নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ২৭ নভেম্বর, ২০২০
বাংলাদেশে এখন উন্নয়নের জোঁয়ার চলছে। বিভিন্ন উন্নয়নের মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন চলছে। আর এই সমস্ত উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে শতাধিক প্রকল্প। আর এসব প্রত্যেকটা প্রকল্পের একজন করে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এখন সচিব হওয়া কিংবা বিদেশে কূটনীতিক চাকরি নয়। প্রকল্প পরিচালক হওয়া যেন সব চেয়ে লাভজনক চাকরি। প্রকল্প পরিচালক হওয়া মানেই আলাদিনের চেরাগ। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির ব্যাপারে অনুসন্ধান করতে যেয়ে টিআইবি দেখেছে, প্রকল্প পরিচালক হওয়ার জন্য আমলাদের মধ্যে রীতিমত প্রতিযোগিতা চলছে। একটি প্রকল্পের পরিচালক হওয়া মানেই আলাদিনের চেরাগ পাওয়া, সারা জীবন যেন তাকে আর কিছু করতে হবে না। এক প্রকল্পের পরিচালক হলেই বাকি জীবন রাজার হালে কাটানো যাবে। এমন একটি পরিস্তিতি তৈরি হয়েছে।
করোনার সংক্রমণের কথাই যদি ধরা যায়, দেথা যাবে দেশে করোনা সংক্রমন শুরু হওয়ার সাথে সাথে এডিবি এবং বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশেকে অর্থায়ন করে। সেই অর্থায়নে কোভিড রেসপন্স প্রজেক্ট চালু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই দুটি প্রকল্পেরই প্রকল্প পরিচালক করা হয়েছিল একজন বিএনপি ঘরনার চিকিৎসককে। তিনি ওই প্রকল্পে কি করেছেন তা নিয়ে গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। এমনকি গাড়ীর ব্যবসায়ীদেরকেও মাস্ক কেনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। মাস্কের দাম, পিপিইর দাম যেভাবে বাড়িয়ে ধরা হয়েছিল তা বিস্ময়কর। এখন ওই প্রকল্প পরিচালক নেই।
বাংলাদেশের যে কোন প্রকল্পেরই বাজেট এবং প্রক্কলিত ক্রয় তালিকা দেখলে ভীরমি খেতে হয়। কোন কোন প্রকল্পে একটি সাইকেলের দাম ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। কোন প্রকল্পে সাধারন একটা চেয়াররের দাম ধরা হয়েছে এক লক্ষ টাকা। আর এই প্রকল্পের দুর্নীতির কথা প্রতিদিনই পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে। তারপরও প্রকল্পে দুর্নীতি বন্ধ হচ্ছে না। একটি প্রকল্প যখন তৈরি করা হয় তখন এর একটি দলিল, পরিকল্পনা কমিশন থেকে অনুমোদন করিয়ে নিতে হয়। এই প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে যাওয়ার আগে প্রকল্পের প্রক্কলিত ব্যয় এবং কেনাকাটার প্রক্কলিত হিসেব মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হয়। মন্ত্রণালয় সেটা অনুমতি দিলে পরিকল্পনা কমিশনে যায়। আর পরিকল্পনা কমিশন সেটিকে অনুমোদন করে। আর তাই প্রকল্পের যে দুর্নীতি আর অস্বাভাবিক কেনাকাটার খরচ সেটির দায় শুধু একার না।
টিআইবির একজন গবেষক মনে করছেন যে, এই প্রকল্পের দুর্নীতিটা হচ্ছে একটা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। এখানে শুধু প্রকল্প প্ররিচালকই জড়িত নন, তার সঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের কিছু কিছু ব্যক্তিও জড়িত রয়েছে। সবাই মিলেই দুর্নীতি করে। কারণ যখন একটি জিনিশের প্রক্কলিত মুল্যে বেশি ধরা হয়, দশগুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তখন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব এটিকে তদন্ত করা এবং ওই দামের ব্যাপারে আপত্তি করা। তাহলে দুর্নীতির ক্ষেত্রে একটা জবাবদিহিতা স্থাপন করা যায়। মন্ত্রণালয় যদি নাও করে এটি যখন পরিকল্পনা কমিশনে যায় তখন পরিকল্পনা কমিশনের দায়িত্ব এই প্রকল্পের ব্যয়ভার গুলোকে যাচাই বাছাই করা এবং সঠিক আছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা। কিন্তু সেটিও হয় না, যার ফলে দুর্নীতি হচ্ছে।
প্রকল্পগুলোই এখন বাংলাদেশে দুর্নীতির হট স্পট বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই প্রকল্পের দুর্নীতির ভাগিদার সবাই হলেও প্রকল্প পরিচালক থাকেন সর্বেসর্বা এবং একজন প্রকল্প পরিচালকের একাধিক গাড়ি থাকেন। তারা প্রকল্পের মাধ্যমে যে আয় উপার্জন করে সেই আয় উপার্জন দিয়েই চলে। প্রকল্প থেকে তাদের বিভিন্ন রকম যে অবৈধ আয়, সেটি দিয়েই তারা ফুলে ফেঁপে ওঠে। আর এ কারণেই বড় বড় প্রকল্পের পরিচালক হওয়ার জন্য তদবির দেন-দরবার চলে সবচেয়ে বেশি।
মন্তব্য করুন
নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ময়মনসিংহের ইশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম প্রিন্স। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে যায় তার গাড়ি। এঘটনায় তার বাঁম হাত ভেঙ্গে যায় বলে খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: কালীগঞ্জে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৫
বুধবার (৮ মে) ভোরে ময়মনসিংহের ফুলপুর-শেরপুর সড়কের হরিরামপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইউএনও ছাড়াও আরও ২ জন আহত হয়েছেন।
ইউএনওর সিএ মাজাহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ইউএনও ফুলপুরের নির্বাচনী দায়িত্বে আছেন। বুধবার ভোর ৫টার দিকে ফুলপুর হরিরামপুর এলাকায় গাড়িতে করে দায়িত্ব পালনকালে শেরপুর-ঝিনাইগাতিগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ইউএনওকে বহন করা গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ইউএনও এবং গাড়িতে থাকা তার সহকারী আহত হন।’
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের
কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কালীগঞ্জ পৌরসভার ২৪ নম্বর চৌরা
নয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের সামনে দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর
সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
বুধবার
(৮ মে) সকাল ১১টার
দিকে এই ঘটনা ঘটে।
এতে উভয় পক্ষের অন্তত
পাঁচজন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা
জানান, দোয়াত কলম সমর্থিত চেয়ারম্যান
পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট আশরাফী মেহেদী হাসানের সমর্থকরা মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমজাদ হোসেন স্বপনের স্থাপন করা ভোটকেন্দ্রের সামনের
একটি ক্যাম্পে আক্রমণ চালিয়ে ভাঙচুর করে ও কয়েকজনকে
মারধর করে।
এতে
মোটরসাইকেল সমর্থক আওলাদ হোসেন, শরীফ মিয়া, আব্দুল্লাহসহ
চারজন আহত হন।
এই
সংবাদ পেয়ে মোটরসাইকেলের আরো
সমর্থকরা উপস্থিত হয়ে দোয়াত কলমের
সমর্থকদের ধাওয়া করে সুনীল নামে
একজনকে আহত করে। এই
ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ধাওয়া
দিয়ে কেন্দ্রের সামনে থেকে উভয় পক্ষকে
সরিয়ে দেয়।
এই
বিষয়ে কেন্দ্রের ইনচার্জ এএসআই আলমগীর কালের কণ্ঠকে বলেন, কেন্দ্রের ভেতরে কিছু হয়নি। বাইরে
হয়েছে।
প্রিজাইডিং
অফিসার দেওয়ান আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে দুটি কেন্দ্রে মোট
ভোটার ৫১৬৮ জন। সকাল
১০টা পর্যন্ত ৩০৮ ভোট কাস্ট
হয়েছে। ভোট পড়ার হার
১১.৭৫ শতাংশ। কেন্দ্রের
ভেতরে কোনো সমস্যা নেই’।
কালীগঞ্জ
উপজেলায় মোট ৯০টি ভোটকেন্দ্রে
মোট ভোটার দুই লাখ ৪৩
হাজার ৮৬২, পুরুষ ভোটার
এক লাখ ২৩ হাজার
৮৩৬ জন, মহিলা ভোটার
এক লাখ ২০ হাজার
২৪ জন ও হিজড়া
ভোটার দুইজন।
মন্তব্য করুন
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে রাজশাহীর ২ উপজেলায় সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সকালে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। ভোট কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে দেখা যায় নারী ভোটারদের উপস্থিতিই
বেশি ছিল।
প্রথম ধাপে রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলার নির্বাচন হচ্ছে। এ দুই উপজেলায় ১৬৮টি ভোটকেন্দ্রে
ভোটগ্রহণ চলছে। এর মধ্যে গোদাগাড়ীর ১০৭টি ও তানোরের ৬১টি ভোটকেন্দ্র। দুই উপজেলায় ১৫৫টি ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গোদাগাড়ীতে ৯৭ ও তানোর উপজেরায় ৫৮টি।
এ দুই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৩ জন। এর মধ্যে গোদাগাড়ীতে ২ লাখ ৮১ হাজার ১৬০ ও তানোরে ১ লাখ ৬৬ হাজার ১৭৩ ভোটার।
দুই উপজেলায় মোট প্রার্থী ১৬ জন। যাদের মধ্যে ৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। এর মধ্যে গোদাগাড়ীতে ৫ জন চেয়ারম্যানসহ ৯ জন এবং তানোরে ২ জন চেয়ারম্যানসহ ৭ জন।
উপজেলা নির্বাচন ভোটার উপস্থিতি
মন্তব্য করুন
চলছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এরইমধ্যে চাঁদপুরের
মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা এক সহকারী প্রিসাইডিং
কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (০৭ মে) রাত ১২টার দিকে তিনি উপজেলার ৪২ নম্বর হানিরপাড়
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে তিনি মারা যান।
অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়া সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নাম মোহাম্মদ
নূর উদ্দিন (৫৫)। তিনি উপজেলার ১১ নম্বর ষাটনল বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান
শিক্ষক ছিলেন।
বুধবার (০৮ মে) সকাল থেকে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪২ নম্বর
হানিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য তিনি সহকারী প্রিসাইডিং
কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত
৯টার দিকে উপজেলার ৪২ নম্বর হানিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র প্রস্তুতের
কাজ দেখভাল করছিলেন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর উদ্দিন। রাত ১২টার দিকে
তিনি বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। কয়েকবার বমি করার পর চেতনা হারিয়ে ফেলেন। গুরুতর
অসুস্থ অবস্থায় কয়েকজন সহকর্মী ও পরিবারের লোকজন মোহাম্মদ নূর উদ্দিনকে উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে (হার্ট অ্যাটাক) তিনি মারা গেছেন বলে
পরিবারের লোকজন ধারণা করছেন। বুধবার সকালে ষাটনল গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ
দাফন করা হয়েছে।
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, ওই ভোটকেন্দ্রে গতকাল রাতেই তার জায়গায় নতুন করে একজন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যথাসময়ে আজ সকালে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা
মন্তব্য করুন
চলছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এরইমধ্যে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা এক সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (০৭ মে) রাত ১২টার দিকে তিনি উপজেলার ৪২ নম্বর হানিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে তিনি মারা যান।