি ধনী বিল গেটসকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন গঠন করেছিলেন। এ ফাউন্ডেশন থেকে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধরনের দাতব্য কার্যক্রম পরিচালনা ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। বিশ্বে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনাকারী সবচেয়ে বড় সংস্থা এই ফাউন্ডেশন।

২৭ বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনে ২০২১ সালে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন বিল ও মেলিন্ডা গেটস। তবে দুজনই তাদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।

বর্তমানে বিশ্বে জনস্বাস্থ্য নিয়ে যেসব সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান কাজ করে, সেগুলোর অন্যতম বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় এই ফাউন্ডেশন থেকে প্রতিবছর শত শত কোটি ডলার ব্যয় করা হয়ে থাকে।

ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, বিল ও মেলিন্ডা গেটস দম্পতি নিজেদের অর্থ থেকে এই ফাউন্ডেশনে ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ দিয়েছেন।


গেটস ফাউন্ডেশন   মেলিন্ডা গেটস   বিল গেটস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মুম্বাইয়ে ভয়াবহ ধূলিঝড়ে ৮ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯:১৬ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মুম্বাইয়ের ধূলিঝড়ে ভেঙে পড়েছে বিশালাকৃতির একটি বিলবোর্ড। সোমবার সন্ধ্যার দিকে ঘাটকোপারে এক জ্বালানি স্টেশনে বিলবোর্ডটি ভেঙে পড়ে। এতে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫৯ জন। 

পুলিশ জানিয়েছে, ওই বিলবোর্ডের নীচে চাপা পড়েছিলেন অনেকেই। ৬৭ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

ভারতের জাতীয় দুযোর্গ মোকাবিলা বাহিনী ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) কর্মীদের প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় সরানো সম্ভব হয় ধ্বংসস্তূপ।

ধ্বংস্তূপ সরানোর পর মৃত অবস্থায় ৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে আরও ৫ জনের।

সেই সঙ্গে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৬৭ জনকে। এদের সবাই কম-বেশি আহত হয়েছেন। অনেককেই ভর্তি করাতে হয়েছে হাসপাতালে।


মুম্বাই   ধূলিঝড়   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: বিজেপির আসন বাড়ার পরীক্ষা হয়ে গেল

প্রকাশ: ১০:১৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

৪০০ পারের স্লোগান দিয়ে ভোট ময়দানে নামা বিজেপি আশা করেছিল দক্ষিণ ভারতে এবার গেরুয়া ঝড় উঠবে। সেই দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে ভোট শেষ হয়ে গেল আজ চতুর্থ দফায়। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুতে ভোট হয়েছে। কেরেলা, কর্নাটকেও মিটেছে ভোট-পর্ব। চতুর্থ দফায় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায় নির্বাচন। বিজেপির আশা, এই দুই রাজ্যেই আগেরবারের থেকে অনেক ভালো ফল করবে দল।

প্রথম তিন দফায় ভোটারদের মধ্যে সেভাবে উৎসাহ চোখে পড়েনি। তিন দফাতেই ভোটের হার কমেছে। ভোটের হার কমাটা বিজেপির জন্য মোটেই ভালো লক্ষণ নয় বলে মনে করছেন বিভিন্ন মহল। গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও গোবলয় নিয়ে উদ্বেগের আভাস রয়েছে। যদি উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান বা বিহারে আসন খোয়াতে হয়, তাহলে সেটা পুষিয়ে দেয়ার জন্য মূলত অন্ধ্র এবং তেলেঙ্গানাকে টার্গেট করছে গেরুয়া শিবির।

বিজেপির আশার উৎস প্রধানত অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলেঙ্গানা। এই দুই রাজ্যের ৪২ আসনের ভোট আজ সোমবার হয়ে গেল। সেই সঙ্গে হলো অন্ধ্র প্রদেশের ১৭৫ বিধানসভা আসনেরও ভোট। লোকসভার গত দুটি ভোটে অন্ধ্র প্রদেশে বিজেপি একটি আসনেও জিততে পারেনি। তেলেঙ্গানায় পেয়েছিল ৪টি আসন। বিজেপির আশা, এবার দুই রাজ্য মিলিয়ে তারা জোট শরিকদের সঙ্গে নিয়ে ২২ থেকে ২৫টি আসন আদায় করে নেবে। তা হলে তারা তৃতীয়বার ক্ষমতা ধরে রাখার পথে এগিয়ে যাবে অনেকটাই।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নিয়েও আশাবাদী বিজেপি। উত্তরবঙ্গের ঘাঁটি ছেড়ে ভোট এসেছে দক্ষিণবঙ্গে। এই দফায় ৮ আসনে ভোটের গতিপ্রকৃতি বুঝিয়ে দেবে, গতবার পাওয়া ১৮ আসন তারা এবার ধরে রাখতে পারবে কি না। ৮ আসনের নিরাপত্তা রক্ষায় নির্বাচন কমিশন তৎপর। প্রায় চার হাজার বুথ তাদের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ ও স্পর্শকাতর।

পাশের রাজ্য অন্ধ্রে আগের দুই নির্বাচনে খাতা খুলতে পারেনি গেরুয়া শিবির। তবে এবার টিডিপি (টিডিপি) এবং জন সেনার সঙ্গে জোট রয়েছে বিজেপির। ২৫ আসনের মধ্যে লোকসভায় বিজেপি লড়ছে ৬ আসন। জোটে ভর করে অন্ধ্রেও এবার একাধিক আসন পাওয়ার আশায় গেরুয়া শিবির। জোট হিসাবে সেরাজ্যেও অন্তত ১৫-১৭ আসন পাওয়ার আশা রয়েছে গেরুয়া শিবিরের।

উত্তরপ্রদেশে যে ১৩টি আসনে ভোট হচ্ছে, তার মধ্যে ১১টিতে গত বার বিজেপি জেতে। এবার সে রাজ্যে সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস জোট ভালো লড়াই দিচ্ছে বিজেপিকে। প্রথম তিন পর্বে মুসলিম, যাদব এবং জাঠ, রাজপুতদের একাংশ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে বলেই দাবি বিরোধীদের। এই পর্বেও তেমন হলে চাপে পড়ে যাবে বিজেপি। মহারাষ্ট্র, বিহারেও এবার শক্তিশালী বিরোধী জোট বাধা হতে পারে বিজেপির জন্য। এই রাজ্যগুলিতে বিজেপির কিছু আসন ঘাটতি হবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। দক্ষিণের দুই রাজ্যে বাড়তি আসন পেয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করতে চায় গেরুয়া শিবির।

এই ৯৬ আসনের মধ্যে উনিশে এনডিএ জোট পায় ৪৯ আসন। বিজেপি একা পায় ৪২টি। ৪৭টি আসন ছিল বিরোধী শিবিরের দখলে। গেরুয়া শিবির সার্বিকভাবে এই পর্বেই স্ট্রাইক রেট বাড়ানোর সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি দেখছে। সেটা মূলত তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে।


লোকসভা নির্বাচন   বিজেপি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মালয়েশিয়ায় বন্য হাতির আক্রমণে বাংলাদেশির মৃত্যু

প্রকাশ: ০৮:২২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

মালয়েশিয়ার পোস ব্লাউয়ের কাম্পুং ওম শহরে বন্য হাতির আক্রমণে বাংলাদেশি এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। 

স্থানীয় সময় রোববার বিকেল ৫টার দিকে হাতির আক্রমণে ওই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

ব্লাউ কাম্পুং জেলার প্রধান পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, কাম্পুং ওম শহরে রোববার বিকেল ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেছেন, নিহত বৃক্ষরোপণ কর্মীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। মো. নওশের আলী (২৯) নামের ওই কর্মী তার এক সহকর্মীকে নিয়ে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে হাতির আক্রমণের শিকার হন। 

সোমবার দেশটির পুলিশের এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে হাতির আক্রমণের সময় পালিয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ পাননি ওই ভুক্তভোগী। মরদেহের পাশেই হাতির পায়ে ছাপ পাওয়া গেছে।

পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু বলেছেন, ওই ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য ওই ব্যক্তির মরদেহ গুয়া মুসাং হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় আকস্মিক মৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।


মালয়েশিয়া   বন্য হাতি   বাংলাদেশি   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন