ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের উত্তর প্রদেশে বন্যায় ১৬ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:৩৯ পিএম, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

ভারতের উত্তর প্রদেশে বন্যায় ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। স্থানীয় সময় গত শনি ও রোববারের টানা বৃষ্টিপাতের ফলে রাজ্যের ১৬টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

বন্যায় শাহজানপুর ও সীতাপুর জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শাহজানপুরে ৬ জন, সীতাপুরে ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আমেথি, অরাইয়া, ঝাঁসি, ললিতপুর জেলা থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭জনের মৃতদেহ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১ হাজার কোটি রুপি ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার।

আগামী দু’দিন ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তর। ফলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হেলিকপ্টার ব্যবহার করে দুর্গতদের উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। এছাড়া সেনাবাহিনীরও সাহায্য চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার।


বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সোনা কিনতে দুবাই ছুটছেন ভারতীয়রা

প্রকাশ: ০২:৫০ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

দুবাইয়ে সারা বছর লেগে থাকে পর্যটকদের ভিড়। এদের একটি বড় অংশই ভারতীয়। অন্যসময় এসব পর্যটক দুবাই ঘুরতে যান ধরে নিলেও এই সময়টায় যারা যাচ্ছেন, তাদের অনেকেরই উদ্দেশ্য ভিন্ন। এখন বহু ভারতীয় পর্যটক সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাঁকজমক শহরটিতে ছুটছেন কেবল সোনার কেনার উদ্দেশ্যে।

আগামী ১০ মে অক্ষয় তৃতীয়া উৎসব উদযাপন করবেন ভারতসহ গোটা বিশ্বের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। অক্ষয় তৃতীয়া হলো হিন্দু পঞ্জিকার বৈশাখ মাসের শুক্লা তৃতীয়া অর্থাৎ শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি। এটি হিন্দু ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ সময়।

অক্ষয় শব্দের অর্থ হলো যা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। বৈদিক বিশ্বাস অনুসারে, এই পবিত্র তিথিতে কোনো শুভকাজ সম্পন্ন হলে তা অনন্তকাল অক্ষয় হয়ে থাকে। আধুনিককালে এই তিথিতে সোনার বা রূপার গয়না কেনা হয়। মনে করা হয়, এই শুভ তিথিতে রত্ন বা জিনিসপত্র কিনলে গৃহে শুভযোগ হবে, সুখ-শান্তি ও সম্পদ বৃদ্ধি হবে। এই আশাতেই এদিন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা কিছু না কিছু কিনে থাকেন।

বর্তমানে সোনা ক্রেতা ভারতীয়দের মধ্যে অনেকেরই প্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে দুবাই। অন্যবারের মতো এবারও অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষে সোনাদানা কিনতে শহরটিতে ছুটছেন অনেকে।

লিয়ালি জুয়েলারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনুরাগ সিনহা বলেন, হ্যাঁ! কিছু লোক সোনা কেনার জন্য ভারত থেকে দুবাই ভ্রমণ করেন, বিশেষ করে অক্ষয় তৃতীয়ার মতো উৎসবের সময়। তিনি বলেন, এখানে বিভিন্ন ধরনের সোনার গয়না, কয়েন ও বার পাওয়া যায়। এ কারণে ভারত এবং অন্যান্য দেশের সোনা ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে দুবাই।

পাভাদ গোল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফুল ঢাকন বলেন, দুবাইয়ের সোনার বাজার এর বৈচিত্র্য এবং প্রতিযোগিতামূলক দামের জন্য পরিচিত। এটি অবশ্যই দুবাইকে সোনা কেনার জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল গন্তব্য করে তুলেছে। অক্ষয় তৃতীয়া উদযাপনকারী ভারতীয়রাও এতে আকৃষ্ট হচ্ছেন।

বাফলেহ জুয়েলার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রমেশ ভোরা জানান, ভারতীয় পর্যটকরা জানেন, অক্ষয় তৃতীয়ার সময় দুবাইয়ে বিভিন্ন ধরনের অফার থাকে। তাই সেই অনুযায়ী তারা ভ্রমণের তারিখ নির্ধারণ করেন।

খালিজ টাইমসের খবর অনুসারে, অক্ষয় তৃতীয়া উৎসব চলাকালীন দুবাইয়ের অনেক জুয়েলার্স সোনা, হীরা এবং মূল্যবান ধাতব গহনা কেনার জন্য ক্রেতাদের জন্য বিশেষ ছাড়, গহনা বানাতে শূন্য মজুরি এবং উপহারের অফার দিচ্ছে।

কল্যাণ জুয়েলার্সের নির্বাহী পরিচালক রমেশ কল্যাণরামন বলেন, দুবাই সারা বছরই জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। তবে এই মৌসুমে ভারতীয় পর্যটকরা যদি মধ্যপ্রাচ্যে ভ্রমণ করেন, তাহলে তারা সোনা কেনার সম্ভাবনাই বেশি।


দুবাই   ভারত   সোনা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আবহাওয়া অফিস স্বস্তির খবর দিলো পশ্চিমবঙ্গে

প্রকাশ: ০২:৪৭ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের পর স্বস্তির পূর্বাভাস দিয়েছে কলকাতা আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ মে) কালবৈশাখী ঝড়ে সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সোমবার (৬ মে) বিকেল থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে ভিজবে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলা। এছাড়াও পূর্বাভাস অনুযায়ী, একাধিক জেলায় কালবৈশাখীর সম্ভাবনাও রয়েছে। বৃষ্টি শুরু হলেই তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

সোমবার বিকেল থেকে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদিয়া, উত্তর২৪ পরগনা, দক্ষিণ২৪ পরগনা, হুগলি, পুরুলিয়া, মেদিনীপুরসহ একাধিক জেলায় প্রতি ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। কোথাও কোথাও ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

কলকাতা আবহাওয়া দফতরের পরিচালক সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, সোমবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি বেশি হতে পারে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রী বেশি। কলকাতায় বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতা সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশের কাছাকাছি থাকতে পারে। সোমবার সকালে কলকাতায় বৃষ্টি না হলেও বিকেলে বা সন্ধ্যার দিকে বজ্রপাত আঘাত হানতে পারে। সোমবার সকাল থেকেই আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে।

উত্তরবঙ্গের দুই পাহাড়ি জেলা দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে বজ্রপাতসহ মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। এছাড়াও কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে বজ্রপাতসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতি ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, সাগর থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস ঢুকেছে রাজ্যে। ফলে বিকেল থেকেই শুরু হতে পারে বৃষ্টি। বঙ্গোপসাগরে বিপরীত ঘূর্ণবাতের প্রভাবের ফলে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। সমুদ্র উপকূল ও সমুদ্রের মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া থাকবে। সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা জারি করেছে কলকাতা আবহাওয়া দফতর। মৎস্যজীবীদের সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।


আবহাওয়া অফিস   পশ্চিমবঙ্গে  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলে গোলাবারুদের একটি চালান বন্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ১২:৫০ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাফায় বড় পরিসরে স্থল অভিযান চালাতে অনড় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। কিন্তু মার্কিন কর্মকর্তারা রাফায় সম্ভাব্য ইসরায়েলি অভিযান নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। এমন পরিস্থিতির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ইসরায়েলে গোলাবারুদের একটি চালান থামিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বাইডেন প্রশাসন কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল খবরে তা প্রকাশ করা হয়নি। সূত্রের বরাতে খবরে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাফায় সম্ভাব্য ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের যোগসূত্র নেই। তা ছাড়া এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য চালান পাঠানোর বিষয়টিকে প্রভাবিত করবে না।

চালানটির বিষয়ে জানতে চাইলে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক মুখপাত্র বলেন, গত ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে ইসরায়েলের জন্য নিরাপত্তা সহায়তা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলকে জরুরি সহায়তা দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সর্ববৃহৎ সম্পূরক বরাদ্দ পাস করেছে। ইরানের হামলা থেকে ইসরায়েলকে রক্ষা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র একটি অভূতপূর্ব জোটের নেতৃত্ব দিয়েছে। ইসরায়েল যেসব হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে, তা থেকে তারা যাতে নিজেদের রক্ষা করতে পারে, সেটি নিশ্চিতের জন্য যা যা করা দরকার, তা করতে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা দাবি করছেন, ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন একটি বৈদেশিক সহায়তা বিলে সই করেন। এতে ইসরায়েল-হামাস সংঘাতকে কেন্দ্র করে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ১৫ বিলিয়ন ডলার ইসরায়েলের জন্য সামরিক সহায়তা। ৯ বিলিয়ন ডলার গাজার জন্য মানবিক সহায়তা। আর ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার অঞ্চলটিতে মার্কিন সামরিক কার্যক্রমের জন্য রাখা হয়েছে।

সাত মাস ধরে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলার মুখে গাজার বেশির ভাগ মানুষ উপত্যকাটির রাফায় আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আছে।

ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তির লক্ষ্যে বর্তমানে আলোচনায় যুক্ত আছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই আলোচনায় কোনো অগ্রগতি নেই। ইসরায়েল ও হামাসের অনড় অবস্থানের কারণে গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। সূত্র : সিএনএন


ইসরায়েল   যুক্তরাষ্ট্র   গোলাবারুদ   চালান বন্ধ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মেক্সিকোকে ব্যবহার করে আমেরিকায় পণ্য পাঠাচ্ছে চীন

প্রকাশ: ১২:৪২ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিলাসবহুল ও আরামদায়ক সব চামড়ার সোফা, যেগুলো মন্টেরের ম্যান ওয়াহ ফার্নিচার ফ্যাক্টরি থেকে তৈরি হয় সেগুলো শতভাগই ‘মেড ইন মেক্সিকো’। এখান থেকে তাদের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ালমার্ট ও কস্টকোর মত বড় বড় সব বিপণি।

 কিন্তু এই কোম্পানিটি চীনের মালিকানাধীন এবং মেক্সিকোতে উৎপাদন কারখানাও তৈরি হয়েছে চীনা অর্থে।

যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও মেক্সিকোর মধ্যকার এই ত্রিমাত্রিক সম্পর্ক একটা নতুন শব্দে পরিচিত হয়ে উঠেছে মেক্সিকোতে; আর সেটা হল ‘নিয়ারশোরিং’ - অফশোরিংয়ের সঙ্গে মিলিয়ে এমন নাম।

 ম্যান ওয়াহ কয়েক ডজন চীনা কোম্পানির একটা, যারা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর মেক্সিকোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে এসে অবস্থান নিয়েছে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের কাছাকাছি এসে পণ্য উৎপাদন করা যায়।

এতে পরিবহন খরচ কমে যাওয়া ছাড়াও, চূড়ান্ত যে পণ্য প্রস্তুত হল বিক্রির জন্য সেটা পুরোপুরি মেক্সিকান, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধে ওয়াশিংটন চীনা কোম্পানিগুলোর উপর যে নিষেধাজ্ঞা ও কর আরোপ করেছে সেটা এড়ানোও সম্ভব হয়।

বিশাল এই কারখানা ঘুরে দেখানোর সময় ম্যান ওয়াহর জেনারেল ম্যানেজার, ইয়ু কেন ওয়েই বলছিলেন, অর্থনৈতিক ও লজিস্টিক্যাল দিক চিন্তা করেই তারা মেক্সিকোতে তাদের কোম্পানি সরিয়ে এনেছেন।

“আমরা এখানে আরও তিনগুণ, এমনকি চারগুণ উৎপাদনের আশা করছি,” পরিষ্কার স্প্যানিশ উচ্চারণে কথা বলেন তিনি।

“মেক্সিকোতে আমাদের আসার উদ্দেশ্য হল ভিয়েতনামে আমরা যে পরিমাণ উৎপাদন করি, সেই পরিমাণ পণ্য এখানে উৎপন্ন করা”, বলেন তিনি।

এই ফার্ম মাত্র ২০২২ সালে মন্টেরে আসে এবং এরই মধ্যে মেক্সিকোতে ৪৫০জন কর্মী নিয়োগ দিয়েছে তারা।

জেনারেল ম্যানেজার আরও বলেন. তাদের লক্ষ্য ১২০০-র উপর কর্মীকে কাজে লাগানো, যাতে আসছে বছরগুলোতে কয়েক ধাপের অপারেশন এখানে চালু করা যায়।

“মেক্সিকোর মানুষ খুবই পরিশ্রমী এবং দ্রুত শিখতে পারে”, বলেন তিনি।

“আমাদের খুবই ভালো সব অপারেটর আছে এবং তাদের উৎপাদন ক্ষমতাও অনেক বেশি। তাই শ্রমিকের দিক থেকে আমি মনে করি মেক্সিকো কৌশলগতভাবেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ”, জানান তিনি।

নিয়ারশোরিং মেক্সিকান অর্থনীতিতে দারুণ ভূমিকা রাখছে। গত বছরের জুন পর্যন্ত মেক্সিকোর মোট রফতানি আগের বছরের থেকে ৫.৮% বেড়ে যায়, যেটার অর্থমূল্য প্রায় ৫৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার।

আর এই ধারা কমার কোনও লক্ষণ নেই। এ বছরের প্রথম দুই মাসেই মেক্সিকোতে যে পরিমাণ পুঁজি বিনিয়োগের ঘোষণা এসেছে তা ২০২০ সালের মোট বিনিয়োগের প্রায় অর্ধেকের সমান।

ম্যান ওয়াহ ফ্যাক্টরির অবস্থান মন্টেরের বাইরে চাইনিজ-মেক্সিকান ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক হফুসানে। এখানে প্লটের চাহিদা আকাশ ছুঁয়েছে: অবিক্রীত আর কোনও জায়গা নেই এখানে।

শুধু তাই নয়, মেক্সিকোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক অ্যাসোসিয়েশন (এএমপিআইপি) জানাচ্ছে, ২০২৭ সাল পর্যন্ত নির্মাণাধীন মেক্সিকোর সমস্ত সাইট এরই মধ্যে বিক্রি হয়ে গিয়েছে।

অনেক মেক্সিকান অর্থনীতিবিদ যে ঘোষণা দিয়েছেন, মেক্সিকোতে চীনের এই আগ্রহ সাময়িক কোন বিষয় নয়, সেটাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

“যেসব কাঠামোগত কারণে মেক্সিকোতে বিনিয়োগ আসছে সেটা পরিবর্তন হবে না”, বলেন মেক্সিকোর সাবেক ফরেন ট্রেড ভাইস মিনিস্টার হুয়ান কার্লোস বাকের পিনেদা।

“আমি তো এরকম কোনও লক্ষণ দেখি না যে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্য সংঘাত খুব সহসা মিটে যাবে”, আরও জানান তিনি।

বাকের পিনেদা সেই মেক্সিকান গ্রুপে ছিলেন যারা নিউ নর্থ আমেরিকান ফ্রি টেড এগ্রিমেন্ট বা টি-মেক নিয়ে কাজ করেছিলেন।

“যদিও চীনা এসব বিনিয়োগ মেক্সিকোতে ঢোকা হয়তো কিছু দেশের পলিসির জন্য অস্বস্তিকর”, বলে পিনেদা যোগ করেন, “কিন্তু আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতি অনুযায়ী এ সমস্ত পণ্য সব দিক দিয়েই পুরোপুরি মেক্সিকান।”

বস্তুত এই পরিস্থিতি মেক্সিকোকে দুই সুপারপাওয়ারের মধ্যে কৌশলগত ভূমিকা রাখার একটা সুযোগ করে দিয়েছে।

মেক্সিকো খুব সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের জায়গায় চীনকে তাদের প্রধান বাণিজ্যিক পার্টনার বানিয়েছে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও একটা প্রতীকী বদল বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে মেক্সিকোর কিছু অংশে আবার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যার পেছনে দ্বিতীয় আরেকটা নিয়ারশোরিং আছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এর কারণ যুক্তরাষ্ট্রও মেক্সিকোতে কারখানা স্থাপন করছে, যার মধ্যে কিছু কিছু এশিয়া থেকে সরিয়ে আনছে তারা।

তবে সম্ভবত গত বছর সবচেয়ে বড় ঘোষণাটা ছিল মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের, যখন তিনি বলেন- মন্টেরের বাইরে টেসলার একটা বিশাল ফ্যাক্টরি স্থাপন করবেন।

যদিও এখনও পর্যন্ত এই ১০ বিলিয়ন ইউএস ডলার প্ল্যান্টের নির্মাণকাজ শুরু করেনি বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলা।

আর টেসলা এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা বললেও, পরিবর্তিত বৈশ্বিক অর্থনীতি ও কোম্পানির সাম্প্রতিক ছাটাঁইয়ের কারণে তাদের পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত অনেক ধীরে এগুচ্ছে।

পরিণতি নিয়ে সংশয়

যেভাবে চীনা বিনিয়োগ আসছে তাতে অনেকেই মেক্সিকোকে সতর্ক হওয়ার কথা বলছেন, কারণ ভূরাজনৈতিকভাবে এতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে পড়ে যেতে পারে দেশটি।

“শহরের পুরনো ধনী যুক্তরাষ্ট্রের সমস্যা দেখা যাচ্ছে, শহরের নতুন ধনী চীনের সাথে,” উদাহরণ দিয়ে বলছিলেন ন্যাশনাল অটোনমাস ইউনিভার্সিটি অব মেক্সিকোর সেন্টার ফর চায়না-মেক্সিকো স্টাডিজের অধ্যাপক এনরিক দুসেল।

“কিন্তু মেক্সিকোর আগের সরকার বা বর্তমান সরকারেরও কোনও কৌশল দেখা যাচ্ছে না এই নতুন ত্রিমাত্রিক সম্পর্কের ব্যাপারে।”

আর যেহেতু এখন সীমান্তের দুই পাড়েই, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তাতে সামনে নতুন রাজনৈতিক ইস্যুও আসতে পারে।

এখন ডোনাল্ড ট্রাম্প বা জো বাইডেন হোয়াইট হাউসে যেই আসুন যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সম্পর্কে খুব একটা উন্নতি হবে বলে কেউ মনে করছেন না।

দুসেলের বিশ্বাস নিয়ারশোরিংকে বরং ‘নিরাপত্তা অফশোরিং’ বলা যায়, কারণ ওয়াশিংটন চীনের সাথে সম্পর্কে অন্য সব কিছুর উপরে তাদের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে। তার যুক্তি মেক্সিকো এর মধ্যে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে।

দুসেল যোগ করেন, “এই উত্তেজনার মাঝে মেক্সিকো যেন চীনের জন্য একটা বিজ্ঞাপন দিচ্ছে যে- ‘ওয়েলকাম টু মেক্সিকো!’ এখন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এর পরিণতিটা যে ভালো হবে না, তা বুঝতে আপনার ডক্টরেট করার দরকার নেই।”

অনেকে আশাও দেখছেন

“আমার মতে, প্রশ্ন এটা নয় যে কতদিন এই ধারা অব্যাহত থাকবে, বরং প্রশ্নটা এটা হওয়া উচিত যে এই ট্রেন্ড থেকে কতটা সুবিধা আমরা নিতে পারি”, মন্তব্য করেন মেক্সিকোর সাবেক ফরেন ট্রেড ভাইস মিনিস্টার হুয়ান কার্লোস বাকের পিনেদা।

 “আমি নিশ্চিত যে কলম্বিয়া, ভিয়েতনাম, কোস্টারিকাতেও একই ধরনের আলোচনা চলছে। আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে মেক্সিকোতে এখন যে পরিস্থিতি সেটা টেঁকসই করতে সরকারি ও করপোরেট সিদ্ধান্তগুলো এক সাথে, একইভাবে নিতে হবে যাতে দীর্ঘমেয়াদে এই ট্রেন্ডটা বজায় থাকে”, বলেন তিনি।

এদিকে মন্টেরেতে, ম্যান ওয়াহ ফার্নিচার স্টোরের প্রতিভাবান মেক্সিকান কর্মীরা আরেকটি সোফা যেটা উত্তরে পরিবহনের জন্য তৈরি হচ্ছে, সেটা শেষ বারের মতো পরীক্ষা করে দেখছিল।

আর যখন বাড়ির পাশে ওয়ালমার্ট থেকে কোনও আমেরিকান পরিবার এটা কিনছে তাদের তখন এটা তৈরি হওয়া নিয়ে যে জটিল ভূরাজনৈতিক খেলা চলছে, সে সম্পর্কে কোনও ধারণাই থাকছে না।

কিন্তু দুই সুপারপাওয়ারের লড়াইয়ে নিয়ারশোরিং যতই চীনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার একটা চতুর পেছনের দরজা হোক না কেন, মেক্সিকোর জন্য এটা আসলে এই অস্থির বাণিজ্যিক সময়ে সুবিধা নেওয়ার একটা সুযোগ।


মেক্সিকো   আমেরিকায়   পণ্য   চীন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

খাদ্যে বিষক্রিয়ার সৌদি আরবে ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৫

প্রকাশ: ১২:৩৬ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে সৌদি আরবের রিয়াদে একজন মারা গেছেন এবং ৯৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোম্পানির নাম প্রকাশ করেনি। তবে গত সপ্তাহে স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, দেশটির রাজধানী শহরের একটি জনপ্রিয় বার্গার চেইনের সঙ্গে এই প্রাদুর্ভাবের সম্পর্ক রয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ক্লোস্ট্রিডিয়াম বোটুলিনাম ব্যাকটেরিয়ার কারণে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ৬৯ জন সৌদি নাগরিক এবং ছয়জন নন-সৌদি নাগরিক ভুগছেন।

ক্লোস্ট্রিডিয়াম বোটুলিনাম টক্সিনগুলি শরীরের স্নায়ুগুলিতে আক্রমণ করে এবং চলাচল, কথা বলা এবং গিলে ফেলার জন্য ব্যবহৃত পেশীগুলির দুর্বলতা এবং পক্ষাঘাত সৃষ্টি করতে পারে। টক্সিনগুলি মারাত্মক প্রমাণিত হতে পারে যদি তারা শ্বাস নিয়ন্ত্রণ করে এমন স্নায়ুগুলিতে আক্রমণ করে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অন্তত ৪৩ জন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং তাদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং ১১ জন বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।


খাদ্যে বিষক্রিয়ার   সৌদি আরব   মৃত্যু   হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন