জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, দেশের শিক্ষা বিস্তারে নটরডেম কলেজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) নটরডেম কলেজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রতিষ্ঠার ৭৪ বছর ও পুনর্মিলন উৎসবে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন স্পিকার।
কলেজটি সুদীর্ঘ ৭৪ বছর ধরে দেশে মানসম্মত শিক্ষায় নেতৃত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, এখানকার শিক্ষার্থীরা দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে আলোকিত করে যাচ্ছেন।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জ্ঞান আহরণ ও জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র। কলেজের শিক্ষকরা নিরলসভাবে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানের করে তৈরি করেন।
এ সময় তিনি নটরডেম কলেজ অ্যালামনাইয়ের সহযোগিতায় কলেজটির ঐতিহ্য ও গৌরব অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তরুণরা স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেবে উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, বর্তমান সরকার অর্থনৈতিক, সামাজিক ও দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এ সময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, সাইবার সিকিউরিটি, মাইগ্রেশনসহ সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একযোগে কাজ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী দেশের অনগ্রসর, অসচ্ছল ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চ শিক্ষায় বৃত্তির ব্যবস্থা গ্রহণে নটরডেম কলেজ অ্যালামনাইয়ের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এবং নটরডেম কলেজ গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান আর্চবিশপ বিজয় এন ডি ক্রুজ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ হেমন্ত পিউস রোজারিও। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অনুষ্ঠান কমিটির আহ্বায়ক বিপ্লব কুমার দেব।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধে সব শহীদ এবং প্রয়াত নটরডেমিয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে নটরডেম কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য, শিক্ষক, সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: বাসস
জাতীয় সংসদ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ডা. সামন্ত লাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ঢাকা-৪ ড. আওলাদ হোসেন জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীলতা, বাজার ব্যবস্থাপনায় অসামঞ্জস্যতা এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সূত্রে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়ার শঙ্কা থাকে। এছাড়া, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে পণ্য সরবরাহের সাপ্লাই-চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে মূলত ইরান বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট পরিবহন খরচ বাড়তে পারে। এতে পণ্য তৈরি ও সরবরাহ ব্যয় বাড়ায় রপ্তানিকারকরা কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে পারেন।’
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের আশঙ্কার বিষয়ে দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দেশ দিয়েছি যাতে প্রত্যেকে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখে এবং এ বিষয়ে নিজ নিজ করণীয় নির্ধারণ করে। সংঘাত দীর্ঘ হলে কোন কোন সেক্টরে প্রভাব পড়তে পারে তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো সংঘাত বা সংঘাতের খবর জ্বালানি তেলের বাজারকে প্রভাবিত করে। এতে পণ্যের জাহাজ ভাড়া বাড়ে। যা আমদানি ব্যয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। সার আমদানি ব্যয়ে প্রভাব পড়ে। এতে বিকল্প উৎস হিসেবে চীন, মরক্কো, তিউনেশিয়া, কানাডা, রাশিয়া ইত্যাদি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সংকট আরও ঘনীভূত ও দীর্ঘায়িত হলে তা বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ
মন্তব্য করুন
ভোটের বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, দিনাজপুরের হাকিমপুরে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কামাল হোসেন ২২ হাজার ২৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ টেলিফোন প্রতীকে ১৯ হাজার ৩৭৮ ভোট পেয়েছেন।
সারা জীবন চাকরি করছেন। চাকরি করলেও তিনি একজন ভিশনারি সরকারি চাকুরে ছিলেন। একটা লক্ষ্যে সারা জীবন নিজেকে নিবেদিত করেছেন। একটা লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তিনি জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। মানবসেবাই তাঁর ব্রত। বাংলাদেশে দগ্ধ মানুষের জন্য তিনি একজন ত্রাতা এবং দগ্ধ মানুষের চিকিৎসার জন্য তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বে সমাদৃত। একজন মানবিক চিকিৎসকের প্রতিরূপ তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’