ইনসাইড বাংলাদেশ

‘জাতীয় ঐক্যের নামে ষড়যন্ত্র চলছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০৩ পিএম, ১৯ অক্টোবর, ২০১৮


Thumbnail

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক পদক জাতীয় ঐক্যের নামে দেশে ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন।    

আজ শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি আয়োজিত একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী। 

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে উদ্দেশ্য করে আনিসুল হক বলেন, ‘যারা রাজনীতি করেন, তারা ঐক্য করবেন, এতে আমাদের আপত্তি নেই। তবে যে ঐক্য নীতিহীন, যে ঐক্য বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, যে ঐক্য স্বাধীনতা বিরোধীদের কথা বলে, সে ঐক্যের সঙ্গে বাংলার জনগণ থাকবে না।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবু ইউসুফ ভূইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনিসুল হক ভূইয়া। এছাড়াও কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল কায়সার জীবনসহ উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।’

বাংলা ইনসাইডার/আরকে



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফের লাইনচ্যুত ট্রেনের বগি, ঢাকা-উত্তরবঙ্গ বন্ধ রেল যোগাযোগ

প্রকাশ: ০৮:১৮ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

লালমনিরহাট থেকে ঢাকাগামী বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ভোরে পাবনার ঈশ্বরদীতে মুলাডুলি স্টেশনে এ বগি লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে। রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, ঢাকাগামী বুড়িমারী এক্সপ্রেসের একটি শোভন চেয়ার কোচের দুইটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এরই মধ্যে এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেনকে আহ্বায়ক করে বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) মো. মোমতাজুল ইসলাম ও বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মণ্ডল। ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করবেন তারা।

এদিকে ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনায় পদ্মা, লালমনি, পঞ্চগড়, চিত্রা, নীলসাগর, একতা ও রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।


লাইনচ্যুত ট্রেন বগি   উত্তরবঙ্গ   রেল যোগাযোগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: বিপুল ভোটে বিজয়ী সেই প্রতিবন্ধী সুইটি

প্রকাশ: ০৮:১২ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন ৩ ফুট উচ্চতার শারীরিক প্রতিবন্ধী মোছা. ইশরাত জাহান সুইটি।

বুধবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রজাপতি প্রতীক নিয়ে মোট ভোট পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৭৪৯ তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোছা. রেহেনা বেগম পদ্মফুল প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ২৯৫ ভোট।

অপর প্রার্থীদের মধ্যে মোছা. জরিনা বেগম ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১২ হাজার ২২ ভোট, মোছা. মাহমুদা বেগম হাঁস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮ হাজার ৬৭৫ ভোট, বর্তমান উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তানজিনা আফরোজ কলস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৯৯ ভোট ও মোছা. শারমিন আক্তার বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ৮১ ভোট।

বুধবার (৮ মে) রাতে উপজেলা অডিটরিয়াম থেকে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

ইশরাত জাহান সুইটির বাড়ি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার অনন্তরাম গ্রামে। জন্মের পর পাঁ বেকে যাওয়ায় অন্য ৮-১০টা শিশুর মতো শারীরিক বৃদ্ধি হচ্ছিল না তার। শিশু বয়সেই হয় বাবা-মার বিচ্ছেদ। ঠিকমত বাবা-মার আদর পাননি। হয়নি ঠিকঠাক চিকিৎসা। জীবনে এতসব প্রতিবন্ধকতার মাঝেও সুইটি মাস্টার্স পাশ করেছেন। নির্বাচনে লড়ে হয়েছেন বিজয়ী। এর আগে ইশরাত জাহান সুইটিকে নিয়ে কালবেলার মাল্টিমিডিয়া, অনলাইন ও প্রিন্ট সংস্করণে প্রতিবেদন করা হয়।

বিজয়ী হওয়ার পর ইশরাত জাহান সুইটি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমার এ বিজয় আমি পীরগাছা উপজেলাবাসীকে উৎসর্গ করলাম। তারা যে ভালোবাসা আমাকে দেখিয়েছে তার মান যেন আমি রক্ষা করতে পারি, সকলের কাছে সেই দোয়া চাই। সেই সঙ্গে আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি’।


উপজেলা নির্বাচন   প্রতিবন্ধী সুইটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিতরা হলেন যারা

প্রকাশ: ১১:১৭ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ভোট গণনা শেষে ফলাফল আসতে শুরু করেছে। সন্ধ্যা থেকে ফলাফল আসা শুরু হয়।

এরআগে বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রথম ধাপে দেশের ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে কয়েক জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে।

ইসি সূত্র জানায়, এ ধাপে মোট এক হাজার ৬৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রার্থী রয়েছেন।

প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ মোট ২৮ জন প্রার্থী এরইমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।

ভোটের বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, দিনাজপুরের হাকিমপুরে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কামাল হোসেন ২২ হাজার ২৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ টেলিফোন প্রতীকে ১৯ হাজার ৩৭৮ ভোট পেয়েছেন।

জয়পুরহাটের কালাইয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির মিনফুজুর রহমান। তিনি টানা চতুর্থবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন। ক্ষেতলালে নির্বাচিত হয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. দুলাল মিয়া সরদার। আক্কেলপুরে মো. মোকছেদ আলী মাস্টার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান। কলমাকান্দায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আবদুল কুদ্দুছ। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক। জামালপুর সদর উপজেলায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ। পাবনার সুজানগরে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবদুল ওহাব।

চট্টগ্রামে সন্দ্বীপে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় নির্বাচিত হয়েছেন দর্শনা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলি মুনছুর। তিনি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলি আজগারের সহোদর। জীবননগরে চেয়ারম্যান পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান। কুমিল্লার লাকসামে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইউনুছ ভূঁইয়া। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন। মনোহরগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মান্নান চৌধুরী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। কুড়িগ্রামে চিলমারীতে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. রুকুনুজ্জামান।

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মানিক দর্জি। মতলব দক্ষিণে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার নির্বাচিত হয়েছেন। পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নূর ই আলম। তিনি পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর, ইন্দুরকানি) আসনের সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিমের ছোট ভাই। পিরোজপুর সদরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এস এম বায়েজিদ হোসেন ও ইন্দুরকানিতে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী বিজয়ী হয়েছেন। ফেনীর ফুলগাজীতে বিজয়ী হয়েছেন ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদার।

রাঙামাটি সদর উপজেলায় জনসংহতি সমিতি সমর্থিত অন্ন সাধন চাকমা ও বরকল উপজেলায় একই দলের বিধান চাকমা বিজয়ী হয়েছেন। কাউখালীতে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সামশুদ্দোহা চৌধুরী ও জুরাছড়িতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা জয়ী হয়েছেন। মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান সাইদুর রহমান ও সিঙ্গাইরে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সায়েদুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।

মেহেরপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আমদহ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনারুল ইসলাম। মুজিবনগর উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমাম হোসেন।

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সফিকুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন। হরিপুর উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল কাইয়ুম। নওগাঁর বদলগাছীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও বর্তমান চেয়ারম্যান শামসুল আলম খান নির্বাচিত হয়েছেন। পত্নীতলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গাফফার চৌধুরী ও ধামইরহাটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আজহার আলী বিজয়ী হয়েছেন।

ফরিদপুর সদরে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামচুল আলম চৌধুরী। চরভদ্রাসনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলী মোল্লা নির্বাচিত হয়েছেন। মধুখালীতে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মুরাদুজ্জামান নির্বাচিত হয়েছেন।

চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডে চেয়ারম্যান পদে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি আরিফুল আলম চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। ঝিনাইদহ সদরে পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমান ও কালীগঞ্জে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মো. শিবলী নোমানী নির্বাচিত হয়েছেন।

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইসলামী আন্দোলনের বহিষ্কৃত নেতা মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রামগতিতে নির্বাচিত হয়েছেন নির্দলীয় প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দীন আজাদ।

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কাজী শুভ রহমান চৌধুরী। হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের কর্মী আলাউদ্দিন। বানিয়াচং উপজেলায় জয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান। সিলেট সদর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সুজাত আলী রফিক, দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বদরুল ইসলাম এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন।

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় এবং শাল্লায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি অবনী মোহন দাস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের বন্দরে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি প্রার্থী মাকসুদ হোসেন। পঞ্চগড় সদরে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য এ এস মো. শাহনেওয়াজ প্রধান। তেঁতুলিয়ায় নির্বাচিত হয়েছেন নির্দলীয় প্রার্থী নিজাম উদ্দিন খান। আটোয়ারীতে নির্বাচিত হয়েছেন পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আনিছুর রহমান।

রাজবাড়ীর পাংশায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার সাইফুল ইসলাম। কালুখালীতে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলীউজ্জামান চৌধুরী। বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বড় ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ছেলে ও পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মেদ সাখাওয়াত হোসেন। সোনাতলায় চেয়ারম্যান পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লীটন। 

উপজেলা চেয়ারম্যান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মন্ত্রী হয়ে সবার হৃদয় জয় করেছেন ডা. সামন্ত লাল

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সারা জীবন চাকরি করছেন। চাকরি করলেও তিনি একজন ভিশনারি সরকারি চাকুরে ছিলেন। একটা লক্ষ্যে সারা জীবন নিজেকে নিবেদিত করেছেন। একটা লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তিনি জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। মানবসেবাই তাঁর ব্রত। বাংলাদেশে দগ্ধ মানুষের জন্য তিনি একজন ত্রাতা এবং দগ্ধ মানুষের চিকিৎসার জন্য তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বে সমাদৃত। একজন মানবিক চিকিৎসকের প্রতিরূপ তিনি।

একটা সময় বাংলাদেশে এসিড সন্ত্রাস ছিল অত্যন্ত আলোচিত বিষয় এবং এসিড সন্ত্রাসের কারণে নারীদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। নারীদের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ত। এসিড সন্ত্রাস একটা ভয়াবহ রুপ নিয়েছিল। বিশেষ করে ৮০ দশক এবং ৯০ দশকে নারীদের নিরাপত্তার অন্যতম ঝুঁকি ছিল এসিড সন্ত্রাস। সেই সময় ডা. সামন্ত লাল সেন তাঁর জীবনের সবটুকু প্রাণ শক্তি উজাড় করে দিয়েছিলেন এসিড দগ্ধ নারীদের পিছনে। তাদেরকে সেবা দেওয়াটাই ছিল তার ব্রত। তিনি জীবনে কোনদিন সরকারি চাকুরে হিসেবে থাকেননি। বরং একজন ব্রতচারী মানুষ হিসেবে একটি সুনির্দিষ্ট মানবসেবার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে গেছেন। 

এসিড সন্ত্রাসের পর শুরু হয় অগ্নি সন্ত্রাসের রাজত্ব। বাসে আগুন, ট্রেনে আগুন, গান পাউডার দিয়ে মানুষকে পুড়ানো ইত্যাদি অগ্নি সন্ত্রাস রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বিএনপি-জামায়াত জোট। আর এই সময় অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মানবিক প্রতিরোধের আলোকবর্তিকা হয়ে ওঠেন ডা. সামন্ত লাল সেন। তাঁর উদ্যোগেই শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট গঠিত হয়েছে। তিনি ঢাকার গণ্ডি ছেড়ে সারা দেশে দগ্ধ মানুষের চিকিৎসার জন্য এক মহতী এবং স্বপ্নচারী উদ্যোগকে বাস্তবে রূপ দিয়েছিলেন।  

বাংলাদেশে এসিড সন্ত্রাস, অগ্নি সন্ত্রাস ছাড়াও নানা কারণে মানুষ আগুনে পুড়ে, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নানা রকম দুর্ঘটনায় আগুনে ঝলসে যাওয়া মানুষের সংখ্যা কম নয়। এই ভয়াবহতার বিরুদ্ধে মানবতার হাত বাড়ানোর জন্য যিনি সকলের শ্রদ্ধার পাত্র তিনি হলেন ডা. সামন্ত লাল সেন। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার তাঁর মন্ত্রিসভা গঠনে সামন্ত লাল সেনকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করে একটি চমক দেখান। ডা. সামন্ত লাল সেন এর জন্য এটি ছিল একটি বড় বিস্ময়। কিন্তু এই পদের জন্য তিনি যে অত্যন্ত যোগ্য এবং তিনি যে একজন সত্যিকারের মহৎ মানুষ দায়িত্ব গ্রহণের চার মাসের কম সময়ের মধ্যে তিনি তা প্রমাণ করেছেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত সময় তাঁর কিছু কিছু কাজ সর্বত্র প্রশংসিত হচ্ছে। সাধারণ মানুষ তার কার্যক্রমে মুগ্ধ। চিকিৎসকরা তাকে নিয়ে আশায় বুক বাঁধছে। রোগীরা তাঁর কারণে এখন অনেকটাই আশ্বস্ত হচ্ছেন। সবকিছু মিলিয়ে ১১ জানুয়ারি থেকে মন্ত্রিত্ব পাওয়া ডা. সামন্তলাল সেন একজন মানবিক মন্ত্রী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তিনি যেন মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন ক্রমশ।

সাধারণত মন্ত্রীরা তাদের কার্যালয়ে যান তাদের ইচ্ছেমতো সময়। কিন্তু সামন্ত লাল সেন অফিসে যাচ্ছেন রুটিন করে। সকাল সাড়ে আট থেকে নটার মধ্যে মন্ত্রণালয়ে তাকে পাওয়া যাচ্ছে। সরকারি কাজে অতীতে দেখা গেছে, মন্ত্রীদের জন্য ফাইল আটকে থাকে, সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। কিন্তু তিনি এখানেও ব্যতিক্রম। দ্রুত সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন। ফাইল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে তিনি উৎপাটিত করেছেন এই অল্প সময়ের মধ্যে। 

মন্ত্রীরা সাধারণত একটা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে থাকেন এবং প্রটোকল মানেন। নির্দিষ্ট গণ্ডির বাইরে কেউ তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন না। একটি চক্র তাকে ঘিরে ফেলে। কিন্তু এখানেও ডা. সামন্ত লাল উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। তিনি একজন উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসকের সঙ্গে যেমন কথা বলছেন তেমনই সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গেও কথা বলছেন। ভালো কাজের জন্য তিনি যেমন প্রশংসা করেছেন তেমনি মন্দ কাজের জন্য তিনি শাস্তি দিতেও কার্পণ্য করছেন না। 

উত্তরাঞ্চলে একজন সিভিল সার্জন ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তাকে তিনি টেলিফোন করে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। আবার একজন চিকিৎসক তাঁর কর্মস্থলে থাকছেন না তাকে সাসপেন্ড করতেও তিনি কুণ্ঠাবোধ করছেন না। সবচেয়ে বড় কথা হলো প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য তিনি ছুটে বেড়াচ্ছেন। ছুটির দিনগুলোতে তাকে বিভিন্ন জেলায় স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শন, কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন করতে দেখা গেছে। 

সবচেয়ে বড় কথা হলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি দুর্নীতিগ্রস্ত মন্ত্রণালয় হিসেবে পরিচিত ছিলো। কিন্তু সামন্ত লাল সেন এই অল্প সময়ের মধ্যে দুর্নীতির ছিদ্রগুলো বন্ধ করতে পেরেছেন। নিজেকে একজন সৎ মানুষ হিসেবে প্রমাণিত করেছেন। এক দিকে শতভাগ সৎ এবং শতভাগ মানবিক একজন মানুষ যে জয়ী হতে পারে এখন পর্যন্ত তা প্রমাণ করতে পেরেছেন। তাছাড়া তাঁর সংবেদনশীল আচরণ রোগীদের আশ্বাস্ত করছে। একদিকে যেমন তিনি সাধারণ জনগণ যেন স্বাস্থ্যসেবা পায় সেই বার্তা দিচ্ছেন, চিকিৎসকদের সতর্ক করছেন, অন্যদিকে চিকিৎসকরাও যেন হয়রানির শিকার না হন সেই বিষয়টিও তিনি দেখছেন। সব কিছু মিলিয়ে এবার এমন একজন স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশ পেয়েছে যিনি একজন পরিচ্ছন্ন মানবিক হৃদয়বান মানুষ।

ডা. সামন্ত লাল   স্বাস্থ্যমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতীয় সংসদে প্রশ্ন করলেন ড. আওলাদ হোসেন (ভিডিও)

প্রকাশ: ০৯:১৭ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতীয় সংসদে প্রশ্ন করেছেন ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. আওলাদ হোসেন। বুধবার (৮ মে) দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের এক সম্পূরক প্রশ্ন উত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রীকে তিনি প্রশ্ন করেন।

ড. আওলাদ হোসেন বলেন, দক্ষিণ বঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশ পথ আমাদের পোস্তগোলা ধোলাইপাড়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার পদ্মা সেতু দিয়ে পাড় হয়ে পোস্তগোলা সেতুতে মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টার বসে থাকে। এবার আমরা ঢাকা-৪ এবং ঢাকা-৫ আসনের এমপি মিলে স্থানীয় মানুষদের নিয়ে ঈদ ফেরত মানুষদের সহযোগিতা করেছি। সেই যানজট নিরসনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গের মানুষদের সহজে চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য পোস্তগোলা থেকে ফতুল্লা হয়ে ফোর লেনের প্রজেক্ট পাশ করিয়েছেন। সেই প্রজেক্ট একনেকে পাশ হয়েছে। যথা সময়ে এবং দ্রুত সম্পাদন করলে আগামী রমজান ঈদে আশা করি যানজট হবে না। সেই প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা কামনা করছি।

ড. আওলাদ হোসেনের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি মাননীয় সংসদ সদস্যকে বলবো আমরা তো ইতোমধ্যে যানজট নিরসনে কাজ করেছি। এ ধরনের প্রকল্প নিয়েছি এবং পাশ করেছি। সেগুলো যথা সময়ে বাস্তবায়ন হবে। তবে এবারের ঈদে যানজটযুক্ত করতে মাননীয় সংসদ সদস্য সকলে নিয়ে যে ব্যবস্থা নিয়েছেন একই ভাবে যদি সব সময় নজরদারি রাখেন তাহলে আর কখনোই যানজট থাকবে না। আমি আশা করি মাননীয় সংসদ সদস্য তার এই দায়িত্ব যথা সম্ভব পালন করে যাবেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই এলাকায় যেন যানজট না হয় সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তবে প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে সময় লাগে। রাস্তাঘাট তড়িঘড়ি করে করলে হয় না। এমনিতে আমাদের মাটি নরম। আবার অন্যান্য দেশে রাস্তা ঘাট করলে যে খরচ লাগে আমাদের দেশে করতে সেটা বেশি লাগে। কারণ আমাদের নরম মাটি। এখানে কাজ করতে গেলে আগে মাটি তৈরি করতে হয়। আমরা এখন আধুনিক পদ্ধতিতে করে যাচ্ছি। যার জন্য রাস্তা গুলো টেকসই হচ্ছে। 


ঢাকা-৪   ড. আওলাদ হোসেন   জাতীয় সংসদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন