নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ০৮ মার্চ, ২০২১
পশ্চিম বাংলার নির্বাচন জমে উঠেছে। বিশেষ করে গতকাল নরেন্দ্র মোদীর কলকাতা সফরের পর এই নির্বাচন নতুন উত্তাপ ছড়িয়ে দিয়েছে। এবার পশ্চিমবাংলার নির্বাচন হতে যাচ্ছে দ্বিমুখী। তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির সরাসরি লড়াই হবে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে এখন পর্যন্ত। একটা সময় পশ্চিমবাংলায় বামফ্রন্টের রাজত্ব ছিল। কিন্তু বামফ্রন্ট এখন নিভ নিভ প্রদীপের মত অস্তিত্বের সংকটে ভোগা একটি সংগঠন। অন্যদিকে কংগ্রেসও পশ্চিমবাংলায় এখন ঠিকানাবিহীন হয়ে পড়েছে। এর ফলে পশ্চিমবাংলার এবার নির্বাচনের মূল ইস্যু হয়ে যাচ্ছে মুসলমান অনুপ্রবেশ ইস্যু বনাম হিন্দুত্ববাদী চিন্তাভাবনা। এবার বিজেপি যে নবান্ন থেকে মমতা ব্যানার্জিকে ফোটানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে তার প্রমাণ পাওয়া যায় নরেন্দ্র মোদীর আক্রমণাত্মক বক্তৃতা থেকে। তবে যারাই পশ্চিমবাংলায় জয়লাভ করুক না কেন বাংলাদেশের জন্য একটি সংকট সময় অপেক্ষা করছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
বিজেপি যদিও বলছে যে, তারা যদি পশ্চিমবাংলায় জয়লাভ করে তাহলে তারা তিস্তার পানিচুক্তির ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে এবং বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে যে তিস্তার পানিচুক্তিতে ঝুলে আছে সেটি হয়তো সম্পন্ন হবে। কারণ, মমতা ব্যানার্জির জন্যই তিস্তার পানি থেকে বাংলাদেশ বঞ্চিত এমনটাই বাংলাদেশ যেমন মনে করে তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারও সেটিই মনে করে। যেদিন নরেন্দ্র মোদী কলকাতায় বক্তৃতা দিয়েছিলেন সেইদিনই শিলিগুড়িতে এক বক্তৃতায় তিস্তার পানি প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেন মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন যে, পশ্চিমবাংলার প্রয়োজন না মিটিয়ে বাংলাদেশকে পানি দেওয়া যাবে না। কাজেই, যদি শেষ পর্যন্ত মমতা ব্যানার্জি পশ্চিমবাংলা নির্বাচনে জিতেন তাহলে আর যাই হোক, তিস্তার পানি যে বাংলাদেশ পাবে না এটি মোটামুটি নিশ্চিত। আবার বিজেপি জিতলেও যে বাংলাদেশের খুব সুখের সময় অপেক্ষা করছে তেমনটিও নয়। কারণ এবার বিজেপি পশ্চিমবাংলার রাজনীতিতে যে ইস্যুটি এনেছে তা হলো সাম্প্রদায়িক ইস্যু।
মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে বলা হচ্ছে যে, তিনি মুসলিম তোষণ নীতি গ্রহণ করেছেন। এমনকি নরেন্দ্র মোদীও গতকালকে বিগ্রেড মাঠের বক্তৃতায় মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে মুসলিম পক্ষপাতের অভিযোগ এনেছেন। তিনি অনুপ্রবেশের ব্যাপারেও সরাসরি উচ্চারণ করেছেন। বিহারে যেভাবে অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করা হয়েছে, একই কায়দায় পশ্চিমবাংলায় অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করা হতে পারে এরকম আওয়াজ নির্বাচনী প্রচারণায় বেশ জোরেশোরেই উঠছে। এ ধরনের অনুপ্রবেশের অনুপ্রবেশ ইস্যু যখন ভারতে দেখা যায় তখন সবচেয়ে সমস্যায় পড়ে বাংলাদেশ। কারণ সবসময় অনুপ্রবেশকারীদেরকে বাঙালি বা বাংলাদেশি বলে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করা হয়। এর ফলে বাংলা পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে যদি শেষ পর্যন্ত বিজেপি জিতে তাহলে বাংলাদেশে হয়তো তিস্তার পানি পাবে কিন্তু অনুপ্রবেশ এবং মুসলমান বিরোধী নীতির কারণে বাংলাদেশ হয়তো কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পশ্চিমবাংলার নির্বাচনে সবসময় বাংলাদেশ ইস্যুটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। এবারের নির্বাচনটি আরো স্পর্শকাতর হয়ে দাঁড়িয়েছে। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের ফলাফল কি হয় তার জন্য কেবল ভারত নয় বাংলাদেশও মুখিয়ে আছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ডা. সামন্ত লাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ঢাকা-৪ ড. আওলাদ হোসেন জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীলতা, বাজার ব্যবস্থাপনায় অসামঞ্জস্যতা এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সূত্রে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়ার শঙ্কা থাকে। এছাড়া, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে পণ্য সরবরাহের সাপ্লাই-চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে মূলত ইরান বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট পরিবহন খরচ বাড়তে পারে। এতে পণ্য তৈরি ও সরবরাহ ব্যয় বাড়ায় রপ্তানিকারকরা কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে পারেন।’
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের আশঙ্কার বিষয়ে দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দেশ দিয়েছি যাতে প্রত্যেকে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখে এবং এ বিষয়ে নিজ নিজ করণীয় নির্ধারণ করে। সংঘাত দীর্ঘ হলে কোন কোন সেক্টরে প্রভাব পড়তে পারে তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো সংঘাত বা সংঘাতের খবর জ্বালানি তেলের বাজারকে প্রভাবিত করে। এতে পণ্যের জাহাজ ভাড়া বাড়ে। যা আমদানি ব্যয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। সার আমদানি ব্যয়ে প্রভাব পড়ে। এতে বিকল্প উৎস হিসেবে চীন, মরক্কো, তিউনেশিয়া, কানাডা, রাশিয়া ইত্যাদি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সংকট আরও ঘনীভূত ও দীর্ঘায়িত হলে তা বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ
মন্তব্য করুন
ভোটের বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, দিনাজপুরের হাকিমপুরে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কামাল হোসেন ২২ হাজার ২৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ টেলিফোন প্রতীকে ১৯ হাজার ৩৭৮ ভোট পেয়েছেন।
সারা জীবন চাকরি করছেন। চাকরি করলেও তিনি একজন ভিশনারি সরকারি চাকুরে ছিলেন। একটা লক্ষ্যে সারা জীবন নিজেকে নিবেদিত করেছেন। একটা লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তিনি জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। মানবসেবাই তাঁর ব্রত। বাংলাদেশে দগ্ধ মানুষের জন্য তিনি একজন ত্রাতা এবং দগ্ধ মানুষের চিকিৎসার জন্য তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বে সমাদৃত। একজন মানবিক চিকিৎসকের প্রতিরূপ তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’