ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে মমতা

প্রকাশ: ১০:৪০ পিএম, ১৪ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বাড়িতে হাঁটাহাঁটির সময় পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার কালীঘাটের বাসভবন চত্বরে হাঁটছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এ সময় হটাৎ সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে যাওয়ার সময় আলমারির কোনায় লেগে কপালে চোট পান তিনি। কপাল ফেটে রক্ত বেরোতে থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাড়াতাড়ি তাকে এসএসকেএম হাসপাতালের ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। 

হাসপাতাল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর কপালের ক্ষত বেশ গভীর। স্ক্যান ও এমআরআই করা হলে ক্ষতের অবস্থা বোঝা সম্ভব হবে। আপাতত কপালে সেলাই করা হতে পারে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যেই চিকিৎসকদের একটি দল গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

আজ রাত ঠিক ৮টা ১৫ মিনিটে মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের দলীয় এক্স হেন্ডেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রক্তাক্ত ছবি পোস্ট করলে দুর্ঘটনার খবর প্রথম প্রকাশে আসে। 

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হাসপাতালে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর দুই ভাতিজা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতোমধ্যেই একে একে মমতাকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছেছেন দলটির নেতা-নেত্রীরা। 

এদিকে পুলিশ বলছে, কেউ তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে কিনা- সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তিউনিসিয়ায় নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর

প্রকাশ: ১১:১৪ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া আট বাংলাদেশি নাগরিকের মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার ( ৩ মে ) বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়।

নিহতরা হলেন মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার সেনদিয়া গ্রামের সজল বৈরাগী(২২), একই থানার কদমবাড়ি গ্রামের মৃত পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস (১৮), সরমঙ্গল গ্রামের মামুন শেখ(২৪), কোদালিয়া গ্রামের কাজী সজীব(১৮), কেশরদিয়া গ্রামের তোতা খলিফার ছেলে কায়সার খলিফা (৩৫), গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর থানার দাদন শেখের ছেলে রিফাত শেখ (২৪), একই থানার পদ্মপট্টি গ্রামের আবুল কাশেম শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২৫) এবং পদ্মাপট্টি গ্রামের পান্নু শেখের ছেলে ইমরুল কায়েস আপন (২৩)।

এ ঘটনায় মানবপাচার আইনে করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা জানেন, সৌদি এয়ারলাইন্সে বৃহস্পতিবার ( ২ মে ) দুপুরে মরদেহগুলো বিমানবন্দরে পৌঁছায়। যেহেতু এটি একটি ইন্টারন্যাশনাল ঘটনা, দেশের বাইরে সংঘটিত হয়েছে। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এখানে উপস্থিত আছেন। সবার মতামতে, বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পূর্বনির্ধারিত ফরেনসিক চিকিৎসক ডা. ফাহমিদা হকসহ আমরা তিনজন, ডেড বডিগুলোর আলামত দেখলাম। যেভাবে বাইরের থেকে আসছে ইনটেক। দেশের বাইরে যে পোস্টমোর্ডাম হয়েছে তা দেখলাম। সেখানে কোনোরকম কোনো প্রবলেম আছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য জাস্ট।

তিনি বলেন, ‘ম্যাজিট্রেট স্যারের উপস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস চেক করে মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

উপ-পরিদর্শক জানান, এই মামলায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন যুবরাজ ও কামাল। তাদের রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তা যাচাই করা হচ্ছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক চক্র। এদের সাথে যাদের কানেক্টিভিটি আছে দেশে ও দেশের বাইরে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’


তিউনিসিয়া   বাংলাদেশি   নিহত ৮  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাড়ছে বিদেশে পাড়ি জমানো কানাডিয়ানদের সংখ্যা

প্রকাশ: ১০:৫১ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রতি বছর বিশ্বের বহু দেশের মানুষ কানাডায় পাড়ি জমান। উন্নত জীবন এবং জীবিকার আশায় স্বদেশ ছেড়ে এই দেশে যান তারা। অথচ কানাডার নাগরিকদের মধ্যেই বাড়ছে দেশত্যাগের হার। ক্রয়ক্ষমতার অভাবে দেশ ছেড়ে ভিনদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন কানাডীয়রা।

কানাডার সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৬ সালেই প্রায় ৪০ লাখ নাগরিক দেশে ছেড়েছেন, যা দেশটি মোট জনসংখ্যার ১১ শতংশ।

প্রবাসী কানাডীয়দের নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ম্যাকগিল ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব কানাডা। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে কানাডার নাগরিকদের দেশ ত্যাগের হার ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নিজ দেশের নাগরিকদের ধরে রাখতে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে কানাডা সরকারকে।

ম্যাকগিল ইনস্টিটিউট বলছে, যেসব অভিবাসী আবেদনের মাধ্যমে নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন তারা আগমনের চার থেকে সাত বছরের মধ্যে কানাডা ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। এর পেছনে কিছুটা ক্রয়ক্ষমতার অভাবের বিষয়টি জড়িত।

কানাডার প্রবাসীদের প্রায় অর্ধেক পিতামাতার মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেয়েছেন। এক-তৃতীয়াংশ কানাডার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছেন। এ ছাড়া প্রবাসীদের বাকি ১৫ শতাংশ বিদেশি। তারা আবেদনের মাধ্যমে কানাডার নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তাদের দেশ ছাড়ার কারণগুলোর মধ্যে ভ্রমণ, চাকরি ও পড়াশোনার সুযোগের বিষয় রয়েছে।কানাডার এশিয়া প্যাসিফিক ফাউন্ডেশনের তথ্য থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র, হংকং ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশে প্রবাসী কানাডীয়রা বসবাস করেন।

প্রতিবেদনটি অনুমোদন করেছে বি সি সেন ইউয়েন পাউ উয়ের কার্যালয়। পাউ উ বলেছেন, দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া নাগরিকদের সমর্থনের জন্য কানাডা আরও বেশি কিছু করতে পারে। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, প্রবাসী কানাডীয়রা বিশ্বজুড়ে কানাডার কূটনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান আরও প্রসারিত করতে পারেন।

এক সাক্ষাৎকারে পাউ উ বলেন, আমরা একটি সংকীর্ণমনা দেশ। আন্তর্জাতিকতাবাদী এবং বৈশ্বিক হওয়ার দাবি করলেও আমাদের প্রবণতা কেবল দেশের ভেতর তাকানোতেই সীমাবদ্ধ।

ম্যাকগিলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবাসীদের সমর্থনের ক্ষেত্রে কানাডা অন্য দেশের চেয়ে পিছিয়ে। প্রবাসী কানাডীয়রা কর দেওয়া সত্ত্বেও প্রাদেশিক নির্বাচনে ভোট দেওয়া এবং স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার নেই।

পাউ উ বলেন, কেন বিদেশে গেছেন, কানাডা সম্পর্কে তাদের উপলব্ধি এবং দেশে ফেরার পরিকল্পনার মতো কিছু মূল বিষয়ে আমরা এখনো খুব কম জানি। ভালো ডেটা থেকেই ভালো নীতি প্রণয়ন সম্ভব। তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।


বিদেশ   কানাডা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অল্পের জন্য বাঁচে গেলেন টালিউড অভিনেতা দেব

প্রকাশ: ১০:১২ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে গিয়ে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন টালিউড অভিনেতা দেব। মালদা হেলিপ্যাড থেকে উড্ডয়নের পরপরই দেবকে বহন করা হেলিকপ্টারটিতে আগুন ধরে যায়। পাইলট জরুরি অবতরণ করেন। অক্ষত অবস্থায় হেলিকপ্টার থেকে নামেন এই টালিউড অভিনেতা ও তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য। 

শুক্রবার (০৩ মে) রাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর সড়কপথে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন দেব। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই হেলিকপ্টারটিতে আগুন লেগেছে বলে ধারণা পুলিশের। 

গণমাধ্যমকে দুর্ঘটনার বিষয়ে দেব বলেন, ‘কিছুটা ট্রমায় আছি আমি। অশান্তি, ধোঁয়া ও গন্ধ আমার ওপর মানসিক প্রভাব ফেলেছে। মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে জানিয়েছিলাম, আমি হেলিকপ্টার নিতে চাই না। এর পরিবর্তে যাওয়ার জন্য আমার কাছে সড়কপথই পছন্দ। ’

উল্লেখ্য, আগামী ৭ মে মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর কেন্দ্রে লোকসভা ভোট অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে ঘাটালের তৃণমূল সংসদ সদস্য হিসেবে প্রার্থী দেব। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় অংশ নিতেই আজ মালদহে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে মুর্শিদাবাদে যাওয়ার পথেই তার হেলিকপ্টারে আগুন লাগে।


টালিউড   অভিনেতা   দেব  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত প্রায় সাত মাস ধরে চলা ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। বিক্ষোভ দমনে এক সপ্তাহে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে দুই হাজারেও বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। এখনও চলছে ধরপাকড়। এরমধ্যেই ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থিদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলপন্থিরা। 

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এত অভিযান, ধরপাকড় ও দমন-নিপীড়নেও দমছে না ইসরায়েলবিরোধী এ বিক্ষোভ। বরং, নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষায় বিক্ষোভের এ ঢেউ আছড়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও। ইতোমধ্যে বিক্ষোভের এ ঢেউ প্রবল আকার ধারণ করতে শুরু করেছে কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, লেবানন ও জর্ডানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীদের হটাতে যে দমন–পীড়ন চালানো হচ্ছে, সেটাও তাদের প্রতিবাদে শামিল হতে উৎসাহিত করছে বলে বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন। দেশে দেশে এমন বিক্ষোভকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও এর ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশগুলোর তরুণদের মধ্যে ইসরায়েলের আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা প্রকাশিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার থেকে কানাডার টরন্টো ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়া এবং অটোয়া ইউনিভার্সিটিসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁবু গেড়ে অবস্থান নিয়েছেন ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা। তাদের দাবি, ইসরায়েলের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্পর্ক ভাঙতে হবে এবং দেশটিতে যাবতীয় বিনিয়োগ ও সহায়তা বন্ধ করতে হবে।

কানাডার বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ দিয়ে ইসরায়েলে কোনো বিনিয়োগ চলবে না। ইসরায়েলি বর্ণবাদ, দখলদারিত্ব এবং ফিলিস্তিনের অবৈধ বসতি স্থাপন থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করতে হবে। ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক শেষ না করা পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ চলতে থাকবে।

এদিকে মন্ট্রিলের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভ দমনে পুলিশি হস্তক্ষেপের অনুরোধ করলেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি কানাডার আইন প্রয়োগকারীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে পুলিশ প্রশাসন থেকে বলা হয়, তারা এখনও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। পরিস্থিতির অবনতি না হওয়া পর্যন্ত তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরোধে সাড়া দেবেন না।

দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়া ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বিবৃতি দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও। তিনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার জায়গা, মত প্রকাশের স্বাধীনতার জায়গা; তবে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা কেবল নিরাপদবোধ করলেই এটি কাজ করে। এই মুহূর্তে নিরাপদ বোধ করছে না ইহুদি শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভের আঁচ লেগেছে ইসরায়েলের আরেক ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়াতেও। দেশটির শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। এই আন্দোলনের সঙ্গে প্রতিদিনই যুক্ত হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

শুক্রবার (৩ মে) দেশটির সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁবু স্থাপন করে অবস্থান নেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এসময় যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানান তারা। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সংস্থাগুলো থেকে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিচ্ছিন্ন হওয়ার দাবি তোলেন।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেলবোর্ন, ক্যানবেরাসহ অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও একই ধরনের বিক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলোর মতো অস্ট্রেলিয়াতে এখন পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয়নি পুলিশ।

অস্ট্রেলিয়াতে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ইসরাইলবিরোধী আন্দোলন শুরু হলেও অনেকটা শান্ত ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি অভিযানের পর এখন আরও সোচ্চার হয়ে উঠতে শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও। বিশেষ করে দেশটির বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুততার সঙ্গে ভারী হচ্ছে ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন। বিক্ষোভকালে সরকার ও প্রধানমন্ত্রীবিরোধী স্লোগানও বের হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মুখ থেকে। এরপরও এখন পর্যন্ত মারমুখী অবস্থানে যায়নি পুলিশ; ঘটেনি কোনো সহিংস ঘটনা।

সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মার্ক স্কটও বলেছেন, ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে দেওয়া হবে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের মতো সহিংসতা দেখা যায়নি। তিনি জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকবে, কোন গোলযোগ হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেবে না।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ইসরাইলবিরোধী এ বিক্ষোভে সমর্থন জানাতে শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ার সাধারন নাগরিকরাও। অনেকেই বিক্ষোভ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হাজির হচ্ছেন বিভিন্ন ক্যম্পাসে। তাদেরই একজন ৩৯ বছরের ম্যাট। তিনি বলেন, ‘আমি আমার শিশুকে নিয়ে এসেছি। ফিলিস্তিনি শিশুদেরও ওর মতো জীবন চাই। আমি এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছি এটা দেখাতে যে- গাজায় ইসরায়েলের হামলার ফলে শুধু শিক্ষার্থীরাই ক্ষুব্ধ, তা নয়। একবার আপনি অনুধাবন করুন, কি হচ্ছে এবং আপনার করণীয় কী! তখনই দেখবেন আপনি এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন, সচেতনতা বাড়াচ্ছেন এবং সংহতি প্রকাশ করছেন।’

বিক্ষোভকারীদের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার মতো এতটা সহনীয় মনোভাব দেখাচ্ছে না ফ্রান্স সরকার। ইসরায়েলবিরোধী মতাদর্শ দমনে দেশটি অবলম্বন করেছে মার্কিন পন্থা। শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করায় কদিন আগেই লিওঁতে অবস্থিত স্বনামধন্য ইনস্টিটিউট অব পলিটিক্যাল স্টাডিজ (সায়েন্সেস পো) এর জন্য অর্থ বরাদ্দ বন্ধ ঘোষণা করেছে সেখানকার সরকার। একইসঙ্গে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভকারীদের দমনে দাঙ্গা পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।

ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আতাল বলেছেন, উত্তর আমেরিকা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তার দেশের সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীরা যে মতাদর্শ প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে, তা কোনোভাবেই বরদাস্ত করবে না তার সরকার।

প্রসঙ্গত, গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন সময় বিচ্ছিন্নভাবে সীমিত আকারে প্রতিবাদ জানানো হলেও সম্প্রতি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করার পর গত কয়েকদিনে ওই বিক্ষোভের হাওয়া এসে লাগতে শুরু করেছে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও। ইতোমধ্যে লন্ডন, ম্যানচেস্টার, শেফিল্ড, ব্রিস্টল ও নিউক্যাসলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দানা বেঁধেছে ইসরায়েলবিরোধী এ বিক্ষোভ।


যুক্তরাষ্ট্র   বিশ্ববিদ্যালয়   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কানাডায় হরদীপ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ৩ ভারতীয় গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৯:২৩ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিন ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করেছে কানাডা পুলিশ। দেশটির অ্যালবার্টা প্রদেশের এডমন্টন শহর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল শুক্রবার এমনটি জানিয়েছেন কানাডার পুলিশ। 

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার তিনজন হলেন-করণ ব্রার (২২), কমল প্রিত সিং (২২) ও করণ প্রিত সিং (২৮)। তাঁরা সবাই এডমন্টন শহরের বাসিন্দা। আদালতের নথিপত্র অনুযায়ী, তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। 

পুলিশ জানিয়েছে, নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। ওই হত্যার সঙ্গে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রেপ্তার তিনজনের বাইরে আরও অনেকেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। তাই সামনে আরও অনেককে গ্রেপ্তার করা হতে পারে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হতে পারে।

২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারেতে খুন হন নিজ্জর। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারত জড়িত বলে অভিযোগ করে কানাডা। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।

গত শুক্রবার কানাডার একাধিক প্রদেশে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। এই অভিযানেই গ্রেপ্তার হন সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হিট স্কোয়াডের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাঁরা গুলি চালানো, গাড়ি চালানো, নজরদারির কাজ করেছে বলে সন্দেহ করা হয়েছে।


কানাডা   হরদীপ   হত্যাকাণ্ড   ভারত   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন