ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এক ‘দুর্লভ’ সফরে জর্ডানে সিরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১


Thumbnail

এক অভাবনীয় ‘দুর্লভ’ সফরে জর্ডানে গেছেন সিরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলী আবদুল্লাহ আইয়ুব। অভিন্ন সীমান্তের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও সিরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় দারা শহরের অবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে তিনি এ সফর করছেন।

রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জর্ডানের সামরিক বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইউসুফ হুনাইতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সিরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলী আবদুল্লাহ আইয়ুব। তারা দারা শহরের পরিস্থিতি নিয়ে দু`পক্ষ আলোচনা করেন। এছাড়া সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই ও মাদক চোরাচালানসহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ নিয়েও তারা কথা বলেন।

জর্ডানের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, সামগ্রিকভাবে অভিন্ন সব ইস্যুতে ভবিষ্যৎ সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা কেন্দ্রীভূত ছিল। তবে বৈঠকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সীমান্তে মাদক চোরাচালান বেড়ে যাওয়ার বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।

সিরিয়ায় বিদেশী মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব শুরুর পর এই প্রথম সিরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্ডান সফর করলেন। সিরিয়ায় তৎপর বিদেশী মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদেরকে বিগত বছরগুলোতে জর্ডান সমর্থন দিয়ে এসেছে।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া

প্রকাশ: ১২:২৩ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়া। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২।

রবিবার দেশটির ওয়েস্ট পাপুয়া অঞ্চলে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে।

এই ভূমিকম্পে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার ইন্দোনেশিয়া ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)।

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল পশ্চিম পাপুয়ায় ফাকফাক এলাকার ১৫৩ কিলোমিটার (৯৫ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে, ভূপৃষ্ঠের ১২.১ কিলোমিটার গভীরে।

উল্লেখ্য, এশিয়ার বৃহত্তম দ্বীপদেশ ইন্দোনেশিয়ার জন্যসংখ্যা সাড়ে ২৭ কোটির বেশি। ভূতাত্ত্বিক অবস্থার কারণে নিয়মিতই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাত ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটে থাকে।

এর আগে গত মাসের শেষের দিকে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ইন্দোনেশিয়া। সমুদ্রের নিচে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের জেরে সেসময়ও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।


ভূমিকম্প   ইন্দোনেশিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আল জাজিরা বন্ধ করতে ইসরায়েল কেন মরিয়া!

প্রকাশ: ১১:৫৭ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় নির্বিচার হত্যাযজ্ঞসহ মানবতাবিরোধী অপকর্ম লুকাতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না নেতানিয়াহু প্রশাসন। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে সেখানকার যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। ইতিমধ্যে তা বন্ধে অভিযানও হয়েছে।

কিন্তু এই একটি সংবাদমাধ্যমকে কেন এত ভয় পায় ইহুদিবাদী দেশটি, যেখানে গোটা পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো রয়েছে তার পকেটে?

চলমান যুদ্ধে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্মম ধ্বংসযজ্ঞের অনেক খবরই চেপে গেছে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো। এর বিপরীতে ইসরাইলী বাহিনীর প্রতিটি অপকর্ম আর ফিলিস্তিনীদের দুর্দশার কথা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরছে কাতারি সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

এ কারণেই আন্তর্জাতিক এ সংবাদমাধ্যমের ওপর বেশ চটে আছে তেলআবিব। এরই প্রতিক্রিয়ায় রোববার মন্ত্রীসভায় আল জাজিরা বন্ধ করে দেয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়, যা সর্বসম্মতক্রমে পাস হয়। এর আগে জাতীয় স্বার্থের জন্য হুমকি, এমন বিদেশি গণমাধ্যমের সম্প্রচার বন্ধে আইন পাস করে ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের সদস্যরা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ হিব্রু ভাষায় দেয়া এক পোস্টে নেতানিয়াহু জানান, তার নেতৃত্বে ইসরায়েল সরকার সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে- উস্কানিদাতা চ্যানেল আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হবে।

আরেক পোস্টে ইসরায়েলী যোগাযোগমন্ত্রী শালোম কারহি জানান, তিনি আলজাজিরার বিরুদ্ধে একটি নির্দেশে স্বাক্ষর করেছেন, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হবে। পাশাপাশি আলজাজিরার সম্প্রচার সামগ্রী জব্দেরও নির্দেশ দেয়া হয়।

পরে তিনি আরো একটি পোস্টে আল জাজিরার ব্যুরো অফিসে ইসরায়েলি পুলিশের অভিযান এবং সম্প্রচার সামগ্রী জব্দের খবর দেন।

এবারই প্রথম নয় বরং এর আগেও যতবার ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত হয়েছিল, তত বারই আলজাজিরার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তেলআবিব প্রশাসন।

ইসরায়েলি প্রশাসন মনে করে, আলজাজিরার মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে তেলআবিবের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। একই সঙ্গে তারা চ্যানেলটিকে হামাস, হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সহযোগী হিসেবে দেখে থাকে।

এ ছাড়া গাজা, জেরুজালেম বা পশ্চিম তীর, যেখানেই ইসরায়েলি বাহিনী সামান্যতম আচড় দিক না কেন, তা ফলাও করে প্রকাশ করে থাকে সংবাদমাধ্যমটি।

বর্তমানে গাজায় যে অল্প কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কাজ করছে, তার মধ্যে আল জাজিরা অন্যতম। সম্প্রচারমাধ্যমটি গাজায় প্রতিটি বিমান হামলা, স্থল অভিযান ও ধ্বংসপ্রাপ্ত হাসপাতালের খবর নিয়মিত সরবরাহ করছে।

একই সঙ্গে গণহত্যার জন্য নেতানিয়াহু প্রশাসনকে অভিযুক্ত করে যাচ্ছে।

আল জাজিরার রামাল্লাভিত্তিক সংবাদদাতা জেইন বাসরাভি জানান, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের খবরই আল জাজিরাকে টিকিয়ে রেখেছে। এমন অবস্থায় ইসরায়েল তার কূটনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিশ্বজুড়ে কাতারভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যমকে পঙ্গু করে দিতে পারে বলে আশ্ঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।


আল জাজিরা   বন্ধ   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ১৩ দেশে ছড়িয়েছে

প্রকাশ: ১১:০৪ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় চলমান ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসভিত্তিক ছাত্র আন্দোলন আরও ১২ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও মেক্সিকোতে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে বিক্ষোভ চলছে, তাতে একাত্মতা জানাতেই আন্দোলনে নেমেছেন তারা।

গত ১৭ এপ্রিল ক্যাম্পাসে তাঁবু গেড়ে বিক্ষোভের সূচনা করেন নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে দেশটির অন্তত ৪৫ অঙ্গরাজ্যের ১৪০টির বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

এরপর বিক্ষোভ শুরু হয় ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, ভারত ও লেবাননের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিক্ষোভকারীরা গাজায় হামলা বন্ধের পাশাপাশি ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে ও অস্ত্র সরবরাহ করে, এমন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সম্পর্ক ত্যাগের দাবি জানাচ্ছেন।

এদিকে বিক্ষোভ দমনে আমেরিকায় শিক্ষার্থীদের ধরপাকড় চলছেই। স্থানীয় সময় শনিবার আরও দুই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে নতুন করে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চলমান এ বিক্ষোভে দেশটির প্রায় দুই হাজার চার শতাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হল।

নতুন করে বিক্ষোভ চার দেশে

স্থানীয় সময় শুক্রবার জার্মানির বার্লিনের হামবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অবস্থান নিয়ে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশের দাবি, অন্য জায়গায় তাঁবু গেড়ে বিক্ষোভের আহ্বান জানায় তারা। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তাতে অস্বীকৃতি জানালে পুলিশ বেশ কিছু বিক্ষোভকারীকে জোর করে সরিয়ে দেয়। বিক্ষোভের সমালোচনা করেছেন বার্লিনের মেয়র কাই ওয়েগনার। তিনি এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, এই শহর (বার্লিন) যুক্তরাষ্ট্র বা ফ্রান্সের মতো ঘটনা দেখতে চায় না।

বিক্ষোভ করছেন সুইজারল্যান্ডের লুসান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। বৃহস্পতিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি ভবনের ফটক দখল করে আছেন সেখানকার শতাধিক শিক্ষার্থী। শিক্ষা–সম্পর্কিত যেকোনো কার্যক্রম থেকে ইসরায়েলকে বাদ দেওয়া ও গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা।

এদিকে আয়ারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা শুক্রবার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে তাঁবু গেড়ে যে বিক্ষোভ করছেন, তাতে সংহতি জানাতেই এমন অবস্থান কর্মসূচি বলে জানিয়েছেন এসব শিক্ষার্থী।

ক্যাম্পাসে তাঁবু গেড়ে বৃহস্পতিবার থেকে বিক্ষোভ করছেন ন্যাশনাল অটোনমাস ইউনিভার্সিটি অব মেক্সিকোর (ইউএনএএম) শিক্ষার্থীরা। ইউএনএএম মেক্সিকোর বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করো’ ও ‘নদী থেকে সমুদ্র, ফিলিস্তিন হবে মুক্ত’—এ ধরনের নানা স্লোগান দেন। ইসরায়েলের সঙ্গে মেক্সিকোর সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিও জানাচ্ছেন তাঁরা। সূত্র: এএফপি


ইসরায়েলবিরোধী   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রোদে থেকে বাচঁতে রাস্তায় সবুজ শামিয়ানা

প্রকাশ: ০৯:১৭ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

কয়েক সপ্তাহ ধরে দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব-এশিয়ার দেশগুলোতে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ড তীব্র তাপপ্রবাহ মোকাবিলা করছে।

তাপপ্রবাহ এতই বেশি যে, ঘরের বাইরে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে সব বয়সী মানুষের জন্য। শিশুদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল। তীব্র রোদে ঘরের বাইরে না বেরোতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

এমন পরিস্থিতিতে পথচারীদের আরাম দিতে অভিনব উপায় বের করেছে দক্ষিণ ভারতের পুদুচেরি শহর কর্তৃপক্ষ। সেখানে ব্যস্ত সড়কের ট্রাফিক সিগন্যালগুলোতে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে সবুজ রঙের শামিয়ানা। এর ফলে

মোটরসাইকেল, ভ্যান, রিকশার মতো খোলা যানবাহনগুলোর আরোহীদের ভয়ংকর রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে না। তারা সিগনাল ছাড়ার অপেক্ষা করছেন সবুজ ছায়ায়। খবর ইন্ডিয়া টুডে ও এনডিটিভির।

পুদুচেরি পাবলিক ওয়ার্ক ডিপার্টমেন্টের এই অভিনব উদ্যোগের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, পুদুচেরির একটি রাস্তায় দুই চাকার যানবাহনের আরোহীরা সবুজ শামিয়ানার নিচে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক সিগন্যাল ছাড়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। পথচারীদের আরামের জন্য শামিয়ানা টানানো হয়েছে অন্য রাস্তাগুলোতেও।

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে পুদুচেরি কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা। ভারতের অন্যান্য শহরগুলোতেও এই পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

একজন সামাজিক যোগাযোগ ব্যবহারকারী লিখেছেন, এখানে একটি কৌশল দেখুন। পথচারী পারাপারের অর্থাৎ জেব্রা ক্রসিং প্রায় ১০ ফুট আগে ছায়া শেষ হচ্ছে। ফলে প্রখর রোদ এড়ানোর জন্য হলেও গাড়িচালকরা পথচারীদের পথে বাধা হবেন না।

আরেকজন বলেছেন, অসাধারণ উদ্যোগ! প্রশাসনের প্রতি শুভেচ্ছা। আশা করি অনেক নেতা ও প্রশাসক এটি থেকে অনুপ্রাণিত হবেন।


দক্ষিণ   ভারত   পুদুচেরি   রাস্তা   সবুজ   শামিয়ানা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রাজিলে বন্যায় মৃত বেড়ে ৭৮, নিখোঁজ শতাধিক

প্রকাশ: ০৮:৫৭ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্রান্ডে দো সুলেতে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৭৮ জনে। এছাড়া, বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ।

সোমবার (৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃতের সংখ্যা এখনও বাড়তে পারে, কারণ রোববার (৫ মে) ১০৫ জন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যা আগের দিন প্রায় ৭০ জন ছিল।

উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনার সীমান্তবর্তী রাজ্যের প্রায় ৫০০টির মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি শহরে গত কয়েকদিনের ঝড় ও বর্ষণে বন্যার প্রভাব পড়েছে।

বন্যায় বেশ কয়েকটি শহরের রাস্তা ও সেতু ভেঙে গেছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে একটি ছোট জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভূমিধস এবং একটি বাঁধের আংশিক ভেঙে যায়। ফলে রোববার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে রিও গ্রান্ডে দো সুলের চার লাখেরও বেশি মানুষ। এছাড়া, সুপেয় পানির সংকটে পড়েন মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ।

ব্রাজিলের জাতীয় ভূতাত্ত্বিক পরিষেবা অনুসারে, মূলত পোর্তো আলেগ্রেতে গুয়াইবা হ্রদ ও এর তীর ভেঙেছে, ফলে বন্যার পানির স্তর অনেক বেড়েছে। স্বেচ্ছাসেবকরা নৌকা, জেট স্কি, এমনকি সাঁতার কেটে চলমান উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তা করেছেন।

পোর্তো আলেগ্রির নিকটবর্তী ক্যানোস শহরের কাইলি মোরেস নামের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, বন্যার পানি তাদের বাড়ির প্রায় দ্বিতীয় তলায় উঠে গিয়েছিল। বাধ্য হয়ে তিন সন্তান ও স্বামীর সঙ্গে বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। গত ৫২ বছরে এ অঞ্চলে এমন বন্যা দেখেননি তিনি।

এদিকে, বন্যা পরিস্থিতি এতই ভয়াবহ যে, এটিকে যুদ্ধ পরিস্থিতি বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইট। পাশাপাশি এ রাজ্যে যুদ্ধ পরবর্তী ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অঞ্চলটি পরিদর্শন করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা।

এর আগে, গত বছর রিও গ্রান্ডে দো সুলেতে ঘূর্ণিঝড়ে ৩০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল।


ব্রাজিল   বন্যা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন