নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের দ্বিতীয় ধাপ পেরোলো বাংলাদেশ। আজ শনিবার বিকেলে যখন এই সুখবরটি জাতিকে জানাতে সংবাদ সম্মেলনে এলেন প্রধানমন্ত্রী, তখন শাহবাগে চলছিলো বাম ছাত্র সংগঠন গুলোর বিক্ষোভ। মুশতাক হত্যার বিচার এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবীতে তাদের এই আন্দোলন। জাতিসংঘ যখন বাংলাদেশের উন্নয়নে মুগ্ধ তখন কারাবন্দী লেখক মুশতাকের মৃত্যুতে উদ্বেগ জানালো ১৩টি দেশের ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূতরা। অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) ভুক্ত দেশ গুলো এক বিবৃতিতে তাদের উদ্বেগ উৎকণ্ঠার কথা জানায়।
বাংলাদেশ উন্নয়ন শীল দেশে উত্তরণের সাফল্য কেবল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নয়। গোটা দেশের। দেশের সব মানুষের এই আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা আমাদের বড় অর্জন গুলোকে ম্লান করে দিচ্ছে।
আজ খুলনায় বিএনপির একটি সমাবেশ করার কথা ছিলো। অস্তিত্বের সংকটে ধুকতে থাকা দলটি সমাবেশে দেশের রাজনৈতিক ক্যানভাসে কোন পরিবর্তন হতো না। কিন্তু অতি উৎসাহীরা সরকারকে খুশী করতে ২৪ ঘণ্টা পরিবহন চলাচল বন্ধ করলো। বিএনপির লাভ হলো, ক্ষতি হলো আওয়ামী লীগের। এগুলো পুরনো বস্তাপচা স্বৈরাচারী কৌশল। বিএনপি-জামাত জোট ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সময়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির এরকম সমাবেশ বানচালের নানা কূটকৌশল করেছিল। ফেরী বন্ধ রাখা, গাড়ী বহরে হামলা, নেতাদের বিরুদ্ধে কাপ-চামচ চুরির মামলা দিয়েছিল। মানুষ এসব পছন্দ করেনি। এখনো যারা বিরোধী দলের সমাবেশ বন্ধে এরকম নোংরা কৌশল আনে, তারা আসলে সরকারের শুভাকাঙ্ক্ষী কিনা ভাবা দরকার।
শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষার দাবীতে আন্দোলন করছে। এই আন্দোলনে লাঠিপেটা করা হবে কেন? কারা এসব করছে? এরা কি সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উস্কে দিতে চায়?
পৌরসভা নির্বাচনে যেকোনো মূল্যে জেতার নোংরা খেলায় কারা মাতছে? এরা কি আওয়ামী লীগের শুভার্থী। দু:সময়ে এরা কি পাশে থাকবে? এদের জন্য গোটা নির্বাচন ব্যবস্থাই প্রশ্ন বিদ্ধ হচ্ছে।
গত এক যুগে আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক অর্জন। কিন্তু কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনায় পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, কর্ণফুলী টানেলের মতো উন্নয়ন স্বারক গুলো ম্লান হয়ে যাচ্ছে। তাই এই বিচ্ছিন্ন ঘটনা কারা ঘটাচ্ছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। অতি উৎসাহী, চাটুকারদের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে সরকারকে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ডা. সামন্ত লাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ঢাকা-৪ ড. আওলাদ হোসেন জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীলতা, বাজার ব্যবস্থাপনায় অসামঞ্জস্যতা এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সূত্রে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়ার শঙ্কা থাকে। এছাড়া, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে পণ্য সরবরাহের সাপ্লাই-চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে মূলত ইরান বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট পরিবহন খরচ বাড়তে পারে। এতে পণ্য তৈরি ও সরবরাহ ব্যয় বাড়ায় রপ্তানিকারকরা কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে পারেন।’
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের আশঙ্কার বিষয়ে দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দেশ দিয়েছি যাতে প্রত্যেকে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখে এবং এ বিষয়ে নিজ নিজ করণীয় নির্ধারণ করে। সংঘাত দীর্ঘ হলে কোন কোন সেক্টরে প্রভাব পড়তে পারে তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো সংঘাত বা সংঘাতের খবর জ্বালানি তেলের বাজারকে প্রভাবিত করে। এতে পণ্যের জাহাজ ভাড়া বাড়ে। যা আমদানি ব্যয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। সার আমদানি ব্যয়ে প্রভাব পড়ে। এতে বিকল্প উৎস হিসেবে চীন, মরক্কো, তিউনেশিয়া, কানাডা, রাশিয়া ইত্যাদি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সংকট আরও ঘনীভূত ও দীর্ঘায়িত হলে তা বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ
মন্তব্য করুন
ভোটের বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, দিনাজপুরের হাকিমপুরে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কামাল হোসেন ২২ হাজার ২৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ টেলিফোন প্রতীকে ১৯ হাজার ৩৭৮ ভোট পেয়েছেন।
সারা জীবন চাকরি করছেন। চাকরি করলেও তিনি একজন ভিশনারি সরকারি চাকুরে ছিলেন। একটা লক্ষ্যে সারা জীবন নিজেকে নিবেদিত করেছেন। একটা লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তিনি জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। মানবসেবাই তাঁর ব্রত। বাংলাদেশে দগ্ধ মানুষের জন্য তিনি একজন ত্রাতা এবং দগ্ধ মানুষের চিকিৎসার জন্য তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বে সমাদৃত। একজন মানবিক চিকিৎসকের প্রতিরূপ তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’