ইনসাইড গ্রাউন্ড

রেকর্ড বইয়ে অনবদ্য অ্যান্ডারসন-ব্রড জুটি, থাকবে সবার শীর্ষে

প্রকাশ: ০৮:৫৯ এএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রড ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে সফলতম জুটি। ১৪৬ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এমন জুটি এর আগে দেখেনি ক্রিকেট বিশ্ব। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রড ইংল্যান্ডকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। যেখানে যেতে অন্য টেস্ট খেলুড়ে দেশকে পাড়ি দিতে হবে দীর্ঘ পথ। সেখানে ১৩৩ ম্যাচেই এমন কীর্তি গড়লেন অ্যান্ডারসন-ব্রড জুটি। বর্তমানে টেস্ট সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ড দল অবস্থান করছে নিউজল্যান্ডে। ইতিমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই দলের মধ্যকার প্রথম টেস্ট ম্যাচও। মাউন্ট মঙ্গানুই অনুষ্ঠিত দুই দলের মধ্যেকার প্রথম টেস্ট ম্যাচে অ্যান্ডারসন-ব্রড ভেঙ্গে ফেললেন টেস্ট ইতিহাসের পুরানো এক রেকর্ড। পুরানো রেকর্ড ভেঙ্গে রচনা করেছেন নতুন রেকর্ড। অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি গ্লেন ম্যাকগ্রা এবং শেন ওয়ার্ন জুটিকে পেছনে ফেলে এখন সাদা পোশাকে সর্বোচ্ছ উইকেট শিকারির মালিক অ্যান্ডারসন-ব্রড জুটি।

ইতিহাসের দ্বিতীয় বোলিং জুটি হিসেবেও এক হাজার টেস্ট উইকেট’র এলিট ক্লাবে ঢুকে গেলেন ইংলিশ এই দুই কিংবদন্তি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে নীল ওয়াগনারকে আউট করেন ব্রড। আর, এর মাধ্যমে গ্লেন ম্যাকগ্রা-শেন ওয়ার্নের পর ইতিহাসের দ্বিতীয় বোলিং জুটি হিসেবে এক হাজার টেস্ট উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন অ্যান্ডারসন-ব্রড। গ্লেন ম্যাকগ্রা-শেন ওয়ার্ন জুটি ১০৪ ম্যাচ খেলে ১০০১ উইকেট শিকার করেছিলেন অজিদের জার্সি গায়ে। আর ইংলিশদের জার্সিতে অ্যান্ডারসন-ব্রড জুটি ১৩৩ ম্যাচে ১০০২ উইকেট শিকার করে উঠে গেলেন সবার শীর্ষে। এখন সবাইকে ছাড়িয়ে যৌথভাবে তাঁদের উইকেট ১০০৯টি। এ রেকর্ড ভাঙ্গতে শেন ওয়ার্ন-ম্যাকগ্রা থেকে অ্যান্ডারসন-ব্রডদের ২৯ ম্যাচ বেশি লাগলেও ইংলিশ জুটিটি অনন্য এক জায়গায়। কারণ পেস জুটি হিসেবে এক হাজার টেস্ট উইকেটের মাইলস্টোনে যে তারাই প্রথম জুটি।

২০০৩ সালে ঘরের মাঠ লর্ডসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে অভিষেক হয় জেমস অ্যান্ডারসনের। তখন অ্যান্ডারসন ছিলেন ২১ বছর বয়সী এক তরুণ। কে জানতো সে তরুণ ছেলেটি হয়ে উঠবেন ইংল্যান্ড টেস্ট ক্রিকেটের প্রধান বোলিং অস্ত্র। অথবা কে ভেবেছিলো ইংল্যান্ডের হয়ে খেলবেন দীর্ঘ ২০ বছর। তবে সবার ভাবনা কিংবা কল্পনা যাই হোক ইংল্যান্ড দলে সাদা পোশাকে এখনো বল হাতে মাঠে নামেন ৪০ বছর বয়সী অ্যান্ডারসন। ধীরে ধীরে ইংলিশদের ভরসার প্রতীক হয়ে উঠা অভিজ্ঞ এই ডানহাতি বোলার এখন ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে। গতির সাথে বলে সুইং দিয়ে ব্যাটসমানকে বোকা বানানোর এক অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে অ্যান্ডারসনের। ইউরোপ কিংবা এশিয়ার মাটিতে স্লোয়ার অথবা বাউন্সি সবই প্রয়োগ করতে জানেন ইংল্যান্ডের হয়ে ১৭৮ টেস্ট ম্যাচ খেলা এই ক্রিকেটার। ক্যারিয়ারে সব মিলিয়ে ৬৮২ টি উইকেট শিকার করেছেন অ্যান্ডারসন। এর মধ্যে এক ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেছেন ৩২ বার এবং দশ উইকেট নিয়েছেন ৩ বার। ইংল্যান্ডের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ অ্যাশেজ টেস্ট সিরিজটি খেলা হয় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি দেশ অস্ট্রেলিয়া। আর তাদের বিরুদ্ধেই বেশ সফল অ্যান্ডারসন। অজিদের বিপক্ষে মোট ৩৫ টি ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ১১২ উইকেট। আবার এশিয়ার দেশ ইন্ডিয়ার বিপক্ষে যেনো আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে অ্যান্ডারসনের বোলিং। এশিয়ার এ দেশটির বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৩৯ টেস্ট উইকেট শিকারের রেকর্ড রয়েছে ডানহাতি এ পেসারের। তবে বিদেশের মাটিতে ইংলিশ এ তারকার স্মৃতি তেমন সুখকর নয় কারণ ১৭৮ টেস্ট ক্যারিয়ারে ৬৮২ উইকেটের ৪২৯ টি নিয়েছেন নিজেদের মাটিতেই। ইংলিশ এ তারকা ৬৫০ পঞ্চাশের উপরে উইকেট নেওয়া খেলোয়াড়দের তালিকায় তৃতীয় হলেও ফাস্ট বোলার হিসেবে প্রথম।

জেমস অ্যান্ডারসনের ৫ বছর পরে ইংল্যান্ডের হয়ে সাদা পোশাকে অভিষেক ঘটে আরেক কিংবদন্তি বোলার স্টুয়ার্ট ব্রডের। শারীরিক গঠনে হাল্কা পাতলা হলেও শারীরিক উচ্চতায় অ্যান্ডারসনের চেয়ে দীর্ঘ ব্রড। ২২ বছর বয়সে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে স্টুয়ার্ট ব্রডের। এরই মধ্যে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন ১৬০টি টেস্ট ম্যাচ। ৩৬ বছর বয়স হলেও মাঠের পারফরম্যান্সে রয়েছে তারুণ্য। তাইতো ইংল্যান্ডের হয়ে খেলে যাবেন হয়ত আরও কয়েক বছর। রেকর্ডে ছাড়িয়ে যাবেন অনেক কিংবদন্তিদের। তবে এখন পর্যন্ত যা রেকর্ড করেছেন তাতেও ইংলিশদের কিংবদন্তি হয়ে থাকবেন ব্রড। টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা খেলোয়াড়দের তালিকার নয় নম্বরে থাকা ব্রড নিজের ঝুলিতে নিয়েছেন ৫৭১ উইকেট। ১৫ রান দিয়ে ৮ উইকেট শিকার ব্রডের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার। ৩৬ বছর বয়সী এই পেসার টেস্ট ক্যারিয়ারে ৫ উইকেট ১৯ বার ও দশ উইকেট নিয়েছেন ৩ বার। ১০০৯ উইকেট শিকার করা সতীর্থের সঙ্গে ক্যারিয়ারের অনেকটা মিল রয়েছে ব্রডের। অ্যান্ডারসনের মতোই দেশের মাটিতে বেশ সফল ব্রডও। কারণ ৫৭২ উইকেটের ৩৭০ টি উইকেটেই শিকার করেছেন ঘরে মাটিতেই। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে ব্রডের প্রিয় প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। অজিদের বিপক্ষেই বেশ সফল ব্রড। স্মিথ-ওয়ার্নারের দেশের বিপক্ষ সেরা বোলিং ফিগার সহ ব্রডের সংগ্রহে আছে ১৩১ উইকেট। ডানহাতি এই বোলারের রয়েছে আরও একটি কীর্তি। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ৫০০ উইকেট শিকার করেছেন ক্যারিয়ারের ১৪০ তম টেস্ট ম্যাচে। কম ম্যাচ খেলে ৫০০ উইকেট শিকার করেছে এমন তালিকার ৭ম স্থানে আছেন ইংলিশ এই ক্রিকেটার।

২০০৮ সালে ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবার একসঙ্গে খেলেন দুজনে। তিন ম্যাচের সে টেস্ট সিরিজ ইংল্যান্ড জিতেছিলো ২-১। এরপর ১৫ বছর আর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জেতা হয়নি ইংলিশদের। ঠিক ১৫ বছর পরে সে নিউজল্যান্ডের মাটিতে দেশকে টেস্ট জিতিয়ে দুইজনে করলেন অবিস্মরনীয় রেকর্ডও। কিংবদন্তি এই জুটির এখন উইকেট সংখ্যা ১০০৯টি। যার মধ্যে ৫২৫ উইকেট শিকার জেমস অ্যান্ডারসনের আর ব্রডের শিকার ৪৮০ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে সফলতম জুটির তালিকায় তিনে আছে শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরন ও চামিন্ডা ভাস। একসঙ্গে শ্রীলঙ্কান এই জুটির টেস্টে উইকেট সংখ্যা ৮৯৫টি। এরপর ৭৬২ উইকেট নিয়ে চারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস জুটি কোর্টনি ওয়ালশ ও কার্টলি অ্যামব্রোস। শীর্ষ পাঁচে থাকা অস্ট্রেলিয়ান  জুটি মিচেল স্টার্ক ও নাথান লায়ন। এ দুজন একসঙ্গে নিয়েছেন ৫৮০টি উইকেট।

মিচেল স্টার্ক ও নাথান লায়ন টেস্ট ক্রিকেটে এখনো খেলা চালিয়ে গেলেও অ্যান্ডারসন-ব্রড জুটির ১০০৯ উইকেটের রেকর্ড ভাঙ্গার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তাই বলা যায় ইংলিশ এই জুটির রেকর্ড টেস্ট ক্রিকেটে এক অনবদ্য কীর্তি। টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে এটিই হয়ত শীর্ষস্থান দখল করে রাখবে রেকর্ড বইয়ের পাতায়।


টেস্ট ক্রিকেট   জেমস অ্যান্ডারসন   স্টুয়ার্ট ব্রড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘ইউরোপিয়ান ক্লাসিকো’তে আজ বায়ার্নের মুখোমুখি রিয়াল

প্রকাশ: ০৩:৫৪ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মৌসুমটা যেন রিয়ালের জন্য যেন আরও এক স্বপ্নের মৌসুম। কারণ ইতোমধ্যেই লা লিগা শিরোপা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে তারা। সেই সাথে এবার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালেও পা রেখেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।

আর সেই ধারাবাহিকতায় এবার শিরোপা নিশ্চিত করতে চায় রিয়াল মাদ্রিদ। এ লড়াইয়ে সেমিফাইনালে লস ব্লাঙ্কোসদের সামনে কঠিন প্রতিপক্ষ। যেখানে অপেক্ষায় বায়ার্ন মিউনিখ।

মঙ্গলবার সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ। এরই মধ্যে জার্মানিতে পৌঁছেছে কার্লো আনচেলত্তির দল। এই দুই দল প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি একে অপরের মোকাবেলা করেছে।

অনেকটা অলিখিতভাবেই এই দুই জায়ান্টের দ্বৈরথ ‘ইউরোপিয়ান ক্লাসিকো’র তকমা পেয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ২৬বারের মোকাবেলায় মাদ্রিদের ১২ জয়ের বিপরীতে বায়ার্নের জয় ১১টিতে। যে কারণে একটু হলেও মাদ্রিদকে এগিয়ে রাখা যায়।

গত এক দশকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জার্মান জায়ান্টদের উপর অনেকটাই ছড়ি ঘুরিয়েছে মাদ্রিদ। রেকর্ড ১৪বারের বিজয়ী মাদ্রিদ সাম্প্রতিক তিনটি আসরে বায়ার্নকে বিদায় করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সেমিফাইনাল ও ২০১৭ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল।

এই তিনটি আসরেই রিয়াল মাদ্রিদ শিরোপা নিয়ে ঘরে ফিরেছে। ২০১৭ সালে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে অতিরিক্ত সময়ের বায়ার্ন বিদায় নিয়েছিল। ম্যাচটিতে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো হ্যাটট্রিক করেছিলেন।

ঐ সময় বায়ার্নের কোচ ছিলেন আনচেলত্তি। কয়েক মাস পর এই ইতালিয়ান কোচকে বরখাস্ত করে বায়ার্ন। এই সুযোগটি লুফে নেয় মাদ্রিদ। আনচেলত্তিকে পেয়ে আরো বেশি উজ্জীবিত মাদ্রিদ এরপর আরো দুটি শিরোপা জয় করেছে।

এবার বুন্দেসলিগায় বায়ার লেভাকুসেনের কাছে ১১ বছরের আধিপত্য হারিয়েছে বায়ার্ন। আর এ কারণে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাটি তাদের কাছে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

মাদ্রিদের বিপক্ষে ২০১৭ সালের কোয়ার্টার ফাইনালে ঐ ম্যাচে বাজে রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আনচেলত্তি। মিডফিল্ডার আরতুরো ভিদালের লাল কার্ড ও রোনালদোর একটি অফসাইডের গোল নিয়ে আনচেলত্তি বেশ আপত্তি করেছিলেন।

এদিকে মৌসুমের দু:সহ স্মৃতি কাটিয়ে উঠতে বায়ার্নের সামনে এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়ের বিকল্প নেই। কোচ থমাস টুখেলের দলের জন্য সবচেয়ে বড় শক্তি ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেইনের ফর্ম। সবমিলিয়ে দারুণ এক লড়াইয়ের অপেক্ষায় দুই দল।


রিয়াল মাদ্রিদ   বায়ার্ন মিউনিখ   চ্যাম্পিয়ন্স লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

তিন হ্যাটট্রিকে এক ম্যাচেই সাবিনাদের ১৯ গোল

প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের মেয়েদের ইতোমধ্যেই ৮-১০ গোলের বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড রয়েছে। বয়সভিত্তিক বা জাতীয় দল সবখানেই মেয়েরা দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। তবে এবার এক নতুন কীর্তি গড়ল সাবিনা-মারিয়ারা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) নারীদের ফুটবল লিগে কমলাপুরে দু’দলের শক্তির পার্থক্য ছিল যোজন যোজন। নাসরিন স্পোর্টস একাডেমি দল গড়েছে জাতীয় নারী দলের তারকাদের নিয়ে। অন্যদিকে জামালপুর কাচারিপাড়া একাদশে নেই কোন বড় নাম।

এদিন ম্যাচ শুরু হতেই সাবিনা-শামসুন্নাহাররা গোল করতে শুরু করেন। সানজিদা-মাসুরারা যোগ দেন গোল উৎসবে। শেষ বাঁশির আগে ব্যবধান নিয়ে যান ১৯-০।

নাসরিন স্পোর্টস একাডেমির হয়ে মারিয়া মান্দা, সাবিনা ও শামসুন্নাহার হ্যাটট্রিক তো করেনই। পরে আরও একটি করে গোল আসে এই তিন তারকার পা থেকে। মাসুরা পারভীন, সানজিদা আক্তার ও সুমাইয়া দুটি করে গোল করেন। অন্য গোলটি করেন মাজিয়া।


হ্যাটট্রিক   সাবিনা   বাংলাদেশ নারী ফুটবল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের নিলামে বাংলাদেশের ৪ জন

প্রকাশ: ০২:৫৯ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইতোমধ্যেই শ্রীলংকার ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক আসর লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের (এলপিএল) পঞ্চম মৌসুমে খেলতে নাম নিবন্ধন করিয়েছেন ৫০০-এর বেশি ক্রিকেটার। পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দল নিয়ে আগামী ১ জুলাই এলপিএলের পঞ্চম মৌসুম শুরু হবে। আইসিসির পূর্ণাঙ্গ ও সহযোগী ২৪ দেশের খেলোয়াড়েরা এখানে নিবন্ধন করেছেন। তাদের মধ্যে আছেন চার বাংলাদেশিও।

এক বিবৃতিতে নিবন্ধিত তারকা খেলোয়াড়দের তালিকা প্রকাশ করেছে শ্রীলংকা ক্রিকেট (এসএলসি)। বাংলাদেশ থেকে সেই তালিকায় রয়েছেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, তাসকিন আহমেদ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তারকা এই চার ক্রিকেটার ছাড়া বাংলাদেশিদের মধ্যে আর কেউ নিবন্ধন করেছেন কিনা সেটি জানায়নি এসএলসি।

বাংলাদেশি তারকা ছাড়াও আছেন টিম সাউদি, রাসি ভ্যান ডার ডুসেন, জিমি নিশাম, লুঙ্গি এনগিদি, নাসিম শাহ, রহমানউল্লাহ গুরবাজ, রেজা হেনড্রিকস, রাইলি রুশো, শাই হোপ, কলিন মুনরো, ইশ সোধি, আন্দ্রে ফ্লেচার, উসমান খাজা, নুর আহমেদ, রিস টপলি, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ নাওয়াজ, তাবরাইজ শামসি, এভিন লুইস, মুজিব উর রহমান, গুলবাদিন নাইব ও ইব্রাহীম জাদরানের মতো ক্রিকেটাররা।

শ্রীলংকার এই ঘরোয়া টি-২০ ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে গত বছর বাংলাদেশ থেকে খেলেছেন সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, লিটন দাস ও শরীফুল ইসলাম। এবারের আসরের ক্রিকেটারদের নিলামের দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।


লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ   এলপিএল   তামিম ইকবাল   মুশফিকুর রহিম   তাসকিন আহমেদ   নাজমুল হোসেন শান্ত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আবেগি কণ্ঠে চেলসির মায়ার বন্ধনের ইতি টানছেন সিলভা

প্রকাশ: ০২:৪২ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিল ফুটবলের ডিফেন্স লাইনে এক সময়ের আস্থার প্রতীক ছিলেন থিয়াগো সিলভা। জাতীয় দলের পাশাপাশি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব চেলসিতেও রাজত্ব করেছেন তিনি। সিলভার বর্তমান বয়স ৩৯ হলেও মাঠের পারফরম্যান্সে এখনও চেনা ছন্দেই আছেন থিয়াগো সিলভা। সময়ের হিসেবে চেলসিতে অনেকদিন না খেললেও ক্লাবটির প্রতি অন্যরকম মায়ার বন্ধন হয়ে গেছে তার।

তবে সেই মায়ার বন্ধনের ইতি ঘটতে যাচ্ছে চলতি মৌসুম শেষেই, কারণ ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের এরপরই ছাড়বেন ইংলিশ ক্লাবটির আঙিনা। বিদায়ের সংবাদ দিতে গিয়ে তাই আবেগ আর ধরে রাখতে পারেননি এই অভিজ্ঞ ফুটবলার।

সংবাদটা আগে এসেছে চেলসি থেকেই। সামাজিক যোগাযোগ ম্যাধ্যমে সিলভার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা হাতে এক ছবি দিয়ে ‘ধন্যবাদ যথেষ্ট নয়’ এই ক্যাপশনে পোস্ট দেয় চেলসি। তাতে নিশ্চিত হয়ে যায় মৌসুমে শেষে সিলভার বিদায়ের খবর।

২০২০ সালে পিএসজি থেকে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে চেলসিতে যোগ দেন সিলভা। বয়স তখন ৩৫। পড়ন্ত বেলায় যোগ দেন বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লিগে। অনেকেই ভেবেছিলেন, বেঞ্চই হবে তার ঠিকানা। অবশ্য তেমনটা তিনি হতে দেননি। দারুণ পারফরম্যান্সে জায়গা পাকা করেন চেলসির মূল একাদশে। জেতেন তিন শিরোপা। যেখানে আছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগও।

সব মিলিয়ে গেল চার মৌসুমে চেলসির হয়ে খেলেছেন ১৫০ ম্যাচ। জিতেছেন সমর্থকদের মন, পেয়েছেন ভালোবাসা। বিদায় জানানোর সময় তাই হয়েছেন বেশ আবেগি। “চেলসি আমি ও আমার পরিবারের কাছে বিশেষ কিছু। এখানে যোগ দিয়েছিলাম এক বছরের কথা চিন্তা করে, তবে তা শেষ পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে চার বছরে। আমার ছেলে চেলসির হয় খেলে, যেটা আমার জন্য গর্বের ব্যাপার। আশা করছি তারা এই ক্লাবের হয়ে ক্যারিয়ার গড়তে পারবে, যেখানে খেলা অনেকের স্বপ্ন।”

এখন বিদায় বললেও ভবিষ্যৎ আবারও চেলসিতে ফিরে আসার কথাও শুনিয়েছেন সিলভা। “গেল চার বছরে আমি সবসময় চেষ্টা করেছি নিজের সেরাটা দেওয়ার। কিন্তু সব কিছুরই শুরু আছে, মাঝামাঝি আছে, আবার শেষও আছে। তবে এখনের বিদায় মানে একেবারে শেষ না। আমি দরজাটা খোলাই রাখছি, নিকট ভবিষ্যৎ ভিন্ন কোনো ভূমিকায় আবারও ফিরবো। কিন্তু যে ভালোবাসা এখানে আমি পেয়েছি সে জন্য সবাইকে শুধু ধন্যবাদই বলতি পারি আমি।”

লম্বা সময় পিএসজিতে কাটালেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাটা ছুঁয়ে দেখা হয়নি সিলভার। চেলসিতে এসে সেই স্বপ্ন পূরণ তাই বাড়তি আনন্দ জুগিয়েছে তাকে। “সত্যি বলতে এটা আমার বড় স্বপ্ন ছিল। এমন একটা বড় ক্লাবের হয়ে ক্লাব পর্যায়ের সবচেয়ে বড় শিরোপাটা জেতা অবিশ্বাস্যই বলা যায়।”

এরপর চেলসিকে বিদায় জানানোটা কতটা কঠিন কাজ সেটাই শুনিয়েছেন সিলভা। “স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে বিদায় জানানো এমনিতেই কঠিন কাজ, কিন্তু যখন পারস্পরিক ভালবাসা থাকে তখন এটি আরও কঠিন। কিন্তু একবার ব্লুস, মানে সে চিরকালের জন্য ব্লুস।”


থিয়াগো সিলভা   ব্রাজিল   চেলসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বায়ার্নকে নিয়ে সতর্ক রিয়াল মাদ্রিদ

প্রকাশ: ০২:০৬ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বায়ার্ন মিউনিখের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বাদে চলতি মৌসুমটা যেন এক ভয়ংকর কালো রাতের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। লেভারকুসেনের অবিশ্বাস্য মৌসুমে বায়ার্নও এবার নেই তাদের সেরা ছন্দে। ফলে ১১ বছর পর দলটি ব্যর্থ হয়েছে বুন্দেসলিগা জিততে, পাশাপাশি হতাশ হতে হয়েছে অন্য দুই ঘরোয়া প্রতিযোগিতাতেও। যার জন্য সান্ত্বনা হিসেবে একমাত্র চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টিকে থাকা দলটি রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে সব উজাড় করে দেবে জার্মান ক্লাবটি। আর এজন্যই স্প্যানিশ ক্লাবটির কোচ কার্লো আনচেলত্তিও মানছেন, জিততে হলে সেরাটাই দিতে হবে তাদের।

এ বিষয়ে বায়ার্নের কোচ টমাস টুখেল বলেছেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে সেই ক্ষতে প্রলেপ দিতে চান তিনি। সেই লক্ষ্যে মঙ্গলবার রাতে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে মাঠে নামবে জার্মান ক্লাবটি।

ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে আনচেলত্তি বলেছেন, জমজমাট একটা ম্যাচের অপেক্ষায় আছেন তিনি। “অতীত ফলাফল? সেটা অন্য গল্প। আগামীকাল (আজ) সেমিফাইনাল। আমরা জানি আমরা এমন প্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে খেলব, যারা ভালো দল। তারা খুব শক্তিশালী। বায়ার্নের প্রতি আমাদের অনেক শ্রদ্ধা আছে। তারা আর্সেনালের বিপক্ষে দারুণ ছিল এবং আমরা সেই ম্যাচগুলো দেখেছি। বুন্দেসলিগার ম্যাচগুলো নয়, যেটা তাদের সেরা মৌসুম নয়। আপনাকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাদের ইতিহাস বিবেচনা রাখতে হবে, এটা একটি বড় ফ্যাক্টর।”

শেষ আটে প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতে এসেছে বায়ার্ন। বিপরীতে রিয়াল ৪-৪ সমতার পর টাইব্রেকারে বিদায় করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটিকে।

আনচেলত্তির মতে, চাপ সামলে নেওয়ার দক্ষতাই কঠিন পরিস্থিতিতে সাহায্য করে রিয়াল ও বায়ার্নকে। “রিয়াল মাদ্রিদ আর বায়ার্ন? দুটিই খুব শক্তিশালী দল। খুব দ্রুতগতির কিছু খেলোয়াড় আছে, আমরা দুই দলই বিভিন্ন উপায়ে, বিভিন্ন সিস্টেমে খেলতে পারি। আগামীকাল কোন চমক নেই। আমাদের ভালোভাবে ডিফেন্ড করতে হবে এবং (প্রতিপক্ষের) পাল্টা-আক্রমণ এড়াতে হবে। আমাদের অবশ্যই একটা সেরা ম্যাচ খেলতে হবে।”


বায়ার্ন মিউনিখ   বুন্দেসলিগা   ফুটবল   হ্যারি কেইন   রিয়াল মাদ্রিদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন