ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

একটানা ক্ষমতায় থাকা রাষ্ট্রপ্রধান যারা

প্রকাশ: ০৩:২৭ পিএম, ০৯ জানুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

একটানা দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্টের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। সারা বিশ্বে এমন অনেক প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী আছেন যারা দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতাসীন ছিলেন বা আছেন। একটানা কোনো প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকার সুফল বা কুফল দুটোই আছে। তবে কুফলের চেয়ে এর সুফলই বরং বেশি। কোনো সরকার একটানা ক্ষমতায় থাকার ফলে একটি দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকে। একটি সরকারের আমলে বিভিন্ন উন্নয়নের যে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়, সরকার বদল না হলে তাতে কোনো ব্যাঘাত ঘটে না।

চলুন এক পলকে দেখে নেয়া যাক সে সব ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের সম্পর্কে যারা দীর্ঘ সময় নিজ দেশে প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন বা আছেন।

 

টিওডোরো ওবিয়াং, গিনি:

মধ্য আফ্রিকার ছোট্ট দেশ ইকুয়েটরিয়াল গিনির প্রেসিডেন্ট টিওডোরো ওবিয়াং। সেই ১৯৭৯ সালে তার চাচা ও দেশের প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান ফ্রানথিসকো মাথিয়াস এনগুয়েমাকে ক্ষমতাচ্যুত করে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তিনি প্রেসিডেন্ট পদ গ্রহণ করেন। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনিই সে দেশের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারীবর্তমানে এ রাষ্ট্রপ্রধানের বয়স ৭৮ বছর৷

এদিকে টিওডোরোর চাচা ফ্রানথিসকো মাথিয়াস ছিলেন স্বৈরাচারী। আর বর্তমানে টিওডোরো নিজেও আগামীতে তার বংশধরদের ক্ষমতায় থাকার বন্দোবস্ত করে ফেলেছেন। তিনি নিজের ছেলে টিওডোরো এগুয়েমা ওবিয়াং মাংগুয়েকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে বসিয়েছেন, যাতে তার পর তার ছেলে দেশের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে পারেন।

রবার্ট মুগাবে, জিম্বাবুয়ে:

রবার্ট মুগাবে, জিম্বাবুয়ের ইতিহাসে স্বাধীনতার পর থেকে একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন তিনি- যিনি ঈশ্বর তুলে নেয়ার আগ পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার ঘোষণা দিয়েছিলেন। টানা ৩৭ বছর ক্ষমতায় থাকার পর জিম্বাবুয়ের সেনাবাহিনীর জন্য ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন মুগাবে। আফ্রিকা থেকে ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থা দূর করাতে মুগাবে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে যাকে পুরো আফ্রিকায় নায়কের সম্মান দেয়া হতো- সেই মুগাবেই পরিণত হয়েছিলেন স্বৈরশাসকে। ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘন করে একসময়কার সমৃদ্ধশালী জিম্বাবুয়েকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছিলেন তিনি।

আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের এই দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৮০ সালে৷ স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই দীর্ঘ সময় মুগাবে জিম্বাবুয়েতে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। অবশেষে সেনা অভ্যুত্থানের মুখে পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয় রবার্ট মুগাবেকে৷

আলি খামেনি, ইরান:

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা সায়িদ আলি হোসেইনি খামেনি হলেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা৷  মধ্য প্রাচ্যের অন্যতম সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ও গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ ইরানের রাজনৈতিক ক্ষমতার শীর্ষে আছেন ৮৩ বছর বয়সের এই নেতা। ১৯৮১ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসেন তিনি৷ পরবর্তীতে ১৯৮৯ সাল থেকে তিনি সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷ দীর্ঘ ৪১ বছর ধরে দেশটির সর্বোচ্চ পদে আছেন আলি খামেনি৷

হুন সেন, কম্বোডিয়া:

ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টির (সিপিপি) নেতা হুন সেন। সেই ১৯৮৫ সাল থেকে কম্বোডিয়া শাসন করছেন তিনি। বিগত ৩৮ বছর ধরে ৭০ বছর বয়সী এই হুন সেন কম্বোডিয়ায় ক্ষমতায় আছেন। গত বছরের ২৩ জুলাই কম্বোডিয়ার সপ্তম জাতীয় নির্বাচনে কম্বোডিয়ার প্রধান বিরোধী দল ‘ক্যান্ডেল লাইট পার্টি’ নির্বাচনে অনুপস্থিত থাকায় বেশ সহজেই এবারও প্রধানমন্ত্রী হুন সেনই ক্ষমতার মসনদ নিশ্চিত করেন। ১৯৮৫ সাল থেকে ৩৩ বছর ধরে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন হুন সেন।

পল বিয়া, ক্যামেরুন:

পল বিয়া গত ৩৬ বছর ধরে ক্যামেরুনের প্রেসিডেন্ট৷ প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ১৯৮২ সালে৷ তার পর থেকে এ পর্যন্ত তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে দুটি অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছে৷ দুটিকেই ব্যর্থ করে ক্ষমতা আগলে রেখেছেন ৮৫ বছর বয়সি পল বিয়া৷

ওমর আল-বাশির, সুদান:

১৯৮৯ সালে ব্রিগেডিয়ার ওমর আল বশির আরো কিছু ইসলামপন্থী সেনাকর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে সুদানের সর্বময় ক্ষমতা দখল করেন। সুদানের ওমর আল-বাশিরই রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিলেন। তিনিই হচ্ছেন দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘকাল ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট। ক্ষমতাসীন হওয়ার পর তাকে উৎখাতের চেষ্টা এর আগেও হয়েছে - তবে তা সফল হয় নি। তবে অবশেষে ২০১৯ সালে সুদানের গণবিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে সেনাবাহিনী উৎখাত এবং গ্রেফতার করেছে।

শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ:

এর আগে তিন মেয়াদে ১৫ বছর দায়িত্ব পালনের পর এবার চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন শেখ হাসিনা৷ যদিও সারাবিশ্বে সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীদের তুলনায় শেখ হাসিনা এখনও অনেক পিছিয়ে৷ তবে এই চতুর্থ মেয়াদ শেষ করলে তারও একটানা ক্ষমতায় থাকার ২০ বছর পূর্ণ হয়ে যাবে।


দীর্ঘ মেয়াদ   রাষ্ট্রপতি   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অল্পের জন্য বাঁচে গেলেন টালিউড অভিনেতা দেব

প্রকাশ: ১০:১২ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে গিয়ে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন টালিউড অভিনেতা দেব। মালদা হেলিপ্যাড থেকে উড্ডয়নের পরপরই দেবকে বহন করা হেলিকপ্টারটিতে আগুন ধরে যায়। পাইলট জরুরি অবতরণ করেন। অক্ষত অবস্থায় হেলিকপ্টার থেকে নামেন এই টালিউড অভিনেতা ও তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য। 

শুক্রবার (০৩ মে) রাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর সড়কপথে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন দেব। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই হেলিকপ্টারটিতে আগুন লেগেছে বলে ধারণা পুলিশের। 

গণমাধ্যমকে দুর্ঘটনার বিষয়ে দেব বলেন, ‘কিছুটা ট্রমায় আছি আমি। অশান্তি, ধোঁয়া ও গন্ধ আমার ওপর মানসিক প্রভাব ফেলেছে। মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে জানিয়েছিলাম, আমি হেলিকপ্টার নিতে চাই না। এর পরিবর্তে যাওয়ার জন্য আমার কাছে সড়কপথই পছন্দ। ’

উল্লেখ্য, আগামী ৭ মে মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর কেন্দ্রে লোকসভা ভোট অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে ঘাটালের তৃণমূল সংসদ সদস্য হিসেবে প্রার্থী দেব। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় অংশ নিতেই আজ মালদহে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে মুর্শিদাবাদে যাওয়ার পথেই তার হেলিকপ্টারে আগুন লাগে।


টালিউড   অভিনেতা   দেব  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত প্রায় সাত মাস ধরে চলা ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। বিক্ষোভ দমনে এক সপ্তাহে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে দুই হাজারেও বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। এখনও চলছে ধরপাকড়। এরমধ্যেই ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থিদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলপন্থিরা। 

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এত অভিযান, ধরপাকড় ও দমন-নিপীড়নেও দমছে না ইসরায়েলবিরোধী এ বিক্ষোভ। বরং, নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষায় বিক্ষোভের এ ঢেউ আছড়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও। ইতোমধ্যে বিক্ষোভের এ ঢেউ প্রবল আকার ধারণ করতে শুরু করেছে কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, লেবানন ও জর্ডানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীদের হটাতে যে দমন–পীড়ন চালানো হচ্ছে, সেটাও তাদের প্রতিবাদে শামিল হতে উৎসাহিত করছে বলে বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন। দেশে দেশে এমন বিক্ষোভকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও এর ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশগুলোর তরুণদের মধ্যে ইসরায়েলের আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা প্রকাশিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার থেকে কানাডার টরন্টো ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়া এবং অটোয়া ইউনিভার্সিটিসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁবু গেড়ে অবস্থান নিয়েছেন ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা। তাদের দাবি, ইসরায়েলের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্পর্ক ভাঙতে হবে এবং দেশটিতে যাবতীয় বিনিয়োগ ও সহায়তা বন্ধ করতে হবে।

কানাডার বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ দিয়ে ইসরায়েলে কোনো বিনিয়োগ চলবে না। ইসরায়েলি বর্ণবাদ, দখলদারিত্ব এবং ফিলিস্তিনের অবৈধ বসতি স্থাপন থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করতে হবে। ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক শেষ না করা পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ চলতে থাকবে।

এদিকে মন্ট্রিলের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভ দমনে পুলিশি হস্তক্ষেপের অনুরোধ করলেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি কানাডার আইন প্রয়োগকারীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে পুলিশ প্রশাসন থেকে বলা হয়, তারা এখনও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। পরিস্থিতির অবনতি না হওয়া পর্যন্ত তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরোধে সাড়া দেবেন না।

দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়া ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বিবৃতি দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও। তিনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার জায়গা, মত প্রকাশের স্বাধীনতার জায়গা; তবে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা কেবল নিরাপদবোধ করলেই এটি কাজ করে। এই মুহূর্তে নিরাপদ বোধ করছে না ইহুদি শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভের আঁচ লেগেছে ইসরায়েলের আরেক ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়াতেও। দেশটির শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। এই আন্দোলনের সঙ্গে প্রতিদিনই যুক্ত হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

শুক্রবার (৩ মে) দেশটির সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁবু স্থাপন করে অবস্থান নেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এসময় যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানান তারা। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সংস্থাগুলো থেকে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিচ্ছিন্ন হওয়ার দাবি তোলেন।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেলবোর্ন, ক্যানবেরাসহ অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও একই ধরনের বিক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলোর মতো অস্ট্রেলিয়াতে এখন পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয়নি পুলিশ।

অস্ট্রেলিয়াতে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ইসরাইলবিরোধী আন্দোলন শুরু হলেও অনেকটা শান্ত ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি অভিযানের পর এখন আরও সোচ্চার হয়ে উঠতে শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও। বিশেষ করে দেশটির বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুততার সঙ্গে ভারী হচ্ছে ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন। বিক্ষোভকালে সরকার ও প্রধানমন্ত্রীবিরোধী স্লোগানও বের হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মুখ থেকে। এরপরও এখন পর্যন্ত মারমুখী অবস্থানে যায়নি পুলিশ; ঘটেনি কোনো সহিংস ঘটনা।

সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মার্ক স্কটও বলেছেন, ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে দেওয়া হবে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের মতো সহিংসতা দেখা যায়নি। তিনি জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকবে, কোন গোলযোগ হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেবে না।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ইসরাইলবিরোধী এ বিক্ষোভে সমর্থন জানাতে শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ার সাধারন নাগরিকরাও। অনেকেই বিক্ষোভ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হাজির হচ্ছেন বিভিন্ন ক্যম্পাসে। তাদেরই একজন ৩৯ বছরের ম্যাট। তিনি বলেন, ‘আমি আমার শিশুকে নিয়ে এসেছি। ফিলিস্তিনি শিশুদেরও ওর মতো জীবন চাই। আমি এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছি এটা দেখাতে যে- গাজায় ইসরায়েলের হামলার ফলে শুধু শিক্ষার্থীরাই ক্ষুব্ধ, তা নয়। একবার আপনি অনুধাবন করুন, কি হচ্ছে এবং আপনার করণীয় কী! তখনই দেখবেন আপনি এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন, সচেতনতা বাড়াচ্ছেন এবং সংহতি প্রকাশ করছেন।’

বিক্ষোভকারীদের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার মতো এতটা সহনীয় মনোভাব দেখাচ্ছে না ফ্রান্স সরকার। ইসরায়েলবিরোধী মতাদর্শ দমনে দেশটি অবলম্বন করেছে মার্কিন পন্থা। শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করায় কদিন আগেই লিওঁতে অবস্থিত স্বনামধন্য ইনস্টিটিউট অব পলিটিক্যাল স্টাডিজ (সায়েন্সেস পো) এর জন্য অর্থ বরাদ্দ বন্ধ ঘোষণা করেছে সেখানকার সরকার। একইসঙ্গে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভকারীদের দমনে দাঙ্গা পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।

ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আতাল বলেছেন, উত্তর আমেরিকা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তার দেশের সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীরা যে মতাদর্শ প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে, তা কোনোভাবেই বরদাস্ত করবে না তার সরকার।

প্রসঙ্গত, গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন সময় বিচ্ছিন্নভাবে সীমিত আকারে প্রতিবাদ জানানো হলেও সম্প্রতি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করার পর গত কয়েকদিনে ওই বিক্ষোভের হাওয়া এসে লাগতে শুরু করেছে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও। ইতোমধ্যে লন্ডন, ম্যানচেস্টার, শেফিল্ড, ব্রিস্টল ও নিউক্যাসলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দানা বেঁধেছে ইসরায়েলবিরোধী এ বিক্ষোভ।


যুক্তরাষ্ট্র   বিশ্ববিদ্যালয়   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কানাডায় হরদীপ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ৩ ভারতীয় গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৯:২৩ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিন ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করেছে কানাডা পুলিশ। দেশটির অ্যালবার্টা প্রদেশের এডমন্টন শহর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল শুক্রবার এমনটি জানিয়েছেন কানাডার পুলিশ। 

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার তিনজন হলেন-করণ ব্রার (২২), কমল প্রিত সিং (২২) ও করণ প্রিত সিং (২৮)। তাঁরা সবাই এডমন্টন শহরের বাসিন্দা। আদালতের নথিপত্র অনুযায়ী, তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। 

পুলিশ জানিয়েছে, নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। ওই হত্যার সঙ্গে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রেপ্তার তিনজনের বাইরে আরও অনেকেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। তাই সামনে আরও অনেককে গ্রেপ্তার করা হতে পারে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হতে পারে।

২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারেতে খুন হন নিজ্জর। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারত জড়িত বলে অভিযোগ করে কানাডা। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।

গত শুক্রবার কানাডার একাধিক প্রদেশে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। এই অভিযানেই গ্রেপ্তার হন সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হিট স্কোয়াডের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাঁরা গুলি চালানো, গাড়ি চালানো, নজরদারির কাজ করেছে বলে সন্দেহ করা হয়েছে।


কানাডা   হরদীপ   হত্যাকাণ্ড   ভারত   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রিটিশ অস্ত্রে সরাসরি রাশিয়ায় হামলার অনুমতি দিল যুক্তরাজ্য

প্রকাশ: ০৮:৪৭ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে পুরো বিশ্বকে আবারও কঠিন নিরাপত্তা হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে যুক্তরাজ্য। যেখানে পুরো বিশ্ব ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করার উপায় খুঁজছে সেখানে এবার সরাসরি রাশিয়ায় হামলা করার সবুজ সংকেত দিয়ে বসেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু তিনি কি ভেবেছেন এর পরিণতি কী হতে পারে? যেখানে এর আগেই পরমাণু হামলার হুমকি পর্যন্ত দিয়ে রেখেছে মস্কো। শুধু তাই নয় কিয়েভকে অভূতপূর্ব সহায়তা করার কথাও ঘোষণা দিয়েছেন ডেভিড ক্যামেরন।

 

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যামেরন জানান, যুদ্ধে টিকে থাকার জন্য ইউক্রেনকে যেসব ব্রিটিশ সমরাস্ত্র দেয়া হচ্ছে, তা কীভাবে ব্যবহার করা হবে, তার সিদ্ধান্ত কিয়েভের ওপর। শুক্রবার কিয়েভ সফরে গিয়ে এ মন্তব্য করেছেন তিনি। জানান, ইউক্রেন চাইলে যুক্তরাজ্যের অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডেও হামলা চালাতে পারে।

 

ডেভিড ক্যামেরন জানান, ইউক্রেনের যত দিন প্রয়োজন হবে, যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে প্রতিবছর ৩৭৫ কোটি মার্কিন ডলার করে দেয়া হবে। এ সময় রাশিয়া যেভাবে ইউক্রেনের অভ্যন্তরে হামলা করছে, তাতে ইউক্রেন কেন আত্মরক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে, তা সহজে অনুমান করা যায় বলেও মন্তব্য করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

 

এদিকে ডেভিড ক্যামেরনের এমন মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। মস্কো বলেছে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্য আরেকটি অত্যন্ত বিপজ্জনক বিবৃতি। ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ইউক্রেন সংঘাত ঘিরে এটি সরাসরি উত্তেজনা ছড়াবে, যা ইউরোপীয় নিরাপত্তার জন্য সম্ভাব্য হুমকি সৃষ্টি করবে।

 

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পাশাপাশি পেসকভ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর বক্তব্যেরও নিন্দা জানান। এর আগে চলতি সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের ব্যবসাবিষয়ক ম্যাগাজিন ইকোনমিস্টকে বলেছেন, রুশ সেনারা যদি সামনে এগোতে থাকেন এবং ইউক্রেন অনুরোধ করলে সেখানে স্থলসেনা পাঠানো হবে কি না, তা পশ্চিমাদের বিবেচনা করতে হবে। রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জানান, মাখোঁর বক্তব্য ছিল বিপজ্জনক। তবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করে বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়া যদি জয়লাভ করে, তবে ইউরোপে কোনো নিরাপত্তা থাকবে না।

 

এর আগে, ইউক্রেনকে একাধিকবার রাশিয়ার অভ্যন্তরে তেল শোধনাগারগুলোতে হামলা চালাতে নিষেধ করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির আশঙ্কা, এতে উত্তেজনা আরও বাড়বে। রাশিয়ার সেনারা সম্প্রতি ইউক্রেনের কয়েকটি অঞ্চলে সামনে অগ্রসর হয়েছে। ইউক্রেনের অস্ত্র ও সেনা ঘাটতির সুযোগ নিয়ে বেশি কয়েকটি শহর ও গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী।


ব্রিটিশ   অস্ত্র   রাশিয়া   যুক্তরাজ্য  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা

প্রকাশ: ০৮:৪১ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আরও একটি গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। জনমত জরিপের পর এমন পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির খ্যাতনামা জরিপ সংস্থা রাসমুসেন। সংস্থাটি জানিয়েছে— বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যদি আবারও ক্ষমতায় আসেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ বেঁধে যাবে বলে মনে করেন ৪১ শতাংশ মার্কিন ভোটার। আর ১৬ শতাংশ ভোটার মনে করেন হয়তো এমনটা হতেও পারে। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে বার্তাসংস্থা তাস।

তবে, জরিপে অংশ নেওয়া ৪৯ শতাংশ উত্তরদাতারা মনে করেন না যে, আগামী পাঁচ বছরে আরেকটি গৃহযুদ্ধের মুখে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র। আর ১০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তারা এ বিষয়ে নিশ্চিত নন। পক্ষান্তরে ২৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন-সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হলেই বরং গৃহযুদ্ধেরে কবলে পড়তে পাড়ে ওয়াশিংটন।

তাস জানায়, আলোচিত জরিপটি ২১ থেকে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে করা হয়েছিল। যেখানে ১১শর বেশি মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। অংশগ্রহণকারী সবাই-ই আসন্ন মার্কিন নির্বাচনের ভোটার। ফলে, এই ফল যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছে।

চলতি বছরের ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এরইমধ্যে রিপাবলিকান দলের মনোনয়নে জয়ী হয়েছেন ট্রাম্প। আর দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য লড়ছেন ডেমোক্র্যাট পার্টির ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এবারের নির্বাচনে গাজা ইস্যু বাইডেনকে বেশ ভোগাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ৭ অক্টোবর থেকে উপত্যকায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। যেখানে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে আসছেন বাইডেন। এ নিয়ে দেশের অভ্যন্তরেই প্রচণ্ড চাপে রয়েছেন ৮১ বয়সী এই প্রেসিডেন্ট।

বাইডেন প্রশাসনের গাজানীতির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ আন্দোলনে উত্তপ্ত ক্যাম্পাসগুলো। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা, ব্যাপক ধরপাকড়েও দমে যায়নি এসব শিক্ষার্থী। বরং দিনকে দিন স্ফূলিঙ্গের মতোই ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভ। ফলে, জনমত অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে ইহুদি-বিদ্বেষ বলে আখ্যা দেয় ইসরায়েলপন্থি মার্কিন নীতিনির্ধারকরা।

অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ইসরায়েলপন্থিরা। এতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার এক টেলিভিশন ভাষণে শিক্ষার্থীদের আইন মানার অনুরোধ করেন বাইডেন। তবে, তাদের ওপর হামলা ও পুলিশি নির্যাতন নিয়ে কোনো মন্তব্যই করেননি তিনি। এতে মুসলিম ভোটারদের থেকে আরও দূরে গেছেন বাইডেন, এমনটাই মনে করেন বিশ্লেষকরা। ফলে আসন্ন নির্বাচনে বাইডেনের জন্য বয়ে আনতে পারে নেতিবাচক ফল।


ভয়াবহ   গৃহযুদ্ধ   আমেরিকা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন