ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিশ্বে দীর্ঘমেয়াদী সরকারপ্রধান যারা

প্রকাশ: ০৬:১৬ পিএম, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গেল ৩ মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে বিগত ১৫ বছর ধরে দেশ পরিচালনা করছেন। মোট ৪টি নির্বাচনে জয়ী হয়ে বর্তমানে পৃথিবীর দীর্ঘমেয়াদী মহিলা প্রধানমন্ত্রী তিনিই। এছাড়া আমরা বিশ্বের অন্যান্য দেশেও দীর্ঘ সময় ধরে একটি সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে দেখেছি। পূর্ণ গণতন্ত্রচর্চাকারী দেশেও এমন উদাহরণ রয়েছে। অনেক দেশে একজন ২ বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারেনা। আবার অনেক দেশে একজন প্রধানমন্ত্রী বা একটি সরকার বারবার নির্বাচিত হয়ে লম্বা সময় ধরে ক্ষমতায় থাকে।

আধুনিক গণতন্ত্রের সূতিকাগার বলা হয় যুক্তরাজ্যকে। যুক্তরাজ্যের একজন জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার। তিনি ১১ বছরের জন্য যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া যুক্তরাজ্যে ৯ জন প্রধানমন্ত্রীর ১০ বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছেন । রবার্ট ওয়ালপোলই দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে, উইলিয়াম গ্ল্যাডস্টোন চারটি পৃথক মেয়াদে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। 

দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশেও দীর্ঘসময়ের জন্য একজন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেছেন । এশিয়া ও পৃথিবীর প্রথম নারী সরকারপ্রধান ছিলেন শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শ্রীমাভো বন্দরনায়েক। তিন মেয়াদে তিনি মোট ১৮ বছর শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বামদল দীর্ঘদিনযাবৎ ক্ষমতায় ছিল। এ সময় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যতি বসু  ১৯৭৭-২০০০ সাল পর্যন্ত একটানা ২৪ বছর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। 

পূর্ব-এশিয়ার দেশগুলোতে দীর্ঘসময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের উদাহরণ রয়েছে। মালয়েশিয়ার উন্নতির কারিগর সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ যিনি ১৯৮১ সালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন । ৫ বার সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে একটানা ২২ বছর ক্ষমতায় থাকেন তিনি। তার সময়ে মালয়েশিয়ার যথেষ্ট উন্নতি হয় এবং মালয়েশিয়া আর্থিকভাবে একটি  উন্নত দেশে পরিণত হয়। বর্তমানে মালয়েশিয়াকে আসিয়ান দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যের একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটি সম্ভব হয়েছে একজন দক্ষ শাসক দ্বারা একটানা রাষ্ট্র পরিচালনার ফলে। 

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অন্যতম উন্নত, সফল ও সমৃদ্ধশালী দেশ সিঙ্গাপুর। সিঙ্গাপুরের উন্নতির মহানায়ক বলা হয় লি কুয়ান ইউকে। সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করা লি কুয়ান টানা ৩০ বছর দেশ পরিচালনা করেন। এই তিন দশকে ভগ্ন অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে তুলে লি কুয়ান ইউ সিঙ্গাপুরকে এশিয়ার অন্যতম ধনী দেশে পরিণত করেন । সিঙ্গাপুর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ছোট এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে সুবিধা বঞ্চিত একটি দেশ ছিল। এমনকি প্রাকৃতিক সম্পদের কোনো আশীর্বাদ ছিল না দেশটিতে। 

এছাড়া আমরা কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন ৩৮ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় ছিলেন। এসময় কম্বোডিয় অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নতি সাধন করে। শিল্প, ব্যবসা আর কর্মসংস্থানের অমিত সম্ভাবনার দেশে পরিণত হয়েছে কম্বোডিয়া। ব্যবসা, বাণিজ্য, আমদানী ও রপ্তানী বাণিজ্যে দিনে দিনে এশিয়ার জন্যে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে দেশটি। আর এ সব সম্ভব হয়েছে একটি সরকারের পক্ষে একাধারে কাজ করে যাওয়ার ফলে। 

একটি সরকার একাটানা অনেকবছর ক্ষমতায় থাকলে সে দেশটিতে এর ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। একটি সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন করে। এসকল প্রকল্পগুলো সময়মতো শেষ করার জন্য চাপ থাকে সরকারের ওপর। অন্যদিকে সরকার পরিবর্তন হলে নতুন সরকার  বিগত সরকারের নেওয়া নানা প্রকল্প বন্ধ করে দেয়, ফলে তা আর আলোর মুখ দেখেনা। যা দেশের অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ক্ষতি।

এছাড়া প্রতিটি দলের দেশ পরিচালনা, উন্নয়ন কৌশল, অর্থনৈতিক পলিসি, পররাষ্ট্রনীতি, কূটনৈতিক সক্ষমতা ভিন্ন। প্রতিটা দলই তার নিজ নিয়মে দেশ পরিচালনা করে। সরকারের পরিবর্তনের ফলে দেশ পরিচালনার নিয়মনীতিতেও বারবার পরিবর্তন আসে যা একটি দেশের অগ্রযাত্রার জন্য বাধা।  তাছাড়া কোন দল নির্বাচনে জয়লাভ করলেও সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে অদক্ষতার পরিচয় দেয়। ফলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও বিশৃঙ্খলতা তৈরি হয়। 

অন্যদিকে একটি সরকার দীর্ধদিন ক্ষমতায় থাকলে দেশে দুর্নীতি বাড়ে।  বিরোধীদলগুলোর উপর অত্যাচ্যার নির্যাতনের মাত্রা বাড়ে। ফলে দেশের বিরোধীদলগুলো দুর্বল হয়ে যায়। সরকার একপাক্ষিকভাবে দেশ পরিচালনা করে। দেশের জন্য মন্দ সিদ্ধান্ত নিলেও তাতে বাধা দেয়ার কেউ থাকেনা। দেশে দুর্নীতির মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে তাই বিরোধিদলের উপস্থিতি কাম্য। বাধাহীনভাবে দেশ পরিচালনা দেশ গণতান্ত্রিকভাবে ব্যার্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়। একদল অনেকদিন ক্ষমতায় থাকলে সে দলটিই রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। এতে একটি দলেরই নেতাকর্মী তৈরি হয় । একসময় ঘরে ঘরে নেতা তৈরি হয়ে জনগণের উপর কতৃত্বের শাসন প্রতিষ্ঠা করে।

তবে সকল বিবেচনায় একটি দক্ষ, শক্তিশালী, জনগণের সমর্থনপুষ্ট রাজনৈতিক দল এবং ভিশনারী ও ক্যারিশমাটিক লিডারের নেতৃত্বে একটানা দেশ পরিচালনা করাই একটি দেশের ভবিষ্যতের জন্য আশীর্বাদ হবে।     



বাংলাদেশ   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা   দীর্ঘমেয়াদি সরকার   শ্রীমাভো বন্দরনায়েক   মাহাথির মোহাম্মদ   লি কুয়ান ইউ   হুন সেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য বন্ধ হচ্ছে ইউরোপের দরজা

প্রকাশ: ১২:১৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রস্তাবিত অভিবাসন আইন নিয়ে চার বছর ধরে চলছিল আলোচনা-পর্যালোচনা। শেষে এ আইন নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ২৭ দেশের এ জোট। এতে মূলত অনিয়মিত, অবৈধ অভিবাসন ঠেকানো এবং মানব পাচার রোধে কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশীরা আগের মতো সুযোগ পাবেন না। সেইসঙ্গে বন্ধ হচ্ছে প্রতারণার মাধ্যমে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগও। এর ফলে বাংলাদেশের মতো দেশের নাগরিকদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের বেশিরভাগ আবেদন নাকচ হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের আবেদন আর আগের মতো অনির্দিষ্টকাল

ঝুলে থাকবে না, সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ১২ সপ্তাহের মধ্যেই।

ইইউর নতুন আইনে সম্প্রতি রাজনৈতিক আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় অভিবাসন নীতির সংস্কার প্রস্তাবের অনুমোদন করা হয়েছে। এটি ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে। যেখানে আছে ১০টি ধারা। ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিউনিসিয়া, মরক্কো ও বাংলাদেশের মতো দেশের রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশীদের বেশিরভাগ আবেদন নাকচ হয়ে যাবে, যাদের দ্রুত বন্দি ক্যাম্পে পাঠানো হবে। এসব বন্দি ক্যাম্প করা হবে সীমান্ত, স্থলবন্দর ও বিমানবন্দর এলাকায়। সেখান থেকে নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হবে। এসব বন্দিশিবির নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মানবাধিকারকর্মীরা। তারা বলছেন, এসব বন্দিশিবিরে পদ্ধতিগত বন্দিত্ব ও মানবাধিকারের অবমূল্যায়নের আশঙ্কা রয়েছে। ইউরোপীয় নেতাদের ভাষ্য, নতুন নিয়মে যেমন অবৈধ অভিবাসন কমবে, তেমনি সুগম হবে দক্ষ শ্রমিকের পথও। বাংলাদেশের মতো দেশের নাগরিকদের জন্য, বিশেষ করে দক্ষ এবং মেধাবীদের জন্য দারুণ সুযোগ তৈরি হবে। এখন অভিবাসনের জন্য তারা বৈধ উপায়ে আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি ভালো পেশা, উন্নত জীবনমানও নিশ্চিত হবে। একই সঙ্গে সরকারের মানব পাচার রোধের যে চেষ্টা রয়েছে, সেটিও এগিয়ে নেওয়া সহজ হবে।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট রবার্টা মেটসোলা এ চুক্তিকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, অবশেষে ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশী ও অভিবাসী ব্যবস্থাপনায় আইনি কাঠামো দাঁড় হচ্ছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লায়েন বলেছেন, এ চুক্তি আশ্রয়ের আবেদন প্রক্রিয়াকরণে দক্ষতা বাড়াবে। ইইউর নতুন চুক্তি অনুযায়ী, ইউরোপের প্রতিটি দেশের সীমান্তে বসছে কড়া নিরাপত্তা। আগে শুধু ইতালি, গ্রিসের মতো উপকূলীয় দেশগুলোতে অভিবাসী ঢল সামলাতে হতো। এখন দায়িত্ব ভাগ করে নেবে ইইউর সদস্য দেশগুলো। এ ছাড়া রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুরোধ সীমান্তের বাইরে যাচাই করা হবে। তা গ্রহণ না হলে আবেদনকারীকে ফিরতে হবে নিজ দেশে। প্রতিটি দেশের সীমান্তে থাকছে আশ্রয়কেন্দ্রও। কোনো সদস্যদেশ আশ্রয়প্রার্থীদের নিতে রাজি না হলে, অর্থ বা অন্যান্য সম্পদ দিয়ে সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। নতুন ব্যবস্থাপনায় অভিবাসী অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশ করলে সাত দিনের মধ্যে তার চেহারা ও হাতের বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্টসহ পরিচয়, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা পরীক্ষা করা হবে।

কর্মকর্তারা বলছেন, সর্বোচ্চ ১২ সপ্তাহের মধ্যেই সিদ্ধান্ত হবে কে থাকবেন আর কাকে ফিরতে হবে। প্রত্যেক রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশীকেই দেওয়া হবে আইনজীবী। প্রতারণা করে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ আর থাকছে না। অবশ্য দেশে ফিরলে সত্যি জীবনের হুমকি আছে, তেমন আবেদনকারীরা থাকার সুযোগ পাবেন। তবে আগের মতো যে কেউ চাইলেই রাজনৈতিক আশ্রয় পাবে না। শিশুরা বিশেষ সুবিধা পাবে। তাদের অধিকার স্বাধীন পর্যবেক্ষণ সংস্থা পর্যবেক্ষণ করবে।

এদিকে নতুন আইনের কড়া সমালোচনা করেছে ইউরোপের কট্টর দক্ষিণ ও বামপন্থিরা। সেই তালিকায় আছে হাঙ্গেরি ও পোলান্ডের সরকার। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান বলেছেন, এ চুক্তি ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য শেষ পেরেক। এখন আর কোনো সীমান্ত নিরাপদ থাকবে না। হাঙ্গেরি কখনো গণ-অভিবাসনের উন্মাদনা মানবে না। সূত্র: ডয়চে ভেলে, ইউরোপাইইউনিউজ


রাজনৈতিক   আশ্রয়   বন্ধ   ইউরোপ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলি, ২ বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশ: ১২:১০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের বাফেলোতে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে তাদের গুলি করে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ।

নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যানা যায়নি। এ ছাড়াও কী কারণে তাদেরকে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হলো সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।

প্রশাসনের বরাত দিয়ে মার্কিন বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, হান্ড্রেট জেনার স্ট্রিটে দুই ব্যক্তিকে গুলি করা হয়েছে এমন খবরে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। পরে তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। এই ঘটনায় গোটা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বাফেলো পুলিশ বলছে, হামলাকারীকে ধরতে অভিযান চলছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।


নিউইয়র্ক   গুলি   ২ বাংলাদেশি নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প

প্রকাশ: ১২:০২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় ৬ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে দেশটির পশ্চিম জাভা প্রদেশে শক্তিশালী এই ভূমিকম্প আঘাত হানে।

সমুদ্রের নিচে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের জেরে অবশ্য বিশাল কোনও ঢেউ সৃষ্টি হয়নি এবং সুনামির সতর্কতাও জারি করা হয়নি।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার রাতে সমুদ্রের নিচে হওয়া ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা প্রদেশ কেঁপে উঠেছে বলে দেশটির আবহাওয়া, জলবায়ুবিদ্যা এবং ভূপদার্থবিদ্যা সংস্থা জানিয়েছে। অবশ্য এই ভূমিকম্পের জেরে বিশাল কোনও ঢেউ সৃষ্টি হয়নি।

শনিবার জাকার্তার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ২৯ মিনিটে এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে এবং এর কেন্দ্রস্থল ছিল গারুত রিজেন্সির ১৫১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।

ভূমিকম্পের কম্পন ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা এবং নিকটবর্তী প্রদেশ ব্যানটেনের পাশাপাশি সেন্ট্রাল জাভা, যোগিয়াকার্তা এবং পূর্ব জাভা প্রদেশেও অনুভূত হয়েছে।


ইন্দোনেশিয়া   শক্তিশালী   ভূমিকম্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল আমেরিকার ৪০ বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশ: ১১:৫৪ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের ৪০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধবিরোধী এই প্রতিবাদের সূচনা হয় দেশটির কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর তা দ্রুত সময়ের মধ্যে গোটা দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে। বিক্ষোভ সামাল দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এতে চাপে পড়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

বিক্ষোভ থামাতে বিভিন্ন পদক্ষেপে ব্যর্থ হওয়ার পর ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কর্তৃপক্ষ। আটক করা হয়েছে ৫৫০ জন শিক্ষার্থীকে। কোথাও কোথাও শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের নির্যাতনের বিষয়টিও সামনে এসেছে। কিন্তু তাতেও সমাধান হয়নি। উল্টো বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট প্রেসিডেন্ট মিনোশি শফিকের বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবটি ৬২-১৪ ভোটে পাস হয়।

শান্তিপূর্ণভাবে এসব বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা থেকে তাদের প্রতিষ্ঠানকে দূরে রাখার মতো বিষয়।

শুক্রবার রাতে এনবিসি টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আমেরিকাজুড়ে ৪০টিরও বেশি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ক্যাম্পাসে তাঁবু তৈরি করে গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে বোস্টনের ইমারসন কলেজেও। শুক্রবার রাতে সেখান থেকে কমপক্ষে ১০০ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এছাড়া ওহাইও স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৪ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশি।

জর্জিয়ার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর গত বৃহস্পতিবার রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। ওই দিন দর্শন বিভাগের প্রধান নো লি ম্যাকাফিকে আটকের পরপরই ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়ায়। আটকের আগে তিনি আটলান্টা পুলিশকে শিক্ষার্থীদের তাঁবুর দিকে এগোনোর একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। তিনি ওই সময় পুলিশকে থামতে বলার পর তাকে আটক করা হয়। ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপক ক্যারোলিন ফোহলিনকেও আট করে পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, নিজের পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে হাতে হাতকড়া পরানো হয়।

ওহাইওতেও পুলিশের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষার্থীদের আটকের ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাতে অন্তত ৩০ জনকে আটক করা হয়।

এদিকে লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা। সেখানে ইসরায়েলপন্থী ও ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে পরস্পরবিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন।

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভে লাগাম টানতে আইনপ্রণেতাদের ক্রমবর্ধমান চাপের সম্মুখীন হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরই জেরে বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল কলাম্বিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনের কার্যক্রম তদন্ত শুরু করেছে।


ইসরায়েল   বিক্ষোভ   উত্তাল আমেরিকা   ৪০ বিশ্ববিদ্যালয়  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নতুন গন্তব্যে এমভি আবদুল্লাহ, নাবিকদের দেশে ফেরা নিয়ে যা জানা গেল

প্রকাশ: ১০:৩৮ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নতুন গন্তব্যে উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’।

শারজাহর আল হামরিয়া বন্দরে ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাসের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার নামে আরেকটি বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে জাহাজটি। সেখানে পণ্য লোড করে জাহাজটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হবে।

কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি চট্টগ্রামে নোঙর করবে বলে আশা করছি। আল হামরিয়া বন্দরে পণ্য খালাস করে শনিবার রাতে জাহাজটি মিনা সাকার নামে আরেকটি বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। সেখান থেকে নতুন পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে এমভি আবদুল্লাহ।

অন্যদিকে, নতুন বন্দর থেকে পণ্য লোড করার পর নাবিকদের দেশে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত।

প্রসঙ্গত, মুক্তিপণ দিয়ে গত ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটে এমভি আবদুল্লাহ এবং জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান। এরপর জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। এরপর ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি গত ২১ এপ্রিল বিকালে আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করে। জেটিতে নোঙর ফেলে ২২ এপ্রিল। পরে শুরু হয় কয়লা খালাসের প্রক্রিয়া।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে প্রায় ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাচ্ছিল। ছিনতাইয়ের পর সোমালিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূলের গ্যরাকাদে নোঙর করেছিল জাহাজটি। এর আগে একই মালিক গ্রুপের এমভি জাহান মনিকে ২০১০ সালে জিম্মি করেছিল জলদস্যুরা। সেবারও মুক্তিপণ দিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।


এমভি আবদুল্লাহ   নতুন গন্তব্যে   নাবিকদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন