ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ রূপ নিচ্ছে অর্থনৈতিক যুদ্ধে!

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২


Thumbnail রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ রূপ নিচ্ছে অর্থনৈতিক যুদ্ধে!

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধটি শেষ পর্যন্ত অর্থনৈতিক যুদ্ধে মোড় নিতে যাচ্ছে। আর এরইমধ্যে যুদ্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্ব বাণিজ্যে। দ্বিগুণ বেড়ে গেছে জ্বালানি তেলের দাম। আগুন ধরেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে। প্রভাব পড়ছে স্বর্ণের বাজারে। হু হু করে পতনের হচ্ছে বিশ্বের রাঘব-বোয়াল শেয়ারবাজারে। করোনা পরিস্থিতির পর বিশ্ব অর্থনীতি যখন কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নে বিভোর ঠিক তখনি পুতিন যেনো দুঃস্বপ্নের মত হাজির ময়দানে। এ যেনো স্নিগ্ধ জোছনা ভরা সুন্দর রাতে হুট করে আমাবস্যার কালো অন্ধকার। আর এই অন্ধকারই ঘিরে রেখেছে বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতিকে।   
 
ইইউয়ের সাথে একটি আগ্রাসী অর্থনৈতিক চুক্তি থেকে বের হয়ে এসে যখন ইউক্রেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ইয়ানোকোভিচ রাশিয়ার সাথে নতুন চুক্তি করেন তখন থেকেই জ্বলতে শুরু করে দেশটি। সেই রেশে ক্ষমতাচ্যুত হন পুতিনপন্থী ইয়ানোকোভিচ। তার বদলে রাশিয়া দখল করে নেয় ক্রিমিয়া। ক্রিমিয়া দখলকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা বিশ্বের চোখে এক ভিলেনে রূপ নেন পুতিন। শুরু হয় অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা। তবে সব ধরণের নিষেধাজ্ঞা এত দিন খুব ভালোভাবে সামলে এসেছিলেন তিনি। ইউরোপের সাথে রাশিয়ার তেল-গ্যাস বাণিজ্যতেও এর কোন প্রকার প্রভাব পড়েনি। ইউক্রেন যাতে রাশিয়ার তেল-গ্যাস বাণিজ্যতে কোন প্রকার বাঁধার কারণ না হয় তার জন্য বাল্টিক সাগরের তলদেশ দিয়ে সরাসরি রাশিয়া থেকে জার্মানি পর্যন্ত নির্মাণ করা হয় নর্ড স্ট্রিম ২ পাইপ লাইন। সব কিছুই ভালোই চলছিলো রাশিয়ার সাথে বিশ্ব অর্থনীতিরও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাধ সাধলেন পুতিন নিজেই। 

ইউক্রেন আক্রমণের পঞ্চম দিন আজ। এর মাঝে রাশিয়ার উপর একের পর এক আগ্রাসী অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান সহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার প্রধান চারটি ব্যাঙ্কের উপর আরোপ করেছে নিষেধাজ্ঞা। পশ্চিমা বিশ্বের অর্থনৈতিক অবরোধে প্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলার সম্পদ আটকে যেতে পারে রাশিয়ার। এর মধ্যে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যাংক শেরব্যাংকের নামও রয়েছে। রাশিয়াকে আর্থিক লেনদেনের আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা ‘সুইফট’ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশ। এর ফলে রাশিয়ান রুবলের দরপতন ঘটতে শুরু করেছে ইতিমধ্যে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সুইফটের নিষেধাজ্ঞা জারি হলে রাশিয়ার ব্যাংকগুলোর সঙ্গে অন্য দেশগুলো আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের আর্থিক লেনদেন করতে পারবে না। তখন দ্বিপক্ষীয় লেনদেনে যেতে হবে, যা সময়সাপেক্ষ। এতে ভোগ্যপণ্যের সরবরাহজনিত সংকটের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দামেও অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, তুরস্ক কৃষ্ণসাগরে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। এর ফলে সমুদ্রপথে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এরই মধ্যে ইংলিশ চ্যানেলে একটি রাশিয়ান জাহাজ আটক করেছে ফ্রান্স। জাহাজ চলাচল করতে না পারলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানিসহ খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাবে।

তিনি বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের খাদ্যপণ্যের ওপর নির্ভরশীল ইউরোপ ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। এ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের গম আমদানির প্রধান উৎসস্থল যুদ্ধরত দেশ দুটি। ফলে যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব শুধু ইউরোপ নয়, এটি এশিয়া থেকে দূরপ্রাচ্যে ছড়িয়ে যেতে পারে।

যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে সোনার বাজারে। আন্তর্জাতিক বাজারে বৃহস্পতিবার সোনার দাম আউন্সপ্রতি (২৮ দশমিক ৪ গ্রাম) ২ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৯৬৮ ডলারে বিক্রি হয়েছে। যদিও পরদিন শুক্রবার স্পট মার্কেটে সোনার দাম প্রতি আউন্স ১ হাজার ৯০৯ ডলারে নেমে আসে। সাপ্তাহিক ছুটির পর আজ আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও সোনার দর কোথায় যায় সেটিই এখন দেখার বিষয়।

বিশ্ব বাজারে তেল রপ্তানিকারক বড় খেলোয়াড়দের মাঝে রাশিয়া অন্যতম। দেশটির ইউক্রেন আগ্রাসনের ঘোষণার সাথে সাথেই এর প্রভাব যেই বস্তুটির উপর পড়েছে সেটি হচ্ছে তেল। বিশ্ববাজারে তেলের দাম নিয়ে শুরু হয়েছে অস্থিরতা। যুদ্ধের পাঁচ দিনে ব্যারেলপ্রতি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম উঠে সর্বোচ্চ ১০৫ ডলারে। যদিও গতকালের হিসেবে তা উঠা নামা করছিলো ছিল ৯৮ থেকে ১০২ ডলারের কাছাকাছি। ২০১৪ সালের পর গত সাত বছরে ১০৫ ডলার তেলের দাম ছিলো সর্বোচ্চ রেকর্ড। 

তেলের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে বিশ্ব বাজারে বেড়ে গেছে অন্যান্য নিত্য ভোগ্যপণ্যের দামও। সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার কারণে এমনিতেই করোনা মহামারীর শুরু থেকেই ঊর্ধ্বমুখী ছিল সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম। রাশিয়ার হামলার পর আরেক দফা বেড়ে গেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই ভোগ্যপণ্যর দাম। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবর, ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতি টন ক্রুড পাম অয়েলের দাম ১ হাজার ২৬৭ ডলার থেকে বেড়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি ১ হাজার ৩৪৪ ডলারে উঠে যায়। স্পট মার্কেটে টনপ্রতি দাম ছিল আরও বেশি- ১ হাজার ৩৯০ ডলার।

পাম অয়েলের সাথে বেড়েছে গমের দাম। গমের দাম নিয়ে এমনিতেই বিশ্ব বাজার সব সময় থাকে অস্থিরতার মাঝে। যুদ্ধ শুরু আগে তেমনি গমের দাম ছিলো আকাশচুম্বী। পুতিনের ইউক্রেন আগ্রাসনের পর খাদ্যপণ্যটির দাম আরেক দফায় বৃদ্ধি পাওয়া জোর শঙ্কার কথা জানিয়েছেন বাজার বিশ্লেষকরা। মানভেদে টনপ্রতি গমের দাম এরই মধ্যে ৪০০ ডলার থেকে বেড়ে ৫০০ ডলারে পৌঁছেছে। কানাডা থেকে আমদানি করা গমের দাম টনপ্রতি ৫০৫ ডলারে উঠেছে। ভারতীয় গমের বাজারও ঊর্ধ্বমুখী। এর ফলে আমদানিনির্ভর বাংলাদেশেও গমের দাম আরেক দফা বাড়তে পারে।

তেল ও গ্যাস একে অপরের সাথে যেনো ভাই-ভাইয়ের সম্পর্ক। এক জনের দাম বৃদ্ধিতে অন্য জনের বাজার যে স্থির থাকবে তা কখনোই সম্ভব নয়। আর তার জেরে প্রাকৃতিক গ্যাসের বাজারেও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক বাজারে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। যুদ্ধ দির্ঘায়িত হলে বিশ্ববাজারে জ্বালানির বাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়া, আজারবাইজান ও কাজাখিস্তানের অপরিশোধিত তেলের ওপর নির্ভরশীল। এসব দেশ থেকে পরিশোধিত তেল জাহাজে করে কৃষ্ণসাগরের পূর্ব প্রান্ত থেকে পশ্চিমে যায়। পশ্চিমে অবস্থিত দেশগুলো তাদের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে অপরিশোধিত তেলের জাহাজের ওপর নির্ভর করে। এ ছাড়া এ অঞ্চলটি তার বন্দরগুলো থেকে বছরে কয়েক মিলিয়ন টন শস্য ও উদ্ভিজ্জ তেল সরবরাহ করে। ফলে কৃষ্ণসাগরে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটলে এটি শুধু ইউরোপ নয়, সারা বিশ্বেই জ্বালানি ও ভোগ্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা তৈরি করবে। আর এর সবচেয়ে বড় ভোগান্তির শিকার হবে এশিয়ার মানুষ।

রাশিয়া   ইউক্রেন   যুদ্ধ   যুক্তরাষ্ট্র   ন্যাটো   ইউরোপ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য বন্ধ হচ্ছে ইউরোপের দরজা

প্রকাশ: ১২:১৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রস্তাবিত অভিবাসন আইন নিয়ে চার বছর ধরে চলছিল আলোচনা-পর্যালোচনা। শেষে এ আইন নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ২৭ দেশের এ জোট। এতে মূলত অনিয়মিত, অবৈধ অভিবাসন ঠেকানো এবং মানব পাচার রোধে কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশীরা আগের মতো সুযোগ পাবেন না। সেইসঙ্গে বন্ধ হচ্ছে প্রতারণার মাধ্যমে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগও। এর ফলে বাংলাদেশের মতো দেশের নাগরিকদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের বেশিরভাগ আবেদন নাকচ হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের আবেদন আর আগের মতো অনির্দিষ্টকাল

ঝুলে থাকবে না, সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ১২ সপ্তাহের মধ্যেই।

ইইউর নতুন আইনে সম্প্রতি রাজনৈতিক আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় অভিবাসন নীতির সংস্কার প্রস্তাবের অনুমোদন করা হয়েছে। এটি ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে। যেখানে আছে ১০টি ধারা। ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিউনিসিয়া, মরক্কো ও বাংলাদেশের মতো দেশের রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশীদের বেশিরভাগ আবেদন নাকচ হয়ে যাবে, যাদের দ্রুত বন্দি ক্যাম্পে পাঠানো হবে। এসব বন্দি ক্যাম্প করা হবে সীমান্ত, স্থলবন্দর ও বিমানবন্দর এলাকায়। সেখান থেকে নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হবে। এসব বন্দিশিবির নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মানবাধিকারকর্মীরা। তারা বলছেন, এসব বন্দিশিবিরে পদ্ধতিগত বন্দিত্ব ও মানবাধিকারের অবমূল্যায়নের আশঙ্কা রয়েছে। ইউরোপীয় নেতাদের ভাষ্য, নতুন নিয়মে যেমন অবৈধ অভিবাসন কমবে, তেমনি সুগম হবে দক্ষ শ্রমিকের পথও। বাংলাদেশের মতো দেশের নাগরিকদের জন্য, বিশেষ করে দক্ষ এবং মেধাবীদের জন্য দারুণ সুযোগ তৈরি হবে। এখন অভিবাসনের জন্য তারা বৈধ উপায়ে আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি ভালো পেশা, উন্নত জীবনমানও নিশ্চিত হবে। একই সঙ্গে সরকারের মানব পাচার রোধের যে চেষ্টা রয়েছে, সেটিও এগিয়ে নেওয়া সহজ হবে।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট রবার্টা মেটসোলা এ চুক্তিকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, অবশেষে ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশী ও অভিবাসী ব্যবস্থাপনায় আইনি কাঠামো দাঁড় হচ্ছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লায়েন বলেছেন, এ চুক্তি আশ্রয়ের আবেদন প্রক্রিয়াকরণে দক্ষতা বাড়াবে। ইইউর নতুন চুক্তি অনুযায়ী, ইউরোপের প্রতিটি দেশের সীমান্তে বসছে কড়া নিরাপত্তা। আগে শুধু ইতালি, গ্রিসের মতো উপকূলীয় দেশগুলোতে অভিবাসী ঢল সামলাতে হতো। এখন দায়িত্ব ভাগ করে নেবে ইইউর সদস্য দেশগুলো। এ ছাড়া রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুরোধ সীমান্তের বাইরে যাচাই করা হবে। তা গ্রহণ না হলে আবেদনকারীকে ফিরতে হবে নিজ দেশে। প্রতিটি দেশের সীমান্তে থাকছে আশ্রয়কেন্দ্রও। কোনো সদস্যদেশ আশ্রয়প্রার্থীদের নিতে রাজি না হলে, অর্থ বা অন্যান্য সম্পদ দিয়ে সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। নতুন ব্যবস্থাপনায় অভিবাসী অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশ করলে সাত দিনের মধ্যে তার চেহারা ও হাতের বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্টসহ পরিচয়, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা পরীক্ষা করা হবে।

কর্মকর্তারা বলছেন, সর্বোচ্চ ১২ সপ্তাহের মধ্যেই সিদ্ধান্ত হবে কে থাকবেন আর কাকে ফিরতে হবে। প্রত্যেক রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশীকেই দেওয়া হবে আইনজীবী। প্রতারণা করে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ আর থাকছে না। অবশ্য দেশে ফিরলে সত্যি জীবনের হুমকি আছে, তেমন আবেদনকারীরা থাকার সুযোগ পাবেন। তবে আগের মতো যে কেউ চাইলেই রাজনৈতিক আশ্রয় পাবে না। শিশুরা বিশেষ সুবিধা পাবে। তাদের অধিকার স্বাধীন পর্যবেক্ষণ সংস্থা পর্যবেক্ষণ করবে।

এদিকে নতুন আইনের কড়া সমালোচনা করেছে ইউরোপের কট্টর দক্ষিণ ও বামপন্থিরা। সেই তালিকায় আছে হাঙ্গেরি ও পোলান্ডের সরকার। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান বলেছেন, এ চুক্তি ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য শেষ পেরেক। এখন আর কোনো সীমান্ত নিরাপদ থাকবে না। হাঙ্গেরি কখনো গণ-অভিবাসনের উন্মাদনা মানবে না। সূত্র: ডয়চে ভেলে, ইউরোপাইইউনিউজ


রাজনৈতিক   আশ্রয়   বন্ধ   ইউরোপ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলি, ২ বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশ: ১২:১০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের বাফেলোতে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে তাদের গুলি করে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ।

নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যানা যায়নি। এ ছাড়াও কী কারণে তাদেরকে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হলো সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।

প্রশাসনের বরাত দিয়ে মার্কিন বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, হান্ড্রেট জেনার স্ট্রিটে দুই ব্যক্তিকে গুলি করা হয়েছে এমন খবরে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। পরে তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। এই ঘটনায় গোটা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বাফেলো পুলিশ বলছে, হামলাকারীকে ধরতে অভিযান চলছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।


নিউইয়র্ক   গুলি   ২ বাংলাদেশি নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প

প্রকাশ: ১২:০২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় ৬ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে দেশটির পশ্চিম জাভা প্রদেশে শক্তিশালী এই ভূমিকম্প আঘাত হানে।

সমুদ্রের নিচে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের জেরে অবশ্য বিশাল কোনও ঢেউ সৃষ্টি হয়নি এবং সুনামির সতর্কতাও জারি করা হয়নি।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার রাতে সমুদ্রের নিচে হওয়া ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা প্রদেশ কেঁপে উঠেছে বলে দেশটির আবহাওয়া, জলবায়ুবিদ্যা এবং ভূপদার্থবিদ্যা সংস্থা জানিয়েছে। অবশ্য এই ভূমিকম্পের জেরে বিশাল কোনও ঢেউ সৃষ্টি হয়নি।

শনিবার জাকার্তার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ২৯ মিনিটে এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে এবং এর কেন্দ্রস্থল ছিল গারুত রিজেন্সির ১৫১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।

ভূমিকম্পের কম্পন ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা এবং নিকটবর্তী প্রদেশ ব্যানটেনের পাশাপাশি সেন্ট্রাল জাভা, যোগিয়াকার্তা এবং পূর্ব জাভা প্রদেশেও অনুভূত হয়েছে।


ইন্দোনেশিয়া   শক্তিশালী   ভূমিকম্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল আমেরিকার ৪০ বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশ: ১১:৫৪ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের ৪০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধবিরোধী এই প্রতিবাদের সূচনা হয় দেশটির কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর তা দ্রুত সময়ের মধ্যে গোটা দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে। বিক্ষোভ সামাল দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এতে চাপে পড়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

বিক্ষোভ থামাতে বিভিন্ন পদক্ষেপে ব্যর্থ হওয়ার পর ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কর্তৃপক্ষ। আটক করা হয়েছে ৫৫০ জন শিক্ষার্থীকে। কোথাও কোথাও শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের নির্যাতনের বিষয়টিও সামনে এসেছে। কিন্তু তাতেও সমাধান হয়নি। উল্টো বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট প্রেসিডেন্ট মিনোশি শফিকের বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবটি ৬২-১৪ ভোটে পাস হয়।

শান্তিপূর্ণভাবে এসব বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা থেকে তাদের প্রতিষ্ঠানকে দূরে রাখার মতো বিষয়।

শুক্রবার রাতে এনবিসি টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আমেরিকাজুড়ে ৪০টিরও বেশি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ক্যাম্পাসে তাঁবু তৈরি করে গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে বোস্টনের ইমারসন কলেজেও। শুক্রবার রাতে সেখান থেকে কমপক্ষে ১০০ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এছাড়া ওহাইও স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৪ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশি।

জর্জিয়ার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর গত বৃহস্পতিবার রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। ওই দিন দর্শন বিভাগের প্রধান নো লি ম্যাকাফিকে আটকের পরপরই ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়ায়। আটকের আগে তিনি আটলান্টা পুলিশকে শিক্ষার্থীদের তাঁবুর দিকে এগোনোর একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। তিনি ওই সময় পুলিশকে থামতে বলার পর তাকে আটক করা হয়। ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপক ক্যারোলিন ফোহলিনকেও আট করে পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, নিজের পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে হাতে হাতকড়া পরানো হয়।

ওহাইওতেও পুলিশের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষার্থীদের আটকের ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাতে অন্তত ৩০ জনকে আটক করা হয়।

এদিকে লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা। সেখানে ইসরায়েলপন্থী ও ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে পরস্পরবিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন।

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভে লাগাম টানতে আইনপ্রণেতাদের ক্রমবর্ধমান চাপের সম্মুখীন হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরই জেরে বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল কলাম্বিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনের কার্যক্রম তদন্ত শুরু করেছে।


ইসরায়েল   বিক্ষোভ   উত্তাল আমেরিকা   ৪০ বিশ্ববিদ্যালয়  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নতুন গন্তব্যে এমভি আবদুল্লাহ, নাবিকদের দেশে ফেরা নিয়ে যা জানা গেল

প্রকাশ: ১০:৩৮ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নতুন গন্তব্যে উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’।

শারজাহর আল হামরিয়া বন্দরে ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাসের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার নামে আরেকটি বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে জাহাজটি। সেখানে পণ্য লোড করে জাহাজটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হবে।

কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি চট্টগ্রামে নোঙর করবে বলে আশা করছি। আল হামরিয়া বন্দরে পণ্য খালাস করে শনিবার রাতে জাহাজটি মিনা সাকার নামে আরেকটি বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। সেখান থেকে নতুন পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে এমভি আবদুল্লাহ।

অন্যদিকে, নতুন বন্দর থেকে পণ্য লোড করার পর নাবিকদের দেশে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত।

প্রসঙ্গত, মুক্তিপণ দিয়ে গত ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটে এমভি আবদুল্লাহ এবং জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান। এরপর জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। এরপর ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি গত ২১ এপ্রিল বিকালে আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করে। জেটিতে নোঙর ফেলে ২২ এপ্রিল। পরে শুরু হয় কয়লা খালাসের প্রক্রিয়া।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে প্রায় ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাচ্ছিল। ছিনতাইয়ের পর সোমালিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূলের গ্যরাকাদে নোঙর করেছিল জাহাজটি। এর আগে একই মালিক গ্রুপের এমভি জাহান মনিকে ২০১০ সালে জিম্মি করেছিল জলদস্যুরা। সেবারও মুক্তিপণ দিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।


এমভি আবদুল্লাহ   নতুন গন্তব্যে   নাবিকদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন