ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রনিল বিক্রমাসিংহে সুবিধাবাদী, নাকি ত্রাণকর্তা

প্রকাশ: ০৯:২৩ এএম, ২৪ জুলাই, ২০২২


Thumbnail রনিল বিক্রমাসিংহে সুবিধাবাদী, নাকি ত্রাণকর্তা

শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব নিয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। দেশটির আইন অনুসারে ক্ষমতায় থাকবেন ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত। তবে দায়িত্ব নিয়ে তিনি দেশের ভেঙ্গে পড়া অর্থনৈতিক অবস্থা কিভাবে পুনরুদ্ধার করবেন সেটাই এখন সবত্র আলোচিত।

নির্বাচিত হওয়ার পর রনিল বিক্রমাসিংহে বলেন, ‘আমাদের মধ্যে বিভেদ দূর হয়েছে। আমাদের এখন একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’ তবে রনিলের এ বক্তব্য মানতে নারাজ দেশটির সাধারণ মানুষ। তাঁদের ভাষ্য, সরকার থেকে হটানো রাজাপক্ষে পরিবারকে রক্ষা করতেই ক্ষমতায় আনা হয়েছে রনিলকে। 

এদিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরপরই বিক্ষোভকারীদের শক্ত হাতে দমন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রনিল। বলেছেন, ‘যদি আপনারা সরকার পতনের চেষ্টা করেন, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দখলের চেষ্টা করেন, এটা কোনো গণতন্ত্র হবে না; বরং আইনবিরোধী হবে। আমরা এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী শক্ত পদক্ষেপ নেব।’

আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের গবেষক অ্যালান কেনান বলেন, গত কয়েক মাসে রনিল বিক্রমাসিংহের সঙ্গে রাজাপক্ষে পরিবারের সম্পৃক্ততা তাঁর রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। নিজের গ্রহণযোগ্যতা কিছুটা হলেও বাঁচিয়ে রাখতে রনিলের উচিত নির্বাহী প্রেসিডেন্টের পদ বিলুপ্ত করতে সংবিধান সংশোধনে সমর্থন ও সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া।

বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে রনিল বিক্রমাসিংহের উদ্দেশে এই গবেষক বলেন, নতুন প্রেসিডেন্ট যে বুকে দেশের স্বার্থই ধারণ করছেন, সে বিষয়ে বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করতে রনিলকে অনেক কাজ করতে হবে।

২০১৭ সালে রনিল ক্ষমতায় থাকাকালে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির বেশ উন্নতি হয়েছিল। সে বছর ছয় দশক পর প্রথমবারের মতো দেশটিতে সরকারি ব্যয়ের চেয়ে রাজস্ব আয় বেশি হয়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে চীনকে সঙ্গে নিয়ে ভালো কাজ করেছিলেন রনিল। তখন পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গেও তাঁর ভালো সম্পর্ক ছিল। ভারতের সঙ্গেও গড়ে তুলেছিলেন উষ্ণ সম্পর্ক।

গত মে মাসে ক্ষমতায় আসার পরও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভারসাম্য ধরে রেখেছেন রনিল। পশ্চিমা দেশগুলোর পাশাপাশি চীন ও ভারতের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। এমনকি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমাদের পক্ষ নেননি তিনি।

তবে ক্ষমতা ধরে রাখতে রনিল সুযোগকে কাজে লাগিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে। এমনই একজন শ্রীলঙ্কাভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ফ্যাকটামের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষক উদিতা দেবপ্রিয়। তিনি বলেন, রনিল একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিক। সংসদীয় রাজনীতির খুঁটিনাটি বোঝেন। বিভিন্ন পরিস্থিতি নিজের সুবিধার জন্য কাজে লাগিয়ে দেখিয়েছেন তিনি।

২০১৫-১৯ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালেও রনিলের বিরুদ্ধে রাজাপক্ষে পরিবারকে রক্ষায় কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। উদিতা দেবপ্রিয় বলেন, ২০১৫ সালে রনিল যখন প্রধানমন্ত্রী হলেন, তখন রাজাপক্ষে পরিবারকে ব্যাপকভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত একটি পরিবার হিসেবে দেখা হতো। তিনি রাজাপক্ষেদের সাজার মুখোমুখি করার আদেশ দিয়েছিলেন। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার সময় এলে থেমে যান।

রনিল সরকারের বিরুদ্ধেও দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে। ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রনিলের সঙ্গে কাজ করেছিলেন শিরাল লাখথিলাকা নামের একজন আইনজীবী। তিনি বলেন, সে সময় যদি কেউ রনিলের বন্ধু হতেন, তাহলেই তাঁকে সরকারি পদে দেখা যেত। এটা স্বজনপ্রীতি।

এদিকে শ্রীলঙ্কার বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট রনিল সামাল দিতে পারবেন না বলে বিশ্বাস করেন দেশটির ফ্রন্টলাইন সোশ্যালিস্ট পার্টির শিক্ষাসচিব পুবুদু জায়াগোদা। এর জন্য তিনি দায়ী করেছেন গত চার দশকে দেশটিতে কার্যকর করা আর্থিক নীতিকে। আল-জাজিরাকে জায়াগোদা বলেন, ‘সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারীকরণের মধ্য দিয়ে আমরা জ্বালানির ওপর আমাদের সার্বভৌমত্ব হারিয়েছি। জাতীয় সম্পত্তি বিক্রি করে দেওয়াও এর জন্য দায়ী।’

ফ্রন্টলাইন সোশ্যালিস্ট পার্টির এই রাজনীতিক বলেন, ‘আমি পুরোপুরি মৃত কোনো অর্থনীতির কথা বলছি না। আমাদের অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। তবে আমি মনে করি, আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে, বিশেষ করে জ্বালানি খাতের।’

রনিলকে নিয়ে আরেকটি সমালোচনা রয়েছে যে তিনি তাঁর দল ইউএনপির নতুন নেতাদের বেড়ে ওঠার সুযোগ দেননি। ২০১৯ সালে তাঁর সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় জ্যেষ্ঠ নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা ইউএনপি ছেড়ে নতুন দল গড়ে তোলেন।

২০১৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রেমাদাসার প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হয়নি। ওই সময় রনিল ও প্রেমাদাসা বিভিন্ন নীতিগত বিষয়ে প্রকাশ্যে ঝগড়ায় জড়ান।
এ অভিজ্ঞতায় এমন ধারণা জন্মে, সাজিথের পরিবর্তে রনিল বেছে নিয়েছিলেন গোতাবায়াকে। কেননা যদি সাজিথ প্রেসিডেন্ট হতেন, তবে রনিলকে তাঁর অধীন কাজ করতে হতো, বলেন ফ্যাকটামের উদিতা দেবপ্রিয়।

কিন্তু ওই পদক্ষেপ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রনিলের জন্য বুমেরাং হয়ে দাঁড়ায়। তাঁর দল ইউএনপি ২০১৯ সালের নির্বাচনে দলটির ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ পরাজয় বরণ করে।

ক্ষমতায় থাকাকালে রনিল বুর্জোয়া হয়ে ওঠেন, এমন অভিযোগও রয়েছে। যদিও তিনি তা নাকচ করে দেন।

তবে দুই দশক ধরে শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে দাপিয়ে বেড়ানো রাজাপক্ষেদের মতো রনিল যেমন জনতুষ্টিকর কোনো প্রস্তাব রাখতে পারেননি, তেমন জনগণকে খেপিয়েও তুলতে পারেননি। উদিতা বলেন, ‘রনিল দেশের জনগণের অনুভূতিতে টোকা দিতে সক্ষম হননি। আর এটাই রনিল ও যাদের (রাজাপক্ষেদের দল) আশীর্বাদে তিনি এখন প্রেসিডেন্ট, তাদের মধ্যকার সবচেয়ে বড় ফারাক।’

‘ইউএনপির জাতীয়তাবাদী রাজনীতি করার ইতিহাস রয়েছে। ১৯৭৭ সালে জয়াবর্ধনে একটি মুক্ত স্বাধীন অর্থনীতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসেননি; বরং এসেছিলেন একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে,’ বলেন বিশ্লেষক উদিতা দেবপ্রিয়।

রনিল বিক্রমাসিংহে  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হজ ভিসা নিয়ে সৌদি আরবের নতুন নিয়ম জারি

প্রকাশ: ০৯:৪৮ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

হজ ভিসা নিয়ে নতুন নিয়ম চালু করেছে সৌদি আরব। এই ভিসা দিয়ে শুধু জেদ্দা, মদিনা এবং মক্কা শহরে ভ্রমণ করা যাবে। এর বাইরে অন্যকোনো স্থানে ভ্রমণ করা যাবে না। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ এমন তথ্য জানিয়েছে।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, হজ ভিসা দিয়ে ২০২৪ সালে হজের আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জেদ্দা, মদিনা ও মক্কা শহরে ভ্রমণ করতে পারবেন।

হজ ভিসা শুধু হজ মৌসুমের জন্যই বৈধ। এই সময়ের মধ্যে হজ ভিসা নেওয়া ব্যক্তিদের ওমরাহ পালন বা যেকোনো ধরনের আর্থিক বা অবৈতনিক কাজের ব্যাপারে নতুন নিয়মে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

দেশটিতে কাজ করা, বসবাস বা নির্ধারিত শহরের বাইরে ভ্রমণের জন্য হজ ভিসা অবৈধ। কেউ এই বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করলে তাকে ভবিষ্যতে হজে অংশ নেওয়ার অনুমতি নাও দেওয়া হতে পারে। এ ছাড়াও অভিযুক্তকে দেশ থেকেও বেরও করে দেওয়া হতে পারে।

এর আগে শনিবার (৪ মে) পবিত্র হজ সামনে রেখে অনুমতি ছাড়া মক্কায় জনসাধারণের প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সৌদি আরব। ওইদিন থেকেই এ নির্দেশনা কার্যকর করা হয়।

সৌদি আরবের জননিরাপত্তা বিভাগ জানায়, মূলত পবিত্র হজে সারাবিশ্ব থেকে আগত বিপুল সংখ্যক হজযাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে মক্কায় প্রবেশের জন্য অবশ্যই অনুমতিপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। এমনকি সৌদি নাগরিকদেরও।

হজ   ভিসা   সৌদি আরব  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাত পোহালেই তৃতীয় দফায় লোকসভা নির্বাচন শুরু

প্রকাশ: ০৯:০৫ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের সাত দফার ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের দুই দফার ভোটগ্রহণ শেষ। প্রথম দফায় গত ১৯ এপ্রিল ১০২ কেন্দ্রে এবং দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৮ কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ৭ মে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ। এই দফায় ভোট নেওয়া হবে ১০ টি রাজ্য ও ১ টি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মোট ৯৩ টি কেন্দ্রে। মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ১১ কোটি।  

ভোটকেন্দ্রগুলো হলো- গুজরাট (২৫), কর্ণাটক (১৪), মহারাষ্ট্র (১১), উত্তর প্রদেশ (১০), মধ্যপ্রদেশ (৯), ছত্রিশগড় (৭), বিহার (৫), অসম (৪), পশ্চিমবঙ্গ (৪), গোয়া (২), দাদরা এবং নগর হাভেলি, দমন এবং ডিউ (২)। 

পশ্চিমবঙ্গে যে চারটি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে সেগুলি হল- মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, জঙ্গিপুর এবং মুর্শিদাবাদ। এই চার কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ৭৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫১ জন। ভাগ্য নির্ধারণ হবে ৫৭ জন প্রার্থীর। সব মিলিয়ে ৭,৩৬০ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে ৩৩৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি ১০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। 

মুর্শিদাবাদ আসনে তৃণমূলের প্রার্থী আবু তাহের খান, বিজেপি প্রার্থী গৌরীশঙ্কর ঘোষ এবং সিপিআইএম প্রার্থী মোহাম্মদ সেলিম। মালদা উত্তর আসনে তৃণমূল প্রার্থী সাবেক আইপিএস কর্মকর্তা প্রসূন ব্যানার্জি, বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু, কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম। মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রে তৃণমূলের শাহনাজ আলী রায়হান, বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, কংগ্রেসের ইশা খান চৌধুরী। জঙ্গিপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান, বিজেপির ধনঞ্জয় ঘোষ, কংগ্রেসের প্রার্থী মোরতাজা হোসেন। 

এদফায় গোটা দেশ জুড়ে ১,৩৫১ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপির অমিত শাহ (গান্ধীনগর)। দ্বিতীয়বারের জন্য এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়ছেন তিনি। এই কেন্দ্রে তার প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের সোনাল প্যাটেল। ১৯৮৯ সাল থেকেই এই কেন্দ্রটিতে অপরাজিত রয়েছে বিজেপির প্রার্থীরা। গত ২০১৯ সালের নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের সি যে চাভডা'কে ৫.৫ লাখের বেশি ভোটে পরাজিত করেছিলেন অমিত শাহ। 

বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (গুনা), মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির শিবরাজ সিং চৌহান (বিদিশা), বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি (ধারওয়ার), বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মানসুখ মান্ডব্য (পোড়বন্দর), বিজেপি প্রার্থী বিশিষ্ট শিল্পপতি পল্লবী ডেম্পো (সাউথ গোয়া), উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের স্ত্রী সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী ডিম্পল যাদব (মইনপুরী), মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস প্রার্থী দ্বিগবিজয় সিং (রাজগড়), 'অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট' (AIUDF) প্রেসিডেন্ট সভাপতি বদরুদ্দীন আজমল (ধুবরী), 'ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি'র (শারদ পাওয়ার গোষ্ঠী) প্রার্থী সুপ্রিয়া সুলে (বারামতী), এই কেন্দ্রেই সুপ্রিয়ার প্রধান প্রতিপক্ষ (ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি'র অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী) সুনেত্রা পাওয়ার, যিনি সম্পর্কে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের স্ত্রী। 

উল্লেখ্য, মোট সাত দফায় লোকসভার নির্বাচন নেয়া হবে। সেক্ষেত্রে প্রথম তিন দফার ভোটের পরই দেশটির ৫৪৩ টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২৮৩ আসনে ভোট নেওয়া সম্পন্ন হবে। বাকি থাকবে আরো চার দফা। পরবর্তী ধাপ গুলি হল যথাক্রমে চতুর্থ দফা আগামী ১৩ মে, পঞ্চম দফা ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৬ মে এবং সপ্তম ও শেষ দফার ভোট ১ জুন। গণনা আগামী ৪ জুন।


লোকসভা নির্বাচন   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ দাবানল ৫ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ দাবানলে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ২০১৯ সালের পর থেকে দাবানলে এই প্রথম পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। 

এর আগে ২০২১ সালে ভয়াবহ আগুন লেগেছিল জঙ্গলে। তখন প্রায় ৩৯৪৩ হেক্টর জঙ্গল পুড়ে যায়।  

এদিকে, ফরেস্ট সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পরিসংখ্যান অনুসারে জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ৫৭০২টি ফরেস্ট ফায়ার হয়েছে। কুমায়ুন ও গাড়োয়াল এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে এই দাবানলের ঘটনা ঘটেছে। তবে মূলত মধ্য় হিমালয়ের বিভিন্ন এলাকায় এই দাবানলের ঘটনা হয়। হিমালয়ের উঁচু অংশে এটা অতি ঠাণ্ডার কারণে হতে পারে না। 


ভারত   উত্তরাখণ্ড   দাবানল   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েল, উত্তপ্ত আমেরিকাও

প্রকাশ: ০৮:৫৪ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

পণবন্দিদের মুক্তির বিনিময়েও হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থামাতে রাজি নয় ইজ়রায়েল। তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, হামাসসহ গাজাকে ধূলিসাৎ না করা পর্যন্ত এই লড়াইয়ের শেষ নেই। ঘরেবাইরে বিক্ষোভ-আন্দোলনের মুখেও নিজেদের অবস্থানে অনড় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। রাগে ফুঁসছে তাঁর দেশের মানুষ। তেল আভিভের ডেমোক্র্যাসি স্কোয়ারের সামনে আজ জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ। তাদের দাবি, হামাসের ডেরা থেকে ইজ়রায়েলি বন্দিদের মুক্তি চাই। সরকার বদল চাই।

পণবন্দিদের মুক্তির বিনিময়েও গাজায় হামলা থামাতে রাজি নয় ইসরায়েল। হামাসসহ গাজাকে ধূলিসাৎ না করা পর্যন্ত হামলা থামাবে না বলে জানিয়েছে তারা। যুদ্ধ থামাতে খোদ ইসরায়েলের ভেতরেই বিক্ষোভ-আন্দোলনের মুখে পড়েছে নেতানিয়াহুর সরকার। সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠছে তারা।

সোমবারও (৬ এপ্রিল) তেল আবিবের ডেমোক্র্যাসি স্কোয়ারের সামনে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিচ্ছে, 'হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্তি চাই। সরকার বদল চাই।'

এক সপ্তাহ ধরে নেতানিয়াহুবিরোধী আন্দোলন চলছে যুক্তরাষ্ট্রেও। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি, বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে আমেরিকাজুড়ে। হাজারো নিষেধাজ্ঞা, গ্রেপ্তারের ভয় উপেক্ষা করে আজও পথে নেমেছে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের দাবি, গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করতে হবে এবং ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে হবে।

সোমবার ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা। এসময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে হাতাহাতি হয় পুলিশের। বিক্ষোভ থামাতে ২৫ জন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২০ দিনে আমেরিকাজুড়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে কমপক্ষে ২ হাজার ৪শ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।

তেল আবিবের চিত্র ভিন্ন। সেখানে নেতানিয়াহুকে ক্ষমতা ছাড়ার স্লোগান দিচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর 'চেঞ্জ জেনারেশন' নামে একটি সংস্থা তৈরি হয়েছে ইসরায়েলে। তাদের নেতৃত্বেই আজ পথে নামে বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্ত করে আনতে হবে এবং নেতানিয়াহুকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে।

বিক্ষোভকারীদের আটকাতে আজ পুলিশ তেল আবিবের দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বেগিন স্ট্রিট ও কাপলান স্ট্রিটের কিছুটা অংশ বন্ধ করে দেয়। আয়ালন ফ্রিওয়েতে বের হওয়ার পথও আটকে দেয় পুলিশ। তবে তাতেও বিক্ষোভ আটকানো যায়নি।

সোমবারের বিক্ষোভে হামাসের হাতে বন্দিদের পরিবারের পাশাপাশি যুদ্ধে নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্তরাও অংশ নিয়েছেন। তারা চলমান পরিস্থিতির জন্য নেতানিয়াহুকেই দায়ী করছেন। গাজায় এতদিন ধরে হামলা চালিয়েও হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলি বন্দিদের উদ্ধার করতে না পারাকে ইসরায়েল সেনাদের ব্যর্থতা মনে করেন তারা।

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা যুদ্ধ থামানোর দাবি জানিয়েছেন এবং চুক্তির মাধ্যমে হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলি বন্দিদের ফিরিয়ে আনার পক্ষে তাদের অবস্থান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে নেতানিয়াহু সরকারকে উচ্ছেদ দাবি করেছেন তারা।

সোমবার হামাস জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য কায়রোতে নতুন করে আলোচনায় বসছে। তবে ফিলিস্তিানদের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে তারা কোনো প্রস্তাবে রাজি হবে না। তবে হামাসের হাতে থাকা সব বন্দিকে মুক্তি দিলেও ইসরায়েল গাজায় সম্পূর্ণভাবে হামলা বন্ধে রাজি নয়।


বিক্ষোভ   ইসরায়েল   আমেরিকা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কংগ্রেসের সময় বাইরে থেকে সন্ত্রাসীরা এসে বোমা হামলা করতো: অমিত

প্রকাশ: ০৭:৩৫ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

কেন্দ্রে ১০ বছর ধরে মমতা ব্যানার্জীর সহযোগিতায় কংগ্ৰেসের সরকার চলেছিল। সেসময় প্রত্যেক দিন বাইরে থেকে সন্ত্রাসীরা এসে বোমা বিস্ফোরণ ঘটাতো বলে জানিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 

মঙ্গলবার (৭ মে) পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় দফার নির্বাচন। এরই মধ্যে এ দফার প্রচারনা পর্ব শেষ হয়েছে। ১৩ মে চতুর্থ দফায় বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বোলপুর, বীরভূম আসনে ভোট। 

চতুর্থ দফার নির্বাচনে প্রচারনায় বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপির প্রার্থী দীলিপ ঘোষের সমর্থনে সোমবার (৬ মে) তিলক ময়দানে জনসভা করেন অমিত শাহ। সেই জনসভা থেকে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

এদিনের জনসভা থেকে কড়া ভাষায় কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন অমিত শাহ। বক্তব্যের শুরুতেই জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি ও বিরোধীদলীয় জোট 'ইন্ডিয়া'র সভাপতি মল্লিকা অর্জুন খাড়গেকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন,কাশ্মীর আমাদের না অন্য কারোও? মল্লিকা অর্জুন খাড়গে বলেন, রাজস্থান ও পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকদের কাশ্মীরের সঙ্গে কী সম্পর্ক আছে।

'আমি বলছি, খাড়গে বাবু, আপনার বয়স ৮০ বছর হয়ে গেছে। কিন্তু আপনি এখনো বাংলাকে জানতে পারেননি, চিনতে পারেননি। বাংলা ও দুর্গাপুরের সবাই কাশ্মীরের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করতে পারে। বামফ্রন্ট, তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস- এরা সবাই ৭০ বছর ধরে ধারা ৩৭০ সামলে রেখেছে। তাদের জন্যই কাশ্মীর থেকে পুরো দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।'

তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়ে নরেন্দ্র মোদী ৩৭০ ধারা বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। লোকসভায় যখন ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল, তখন রাহুল গান্ধী দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, এই ধারা বাতিল করা যাবে না। আমরা যখন বললাম, কেন যাবে না? রাহুল গান্ধী উত্তরে বললেন, ধারা ৩৭০ উঠিয়ে দিলে, কাশ্মিরে রক্তের নদী বয়ে যাবে। পাঁচ বছর হয়ে গেলো, রক্তের নদী তো দূরের কথা; একটা নুড়িপাথরও নড়লো না। নরেন্দ্র মোদী দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ খতম করেছেন।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে আক্রমণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১০ বছর ধরে দিদির সহযোগিতায় কংগ্ৰেসের সরকার চলেছিল। সেসময় প্রত্যেক দিন বাইরে থেকে সন্ত্রাসী ঢুকে বোমা বিস্ফোরণ ঘটাতো। কিন্তু তারা নিজেদের ভোটব্যাংকের কারণে কিছু বলতো না। উরি ও পুলবামায় যে হামলা হয়েছিল, তার প্রতিক্রিয়ায় ১০ দিনের মধ্যে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও এয়ার স্ট্রাইকের নির্দেশ দেন মোদী। আমাদের সেনারা পাকিস্তানের ঘরে ঘরে প্রবেশ করে সন্ত্রাসীদের খতম করেছে।


ইসরায়েল   অস্ত্র   স্থগিত   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন