ইনসাইড বাংলাদেশ

সব নগরে সংকট এক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:২০ পিএম, ১৪ জুলাই, ২০১৭


Thumbnail

নগরায়ন হচ্ছে। ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরগুলোতে হচ্ছে দালানকোটা। কিন্তু পরিকল্পনার অভাবে সব শহরই পরিণত হচ্ছে আবর্জনায়। সব শহরই জলাবদ্ধতায় ডুবে যাচ্ছে সামান্য বৃষ্টিতেই। সব শহরের ভোগান্তি একই।
 
জলযটে ঢাকার যে অবস্থা তাতে এটাকে নিত্য বন্যা বলা চলে। বন্যা যেমন একটানা কয়েকদিন থাকে তেমনি ঢাকার অনেক এলাকার মানুষই বর্ষাকালে একপ্রকার পানিবন্দী জীবন যাপন করেন। পার্থক্য বন্যার্তদের ত্রাণ লাগে, আর ঢাকাবাসীর ত্রাণ লাগে না। তবে ভোগান্তি বন্যার্তদের চেয়ে কোনো অংশে কম না। কর্মস্থল, শিক্ষাপ্রষ্ঠিান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, এমনকি কবরস্থানও জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পায় না। একদিকে বিশুদ্ধ পানির সংকট অন্যদিকে নোংরা পানির জলাবদ্ধতা নগরবাসীকে দুশ্চিন্তায় রাখছে সারাক্ষণ। খবরের কাগজ আর মিডিয়ার টকশোর বিষয় থাকে জলাবদ্ধতা। বর্ষা শেষ তো জলাবদ্ধতার ইস্যুও শেষ।
 
সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় জলাবদ্ধতার যে অবস্থা তাতে এখনই ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে ঢাকার পানিতেই ডুববে ঢাকা। পানি বের হওয়ার যেমন উপায় নেই, তেমনি সারা শহর কংক্রিটে আবৃত হওয়ায় পানি ভুপৃষ্ঠে ফেরত যাওয়ারও উপায় নেই। তার উপর নদীনালা, খাল, ড্রেনের অবৈধ দখলের মহোৎসব তো রয়েছেই। ঢাকায় জলাবদ্ধতার জন্য একযোগে কাজ করতে হবে দুই ঢাকা সিটি করপোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ভূমি প্রশাসন আর জেলা পরিষদকে। 
 
জলাবদ্ধতা সংকট চেপে ধরেছে রাজশাহীকেও। হালকা কিংবা ভারী বৃষ্টিপাতে উপশহরসহ গোটা নগরীই জলে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। রাজশাহীতে বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় রাস্তায় জাল দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য দেখলেই সেখানকার পরিস্থিতি কতটা সঙিন তা বোঝা যায়। রাজশাহীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে এখন প্রধান অন্তরায় দুর্নীতি। এখানে পরিকল্পনা হয়েছে, দেওয়া হয়েছিল বাজেটও। কিন্তু উন্নয়নের পরিবর্তে হয়েছে বিরাট দুর্নীতি। গত তিন বছরে রাজশাহীতে ৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫১ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণের কাজ হয়েছে। বাস্তবে কাজ আর হয়নি, হয়েছে হরিলুট। ড্রেন তৈরির সঙ্গে সঙ্গেই সেগুলো ভেঙ্গে পড়ে। এই ভাঙ্গা ড্রেনে কোন পানি অপসারিত হয় না। সরকারের টাকা গচ্চা গেছে পুরো প্রকল্পেই। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির ফল ভোগ করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। রাজশাহীর জলাবদ্ধতা দুর করতে প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন করতে হবে সকল প্রকার দুর্নীতির উর্দ্ধে থেকে। আর সেই সঙ্গে এসব দুর্নীতিবাজদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। 
 
সিলেট শহরটি মূলত ছোট ছোট বিপুুল সংখ্যাক টিলাবেষ্টিত। তাই যখন বৃষ্টি হয় তখন, তখন সব পানি নিচু এলাকার দিকে প্রবাহিত হয়। ফলে এই শহরে একই সময়ে একসঙ্গে অনেক পানি প্রবাহিত হয়। সিলেটে জলাবদ্ধতার শুরুতে থাকে পানির ¯্রােত। পানির ¯্রােতে হালকা যানবাহন ভেসে যাওয়ার নজিরও এ অঞ্চলে রয়েছে। এরপরই পানি জমতে থাকে সড়ক আর বাসাবাড়িতে। পানি নিস্কাশনের জন্য সিলেট নগরীর ভেতর ১২ টি খাল ও ছড়া রয়েছে। কিন্তু খালের অস্তিত্ব শুধু মানচিত্রেই। ছড়াগুলো সংকীর্ন হয়ে পড়েছে। অনেক স্থানে ছড়া ও খালের কোনো অস্তিত্বই নেই। ছড়া ও খালের উভয় পাশ ভরাট করে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। অনেকে খাল ভরাট করে দালান নির্মাণ করেছে। ছড়া ও খাল উদ্ধারে বছর বছর নেওয়া হয় পরিকল্পনা। কিন্তু পরিকল্পনা আর বাস্তবায়ন হয়না, খালও উদ্ধার হয়না, জলবদ্ধতাও কমেনা।
 
খুলনা শহর গড়ে উঠেছে নদীর তীরে। খুলনায় জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং খাল দখল। এসব এলাকায় নগরায়ন এতটাই অপরিকল্পিত যে কোথাও কোথাও পানি নিস্কাশনের ড্রেনটাও নেই। তার উপর এই অঞ্চলে খাল দখল যেন একটি উৎসবে পরিণত হয়েছে। এছাড়া খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষেরও অভিযোগ রয়েছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। খুলনার জলবদ্ধতা আগে তেমন প্রকট না হলেও সম্প্রতি জলাবদ্ধতা যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে স্থায়ীত্ব। সুষ্ঠ নগর পরিকল্পনার মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যবস্থা না নিলে ঢাকা, চট্টগ্রামের মতো অবস্থা হতে পারে এ শহরটিরও। 
 
ঢাকার পরে সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতা চট্টগ্রাম নগরীতে। বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর নগরী চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার দায় নেয় না কেউ। কিছুদিন পর পর নেওয়া হয় পরিকল্পনা, মহাপরিকল্পনা, আরও কত কি! কিন্তু জলাবদ্ধতা আর কমেনা। জলাবদ্ধতা নিরসনের কথা বলে একেকজন নগরপিতা হন। আর নগরপিতা হওয়ার পর দুষতে থাকেন সাবেক মেয়রদের। এভাবেই চলছে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার সংকট নিরসন। জল দুর করতে সাবেক তিন মেয়র জলে ঢেলেছেন ৩০০ কোটি টাকা। ফলাফল শূণ্য। বিশ্লেষকরা বলছেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা যে কোন অঞ্চলের চেয়ে একটু জটিল। এ অঞ্চলের খালগুলো সক্রিয় থাকাটাও একটা ফ্যাক্টর। জোয়ারের কারণে স্বাভাবিকভাবে খালে পানি আসে। তার ওপর ভারী বৃষ্টিপাতে বাড়ে পানির চাপ। ফলে প্লাবিত হয় পুরো নগরী। বার বার জোয়ার ভাটার কারণে পলি পরে খাল হয়ে যায় ভরাট। ময়লা-আবর্জনা আর খাল দখলের লড়াই তো আছেই। সবকিছু মিলে পুরো শহরের জলাবদ্ধতা দিন দিন কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন আর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতায় জটিলতাও বাড়ছে। তাই চট্টগ্রামের জলবদ্ধতা নিরসনে মহাপরিকল্পনা করতে হবে সমন্বয় করে। অনেক সময় প্রকল্প বাস্তবায়নের পর সুফল পাওয়ার পরিবর্তে প্রকল্পটি হয়ে ওঠে গলার কাঁটা। তাই সবগুলো সম্ভাবনা আর ঝুঁকির কথা চিন্তা করেই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে হবে।
 
 বাংলা ইনসাইডার/এএন


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের রূপান্তরের রূপকার শেখ হাসিনা: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০২:১৪ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনে উন্নয়ন, অর্জন আধুনিকতায় বাংলাদেশ বদলে গেছে। গ্রাম হয়েছে শহর। সেই বাংলাদেশের রূপান্তরের রূপকার এক কথায় শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) তেজগাঁওয়ের রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানায় সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সুষম খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন। ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দলটির ত্রাণ সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটি।

তিনি বলেন, ১৫ বছর ধরে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতার রাজনীতিতে অধিষ্ঠিত আছেন। এই ১৫ বছর আগে আর পরে বাংলাদেশের আজকে কী পার্থক্য দেখতে পান? ওই বাংলাদেশের সাথে এই বাংলাদেশের কোনও মিল নেই। ১৫ বছর আগের আর আজকের ঢাকা শহর দিন-রাত পার্থক্য।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ফিরে এসেছিলেন বলেই গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে। সংসদে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা আমরা করতে পেরেছি। স্বপ্নের মেট্রোরেল হয়েছে। নিজের টাকায় পদ্মাসেতু করতে পেরেছি।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।


বাংলাদেশ   রূপকার   শেখ হাসিনা   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৭ দিনের স্থিতাবস্থা

প্রকাশ: ০১:৪৯ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নির্বাচন ৭ দিনের জন্য স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মো. তাজুল ইসলাম তাজের মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে তাজের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম, সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। ইসির পক্ষে ছিলেন এম খালেকুজ্জামান।

এর আগে গত ৯ মে মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মো. তাজুল ইসলাম তাজের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও মো. আখতারুজ্জামানের যৌথ বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

জানা গেছে, গত ২৮ এপ্রিল মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মো. তাজুল ইসলাম তাজের মনোনয়নপত্র আপিল শুনানিতে বাতিল ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ও আপিল কর্তৃপক্ষ ড. উর্মি বিনতে সালাম।

এরপর তাজুল ইসলাম তাজ মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে উচ্চ আদালত রিট আবেদন করেন। ইসি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, তাজুল ইসলাম তাজ সাজাপ্রাপ্ত আসামি।


উপজেলা নির্বাচন   আদালত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ৩ হাজার কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১ টায় সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই আয়োজন করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

 

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, লক্ষ্মীপুর-৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু।

 

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাসান ইমাম জানান, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের বরাদ্দ ২০২৪-২০২৫ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ৩ হাজার কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে জনপ্রতি ১ বিঘা আবাদের জন্য আউশ ধান (উফশী) বীজ ৫ কেজি, রাসায়নিক সার ডিএপি ১০ কেজি, এমওপি ১০ কেজি এবং সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় সরকারি ভুর্তকি মূল্যে ১টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। 

পরে উপকার ভোগীদের হাতে সার ও বীজ তুলে দেন অতিথিরা।


সার ও বীজ   কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর থানার ওসি আকস্মাৎ বদলি, চাঁদাবাজির অভিযোগ!

প্রকাশ: ০১:০৯ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানার ওসি খায়রুল বাসারকে আকষ্মাৎ বদলি করে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপর কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে তাকে এ বদলি করা হয় বলে জানা গেছে।  

 

সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পুলিশের রুটিন ওয়ার্ক হিসাবে ওসি খায়রুল বাসারকে বদলি করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া তার স্থলে ওসি তদন্ত মোঃ আসলাম আলীকে ভারপ্রাপ্ত ওসি হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

 

মাত্র ৭ মাসের মাথায় তাকে বদলির বিষয়ে একটি সূত্র জানায়, শাহজাদপুর পৌর সদরের আমানত শাহ লুঙ্গির এজেন্ট লিমনের কাছে থেকে ২০০ পিস লুঙ্গি চাঁদাবাজি করে নেওয়ার অভিযোগে তাকে বদলি করা হয়েছে।

 

এ বিষয়ে আমানত শাহ লুঙ্গির এজেন্ট লিমন জানান, ‘শাহজাদপুর থানার ওসি খায়রুল বাসার কিছুদিন আগে তার শো-রুমে ফোর্স পাঠিয়ে ২০০ পিস লুঙ্গি চাঁদা হিসাবে দাবি করে। এতো লুঙ্গি তাকে দিতে অস্বীকার করলে তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এ বিষয়ে আমি একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। হয়তো এ কারণে তার এ বদলি হতে পারে।’

 

শাহজাদপুর থানার ওসি খায়রুল বাসার এ অভিযোগ অস্বীকার করে।

 

এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আসলাম আলী বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এটা উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের বিষয়। এ সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই।

এদিকে শাহজাদপুর থানার ওসির অকস্মাৎ বদলির আদেশের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ কিছু নিশ্চিত করে না বলায় জনমনে চাঁদাবাজির বিষয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। 


ওসি   বদলি   থানা   চাঁদাবাজি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পথ ধরেই বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

শেখ হাসিনা স্বদেশে ফিরে না আসলে আমাদের কোন স্বপ্নই সফল হত না। বঙ্গবন্ধুকন্যা পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রায় আমরা দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে চলেছি।

দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা । বাংলাদেশের মানুষের ভাগোন্নয়নে তার গৃহীত বলিষ্ঠ সব পদক্ষেপ তাকে বিশ্বজুড়া খ্যাতি এনে দিয়েছে । শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।

সতের মে ছিল শেখ হাসিনা ও স্বাধীনতায় বিশ্বাসী মানুষটির কান্না ঝরানোর দিন। শেখ হাসিনা সেদিন জনসভায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছিলেন, “আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছুই নেই এবং হারাবারও কিছুই নেই। আমি মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছি জীবন। আমি মানুষের কল্যাণ চাই।”

সেদিন মিটিং শেষে শেখ হাসিনা পিতৃগৃহে ফিরে যেতে পারেন নি জিয়ার বাঁধার কারণে। এরপর চলে শেখ হাসিনার সংগ্রাম, লড়াই ও গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য অবিনাশী আন্দোলন। এ আন্দোলনে বার বার তাকে মৃত্যুমুখে পতিত হতে হয়েছে। কিন্তু বিধাতার অসীম কৃপায় আজও তিনি বেঁচে আছেন। দেশ ও জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন।

শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা বিদেশে অবস্থানকালে ঢাকার ৩২ নম্বর সড়কের ৬৭৭ নম্বর বাড়িতে ঘটে নারকীয় ঘটনা। দেশী বিভীষণ, বিদেশী ষড়যন্ত্র ও স্বাধীনতা বিরোধী একটি চিহ্নিত চক্রের প্রত্যক্ষ মদদে একদল নরপশু বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

পনেরই আগস্ট শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা কোথায় ছিলেন? ছিলেন ব্রাসেলসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সানাউল হকের বাসায়। আগস্টের নারকীয় ঘটনার পরে এই মানুষটি এতিম দুই বোনকে বাসা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। ঐদিন জাতীয় সংসদের প্রাক্তন স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর পাঠানো গাড়িতে  শোকাতুর দুই বোন জার্মানি ফিরেছিলেন। এরপর পঁচাত্তর থেকে একাশির ১৭ মে পর্যন্ত শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনার দুঃসহ জীবন। তখন স্বদেশে ফিরার কথা চিন্তাও করা যেত না।

১৫ আগস্টের পর খুনি মোশতাক ও জিয়ারা অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি বনে যান। খন্দকার মোশতাক প্রায় তিন মাস ক্ষমতায় ছিলেন। এরপর জিয়ার সকল পাকিস্তানি কর্মকাণ্ড। যথাক্রমে- বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের রেহাই দান, জিন্দাবাদ প্রবর্তন, বাঙালির পরিবর্তে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রবর্তন, সংবিধানের মূল স্তম্ভ পরিবর্তন, মুক্তিযুদ্ধের পরিবর্তে স্বাধীনতা যুদ্ধ সংযোজন, সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার অবলুপ্তি ঘটিয়ে দেশটিকে হাফ পাকিস্তানে পরিণত করেন। একাত্তরের চরম শত্রু শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেন জিয়াউর রহমান। এভাবেই জিয়া ক্ষমতায় ছিলেন ১৯৮১ সাল পর্যন্ত। জিয়া আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চালায় স্টিম রোলার। বঙ্গবন্ধু শব্দটি ছিল নিষিদ্ধ। এক সময় জিয়া সেনানিবাসে রাজনৈতিক দল গঠন করে রাজনীতি শুরু করেন। খালেদ মোশাররফ ও কর্নেল তাহেরদের ঠান্ডা মাথায় খুন করেন। অপশাসন, সেনাভীতি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের নিধন ছিল তার নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।

এমনই এক কঠিন পরিবেশে শেখ হাসিনাকে স্বদেশে ফিরতে হয়। তখন তিনি সর্বহারা। শোক ও বেদনায় মূর্তিমান এক অবয়ব।

শেখ হাসিনা সকল ভয়ভীতি উপক্ষো করে নির্যাতিত নিপীড়িত বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দঢ়সংকল্প নিলেন। ভারতে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এ সময় মিত্রমাতা ইন্দিরা গান্ধীর সহায়তা লাভ করেন। ভারত তাকে একাত্তরের মতো আশ্রয় দিয়েছিল সেই দুঃসময়ে। 

দেশরত্ন শেখ হাসিনা এখন সারা বিশ্বে এক সুপরিচিত নাম। সে সুখ্যাতি তিনি অর্জন করেছেন নানামাত্রিক কর্মপ্রয়াসের অবিস্মরণীয় অধ্যায় রচনার মাধ্যমে। দক্ষ রাজনীতিবিদ-নীতি আদর্শ আর সততা এবং সাহসী উদ্যোগের অনন্য অসাধারণ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডের ফলে দেশ আজ উন্নয়নের বিশ্ব রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুকন্যার ক্ষেত্রে এ বিষয়টি বারবার উচ্চারিত হয়েছে যে, তিনি সকল ক্ষেত্রে অসামান্য সোনালি অধ্যায় রচনা করতে সমর্থ হয়েছেন, তা আজ সচেতন নাগরিক সমাজ একবাক্যে স্বীকার করছে।


শেখ হাসিনা   রোল মডেল   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন