নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ২২ জুন, ২০২১
সারাবিশ্ব করোনা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে এবং গতকাল বিশ্বে একদিনে সর্বনিম্ন সংখ্যক আক্রান্ত এবং মৃত্যুবরণ করেছে। যেদিন সর্বনিম্ন আক্রান্তের বৈশ্বিক খবর আমরা পাচ্ছি সেদিন বাংলাদেশ গত দেড় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী আক্রান্ত হচ্ছে। গত দুই দিন ধরেই বাংলাদেশে রোগীর শতকরা হার ২০ শতাংশের কাছাকাছি। ৪ হাজার ৮৪৬ জন গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, বাংলাদেশে কত মানুষ আক্রান্ত হল একটি মূল বিচার্য বিষয় নয়, মূল বিচার্য বিষয় হলো যে আক্রান্তের শতকরা হার কত। কারণ বাংলাদেশের সীমিত পরীক্ষায় কতজন আক্রান্ত হলো এ দিয়ে করোনা সংক্রমণের ব্যাপ্তি এবং পরিধি বোঝা সম্ভব নয়। আর এ কারণে আক্রান্তের হার যখন ৫ শতাংশের নিচে নামবে তখন বোঝা যাবে যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এসেছে। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইনেও বলা হয়েছে। আর সে বিবেচনায় বাংলাদেশের এখন করোনার সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক বলা যায়। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে কোথাও ৩৭ কোথাও ৪০ এমনকি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে বাংলাদেশের জন্য করোনা আরও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
এদিকে নতুন করে ৭টি জেলায় লকডাউন সহ মোট ২১টি জেলায় এখন লকডাউন চলছে। কিন্তু এই লকডাউনের পরও করোনার সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, সামাজিক সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর লকডাউন তেমন কোনো কাজে দেয় না। এখন শুধু লকডাউন দিলেই হবে না, যারা আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে তাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে এবং তাদেরকে দ্রুত আইসোলেশনে নিতে হবে। তাছাড়া করোনার লাগাম টেনে ধরা সম্ভব না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, করোনা প্রতিরোধ করতে গেলে করোনার পিছনে ছুটলে হবেনা করোনার আগে যেতে হবে। করোনা মোকাবেলার সবচেয়ে বড় উপায় হল যে আক্রান্ত সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরকে শনাক্ত করা এবং তাদেরকে দ্রুত আইসোলেশনে নেওয়া। যারা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসেনি তারা যেন আক্রান্তদের সংস্পর্শে না আসে, সে ব্যাপারে সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, প্রতিরোধই হলো করোনা মোকাবেলায় সবচেয়ে ভালো উপায়। কিন্তু সেই প্রতিরোধ প্রক্রিয়ায় আমাদের ব্যাহত হচ্ছে। শুধু তাই নয় আমাদের যে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতাও একেবারেই নেই বললেই চলে। আমরা স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই চলছি, যার ফলে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে চলেছে। এ অবস্থায় দ্রুত সরকারকে করণীয় নির্ধারণ করতে হবে এবং একটি সুবিন্যস্ত পরিকল্পনা নিতে হবে। গত ঈদে দেখা গেছে যে, মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে লকডাউন ভেঙে তাদের নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে গেছেন ঈদ করতে। সামনে ঈদে আসছে। ঈদের সময় যদি এখনই একটি পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা গ্রহণ না করা হয়, শুধু লকডাউন দিয়ে বসে থাকা হয় তাহলে করোনা মোকাবেলা করা অসম্ভব হবে। কারণ মানুষ ঈদে ঢাকা ছাড়বে এবং গ্রামের বাড়িতে যাবে। আর এটিই যদি হয় তাহলে এখন যেভাবে বাড়ছে তার মাত্রা আরো বেড়ে যাবে। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। ইতোমধ্যেই ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে করোনা পরিস্থিতি প্রায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সেখানে শয্যা সংখ্যা খালি নাই। মানুষ মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে, অনেকে হাসপাতালেও যেতে পারছে না। এরকম পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য এখনই একটি বিজ্ঞান ভিত্তিক সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ডা. সামন্ত লাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ঢাকা-৪ ড. আওলাদ হোসেন জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীলতা, বাজার ব্যবস্থাপনায় অসামঞ্জস্যতা এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সূত্রে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়ার শঙ্কা থাকে। এছাড়া, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে পণ্য সরবরাহের সাপ্লাই-চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে মূলত ইরান বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট পরিবহন খরচ বাড়তে পারে। এতে পণ্য তৈরি ও সরবরাহ ব্যয় বাড়ায় রপ্তানিকারকরা কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে পারেন।’
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের আশঙ্কার বিষয়ে দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দেশ দিয়েছি যাতে প্রত্যেকে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখে এবং এ বিষয়ে নিজ নিজ করণীয় নির্ধারণ করে। সংঘাত দীর্ঘ হলে কোন কোন সেক্টরে প্রভাব পড়তে পারে তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো সংঘাত বা সংঘাতের খবর জ্বালানি তেলের বাজারকে প্রভাবিত করে। এতে পণ্যের জাহাজ ভাড়া বাড়ে। যা আমদানি ব্যয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। সার আমদানি ব্যয়ে প্রভাব পড়ে। এতে বিকল্প উৎস হিসেবে চীন, মরক্কো, তিউনেশিয়া, কানাডা, রাশিয়া ইত্যাদি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সংকট আরও ঘনীভূত ও দীর্ঘায়িত হলে তা বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ
মন্তব্য করুন
ভোটের বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, দিনাজপুরের হাকিমপুরে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কামাল হোসেন ২২ হাজার ২৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ টেলিফোন প্রতীকে ১৯ হাজার ৩৭৮ ভোট পেয়েছেন।
সারা জীবন চাকরি করছেন। চাকরি করলেও তিনি একজন ভিশনারি সরকারি চাকুরে ছিলেন। একটা লক্ষ্যে সারা জীবন নিজেকে নিবেদিত করেছেন। একটা লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তিনি জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। মানবসেবাই তাঁর ব্রত। বাংলাদেশে দগ্ধ মানুষের জন্য তিনি একজন ত্রাতা এবং দগ্ধ মানুষের চিকিৎসার জন্য তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বে সমাদৃত। একজন মানবিক চিকিৎসকের প্রতিরূপ তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’