নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২২ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আবারও আদালত বসছে আজ। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় এই নিয়ে চতুর্থ বারের মতো কারাগারে আদালত বসছে। তবে সর্বশেষ দু’বারের মতো আজও আদালতে উপস্থিত থাকবেন না বেগম জিয়া। অসুস্থতার কথা বলেই তিনি আজ আদালতে হাজির হচ্ছেন না বলে জানা গেছে।
বেগম জিয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পাঁচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড সম্প্রতি কারাগারে গিয়ে বেগম জিয়াকে দেখেছে। পরীক্ষার পরদিন মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে নেই বেগম জিয়া। মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক আব্দুল জলিল চৌধুরী (ইন্টারনাল মেডিসিন) বাংলা ইনসাইডারকে, বেগম খালেদা জিয়ার তেমন কোনো অসুস্থতা নেই। তাঁর যেসব অসুখ দেখা গেছে তার সবই বার্ধক্যজনিত। হাসপাতালে নিয়ে বেগম জিয়ার কিছু টেস্ট করার কথা আমরা বলেছিলাম। তবে বেগম জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার মতো কোনো অসুখ নেই।
অথচ বেগম জিয়া গতকাল কারাগারে আসা তাঁর আইনজীবীদের বলেছেন, তিনি আদালতে যেতে প্রস্তুত কিন্তু শরীর ভালো না থাকায় তিনি যেতে পারছেন না। বেগম জিয়াকে প্রথম যখন কারাগারের আদালতে নেওয়া তখন বলেছিলেন, এই আদালতে তিনি আর আসবেন না। যা খুশি রায় আদালত চাইলে দিতে পারে। এরপর থেকে প্রতিবারই আদালতে বলছেন অসুস্থতার জন্য তিনি আদালতে হাজির হতে পারবেন।
অনেকের মনে প্রশ্ন উঠতেই পারে, অসুস্থতার কথা বলে বেগম জিয়ার চ্যারিটেবল মামলার কার্যক্রম ব্যাহত করে লাভ কোথায়? উওরটা দিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাঁদের মতে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৫ বছরের জন্য দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যাওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় দণ্ডিত হলে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের সব যোগ্যতাই হারাবেন। অরফানেজ মামলায় দণ্ডিত হলেও বেগম জিয়ার আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের আশা এখনো বেঁচে আছে। অরফানেজ মামলার আপিল হাইকোর্টে চলছে। কোনোভাবে যদি মামলার কার্যক্রম নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পর্যন্ত টেনে নেওয়া যায়, তাহলে মামলা এখনো চলমান এই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বেগম জিয়াকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে পারেন। কিন্তু চ্যারিটেবল মামলায়ও দণ্ডিত হলে বেগম জিয়া দুই মামলায় দণ্ডিত হয়ে পড়বেন। তখন আদালত থেকে নির্বাচনের অনুমতি আর পাবেন না বেগম জিয়া। বিএনপি চেয়ারপারসন ভালোভাবেই জানেন চ্যারিটেবল মামলার শুনানিও শেষ পর্যায়ে যেকোনো সময় এর রায় হতে পারে। তাই শেষ সময়ে মামলার কার্যক্রম ব্যাহত করার প্রচেষ্টা।
গতকাল আইনজীবীদের বেগম জিয়া আবার বলেছেন, চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউ যাবেন না তিনি। সিএমএইচেও তিনি যেতে চান না। বেসরকারি হাসপাতাল ইউনাইটেড ছাড়া কোথাও যাবেন না তিনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এর পেছনেও আছে মামলা দীর্ঘায়িত করার প্রচেষ্টা। কারণ বিএসএমএমইউসহ সরকারি কোনো হাসপাতাল বা সিএমএইচ থেকে তিনি অসুস্থতা ছাড়া অসুস্থতার কোনো সার্টিফিকেট পাবেন না। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে প্রভাব খাটিয়ে তিনি অসুস্থ এমন একটি সার্টিফিকেট পাওয়া বিএনপি চেয়ারপারসনের জন্য কঠিন কিছু নয়। বেগম জিয়ার আদালতে না যাওয়া এবং অসুখ দুটোই যেমন রাজনৈতিক তেমনি রাজনৈতিক তাঁর বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার বিষয়টি।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন ওবায়দুল কাদের শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি তারেক জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি ও উচ্চতা, এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লজ্জিত হন। পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝাই উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। সে উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত হন। বিএনপির শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।
বিশ্বে চলমান যুদ্ধ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও এ যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।
বিএনপি আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।