নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৫ এএম, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ সময় ধরে নানা বিষয়ে দেশটিকে অর্থ সাহায্য দিয়ে আসছে। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী পাকিস্তানকে ৩০ কোটি ডলার অর্থ সাহায্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে। এর আগেও ৫০ কোটি ডলারের একটি সাহায্য পাকিস্তান থেকে প্রত্যাহার করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু কেন ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়ার পরও পাকিস্তান থেকে এসব অর্থ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে চিড় ধরল কেন?
সম্প্রতি অর্থ সাহায্য বাতিলের বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বলছে, জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে মোকাবেলা করতে পাকিস্তান ব্যর্থ হয়েছে। জঙ্গি মোকাবেলায় পাকিস্তান প্রকৃত অর্থে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। একারণে এই অর্থ সাহায্য বাতিল ঘোষণা করেছে তারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর আগেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি তখন বলেছেন, পাকিস্তানকে শত শত কোটি ডলার অর্থ সাহায্য দেওয়ার পরও দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা করছে। চলতি বছরের শুরুতেই তিনি এক টুইট বার্তার মাধ্যমে জানান, পাকিস্তানে সকল ধরনের অর্থ ও সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
পেন্টাগন মুখপাত্র লে. কর্নেল ফকনার অভিযোগ করে বলেন, পাকিস্তানে হাক্কানি নেটওয়ার্ক ও আফগান তালেবান জঙ্গিগোষ্ঠী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। এ বিষয়ে পাকিস্তান কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তাই অর্থ সাহায্যের পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে। এই বাতিলকৃত অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিষয়ে ‘জরুরী ভিত্তিতে অগ্রাধিকার’ দেওয়া দরকার সেইসব খাতে ব্যয় করা হবে। তবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।
পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য খুব শিগগিরই পাকিস্তানে যাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পে। আর এই সফরের অর্থ সাহায্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হলো। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ঘোষণা করেছিল, পাকিস্তানকে নিরাপত্তা খাতে দেওয়া অর্থ সাহায্য কাটছাট করতে যাচ্ছে দেশটি। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা আরো অনেক দেশই পাকিস্তানের দিকে দীর্ঘদিন ধরে আঙ্গুল তুলে বলে আসছে, পাকিস্তান সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আফগানিস্তানের সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তারা সেখানে হামলা পরিচালনা করছে।
তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ আগে থেকেই প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তাছাড়া সম্প্রতি অর্থ সাহায্য বাতিল নিয়েও এখনো পর্যন্ত পাকিস্তান কোনো মন্তব্য করেনি। তবে এর আগে গত জানুয়ারি মাসে যখন এরকম একটি ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল তখন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ‘পাকিস্তান কখনো অর্থের জন্যে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি। করেছে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য।’ পাকিন্তান বলেছে, ‘প্রচুর রক্তপাত ও সম্পদের বিনিময়ে পাকিস্তান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
পাকিস্তানের কথিত জঙ্গি নেটওয়ার্ক কারা?
পাকিস্তানের একটি জঙ্গিগোষ্ঠী হাক্কানি নেটওয়ার্ক। এদের তৎপরতা মূলত প্রতিবেশী আফগানিস্তানে। এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে নিয়ে কাবুল দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করছে, পাকিস্তানের সহযোগিতা নিয়েই এই নেটওয়ার্কের জঙ্গিরা আফগানিস্তানের ভেতরে ঢুকে সন্ত্রাসী তৎপরতা পরিচালনা করছে। আর এই গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক আছে আফগান তালেবানদের, যা আফগান সরকারের জন্যে বড়ো ধরনের হুমকিস্বরূপ।
আফগান তালেবানের সঙ্গে আবার পাকিস্তানি তালেবানদের সম্পর্ক আছে, যারা বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তানের ভেতরে হামলা চালিয়েছে। এই গোষ্ঠীরা আফগানিস্তানের ভেতরেও বেশকিছু হামলা চালিয়েছে। আর ওইসব হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যসহ কর্মকর্তারাও নিহত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা (আইএসআই) এসব জঙ্গিদের সমর্থন দিচ্ছে।
কেন পাকিস্তান জঙ্গিদের সমর্থন দিচ্ছে?
পাকিস্তান পররাষ্ট্র নীতির স্বার্থে আফগান তালেবানকে ব্যবহার করে থাকে বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, ১৯৭৯ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তানে সৈন্য পাঠানোর পর পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই আফগানিস্তানের ভেতরে জঙ্গিদের অর্থ সাহায্য ও প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করে। ২০০১ সালের পর থেকে আফগানিস্তান যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের ভেতর দিয়ে সেখানে পশ্চিমা সৈন্য ও রসদ পাঠানো হয়। আল কায়দার মতো জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা পশ্চিমা দেশগুলোকে সহায়তা দেয়।
তবে অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, এ সবকিছুর মধ্যেও পাকিস্তান জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া অব্যাহত রেখেছে। আফগানিস্তানে ভারতের প্রভাব সীমিত করার লক্ষ্যেই পাকিস্তান এসব জঙ্গি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/বিপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
৬ মাসের ও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। যুদ্ধের শুরু থেকেই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হাসামকে পুরোপুরি নির্মূলের বার্তা দিয়ে আসছে ইসরায়েল। কিন্তু দীর্ঘ সময় যুদ্ধের পরেও নিজেদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েছেন ইসরায়েলি সেনারা।
সম্প্রতি আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, ইসরায়েলের ৩০ সেনা নিজেদের দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। প্যারাট্রুপার ইউনিটের সেনারা বলছেন, রাফাহ সীমান্তে অভিযানের জন্য ডাকা হলে তারা এতে সাড়া দেবেন না।
বর্তমানে গাজার সর্বশেষ নিরাপদ আশ্রয়স্থল হচ্ছে মিসরের রাফাহ সীমান্ত। এলাকাটিতে ইসরায়েল অভিযানের পরিকল্পনা করছে। এমন সময় দেশটির সেনারা এ মনোভাব জানিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব রিজার্ভ সেনাদের দায়িত্বে ফেরাতে জোর করবেন না কমান্ডাররা। দীর্ঘ এ যুদ্ধে সেনারা কতটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এই বার্তায়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা করে। এতে ১ হাজার ২০০ এর বেশি নিহত হয়। হামাস যোদ্ধারা ধরে নিয়ে যায় কয়েকশ ইসরায়েলিকে। এরপর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় নৃশংস আক্রমণ শুরু করে। সর্বাত্মক সামরিক অভিযানে তেলআবিব কোনো মানবিক নিয়ম মানছে না। নির্বিচারে নারী ও শিশুসহ বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
ওয়াশিংটন ডিসির জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে নাড়ছেন এক ব্যক্তি। ব্যারিকেডের চারপাশে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করছে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা। যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তাঁবু তৈরি করে অবস্থান কর্মসূচিও চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোয় কয়েক সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনপন্থীদের টানা বিক্ষোভ চলছে। আটক করা হয়েছে কয়েকশ বিক্ষোভকারীকে। এতেও তাঁদের দমানো যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে গত রোববার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ক্যাম্পাসগুলোয় চলমান বিক্ষোভ অবশ্যই শান্তিপূর্ণ হতে হবে।
১৯৬০–এর দশকে ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও নাগরিক অধিকার আন্দোলনের পর যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ইসরায়েলবিরোধী এই আন্দোলন। ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সেই বিক্ষোভে ব্যাপক ধরপাকড় করা হয়েছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি সহিংসতায় রূপ নিয়েছিল।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলে আসছেন, তাঁদের এই বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিক্ষোভকে তাদের কার্যক্রমে ব্যাঘাত বলে মনে করছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে। পুলিশের হাতে শিক্ষার্থীদের ধরপাকড়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে।
সর্বশেষ গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বিদ্যাপীঠ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে শিক্ষার্থীরা গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
এদিকে, গত সপ্তাহে নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভের অভিযোগে ১০০ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের পর এই বিক্ষোভ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
নিউইয়র্কের ওয়াশিংটন স্কয়ার পার্কের ওপরে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের বিশেষ বাহিনী স্ট্র্যাটেজিক রেসপন্স গ্রুপকে (এসআরজি) ড্রোন নিয়ে সতর্ক টহল দিতে দেখা যায়।
নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ‘ইসরায়েলের বোমা, অর্থ দিচ্ছে এনওয়াইইউ, আজ কত শিশু হত্যা করেছ’, এমন প্রচারপত্র বিলির সময় ১২০ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সেন্ট লুইসে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৮০ জনকে গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটেছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৯০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শিক্ষার্থী বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্র জর্জ ওয়াশিংটন ফিলিস্তিন
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে অবস্থিত কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে টাবু টাঙিয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করে আসছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের এ বিক্ষোভ বন্ধে আল্টিমেটাম জারি করে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আল্টিমেটাম প্রত্যাখান করায় শেষ পর্যন্ত পিছু হটেছে প্রশাসন।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ২টা পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভে থেকে সড়ে আসার আল্টিমেটাম দেয় প্রশাসন। এতে বলা হয়েছিল নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বিক্ষোভ থেকে সরে না আসলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তবে সময়সীমা শেষ হলেও শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, বিক্ষোভকারীরা তাদের নির্দেশনা উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা মাস্ক এবং উজ্জল টপস পরিধান করে মানব প্রাচীর তৈরি করেছে। যাতে পুলিশ তাদের তাবু ভেঙে দিতে না পারে।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ ছয় মাস ধরে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এ হামলায় ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে এ অঞ্চলটি এখন দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে।
এদিকে অস্টিনে অবস্থিত টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভ করায় বহু শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ফিলিস্তিন বিক্ষোভ শিক্ষার্থী কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
মন্তব্য করুন
দুটি মার্কিন রণতরী এবং আরও দুটি জাহাজে হামলার দাবি করেছে ইমেয়েনে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি।
সোমবার(২৯ এপ্রিল) লোহিত সাগর এবং ভারত মহাসাগরে এসব হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন হুথির মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া।
তিনি জানান, তারা যে দুটি জাহাজে হামলা করেছেন, সেগুলো হল- সাইক্ল্যাডেস এবং এমএসসি ওরিয়ন।
ভারত মহাসাগরে এমএসসি ওরিয়ন কন্টেইনারটির ওপর ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়। পর্তুগালের পতাকাবাহী এই জাহাজটি পুর্তগাল ও ওমানের মধ্যে চলাচল করছিল। এর মালিক জোডিয়াক ম্যারিটাইম। এর আংশিক অংশীদার ইসরায়েলি ব্যবসায়ী ফায়াল ওফার। এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করেনি কোম্পানিটি।
ব্রিটিশ ম্যারিটাইম সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান আমব্রে সোমবার জানায়, মাল্টার পতাকাধারী কন্টেইনার সাইক্ল্যাডেস-এর ওপর হামলা চালানোর কারণ হল ইসরায়েলের সাথে এর বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকা। এটি জিবুতি থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা যাচ্ছিল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রণতরী হুথি বিদ্রোহী হামলা
মন্তব্য করুন
ওয়াশিংটন ডিসির জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে নাড়ছেন এক ব্যক্তি। ব্যারিকেডের চারপাশে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করছে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা। যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তাঁবু তৈরি করে অবস্থান কর্মসূচিও চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোয় কয়েক সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনপন্থীদের টানা বিক্ষোভ চলছে। আটক করা হয়েছে কয়েকশ বিক্ষোভকারীকে। এতেও তাঁদের দমানো যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে গত রোববার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ক্যাম্পাসগুলোয় চলমান বিক্ষোভ অবশ্যই শান্তিপূর্ণ হতে হবে।