সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেখে নিজ নির্বাচনী এলাকার একজন অসহায় রোগীকে দেখার জন্য এডিএম শহিদুল ইসলাম এমপি ছুটে গেলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শুনলেন তাদের কষ্টের কথা, দিলেন নগদ অর্থ। অসহায় এ রোগীর পাশে দাড়ালেন, চিকৎসার দায়িত্বও নিলেন। এখবর এলাকায় ছড়িয়ে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।
শেরপুর
জেলার
ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর
ইউনিয়নের জড়াকুড়া গ্রামের বাসিন্দা দরিদ্র
আফতাব
উদ্দিনের কন্যা
কল্পনা
আক্তার(১৭) ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে
ঢাকা
মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে শিশু
ওয়ার্ডে ভর্তি
রয়েছে।
কিন্তু
অর্থাভাবে তার
চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ
হওয়ার
উপক্রম
হয়ে
যায়।
বিষয়টি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে প্রকাশিত হলে
দৃষ্টিতে আসে
শেরপুর-৩ (শ্রীবরদীতে-ঝিনাইগাতী) আসনের
নবনির্বাচিত সংসদ
সদস্য
এডিএম
শহিদুল
ইসলাম
এমপির।
তিনি
১০
ফেব্রুয়ারি শনিবার
রাত
সাড়ে
৯
টার
দিকে,
দ্রুত
ছুটে
যান
ঢাকা
মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতালের শিশু
ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অসুস্থ
কল্পনা
আক্তারকে দেখতে।
তিনি
কল্পনার পরিবারের লোকজনের সাথে
সাক্ষাৎ করে
সর্বোচ্চ চিকিৎসার দায়িত্বভার গ্রহন
করেন।
তাৎক্ষণিক দশ
হাজার
টাকাও
প্রদান
করেন।
এতে
কল্পনার পরিবার
স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন।
সংসদ
সদস্য
এডিএম
শহিদুল
ইসলাম
এমপি
জানান,
কল্পনার চিকিৎসার ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার
নজরে
আশা
মাত্রই
অসহায়
কল্পনা
আক্তারের দায়িত্বভার গ্রহণ
করে
নিজস্ব
তহবিল
থেকে
তাদেরকে নগদ
আর্থিক
অনুদান
প্রদান
করেছি।
চিকিৎসার খোঁজ-খবর রাখছি।
তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছি। বাঁচা-মরা আল্লাহর ইচ্ছে। কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা পাবেনা, তা হবে না। আমার এলাকার প্রতিটি মানুষের সুখে-দুখে পাশে থাকতে চাই।
মন্তব্য করুন
লালমনিরহাট থেকে ঢাকাগামী বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি
লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) ভোরে পাবনার ঈশ্বরদীতে মুলাডুলি স্টেশনে এ বগি
লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে। রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন।
জানা গেছে, ঢাকাগামী বুড়িমারী এক্সপ্রেসের একটি শোভন চেয়ার কোচের
দুইটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এরই মধ্যে এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা
হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেনকে আহ্বায়ক করে
বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) মো. মোমতাজুল ইসলাম ও বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল
মণ্ডল। ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করবেন তারা।
এদিকে ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনায় পদ্মা, লালমনি, পঞ্চগড়, চিত্রা,
নীলসাগর, একতা ও রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
লাইনচ্যুত ট্রেন বগি উত্তরবঙ্গ রেল যোগাযোগ
মন্তব্য করুন
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে রংপুরের পীরগাছা উপজেলায়
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন ৩ ফুট উচ্চতার শারীরিক প্রতিবন্ধী
মোছা. ইশরাত জাহান সুইটি।
বুধবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রজাপতি প্রতীক
নিয়ে মোট ভোট পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৭৪৯ তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোছা. রেহেনা বেগম
পদ্মফুল প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ২৯৫ ভোট।
অপর প্রার্থীদের মধ্যে মোছা. জরিনা বেগম ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন
১২ হাজার ২২ ভোট, মোছা. মাহমুদা বেগম হাঁস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮ হাজার ৬৭৫ ভোট, বর্তমান
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তানজিনা আফরোজ কলস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৯৯ ভোট
ও মোছা. শারমিন আক্তার বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ৮১ ভোট।
বুধবার (৮ মে) রাতে উপজেলা অডিটরিয়াম থেকে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে
তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
ইশরাত জাহান সুইটির বাড়ি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার অনন্তরাম গ্রামে।
জন্মের পর পাঁ বেকে যাওয়ায় অন্য ৮-১০টা শিশুর মতো শারীরিক বৃদ্ধি হচ্ছিল না তার। শিশু
বয়সেই হয় বাবা-মার বিচ্ছেদ। ঠিকমত বাবা-মার আদর পাননি। হয়নি ঠিকঠাক চিকিৎসা। জীবনে
এতসব প্রতিবন্ধকতার মাঝেও সুইটি মাস্টার্স পাশ করেছেন। নির্বাচনে লড়ে হয়েছেন বিজয়ী।
এর আগে ইশরাত জাহান সুইটিকে নিয়ে কালবেলার মাল্টিমিডিয়া, অনলাইন ও প্রিন্ট সংস্করণে
প্রতিবেদন করা হয়।
বিজয়ী হওয়ার পর ইশরাত জাহান সুইটি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমার
এ বিজয় আমি পীরগাছা উপজেলাবাসীকে উৎসর্গ করলাম। তারা যে ভালোবাসা আমাকে দেখিয়েছে তার
মান যেন আমি রক্ষা করতে পারি, সকলের কাছে সেই দোয়া চাই। সেই সঙ্গে আমাকে বিপুল ভোটে
বিজয়ী করার জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি’।
উপজেলা নির্বাচন প্রতিবন্ধী সুইটি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ডা. সামন্ত লাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ঢাকা-৪ ড. আওলাদ হোসেন জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
ভোটের বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, দিনাজপুরের হাকিমপুরে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কামাল হোসেন ২২ হাজার ২৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ টেলিফোন প্রতীকে ১৯ হাজার ৩৭৮ ভোট পেয়েছেন।
সারা জীবন চাকরি করছেন। চাকরি করলেও তিনি একজন ভিশনারি সরকারি চাকুরে ছিলেন। একটা লক্ষ্যে সারা জীবন নিজেকে নিবেদিত করেছেন। একটা লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তিনি জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। মানবসেবাই তাঁর ব্রত। বাংলাদেশে দগ্ধ মানুষের জন্য তিনি একজন ত্রাতা এবং দগ্ধ মানুষের চিকিৎসার জন্য তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বে সমাদৃত। একজন মানবিক চিকিৎসকের প্রতিরূপ তিনি।