নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৮
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হলুদ কার্ড পাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জের দুই নেতা শামীম ওসমান ও সেলিনা হায়াৎ আইভী। নারায়ণগঞ্জের সাম্প্রতিক সহিংসতায় দু’জনেরই ভূমিকা রয়েছে বলেই আওয়ামী লীগের প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে। এছাড়া গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টেও ‘দুইজন’ই বাড়াবাড়ি করেছেন বলে মন্তব্য করা হয়েছে। দুটি রিপোর্টই দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেওয়া হয়েছে ।
দলের সভাপতি দুজনকে শেষবারের মতো সতর্ক করতে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। যোগাযোগ করা হলে দলের সাধারাণ সম্পাদক বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ঘটনার মূল কারণ আমরা তদন্ত করছি। প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট আমাদের কাছে এসেছে। আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, ‘নির্বাচনের আগে নারায়ণগঞ্জ নিয়ে হার্ডলাইনে যেতে চান না প্রধানমন্ত্রী। বরং দুপক্ষকে নিয়েই আগামী নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চান তিনি। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা মনে করেন, নারায়ণগঞ্জের ঘটনা যতটা না রাজনৈতিক তার চেয়ে বেশি ব্যক্তিগত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের একজন শীর্ষনেতা বলেছেন, ‘শামীম এবং আইভী দুজনই জনপ্রিয়। নারায়ণগঞ্জে এরা আওয়ামী লীগের দুই হাত। একজনকে কাটলে আওয়ামী লীগই পঙ্গু হয়ে যাবে।’
জানা গেছে, সাম্প্রতিক ঘটনার ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক ভাবে তদন্ত করেছে। এত দেখা গেছে, শামীম এবং সেলিনা দুজনই এই ঘটনায় বাড়াবাড়ি করেছেন। এক্ষেত্রে দুজনের পারস্পরিক আক্রোশই প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। দুজনেই নারায়ণগঞ্জে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চান। বিরোধের সূত্রপাত এখানেই।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একটি পূণাঙ্গ তদন্ত চলছে। প্রাথমিক তদন্তেও দেখা গেছে, দুই নেতার জেদই নারায়ণগঞ্জে সংকটের কারণ। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্তে কিছু ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা দুই নেতার বিরোধের সুযোগে পরিস্থিতি অস্থির করতে চেয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সরকারের একটি সূত্র বলছে, সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং শামীম ওসমানের বিতর্ক উসকে দিয়ে ফায়দা লুটতে চেয়েছিল জামাত ও বিএনপি। এ ব্যাপারে যাঁরা জড়িত ছিলো তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে।
আওয়ামী লীগও মনে করছে, দুই নেতার কোন্দল উসকে দিচ্ছে বিরোধী পক্ষ। এ ব্যাপারে সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে বলা হয়েছে, দুই নেতাকে যেন সামলে রাখা হয়।
Read in English- http://bit.ly/2DPBlb2
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ডা. সামন্ত লাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ঢাকা-৪ ড. আওলাদ হোসেন জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীলতা, বাজার ব্যবস্থাপনায় অসামঞ্জস্যতা এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সূত্রে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়ার শঙ্কা থাকে। এছাড়া, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে পণ্য সরবরাহের সাপ্লাই-চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে মূলত ইরান বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট পরিবহন খরচ বাড়তে পারে। এতে পণ্য তৈরি ও সরবরাহ ব্যয় বাড়ায় রপ্তানিকারকরা কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে পারেন।’
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের আশঙ্কার বিষয়ে দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দেশ দিয়েছি যাতে প্রত্যেকে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখে এবং এ বিষয়ে নিজ নিজ করণীয় নির্ধারণ করে। সংঘাত দীর্ঘ হলে কোন কোন সেক্টরে প্রভাব পড়তে পারে তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো সংঘাত বা সংঘাতের খবর জ্বালানি তেলের বাজারকে প্রভাবিত করে। এতে পণ্যের জাহাজ ভাড়া বাড়ে। যা আমদানি ব্যয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। সার আমদানি ব্যয়ে প্রভাব পড়ে। এতে বিকল্প উৎস হিসেবে চীন, মরক্কো, তিউনেশিয়া, কানাডা, রাশিয়া ইত্যাদি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সংকট আরও ঘনীভূত ও দীর্ঘায়িত হলে তা বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ
মন্তব্য করুন
ভোটের বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, দিনাজপুরের হাকিমপুরে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কামাল হোসেন ২২ হাজার ২৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ টেলিফোন প্রতীকে ১৯ হাজার ৩৭৮ ভোট পেয়েছেন।
সারা জীবন চাকরি করছেন। চাকরি করলেও তিনি একজন ভিশনারি সরকারি চাকুরে ছিলেন। একটা লক্ষ্যে সারা জীবন নিজেকে নিবেদিত করেছেন। একটা লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তিনি জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। মানবসেবাই তাঁর ব্রত। বাংলাদেশে দগ্ধ মানুষের জন্য তিনি একজন ত্রাতা এবং দগ্ধ মানুষের চিকিৎসার জন্য তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বে সমাদৃত। একজন মানবিক চিকিৎসকের প্রতিরূপ তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’