ইনসাইড বাংলাদেশ

শেখ হাসিনার পর কে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৩৮ এএম, ০৯ জুন, ২০১৭


Thumbnail

তাঁকে ঘিরেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি। তাঁকে ঘিরেই আজ বাংলাদেশের ভবিষ্যত। তিনি একাই যেন বয়ে বেড়াচ্ছেন সব ভার। তিনি ছাড়া দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলটাও যেন ছন্নছাড়া। তিনি ছাড়া এদেশের উন্নয়নের স্রোতেও ভাটার টান। তিনি ছাড়া ‘বাংলাদেশ’ই যেন এক সংকট সন্ধিক্ষনে। অক্লান্ত পরিশ্রমী এক মাঝি। একাই হাল ধরে আছেন দেশের, দলের। কিন্তু তিনিই ইদানিং অবসরের কথা বলেন। বলেন আর পারছি না। তার নাম শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। গত এক বছরে তিনি ৫টি গুরুত্বপূর্ন বক্তৃতায় দলের সভানেত্রীর দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। জাতীয় কাউন্সিলে, মহিলা যুবলীগের সম্মেলনে, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে, ছাত্রলীগের সভায় শেখ হাসিনা বলেছেন ‘অনেক তো হলো। ৩৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করছি, এখন নতুন নেতা নির্বাচন করুন। তরুনদের সুযোগ করে দিতে হবে।’ যদিও কর্মীদের না ধ্বনি আর আবেগের কাছে তার এই ইচ্ছা গুরুত্ব পায়নি। কিন্তু বাস্তবতা হলো শেখ হাসিনা তো চিরদিন আওয়ামী লীগের সভাপতি থাকবেন না। এ বছর ২৮ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা ৭০ বছর পূর্ণ করবেন। ঘনিষ্টদের তিনি বলেছেন, ২০২১ সালের পর আর কোনো দায়িত্বে থাকতে চান না। ২০২১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ করবেন। এর এক বছর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করবে দেশ। ২০২১ সালেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। শেখ হাসিনা এই জাতির এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষন পেরিয়ে অবসরে যেতে চান। ঘনিষ্টদের কাছে এরকম আকাঙ্খার কথাই তিনি বলেছেন। তাই যদি হয় তাহলে ২০১৮ এর সংসদ নির্বাচনই হতে পারে শেখ হাসিনার শেষ নির্বাচন। তাহলে, শেখ হাসিনার পর আওয়ামী লীগের নেতা কে হবেন, তা এখনই নির্ধারিত হওয়া প্রয়োজন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেতৃত্বে এসেছিলেন তৃণমূল থেকে। তাঁর রাজনৈতিক গুরু ছিলেন হোসেন শহীদ সোরওয়ার্দী। শুধু মাত্র নিজের যোগ্যতা, নেতৃত্বের অসাধারণ গুন, মানুষের প্রতি ভালবাসার জোরেই শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গবন্ধু এবং জাতির পিতার অভিসিক্ত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর কোনো উত্তরাধিকার মনোনয়ন দেননি। জাতির পিতার ছেলে শেখ কামাল, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনি, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদকে বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার হিসেবে ভাবা হতো। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কাউকেই তারপর দলের নেতার স্বীকৃতি দেননি। দেননি একারণে যে তিনি উত্তরাধিকারজাত ছিলেন না। আমৃত্য গণতন্ত্রকামী এই নেতা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই পরবর্তী নেতৃত্ব হোক এটাই চেয়েছিলেন। এই দায়িত্ব তিনি দলের কর্মীদের উপরই ছেড়ে দিয়েছিলেন।

৭৫ এর ১৫ আগস্টের বিয়োগান্তক ঘটনা না ঘটলে শেখ হাসিনাও আওয়ামী লীগের নেতা হয়তো হতেন না।

শেখ হাসিনা উত্তরাধিকার সূত্রে নেতা হলেও, তাকে আজকের জায়গায় আসতে অনেক প্রতিক‚ল পরিস্তিতি মোকাবেলা করতে হয়েছে। দলের মধ্যেও তাকে নিরন্তর সংগ্রাম করতে হয়েছে। জাতির পিতা যেমন জনগণের শক্তিতেই অবিসংবিদিত নেতা হয়েছেন, তে¤িœ শেখ হাসিনাও জনগণের শক্তিতেই আজকের অবস্থানে এসেছেন।

বঙ্গবন্ধুর মতোই শেখ হাসিনাও তার উত্তরাধিকার মনোনয়ন দিতে চান না। তিনি চান সময়ে তৃনমূলের কর্মীরাই এই সিদ্ধান্ত নিক। উত্তরাধিকার নির্বাচনে একটি বড় বিপদ সম্পর্ক প্রায়ই শেখ হাসিনা বলেন। রাহুল গান্ধীকে উত্তরাধিকার হিসেবে মনোনয়নের পরই দেখা গেলো তীব্র সমালোচনা আর তার অযোগ্যতার বিশ্লেষণ। এজন্যই শেখ হাসিনা চান নেতৃত্ব আসুক সহজাত প্রক্রিয়ায়।

কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতির বাস্তবতার হলো, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের বাইরে কেউ নেতা হয়ে আওয়ামী লীগকে অটুট ঐক্যের বন্ধনে রাখতে পারবেন না। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৮১ র ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত আওয়ামী লীগ। ২০০৭ সালের ওয়ান ইলেভেনের সময় ও আওয়ামী লীগের জন্মছাড়া চেহারা জাতির সামনে স্পষ্ট হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগে অটুট ঐক্যের বন্ধনে রাখার জন্য বঙ্গবন্ধুর রক্তের বিকল্প নেই। তাই শেখ হাসিনার পর আওয়ামী লীগের অস্তীত্বের জন্যই বঙ্গবন্ধু পরিবারের কাউকেই নেতৃত্ব আনতে হবে এটা নিশ্চিত। এক্ষেত্রে প্রথম নাম আসে, শেখ রেহানার। নিভৃতচারী শেখ রেহানার ভ‚মিকা রাজনীতিতে অনেকটাই বঙ্গমাতা বেগম ফজিলতুননেছা মুজিবের মতো। বেগম মুজিব যেমন সংকট দল সামলেছেন। নেপথ্যে থেকে বঙ্গবন্ধুকে পরামর্শ দিয়েছেন। অনেক দূরদর্শী সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শেখ রেহানাও তেমনি ভ‚মিকা পালন করেন। বিশেষ করে ওয়ান ইলেভেনে শেখ রেহানা আর আগরতলা মামলার সময় বেগম মুজিব যেন কার্বন কপি। তবে, শেখ রেহানা প্রকাশ্য রাজনীতিতে আসবেন না তা স্পষ্ট। তিনি প্রায়ই স্পষ্ট করেই এব্যাপারে তার অনীহার কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর আরেক উত্তরাধিকার সজীব ওয়াজেদ জয়। আইটি বিশেষজ্ঞ, উচ্চ শিক্ষিত জয় আওয়ামী লীগের তরুণ কর্মীদের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয়। আওয়ামী লীগ ছাড়াও তরুণদের মধ্যে তার আলাদা অবস্থান আছে। কিন্তু সরাসরি রাজনীতিতে এখনও জয় অনুপস্থিত। কিন্তু আওয়ামী লীগের তরুনরা জয়কেই নেতা মনে করেন।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অটিজম বিশেষজ্ঞ। তিনি দলের নেতা কর্মীদের কাছে প্রচন্ড জনপ্রিয়। দলের সব স্তরের নেতারা তাকে নিয়ে গর্ব করে। নেতা হবার সব যোগ্যতার পরও তিনি তার পেশাগত বিষয়ের বাইরে কোন বক্তব্য রাখেন না।

তাই, শেখ হাসিনা হয়তো উত্তরাধিকার নির্বাচনের ক্ষেত্রে তার শক্তির উপরই নির্ভর করেন। যে শক্তির বিপুল সমর্থনে তিনি আজ বাংলাদেশের অবিসংবিদিত নেতা। সেই শক্তির নাম জনগণ।

বাংলা ইনসাইডার



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জি কে শামীমের জামিন ঘিরে ফের প্রতারণা

প্রকাশ: ১১:২৬ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ও আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামীমের জামিন ঘিরে আবারো প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে তার আইনজীবী নিখিল কুমার সাহাকে আগামী ১ সপ্তাহ মামলা না লড়তে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৮ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সেই সঙ্গে জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জি কে শামীমের জামিনের আদেশ কার্যতালিকার ৪ নাম্বার সিরিয়ালে ছিলো যা দেখে অবাক হয়ে যান প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘এটি কি ভাবে আদেশের জন্য আসে, এ বিষয়ে শুনানিই তো হয়নি।’

পরে এবিষয়ে আইনজীবী নিখিল কুমার সাহাকে এজলাসে ডাকেন প্রধান বিচারপতি। তিনি আইনজীবীকে ডেকে জিজ্ঞেস করেন, ‘এটা কি করে হলো?’ এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি আইনজীবী নিখিল কুমার। এ সময় প্রধান বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘চালাকি করেন? কটা টাকার জন্য এসব করেন! কেন করেন?’

পরে নিখিল কুমার সাহাকে ১ সপ্তাহ মামলা না লড়তে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। এসময় তিনি পাল্টা যুক্তি দিতে চাইলে প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, বেশী কথা বললে ১ বছর নিষিদ্ধ করা হবে।

এর আগেও জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছিলো হাইকোর্টে। ২০২০ সালে মার্চ মাসে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ও আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীম। পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, মাস খানেক আগে করা জামিন আবেদনে পুরো নাম উল্লেখ করেননি তিনি। যদিও জামিন আদেশে ঠিকই লেখা ছিল পুরো নাম।


জি কে শামীম   জামিন   প্রতারণা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশ: ১০:৫২ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের পথে রওনা হয়েছে সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। কয়লা নিয়ে মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবার সময় জিম্মি জাহাজটি এবার দেশের পথে বহন করছে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চুনাপাথর। 

সোমবার (২৯ এপ্রিল) মধ্যরাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ।

আগামী ১২ বা ১৩ মে জাহাজটি কুতুবদিয়ায় পৌঁছাবে বলে জাহাজটির পরিচালনা প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং আশা করছে। এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বিষয়টি গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। 

শনিবার সকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে কয়লা খালাস করে মিনা সাকার বন্দরে যায় এমভি আবদুল্লাহ। সেখান থেকেই ৫৬ হাজার মেট্রিক টন জাহাজিকরণ করা হয়। চুনাপাথরের চালানটি চট্টগ্রামের কুতুবদিয়ায় খালাস করা হবে।

ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বলেন, 'মিনা সাকার বন্দরের লাইম স্টোন লোড করা শেষে আমরা ২৯ এপ্রিল রাতে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এ চুনাপাথর কুতুবদিয়ার কাছাকাছি গভীর সমুদ্রবন্দরে নোঙর করে খালাস করা হবে।' 

এর আগে চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মালিকানাধীন এস আর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, 'এমভি আবদুল্লাহ ফেরার পথে একটি বন্দর থেকে তেল ও খাবার সংগ্রহ করবে। আশা করছি আগামী ১২ বা ১৩ মে জাহাজটি দেশে পৌঁছাবে। কুতুবদিয়ায় জাহাজের কার্গো খালাস করে চট্টগ্রাম বিচে নোঙর করবে। তখন নাবিকরা বাড়িতে যাবেন।'

উল্লেখ্য, ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ। ১২ মার্চ বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করে সোমালি দস্যুরা। দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে জাহাজটি জিম্মি করা হয়।

এর ৩২ দিন পর গত ১৪ এপ্রিল জাহাজটি মুক্ত করে দেয় জলদস্যুরা। এরপরই সেটি সোমালিয়া উপকূল থেকে আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। টানা এক সপ্তাহের সমুদ্রযাত্রা শেষে ২১ এপ্রিল বিকেলে জাহাজটি আল হামরিয়াহ বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়।


এমভি আবদুল্লাহ   জাহাজ   সংযুক্ত আরব আমিরাত   সমুদ্রবন্দর   সোমালি জলদস্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগ

প্রকাশ: ১০:৩৪ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তাকিম মন্ডলের নির্বাচনী ক্যাম্পে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। তবে দুলাল মিয়া সরদার এবং অভিযুক্ত সমর্থক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

 

রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

 

ঘটনার পর পর মোস্তাকিম মন্ডলের সমর্থকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলে দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীমের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায়। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ভিডিওতে দেখা যায়, মোস্তাকিম মন্ডলের সমর্থকরা দলবদ্ধ হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছেন।

 

এনিয়ে সোমবার (২৯ এপ্রিল) মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডলের সমর্থক মেহেদী হাসান রিটার্নিং অফিসার ও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। 

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রামের পলাশের মোড়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তাকিম মন্ডলের মোটরসাইকেল প্রতীকের একটি নির্বাচনী প্রচারণা অফিস স্থাপন করা হয়। সেখানে ঘটনার দিন দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের সমর্থক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম দলীয় রাজনৈতিক কোন্দলের জেরে ১০/১২ জনের দলবল নিয়ে সেই অফিসে চেয়ার টেবিল ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ৪৫ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করেছে। 

 

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মিয়া সরদার এবং মামুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম।

 

তাদের অভিযোগ মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল ষড়যন্ত্র করে নিজেই নিজের অফিসে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।

অভিযুক্ত মামুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো। মোস্তাকিম মন্ডলের সমর্থকরা সেখানে টাঙানো আমাদের দোয়াত কলম প্রতীকের পোস্টার ছিড়ে ফেলে। পরে আমি খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখি উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও ওসি স্যারকে জানিয়ে সেখান থেকে চলে আসি। পরে তারা ভয় পেয়ে নিজেরাই নিজেদের অফিসে ভাংচুর করে আমাদের উপর চাপানোর চেষ্টা করছে এবং গা বাঁচাতে মোস্তাকিম মন্ডলের পক্ষ নিয়ে ভোটের মাঠে নেমে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে। এমনকি তারা আমাকে বাড়ি থেকে তুলে চৌমুহনী বাজারে নিয়ে গিয়ে মারবে বলেও হুমকি দিয়েছে।’


উপজেলা নির্বাচন   নির্বাচনী অফিস   ভাঙচুর   অগ্নিসংযোগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তিন জেলায় চালু হচ্ছে নতুন বিদ্যুৎ লাইন, সতর্কতা জারি

প্রকাশ: ১০:৩৩ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বগুড়া (পশ্চিম) ৪০০/২৩০ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র পর্যন্ত ৮৯ দশমিক ৯২ কিলোমিটার দীর্ঘ '৪০০ কেভি সিঙ্গেল সার্কিট সঞ্চালন লাইন' নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। 

মঙ্গলবার(৩০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় এ লাইন পরীক্ষামূলক চালু হওয়ার কথা। এ কারণে পাবনা, নাটোর ও বগুড়া জেলার কিছু এলাকার জন্য সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি)।    

সোমবার রাতে পিজিসিবি'র আইডিআরএনপিপির প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মাসুদুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে নবনির্মিত লাইনটি সার্বক্ষণিকভাবে চালু থাকবে। এ অবস্থায় নবনির্মিত ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের টাওয়ারে আরোহণ, গবাদিপশু বাঁধা, টাওয়ারে রশি বেঁধে কাপড় শুকানো, লাইনের নিচে ও পাশে বাঁশঝাড় ও বড় গাছ রোপণসহ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সবাইকে ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন থেকে নিরাপদ (উভয় পাশে ২৩ মিটার) দূরত্বে থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। উচ্চ ভোল্টেজের এই সঞ্চালন লাইন বা টাওয়ারের সংস্পর্শে এসে কেউ বিদ্যুতায়িত হলে পিজিসিবি কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।

নতুন লাইন যেসব এলাকা দিয়ে যাচ্ছে-

পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী, সলিমপুর ও মুলাডুলি ইউনিয়ন। নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার গোপালপুর, নগর, মাঝগাঁও ও বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন। গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন এবং সিংড়া উপজেলার চামারী, কলম, চৌগ্রাম ও রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়ন।

এছাড়া বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার নন্দীগ্রাম ও ভাটগ্রাম ইউনিয়ন এবং কাহালু উপজেলার জামগ্রাম ইউনিয়ন এই নির্দেশনার আওতাভুক্ত থাকবে।


পিজিসিবি   বিদ্যুৎ   পাবনা   ঈশ্বরদী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কক্সবাজারে দৌরাত্ম বাড়ছে মানব পাচার সিন্ডিকেটের


Thumbnail

কক্সবাজারে মানব পাচারকারীদের দৌরাত্ম দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে রোহিঙ্গাসহ স্থানীয়দের মধ্যে উৎকণ্ঠা বাড়ছে। এরই মধ্যে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িতদের তালিকা করেছে সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। তালিকায় ৩০ জন রোহিঙ্গা ও ৩০ জন স্থানীয় বাসিন্দার নাম পেয়েছে গোয়েন্দা সূত্র।

 

তদন্তে উঠে এসেছে মানব পাচারের ভয়ংকর তথ্য। পাচারকারীরা ভুক্তভোগীদের উন্নত জীবনযাপনের আকাশছোঁয়া স্বপ্ন দেখিয়ে সাগর পথে নিয়ে যাওয়ার পর অনেকে ফিরেছেন লাশ হয়ে। পাচারকারী ৬০ জনের ৩০ জনই রোহিঙ্গা সদস্য। আর ভুক্তভোগীদের মধ্যে মিয়ানমারের বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গা সদস্যদের সংখ্যাই বেশি।

 

স্থানীয়দের মধ্যে বাংলাদেশি এই চক্রের অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ হোসাইন ওরফে ডাকাত হোসাইন ওরফে দালাল। চক্রের ৬০ জনই মানব পাচারের সিন্ডিকেট বিদেশি নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত।

 

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রোহিঙ্গাসহ বাংলাদেশি মানব পাচারকারী চক্রটি মিয়ানমারের নৌ বাহিনী ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সংশ্লিষ্টতায় এবং সেখানকার দালাল চক্রের মাধ্যমে নৌ পথে প্রথমে থাইল্যান্ড বা ইন্দোনেশিয়া নিয়ে যায়। সেখানে বিমানযোগে বৈধভাবে অন্যান্য দেশে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আদায় করে লাখ লাখ টাকা। এরপর সেখানে বিদেশ যেতে ইচ্ছুকদের জিম্মি করা হয়।

 

আকাশপথে নেওয়ার কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত তাদের ট্রলারে করে থাইল্যান্ড থেকে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর পাচার করে সেখানকার দালালদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। যাদের জিম্মি করা হয় তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থের মুক্তিপণ নিয়ে সাগরপথে আশপাশের দেশগুলোতে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০১৯ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত ১৯ টি মানব পাচারের মামলা হয়। মামলাগুলোর বিচারিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

 

যে কৌশলে পাচার হয়ে থাকে:

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা ট্রলার ও কার্গোতে আমদানিকৃত পণ্যসামগ্রী খালাসের পর রপ্তানি যোগ্য পণ্যের জন্য ট্রলার ও কার্গো নাফ নদীর জাইল্লার দ্বীপে নোঙ্গর করে থাকে। মাদক চোরা চালান ও মানব পাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত রোহিঙ্গারা নাফ নদীর জাইল্লার দ্বীপে নোঙ্গরকৃত ট্রলার ও কার্গোর পরিচালকের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে চুক্তি করে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার জন্য।

 

গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে তথ্য উঠে এসেছে, তৎকালীন রোহিঙ্গা শরণার্থী পাচারের সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০১৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রোহিঙ্গারা সাগরপথে ট্রলারযোগে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত তাদের আত্মীয়দের কাছে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেন।

 

উল্লেখ্য, আশ্রয় শিবিরের জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কর্মহীন অবস্থায় বসবাস করায় এবং মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন প্রলম্বিত হওয়ায় আত্মস্বীকৃতি ও কাজের সন্ধান করতে গিয়ে পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে এসব রোহিঙ্গারা। এভাবে কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়ায় সাগরপথে যাওয়া স্বল্প সংখ্যক রোহিঙ্গা স্বজনদের কাছে পৌঁছাতে পারলেও এদের বেশিরভাগই সমুদ্রে ট্রলার ডুবিতে মারা যান। আবার কেউ কেউ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার ও উদ্ধারও হন।

 

বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মধ্যে উন্নত জীবনযাপনের আশায় বিদেশে অবৈধভাবে যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের একটি অংশ বিভিন্ন উপায়ে বাংলাদেশের পাসপোর্ট সংগ্রহ করে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেকটি অংশ অবৈধভাবে সমুদ্রপথে বিদেশ গিয়ে কাজের পাশাপাশি বাংলাদেশি পরিচয়ে অবৈধভাবে বসবাস এবং পাসপোর্ট সংগ্রহের চেষ্টা করে থাকে। রোহিঙ্গাদের এমন কার্যকলাপের কারণে সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের শ্রম বাজারের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

 

বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা বিগত সময়ে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া হয়ে ইন্দোনেশিয়া এবং সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন। বিদেশে চাকরি প্রত্যাশী যারা যাচ্ছেন সেসব রোহিঙ্গারা দালালদের মাথাপিছু আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা দিয়ে থাকেন। আর টাকা দিয়েও প্রতারণার শিকার হয়েছেন অনেকে।

 

কারাভোগ শেষে ফিরে এলেন ১৭৩ জন:

প্রায় আড়াই বছর মানব পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে মিয়ানমারের নৌ বাহিনী ও বিজিপির কাছে আটক হয়ে কারাভোগের পর গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১৭৩ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে দিয়েছে মিয়ানমার সরকার। ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জনই কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন থানার, ৩০ জন বান্দরবান জেলার এবং ৭ জন রাঙ্গামাটি জেলার, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার বাসিন্দা। তবে পুলিশের ভাষ্য, এই ১৭৩ জন শুধু মানব পাচারকারীদের কাছেই নয় বিভিন্ন কারণে তারা ওই দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেছেন।

 

গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১৭৩ জনের মধ্যে কারাভোগের পর দেশে ফিরে আসেন টেকনাফ উপজেলার রাজারছড়া এলাকার মোস্তাক আহমেদের ছেলে নোমানসহ আরও ৫০ জন। তারা মিয়ানমারের নৌবাহিনীর হাতে আটক হয়েছিলেন আড়াই বছর আগে। তারা সমুদ্রপথে ট্রলার করে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে আটক হয়েছিলেন।

 

ওই ট্রলারে দেশের বিভিন্ন স্থানের আরও ৪৯ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের বহনকারী ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থায় ছিল। চার থেকে পাঁচ দিন সাগরে ভাসমান থাকার পর মিয়ানমারের নৌ বাহিনী তাদের আটক করে। পরে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে সে দেশের কারাগারে পাঠায়। প্রায় আড়াই বছর (৩০ মাস) কারাভোগের পর বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রচেষ্টায় গত ২৪ এপ্রিল স্বদেশে ফেরত আসেন নোমান।


নোমান জানান, উন্নত মানের চাকরির আশায় উনছিপ্রাং এলাকার হোসাইন দালালের প্রলোভনে পড়ে তিনিসহ রামু, মহেশখালী এবং আরও বিভিন্ন এলাকার ৪৯ জন মালয়েশিয়া যেতে চেয়েছিলেন। তাদের আটক করার পর প্রতিদিন এক বেলা খাবার দেওয়া হতো। কারাগারে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের পাশাপাশি অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ধারণা করা হয়েছিল, কখনো আর ফেরা হবে না দেশে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় দেশে ফিরতে সক্ষম হয়েছে তারা।

 

কইভাবে নোমানের মতো হোসাইন দালাল চক্রের খপ্পরে পড়েন হোয়াইক্ষ্যং এলাকার বাসিন্দা রশিদ আহমদ। কক্সবাজারে বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে দুই ছেলের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, ‘আমার দুই ছেলে মুক্তার আহমেদ আল মামুনকে অল্প টাকায় মালয়েশিয়া নেওয়ার কথা বলে হোসাইন দালাল টেকনাফের বাহারছড়ার জাহাজপুরা এলাকা থেকে বোটে তুলে দেন। বোটে কয়েক দিন থাকার পর মিয়ানমার সীমান্তে নামিয়ে দেয়। পরে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি তাদের আটক করে। হোসাইন দালাল মালয়েশিয়া পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে দুই লাখ টাকা নেন। ছেলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি বিভিন্ন অজুহাত দেখান। পরে দুই ছেলে মিয়ানমার থেকে কল করে জানায়, তারা কারাগারে আছে। হোসাইন দালালের ঘরে বেশ কয়েকবার গেলেও উল্টো আমাকে হুমকি দিয়ে তিনি বের করে দিয়েছিলেন। তিনি অনেক প্রভাবশালী। তার এক ভাগনে নাকি মন্ত্রীর সচিব।



মানব পাচার   রোহিঙ্গা   সাগরপথে   উন্নত জীবন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন