ইনসাইড বাংলাদেশ

অবশেষে মঞ্চে এলেন জিয়া

প্রকাশ: ০৮:৩০ এএম, ২৪ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail

১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর খন্দকার মোশতাক রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেন। ২৩ আগস্ট তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন (অব.) এম মনসুর আলী, তাজউদ্দীন আহমদ, এএইচএম কামরুজ্জামান আরও বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করেন এবং ঠিক তার পরদিন ২৪ আগস্ট মেজর জেনারেল কেএম শফিউল্লাহকে সরিয়ে দিয়ে খুনি মোশতাক তার বিশ্বস্ত দোসর মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনীর ‘চিফ অব আর্মি স্টাফ’নিয়োগ করে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড হলেও ২৪ আগস্টের আগ পর্যন্ত তার ভূমিকা নিয়ে কেউই তেমন কিছু জানত না। ২৪ আগস্টের পরই তিনি মূল মঞ্চে আসেন।

১৫ আগস্টের সময় কেএম শফিউল্লাহ সেনাপ্রধান হিসেবে থাকলেও তিনি কেবল নামমাত্র সেনাপ্রধান ছিলেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনি ছিলেন একজন মেরুদণ্ডহীন ও ব্যক্তিত্বহীন সেনাপ্রধান। অনেকেই মনে করেন শফিউল্লাহ তার চাকরির মায়ায় মোশতাকের পদলেহন করেছিলেন এবং তার আনুগত্য স্বীকার করেছিলেন। কিন্তু এসব করে তার কোন লাভ হয়নি। বরং ২৪ আগস্ট জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করা হয়।

ইতিহাস বিশ্লেষকরা মনে করেন, জিয়াউর রহমানের সেনাপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রের বৃত্ত পুরন হয় এবং এই পুরো পরিকল্পনার সাথে তিনি জড়িত নয়, সেটি প্রমাণ করার জন্যই তিনি ৮ দিন অপেক্ষা করে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। এর পরবর্তি ঘটনাপ্রবাহে আস্তে আস্তে তিনি দেশের অবৈধ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। 

৭৫’ এর পর লরেন্স লিফশুলজ এবং অ্যান্থনি মাসকারেনহাস দুইজন বঙ্গবন্ধু হত্যা নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং গবেষণা করতে গিয়ে তারা খুনিদেরও সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। এ সমস্ত খুনিদের সাক্ষাৎকার থেকে এটি সুস্পষ্ট হয় যে, জিয়াউর রহমান এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিশেষ করে কর্নেল ফারুক এবং রশিদ জিয়াউর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেছেন এবং এই যোগাযোগের সময় ফারুক এবং রশিদকে জিয়াউর রহমান বলেছিলেন যে, আমি এটা শুনলাম, তোমরা যদি করতে পার, কর। কিন্তু আমি সরাসরি এর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবো না।

১৯৭৬ সালে ৩০ মে খুনি ফারুক লন্ডনে ডেইলি সান'স পত্রিকাকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার পুরো বিবরণ দেন এবং তাতে তিনি স্বীকার করেন যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি সম্পর্কে তিনি জিয়াউর রহমানকে অবহিত করেছিলেন।

সাম্প্রতিককালে আরও কিছু নথিপত্রে দেখা যাচ্ছে যে, খুনি মোশতাকের সঙ্গেও জিয়াউর রহমানের যোগাযোগ ছিল। পুরো ঘটনাটি সাজিয়েছিলেন জিয়া নিজেই। তিনি কর্নেল ফারুক-রশিদকে ব্যবহার করেছিলেন, ব্যবহার করেছিলেন খুনি মোশতাককে। তিনি জানতেন যে, এভাবেই ক্ষমতার পরিবর্তন করতে হবে। তার গায়ের যেন রক্তের দাগ না লাগে সে জন্যই তিনি ফারুক-রশিদকে ব্যবহার করেছিলেন। আর খুনি মোশতাককে ব্যবহার করেছিলেন। তিনি যে এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন তার প্রমাণ পাওয়া যায় যখন তিনি আত্মস্বীকৃত খুনিদের কূটনীতিক চাকরি দিয়েছিলেন।

১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৮১ সময়কাল ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের কালো অধ্যায়। ঘোর অমানিশার অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আমল। জিয়ার শাসনামলকে কেবল বাঙালির ইতিহাসের লজ্জা ও কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবেই অভিহিত করা যায়। যার সুচনা হয়েছিল ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ও ২৪ আগস্ট জিয়াউর রহমানের সেনাপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণের মধ্যে দিয়ে।


বঙ্গবন্ধু হত্যা   শেখ মুজিবুর রহমান   খুনী জিয়া   মোশতাক   ষড়যন্ত্রকারী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মন্ত্রী হয়ে সবার হৃদয় জয় করেছেন ডা. সামন্ত লাল

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সারা জীবন চাকরি করছেন। চাকরি করলেও তিনি একজন ভিশনারি সরকারি চাকুরে ছিলেন। একটা লক্ষ্যে সারা জীবন নিজেকে নিবেদিত করেছেন। একটা লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তিনি জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। মানবসেবাই তাঁর ব্রত। বাংলাদেশে দগ্ধ মানুষের জন্য তিনি একজন ত্রাতা এবং দগ্ধ মানুষের চিকিৎসার জন্য তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বে সমাদৃত। একজন মানবিক চিকিৎসকের প্রতিরূপ তিনি।

একটা সময় বাংলাদেশে এসিড সন্ত্রাস ছিল অত্যন্ত আলোচিত বিষয় এবং এসিড সন্ত্রাসের কারণে নারীদের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিল। নারীদের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ত। এসিড সন্ত্রাস একটা ভয়াবহ রুপ নিয়েছিল। বিশেষ করে ৮০ দশক এবং ৯০ দশকে নারীদের নিরাপত্তার অন্যতম ঝুঁকি ছিল এসিড সন্ত্রাস। সেই সময় ডা. সামন্ত লাল সেন তাঁর জীবনের সবটুকু প্রাণ শক্তি উজাড় করে দিয়েছিলেন এসিড দগ্ধ নারীদের পিছনে। তাদেরকে সেবা দেওয়াটাই ছিল তার ব্রত। তিনি জীবনে কোনদিন সরকারি চাকুরে হিসেবে থাকেননি। বরং একজন ব্রতচারী মানুষ হিসেবে একটি সুনির্দিষ্ট মানবসেবার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে গেছেন। 

এসিড সন্ত্রাসের পর শুরু হয় অগ্নি সন্ত্রাসের রাজত্ব। বাসে আগুন, ট্রেনে আগুন, গান পাউডার দিয়ে মানুষকে পুড়ানো ইত্যাদি অগ্নি সন্ত্রাস রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বিএনপি-জামায়াত জোট। আর এই সময় অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মানবিক প্রতিরোধের আলোকবর্তিকা হয়ে ওঠেন ডা. সামন্ত লাল সেন। তাঁর উদ্যোগেই শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট গঠিত হয়েছে। তিনি ঢাকার গণ্ডি ছেড়ে সারা দেশে দগ্ধ মানুষের চিকিৎসার জন্য এক মহতী এবং স্বপ্নচারী উদ্যোগকে বাস্তবে রূপ দিয়েছিলেন।  

বাংলাদেশে এসিড সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস ছাড়াও নানা কারণে মানুষ আগুনে পুড়ে, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নানা রকম দুর্ঘটনায় আগুনে ঝলসে যাওয়া মানুষের সংখ্যা কম নয়। এই ভয়াবহতার বিরুদ্ধে মানবতার হাত বাড়ানোর জন্য তিনি সকলের শ্রদ্ধার পাত্র তিনি হলেন ডা. সামন্ত লাল সেন। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার তার মন্ত্রিসভা গঠনে সামন্ত লাল সেনকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করে একটি চমক দেখান। ডা. সামন্ত লাল সেন এর জন্য এটি ছিল একটি বড় বিস্ময়। কিন্তু এই পদের জন্য তিনি যে অত্যন্ত যোগ্য এবং তিনি যে একজন সত্যিকারের মহৎ মানুষ দায়িত্ব গ্রহণের চার মাসের কম সময়ের মধ্যে তিনি তা প্রমাণ করেছেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত সময় তার কিছু কিছু কাজ সর্বোচ্চ প্রশংসিত হচ্ছে। সাধারণ মানুষ তার কার্যক্রমে মুগ্ধ। চিকিৎসকরা তাকে নিয়ে আশায় বুক বাঁধছে। রোগীরা তাঁর কারণে এখন অনেকটাই আশ্বস্ত হচ্ছেন। সবকিছু মিলিয়ে ১১ জানুয়ারি থেকে মন্ত্রিত্ব পাওয়া ডা.র সামন্তলাল সেন একজন মানবিক মন্ত্রী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তিনি যেন মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন ক্রমশ।

সাধারণত মন্ত্রীরা তাদের কার্যালয়ে যান তাদের ইচ্ছেমতো সময়। কিন্তু সামন্ত লাল সেন অফিসে যাচ্ছেন রুটিন করে। সকাল সাড়ে আট থেকে নটার মধ্যে মন্ত্রণালয়ে তাকে পাওয়া যাচ্ছে। সরকারি কাজে অতীতে দেখা গেছে, মন্ত্রীদের জন্য ফাইল আটকে থাকে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। কিন্তু তিনি এখানেও ব্যতিক্রম। দ্রুত সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন। ফাইল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে তিনি উৎপাটিত করেছেন এই অল্প সময়ের মধ্যে। 

মন্ত্রীরা সাধারণত একটা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে থাকেন এবং প্রেটোকল মানেন। নির্দিষ্ট গণ্ডির বাইরে কেউ তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন না। একটি চক্র তাকে ঘিরে ফেলে। কিন্তু এখানেও ডা. সামন্ত লাল উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। তিনি একজন উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসকের সঙ্গে যেমন কথা বলছেন তেমনই সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গেও কথা বলছেন। ভাল কাজের জন্য তিনি যেমন প্রশংসা করেছেন তেমনই মন্দ কাজের জন্য তিনি শাস্তি দিতেও কার্পণ্য করছেন না। 

উত্তরাঞ্চলে একজন সিভিল সার্জন ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তাকে তিনি টেলিফোন করে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। আবার একজন চিকিৎসক তাঁর কর্মস্থলে থাকছেন না তাকে সাসপেন্ড করতেও তিনি কুণ্ঠাবোধ করছেন না। সবচেয়ে বড় কথা হলো প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য তিনি ছুটে বেড়াচ্ছেন। ছুটির দিনগুলোতে তাকে বিভিন্ন জেলায় স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শন, কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন করতে দেখা গেছে। 

সবচেয়ে বড় কথা হলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি দুর্নীতিগ্রস্ত মন্ত্রণালয় হিসেবে পরিচিত ছিলো। কিন্তু সামন্ত লাল সেন এই অল্প সময়ের মধ্যে দুর্নীতির ছিদ্রগুলো বন্ধ করতে পেরেছেন। নিজেকে একজন সৎ মানুষ হিসেবে প্রমাণিত করেছেন। এক দিকে শতভাগ সৎ এবং শতভাগ মানবিক একজন মানুষ যে জয়ী হতে পারে এখন পর্যন্ত তা প্রমাণ করতে পেরেছেন। তাছাড়া তাঁর সংবেদনশীল আচরণ রোগীদের আশ্বাস্ত করছে। একদিকে যেমন তিনি সাধারণ জনগণ যেন স্বাস্থ্যসেবা পায় সেই বার্তা দিচ্ছেন, চিকিৎসকদের সতর্ক করছেন, অন্যদিকে চিকিৎসকরাও যেন হয়রানির শিকার না হন সেই বিষয়টিও তিনি দেখছেন। সব কিছু মিলিয়ে এবার এমন একজন স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশ পেয়েছে যিনি একজন পরিচ্ছন্ন মানবিক হৃদয়বান মানুষ।

ডা. সামন্ত লাল   স্বাস্থ্যমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতীয় সংসদে প্রশ্ন করলেন ড. আওলাদ হোসেন (ভিডিও)

প্রকাশ: ০৯:১৭ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতীয় সংসদে প্রশ্ন করেছেন ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. আওলাদ হোসেন। বুধবার (৮ মে) দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের এক সম্পূরক প্রশ্ন উত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রীকে তিনি প্রশ্ন করেন।

ড. আওলাদ হোসেন বলেন, দক্ষিণ বঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশ পথ আমাদের পোস্তগোলা ধোলাইপাড়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার পদ্মা সেতু দিয়ে পাড় হয়ে পোস্তগোলা সেতুতে মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টার বসে থাকে। এবার আমরা ঢাকা-৪ এবং ঢাকা-৫ আসনের এমপি মিলে স্থানীয় মানুষদের নিয়ে ঈদ ফেরত মানুষদের সহযোগিতা করেছি। সেই যানজট নিরসনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গের মানুষদের সহজে চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য পোস্তগোলা থেকে ফতুল্লা হয়ে ফোর লেনের প্রজেক্ট পাশ করিয়েছেন। সেই প্রজেক্ট একনেকে পাশ হয়েছে। যথা সময়ে এবং দ্রুত সম্পাদন করলে আগামী রমজান ঈদে আশা করি যানজট হবে না। সেই প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা কামনা করছি।

ড. আওলাদ হোসেনের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি মাননীয় সংসদ সদস্যকে বলবো আমরা তো ইতোমধ্যে যানজট নিরসনে কাজ করেছি। এ ধরনের প্রকল্প নিয়েছি এবং পাশ করেছি। সেগুলো যথা সময়ে বাস্তবায়ন হবে। তবে এবারের ঈদে যানজটযুক্ত করতে মাননীয় সংসদ সদস্য সকলে নিয়ে যে ব্যবস্থা নিয়েছেন একই ভাবে যদি সব সময় নজরদারি রাখেন তাহলে আর কখনোই যানজট থাকবে। আমি আশা করি মাননীয় সংসদ সদস্য তার এই দায়িত্ব যথা সম্ভব পালন করে যাবে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই এলাকায় যেন যানজট না হয় সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তবে প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে সময় লাগে। রাস্তাঘাট তড়িঘড়ি করে করলে হয় না। এমনিতে আমাদের মাটি নরম। আবার অন্যান্য দেশে রাস্তা ঘাট করলে যে খরচ লাগে আমাদের দেশে করতে সেটা বেশি লাগে। কারণ আমাদের নরম মাটি। এখানে কাজ করতে গেলে আগে মাটি তৈরি করতে হয়। আমরা এখন আধুনিক পদ্ধতিতে করে যাচ্ছি। যার জন্য রাস্তা গুলো টেকসই হচ্ছে। 


ঢাকা-৪   ড. আওলাদ হোসেন   জাতীয় সংসদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৫৪ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’

বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীলতা, বাজার ব্যবস্থাপনায় অসামঞ্জস্যতা এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সূত্রে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়ার শঙ্কা থাকে। এছাড়া, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে পণ্য সরবরাহের সাপ্লাই-চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে মূলত ইরান বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট পরিবহন খরচ বাড়তে পারে। এতে পণ্য তৈরি ও সরবরাহ ব্যয় বাড়ায় রপ্তানিকারকরা কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে পারেন।’

মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের আশঙ্কার বিষয়ে দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দেশ দিয়েছি যাতে প্রত্যেকে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখে এবং এ বিষয়ে নিজ নিজ করণীয় নির্ধারণ করে। সংঘাত দীর্ঘ হলে কোন কোন সেক্টরে প্রভাব পড়তে পারে তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো সংঘাত বা সংঘাতের খবর জ্বালানি তেলের বাজারকে প্রভাবিত করে। এতে পণ্যের জাহাজ ভাড়া বাড়ে। যা আমদানি ব্যয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। সার আমদানি ব্যয়ে প্রভাব পড়ে। এতে বিকল্প উৎস হিসেবে চীন, মরক্কো, তিউনেশিয়া, কানাডা, রাশিয়া ইত্যাদি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সংকট আরও ঘনীভূত ও দীর্ঘায়িত হলে তা বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   আওয়ামী লীগ   জাতীয় সংসদ   মধ্যপ্রাচ্য   বাংলাদেশের অর্থনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রবীন্দ্রনাথের জীবনাদর্শ অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে অনুপ্রেরণা যোগায়: ভূমিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৩২ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনাদর্শ ও তাঁর সৃষ্টিকর্ম শোষণ-বঞ্চনামুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে অনুপ্রেরণা যোগায়। তাই বঙ্গবন্ধু কবিগুরুর অমর সৃষ্টি ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করেন।

বুধবার (৮ মে) সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবস্থিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত কাচারি বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তিনদিনব্যাপী জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন।

এর আগে ভূমিমন্ত্রী রবীন্দ্র কাচারি বাড়িতে এসে পৌঁছালে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ তাঁকে স্বাগত জানান। এর পর বেলুন উড়িয়ে শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারিবাড়ীতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন ভূমিমন্ত্রী।

ভূমিমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরও বলেন, আমাদের জাতীয় সঙ্গীত 'আমার সোনার বাংলা' গানটি এখন পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় ঐক্যের অন্যতম প্রতীকে। রবীন্দ্র চিন্তায় উজ্জীবিত হয়ে তরুন প্রজন্ম বিশ্বের দরবারে  স্মার্ট ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে উঁচু করে তুলে ধরতে আহ্বান জানান ভূমিমন্ত্রী।

ভূমিমন্ত্রী এসময় আরও আশা প্রকাশ করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক স্থাপিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য নির্ধারিত জায়গা অধিগ্রহণ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম দ্রুতায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন একযোগে কাজ করবে। এসময় তিনি বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাছে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত প্রস্তাব এলে তা দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে।

অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের সাথে এক সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়ের সময়, এক প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী বলেন, রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক প্রদত্ত বাথানে (গোচারণভূমি) যদি কোনো অবৈধ দখল থেকে থাকে তাহলে তা পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি সিরাজগঞ্জের গোচারণভূমিকে দেশের কৃষি তথা খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে অবহিত করেন।

সিরাজগঞ্জের উপ পরিচালক স্থানীয় সরকার মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী, শাহজাদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধা আজাদ রহমান, শাহজাদপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার  মোঃ কামরুজ্জামান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গণমান্য ব্যাক্তিত্ব, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীবৃন্দ প্রমুখ।

সংস্কৃতিক মন্ত্রালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় সিরাজগঞ্জ জেলা প্রসাশনের ব্যবস্থাপনায় ২৫,২৬ ও ২৭ বৈশাখ তিন দিনের অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শাহজাদপুর শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীবৃন্দ রবীন্দ্র সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করেন। এছাড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও তিনদিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আলোচনাসভা ও সেমিনার।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর   ভূমিমন্ত্রী   নারায়ন চন্দ্র চন্দ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

প্রকাশ: ০৭:৫৮ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা। বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যায় এক বিশেষ ফ্লাইটে তিনি বিমানবন্দরে অবতরণ করেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন দিল্লি সফরের বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করবেন তিনি। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও বৈঠক করবেন কোয়াত্রা।

এ ছাড়া বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে বার্তায় আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

এদিকে আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে কোয়াত্রার সঙ্গে আলোচনায় সীমান্ত হত্যা গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

কোয়াত্রার সফরে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী। তাদের সঙ্গে নানা বিষয় আছে। স্বাভাবিকভাবে নানা বিষয় আলোচনা হবে। তিনি আসার পর আমরা বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

গত ২০ এপ্রিল ঢাকায় আসার কথা ছিল ভারতের পররাষ্ট্র-সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার। তবে অনিবার্য কারণে তার পূর্বনির্ধারিত সেই সফর স্থগিত করা হয়।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব   পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়   বিনয় মোহন কোয়াত্রা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন