ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ওমিক্রনের বিস্তারে মহামারী অবসানের পথে

প্রকাশ: ০২:০৫ পিএম, ১২ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail ওমিক্রনের বিস্তারে মহামারী অবসানের পথে

টিকাদান ছাড়াও ওমিক্রনের বিস্তারের কারণে প্রাকৃতিকভাবেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি তৈরি হবে। আমরা এমন একটি দৃশ্যের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাবো যে, যা মহামারি অবসানের কাছাকাছি হবে। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার করোনাভাইরাসকে একটি সাধারণ স্থানীয় রোগের দিকে নিয়ে যাচ্ছে; যাকে সঙ্গী করে মানুষ বাঁচতে পারে। 

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ) করোনাভাইরাস মহামারির বিষয়ে এই আশার বাণী শুনিয়েছে।

সাধারণ জনগণকে করোনাভাইরাসের টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে ইএমএ। সংস্থাটি বলেছে, বারবার বুস্টার ডোজ মহামারি মোকাবিলার টেকসই কোনও কৌশল নয়।

ইএমএ ভ্যাকসিন-কৌশলের প্রধান মারকো ক্যাভালেরি বলেছেন, কেউই জানেন না, ঠিক আমরা কখন সুরঙ্গের শেষ মাথায় পৌঁছবো। তবে আমরা সেখানে পৌঁছবোই। ওমিক্রনের উল্লম্ফন আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর চাপ প্রয়োগ করছে। আমরা এখনও মহামারির মাঝে রয়েছি, আমাদের সেটি ভুলে যাওয়া উচিত নয়।

ইএমএর প্রধান মারকো ক্যাভালেরি বলেছেন, প্রত্যেক চার মাস পর পর যদি আমাদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার কৌশল থাকে, তাহলে আমাদের শরীরে ইমিউনিটির প্রতিক্রিয়া নিয়ে সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দ্বিতীয়ত ধারাবাহিকভাবে বুস্টার ডোজ প্রয়োগের ফলে মানুষের মধ্যে এক ধরনের অবসাদ তৈরির ঝুঁকিও আছে।

তিনি বলেছেন, বারবার বুস্টার ডোজ প্রয়োগের পরিবর্তে দীর্ঘ বিরতি দিয়ে এবং শীতকাল শুরুর আগে দেশগুলো বুস্টার ডোজ প্রয়োগ শুরুর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করতে পারে; যেভাবে বর্তমানে অন্যান্য ফ্লু ভ্যাকসিনের প্রয়োগ করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানায়, আগামী দুই মাসের মধ্যে ইউরোপের অর্ধেকের বেশি মানুষ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হতে পারেন। কোভিডের বারবার বুস্টার ডোজ মহামারি মোকাবিলার স্থায়ী কৌশল নয় বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার মতো একইভাবে সতর্ক করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

পৃথকভাবে ইএমএ বলছে, অতি-সংক্রামক হওয়া সত্ত্বেও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি ডেল্টা প্রজাতির তুলনায় এক তৃতীয়াংশ বলে বিভিন্ন গবেষণায় নিশ্চিত করা হয়েছে।

ওমিক্রন   করোনা   সংক্রমণ   ডব্লিউএইচও  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬ জনে

প্রকাশ: ০৯:৩৭ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভয়াবহ বন্যায় আরও বিপর্যস্ত পড়েছে ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল। আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় পানি বাড়ার শঙ্কায় বানভাসীরা। এদিকে মৃতের সংখ্যা ঠেকেছে ১২৬ জনে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসির।

বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। চারদিকে পানি আর পানি। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি। পানিবন্দি দেশটির লাখ লাখ বাসিন্দা। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১শ। নিখোঁজ প্রায় ১৪১ জন। বাস্তুহারা হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ। এরমধ্যে আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর।

দুর্গতদের সাহায্যে উদ্ধারকর্মীদের পাশাপাশি এগিয়ে এসেছে স্থানীয় প্রশাসনসহ বিমান বাহিনী এবং ক্রীড়াবিদেরা। ত্রাণ বিতরণ, মানুষ ও পোষা প্রাণিদের উদ্ধারের সহায়তার পাশাপাশি অনুদান নিয়েও এগিয়ে এসেছেন অনেক খেলোয়াড়। আসন্ন অলিম্পিকের স্বপ্নকে দূরে ঠেলে বন্যা কবলিত অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তারা।

সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে আছে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলের বাসিন্দারা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, প্রদেশের রাজধানী পোর্তো অ্যালেগ্রে এবং আশেপাশের শহরে পানির স্তর আরো বাড়তে পারে। এদিকে, বন্যার কারণে বিকল হয়ে পড়েছে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। সঙ্কট দেখা দিয়েছে নিরাপদ খাদ্য ও পানির।

এদিকে, বন্যায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন শহর সাও জেরোনিমোতে হেলিকপ্টারে ত্রাণ সরবরাহ করছে দেশটির বিমানবাহিনী। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অতিরিক্ত বৃষ্টিতে শহরটির পাশে বয়ে যাওয়া জাকুই নদীর পানি ফুলে ফেপে উঠেছে। এতে ডুবে গেছে অসংখ্য ঘরবাড়ি।


ব্রাজিল   বন্যা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জাপানে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ফ্রেন্ডশিপ ম্যারিজ

প্রকাশ: ০৯:২৭ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

নতুন এক ধরনের সম্পর্ক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এশিয়ার দেশ জাপানে। ইংরেজিতে যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফ্রেন্ডশিপ ম্যারিজ’। দেশটির যুব সমাজের মধ্যে ক্রমশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এই প্রবণতা।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সম্পর্কে জড়িতরা যৌন সম্পর্ক না গড়ে প্লেটনিক অংশীদার হয়ে উঠছে। জাপানের জনসংখ্যা ১২ কোটি ৪০ লাখ। তার মধ্যে শতকরা প্রায় এক ভাগ এমন সম্পর্ককে বেছে নিচ্ছে। অর্থাৎ এমন সম্পর্কে লিপ্ত মানুষের সংখ্যা হাজার হাজার। তারা অভিন্ন মূল্যবোধ এবং স্বার্থের ভিত্তিতে জড়াচ্ছে এ সম্পর্কে।

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ একটি এজেন্সির নাম কালারাস। নতুন এই প্রবণতা সম্পর্কে ডাটা শেয়ার করেছে তারা। তাদের তথ্যানুযায়ী, ২০১৫ সালের মার্চ থেকে এই ধরনের বৈবাহিক সম্পর্কে যুক্ত হয়েছেন জাপানের ৫০০ মানুষ। এমনকি কোনও কোনও সম্পর্কে সন্তান লালন-পালন করছে।

ফ্রেন্ডশিপ ম্যারিজ : ফ্রেন্ডশিপ ম্যারিজ হচ্ছে এমন একটি সম্পর্ক যেখানে অংশীদাররা আইনগতভাবে দম্পতি। কিন্তু তাদের মধ্যে কোনও রোমান্টিক ভালোবাসা বা যৌন সম্পর্ক নেই। তারা একসঙ্গে বা আলাদাভাবে বসবাস করতে পারেন। কৃত্রিম পদ্ধতিতে দম্পতিরা সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্তও নিতে পারেন।

এই সম্পর্কে লিপ্ত দু’জন ব্যক্তি অবাধে অন্যদের সঙ্গে বিয়ে বাদে সম্পর্ক গড়তে পারেন। কারণ, এ বিষয়ে পারস্পরিক সমঝোতার চুক্তি থাকে। তিন বছর ধরে এমন সম্পর্কে লিপ্ত আছেন এমন একজন বলেছেন, ফ্রেন্ডশিপ ম্যারিজ হল- এমন একটি ব্যবস্থা যেমন একই স্বার্থে একজন রুমমেট খুঁজে নেওয়া। আমি কারও গার্লফ্রেন্ড হতে চাই না। কিন্তু আমি একজন ভালো বন্ধু হতে চাই। আমি এমন একজনকে চাই, যার সঙ্গে একই আনন্দ ভাগ করতে পারব। চ্যাট করতে পারব। হাসি-তামাশা করতে পারব।

এই অ্যারেঞ্জমেন্ট প্রথাগত রোমান্টিক ভালোবাসা বা একজন বেস্টফ্রেন্ডকে বিয়ে করা নয়। পক্ষান্তরে এই ব্যবস্থার অধীনে দম্পতিরা বিয়ের আগে দেখা-সাক্ষাৎ করে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এমনকি দিনের পর দিন দিন তাদের জীবন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে। যেমন- তারা একসঙ্গে খাবার খেতে চায় কি না। কীভাবে তারা খরচ করবে। কে কাপড় লন্ড্রি করবে। কীভাবে রেফ্রিজারেটরের জন্য জায়গা বের করবে।

কারা বেছে নিচ্ছেন এই প্রথা? এই রীতিতে যারা আগ্রহী তাদের গড় বয়স ৩২.৫ বছর। জাতীয় গড়ের চেয়ে তাদের আয় বেশি। অযৌন সম্পর্কে লিপ্ত এবং সমকামিতায় লিপ্ত ব্যক্তিরাও এ সম্পর্কে জড়িত হচ্ছেন। তারা প্রচলিত বিয়ে থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। অনেক সমকামী আছেন, যারা প্রচলিত বিয়ে বা ভালোবাসার সম্পর্ক পছন্দ করেন না। তারা সামাজিক চাপে থাকেন। ফলে তারাও এখন এই প্রবণতাকে আলিঙ্গন করছেন। যদিও এই সম্পর্কের ইতি হচ্ছে বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে, তবে সুবিধা হল তারা পলিসি সুবিধা পাচ্ছে। কালারাস বলেছে, এই সম্পর্ক রোমান্টিক না হলেও শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ এই সম্পর্কের দম্পতিরা একসঙ্গে সুখেই বসবাস করছেন। অনেক ক্ষেত্রেই কিছু দম্পতির একসঙ্গে সন্তানও আছে।


জাপান   জনপ্রিয়   ফ্রেন্ডশিপ   ম্যারিজ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউরোভিশন সং কনটেস্টে ইসরায়েলি গায়িকা, বিক্ষোভে উত্তাল সুইডেন

প্রকাশ: ০৯:১৪ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলি এক গায়িকাকে গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়ায় প্রতিবাদ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে সুইডেন। বৃহস্পতিবার হাজার হাজার মানুষ এর প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামে। ‘ইউরোভিশন সং কনটেস্ট’ শীর্ষক ওই প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের আগে বৃহস্পতিবার ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ দেশটির মালমো শহরের রাস্তায় নামে। এ প্রতিবাদে অংশ নেন বিশ্বব্যাপী পরিচিত পরিবেশ আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, গণহত্যায় অভিযুক্ত কোনো দেশের প্রতিযোগী এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে না। খবর বিবিসির।

পরিবেশ আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গ বলেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া আমাদের নৈতিক দায়বদ্ধতা। ইউরোভিশন সং কনটেস্ট চলাকালে যদি হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদ জানায়, তাহলে তা আয়োজকদের কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা দেবে ও পরিবর্তন আনতে বাধ্য করবে। এক বিক্ষোভকারী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, তিনি চান ইউরোভিশন সংগীত প্রতিযোগিতায় ইসরায়েলকে অযোগ্য ঘোষণা করা হোক। যেমনটি রাশিয়াকে করা হয়েছিল ইউক্রেনে পুরোদস্তুর রুশ আগ্রাসন শুরুর পর।

সুইডিশ পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রতিবাদকারীরা ফিলিস্তিনের পতাকা ও কেফিয়াহ নিয়ে রাস্তায় জড়ো হতে থাকেন। সে সময় তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মিছিল করে ও ফিলিস্তিনি পতাকার রঙের স্মোক ফ্লেম জ্বালায়। প্রতিবাদকারীরা জানিয়েছেন, তারা শনিবার (১১ মে) ফাইনালের আগে আবারও মিছিল করবেন।

জানা গেছে, বুধবার রিহার্সাল করার সময় থেকেই দুয়োধ্বনি শুনে আসছিলেন গোলান। তবে তার বক্তব্য ছিল, তিনি তার দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে গর্বিত ও কোনো কিছুই তাকে থামাতে পারবে না। বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের পর ‘হারিকেন’ নামক একটি গান গেয়ে প্রতিযোগিতার ফাইনালে পৌঁছেন গোলান। জার্মান বার্তাসংস্থা ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, গোলানকে তার গানের নামও বদল করতে হয়েছে। প্রথমে তার গানের নাম ছিল ‘অক্টোবর রেইন’।

গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে হামাসের চালানো হামলার সঙ্গে মিল থাকায় গোলানকে তার গানের নাম বদল করতে বলা হয়। গানের এ প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তা হলো ইউরোপীয় ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন (ইবিইউ)। ইবিইউ জানিয়েছে, ইউরোভিশন হলো অরাজনৈতিক সংগঠন।

কিন্তু সমালোচকরা বলেছেন, ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর রাশিয়া ও বেলারুশের প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। এ বছরের প্রতিযোগিতায় ফিলিস্তিনি পতাকাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাদের প্রশ্ন, রাশিয়া ও বেলারুশ যদি নিষিদ্ধ হতে পারে, তাহলে ইসরায়েল কেন নিষিদ্ধ হতে পারবে না।

এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় গোলানকে শুভকামনা জানান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দাবি, সুইডেনে সফলভাবে গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েলিদের মন জয় করে নিয়েছেন এ গায়িকা।


সুইডেন   বিক্ষোভ   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজার ৫০০ মসজিদ ধ্বংস, নিহত শতাধিক ইমাম

প্রকাশ: ০৮:৩১ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রায় সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে করে এখন পর্যন্ত গাজার হাজারো হাসপাতাল, বাড়ি-ঘর, ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে। এই আগ্রাসনে শত শত মসজিদও গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত বহু ইমাম এবং ধর্মবিষয়ক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

ফিলিস্তিনের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েল অন্তত ৩০০ ইমাম ও ধর্মীয় ব্যক্তিদের হত্যা করেছে। এছাড়া তারা ৫০০ এর অধিক মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি আংশিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে অসংখ্য মসজিদ। এ তালিকায় ঐতিহাসিক আল ওমারি মসজিদও রয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেতনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের এ বর্বরতা থেকে রেহায় পায়নি গির্জাও। দেশটির সেনাবাহিনীর হামলায় ঐতিহাসিক সেন্ট প্রোফাইরিস গির্জাসহ আরও তিনটি গির্জা ধুলায় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কোরআন পডকাস্ট ইনস্টিটিউটও হামলার শিকার হয়েছে।

ফিলিস্তিনের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, ফিলিস্তিনিদের বিশ্বাসকে ভেঙে দিতে ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় ব্যক্তিদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে ধর্মীয় স্থাপনা ও ব্যক্তিত্বরা আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে সুরক্ষিত। তাদের ওপর হামলা যুদ্ধাপরাধ।

তিনি জানান, ধ্বংসপ্রায় মসজিদেই তারা নামাজ আদায় করছেন। এছাড়া সেখানেই নতুন উদ্যোমে কোরআন শিক্ষা কার্যক্রমও চালু করেছেন তারা।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের প্রতি আমাদের বার্তা হলো আমরা সাধারণ ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধ করার জন্য পাশে চায়। বিশেষ করে আরব বিশ্বের ইসলামী ব্যক্তিত্বদের প্রতি আমাদের আহ্বান হলো আমাদের জনগণের ওপর চলমান ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতে কাজ করুন।


গাজা   ইসরায়েল   হামাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস

প্রকাশ: ০৭:৫৫ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস হয়েছে সাধারণ পরিষদে। শুক্রবার (১০ মে) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপিত হয়। পরে বিপুল ভোটে এটি পাস হয়। রায়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এদিন প্রস্তাবের পক্ষে সদস্যভুক্ত ১৯৩টি দেশের মধ্যে পক্ষে ভোট দিয়েছে ১৪৩টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ ৯টি। আর ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল ২৫টি দেশ।

বিপুল ভোটে প্রস্তাব পাস হওয়ায় ফিলিস্তিনের জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার দাবি আরও জোড়ালো হলো। বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য এখন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে গত মাসে ১৫ সদস্যের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই সেই আবেদন নবায়ন করে পুনরায় জমা দেয় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। সেই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতেই আজ ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব হওয়ায় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কিছু অতিরিক্ত অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে ফিলিস্তিন। যেমন, সাধারণ পরিষদের অ্যাসেম্বলি হলে জাতিসংঘের অন্য সদস্যদের মতো একটি আসন পাবে তারা। তবে ভোট প্রয়োগের কোনো ক্ষমতা তাদের হাতে থাকবে না।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের সাত মাস পেরিয়ে গেছে। এরই মধ্যে অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন বিস্তৃত করে চলেছে ইসরায়েল। বিষয়টিকে বেআইনি বলে মনে করে জাতিসংঘ। তাই জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পেতে বারবার চাপ দিচ্ছে ফিলিস্তিন।


ফিলিস্তিন   জাতিসংঘ   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন