ইনসাইড গ্রাউন্ড

ধারাভাষ্যকার স্টিভেন স্মিথ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:৫৭ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০১৮


Thumbnail

সুসময়ে কাঁধে থাকা হাতগুলো দুঃসময়ে পালিয়ে যায়। অজিদের সদ্য সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ তা এরই মধ্যে টের পেয়েছেন নিশ্চয়ই। বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে বোর্ড থেকে দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সেই সঙ্গে কমনওয়েলথ ব্যাংক, উইক বিক্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বাতিল করেছে স্পন্সরশীপ। তাই নিষেধাজ্ঞার পর থেকে মানসিক চাপের পাশাপাশি আর্থিকভাবেও কিছুটা চাপ চলে এসেছে।

তবে স্মিথের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছে ফক্সটেল। দোষ করার পর তা স্বীকার করার বিষয়টা মনে ধরেছে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী প্যাট্রিক ডেলানি। তাই স্মিথ দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় পাচ্ছেন ফক্সটেলের সহমর্মিতা। প্রতিষ্ঠানটি প্রধান নির্বাহী বলেন,‘অস্ট্রেলিয়ায় আমরা মানুষের ভুল মেনে নেই এবং তাদের দ্বিতীয় সুযোগ দেই।‘

প্যাট্রিক অনেকদিন ধরে চেনেন স্মিথকে। তাই স্মিথের আচরণ সম্পর্কেও রয়েছে তার ইতিবাচক ধারণা। তিনি বলেন, ‘আমরা স্মিথকে অনেক দিন থেকে চিনি। সে অনেক বছর ধরে আমাদের সুনজরে। তাই আমরা তার পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।`

কিছুদিন আগেই ১ বিলিয়ন ডলারে অজি ক্রিকেট বোর্ডের টিভিস্বত্ব কিনেছে ফক্স স্পোর্টস। আপাতত স্মিথকে তারা দায়িত্ব দিয়েছে ধারাভাষ্যকারের। ক্রিকেট থেকে অবসরের পর কোন পেশায় নিয়োজিত হবেন সেটা হয়তো সময়ই বলে দিবে, আপাতত ১ বছর ধারাভাষ্যটাই করবেন স্টিভ স্মিথ।


বাংলা ইনসাইডার/ডিআর




মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এক যুগ পর ওয়াংখেড়েতে মুম্বাইকে হারাল কলকাতা

প্রকাশ: ১০:২১ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কলকাতার সাথে খেলা মানেই যেন জয়জয়কার ছিল স্বাগতিকদের। তবে এক যুগ পর সেই রাজত্বের অবসান ঘটেছে। ২০১২ সালের পর অবশেষে সেই কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা পেয়েছে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা।

শুক্রবার (৩ মে) ওয়াংখেড়েতে আগে ব্যাট করে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে কলকাতা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪৫ রানেই থেমেছে স্বাগতিকরা। কলকাতার জয় ২৪ রানে।

এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারায় কলকাতা। দলের জন্য বলতে গেলে কিছুই করতে পারেননি ফিল সল্ট (৫), সুনিল নারিন (৮), রাঘুবংশী (১৩), শ্রেয়স আইয়ার (৬) ও রিংকু সিং (৯)।

দ্রুত ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে রীতিমতো চাপের মুখে পড়ে কলকাতা। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে ৮৩ রানের জুটি করেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও মনিশ পান্ডে। ৩১ বলে ৪২ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে বদলি খেলোয়াড় ডি ব্রেভিসের হাতে ক্যাচ হন তিনি।

পান্ডে আউট হয়ে গেলেও ভেঙ্কটেম হাঁকান দারুণ একটি ফিফটি। জাসপ্রিত বুমরাহের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৫২ বলে ৭০ রান করেন তিনি। এই দুই ইনিংসের উপর ভর করে ১ বল বাকি থাকতেই ১৬৯ রানে অলআউট হয়ে যায় কলকাতা।

মুম্বাইয়ের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন নুয়ান থুসারা ও জাসপ্রিত বুমরাহ।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে মুম্বাই। ৭১ রানে ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। সপ্তম উইকেট ৪৯ রানের জুটি করেন সূর্যকুমার যাদব ও টিম ডেভিড।

ফিফটির (৩৫ বলে ৫৬) পর আন্দ্রে রাসেলের বলে সল্টের হাতে ক্যাচ হন সূর্য। আর টিম ডেভিডকে স্টার্ক থামিয়ে দেন ২৪ রানে। এতে ৭ বল আগেই ১৪৫ রানে অলআউট হয়ে যায় মুম্বাই। কলকাতার হয়ে ৩৩ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন মিচেল স্টার্ক।


কলকাতা   আইপিএল   মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স   ওয়াংখেড়ে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জিম্বাবুয়েকে হেসেখেলে হারানোর ম্যাচে মেরুন জাকেট পেলেন জাকের

প্রকাশ: ০১:১৪ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে খেলতে নেমে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-২০তে জিম্বাবুয়েকে হেসেখেলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচটিতে বোলিং তোপে আগেই প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়েকে মাত্র ১২৪ রানেই গুটিয়ে দিয়েছিলেন তাসকিন-সাইফউদ্দিন-মেহেদীরা। আর পরবর্তীতে বোলারদের গড়ে দেয়া ভিতে দাঁড়িয়ে ৮ উইকেটের সহজ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।

শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়েকের হারানোর ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তানজিদ হাসান তামিম, তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও তাওহীদ হৃদয়রা। তবে তাদেরকে পাশ কাটিয়ে মেরুন জ্যাকেট উঠেছে জাকের আলী অনিকের গায়ে।

ম্যাচ শেষে জাকেরের গায়ে পরিয়ে দেওয়া হয় মেরুন জ্যাকেট। সেটি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘আজকের অর্জন মেরুন জ্যাকেট। এটা দলের অঙ্গীকারের জন্য।’ সঙ্গে একটা ভালোবাসার ইমোটিকনও জুড়ে দিয়েছেন এই ক্রিকেটার।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাট হাতে নামার সুযোগ না পেলেও উইকেটের পেছনে থেকে পালন করেছেন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। একটি রান আউটও করেছেন তিনি। ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে শুভসূচনা করেছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সেদিনই যাত্রা শুরু হয়েছিল মেরুন জ্যাকেটের।

তবে ম্যাচসেরা হলে বা সর্বোচ্চ রান করলেই যে শুধু এই মেরুন জ্যাকেট দেয়া হয়, ব্যাপারটা এমন নয়। ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া কোনো ছোট্ট পারফরম্যান্সের জন্যও ক্রিকেটাররা পাবেন এই জ্যাকেট।


জাকের আলী অনিক   বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বড় চমক রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা

প্রকাশ: ১০:২৭ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

জুনেই শুরু হচ্ছে ২০ দল নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্রে। ইতোমধ্যে অংশগ্রহণকারী দলগুলো তাদের স্কোয়াড ঘোষণাও শুরু করেছে। তবে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলংকার মতো দলগুলো এখনো তাদের স্কোয়াড ঘোষণা করেনি। এবার চমক রেখে বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

শুক্রবার (৩ মে) দল ঘোষণা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। ঘোষিত দলে সবচেয়ে বড় চমক অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্টে ইতিহাসগড়া জয় এনে দেয়া শামার জোসেফের অন্তর্ভূক্তি। সেই সঙ্গে দলের তারকা অলরাউন্ডার কাইল মায়ার্সের জায়গা না হওয়া। 

জোসেফ ক্যারিয়ারে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মাত্র ৩টি। যার সর্বশেষটি আইপিএলে লক্ষ্ণৌর হয়ে কলকাতার বিপক্ষে। সেদিন ৪ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থেকেছেন। এর আগে গত বছর সিপিএলে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছেন। ওই দুই ম্যাচেই ৪ ওভার করে বোলিং করেছেন, রান দিয়েছেন ৩৯ ও ৩৩। কিন্তু কোনো উইকেটের দেখা পাননি। 

দলটির নেতৃত্বের ভার তুলে দেয়া হয়েছে রভম্যান পাওয়েলের কাঁধে। সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে আলজারি জোসেফকে। ১৫ জনের দলে ডাক পেয়েছেন আন্দ্রে রাসেল, নিকোলাস পুরান, জনসন চার্লস, শিমরন হেটমায়ার, শাই হোপ, আকিল হোসেন ও জেসন হোল্ডারের মতো তারকারা।

আগামী ২ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পর্দা উঠবে নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরের। ক্যারিবিয়রা তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ঘরের মাঠ গায়ানায় পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে। মেগা আসরটিতে ‘সি’ গ্রুপে তাদের বাকি প্রতিপক্ষ– নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান ও উগান্ডা।

উইন্ডিজের বিশ্বকাপ দল

রভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), আলজারি জোসেফ (সহ-অধিনায়ক), জনসন চার্লস, রোস্টন চেজ, শিমরন হেটমায়ার, জেসন হোল্ডার, শাই হোপ, আকিল হোসেন, শামার জোসেফ, ব্র্যান্ডন কিং, গুদাকেশ মতি, নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, শেরফেন রাদারফোর্ড ও রোমারিও শেফার্ড।


ওয়েস্ট ইন্ডিজ   বিশ্বকাপ   টি-টোয়েন্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আইসিসির স্কোয়াডে বাংলাদেশি!

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের জুনে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যার জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও। 

অংশগ্রহণকারী দলগুলো তাদের স্কোয়াড ঘোষণাও শুরু করেছে। তবে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার মতো দলগুলো এখনো তাদের স্কোয়াড ঘোষণা করেনি। এবার বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। যেখানের সদস্য সংখ্যা ২৬ জন।

নিশ্চয়ই অবাক হয়েছেন? অবাক হওয়ারই কথা, কেননা এবারের আসরে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে ১৫ জনের দল দেয়ার কথা বলা হয়েছে। সেখানে ২৬ সদস্যের দল! আসলে এটি হলো বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো যারা পরিচালনা করবেন তাদের দল।

এবারের আসরে আম্পায়ারের দায়িত্ব সামলাবেন ২০ জন। ম্যাচ রেফারি হিসেবে দেখা যাবে ছয়জনকে। সর্বমোট তাদের সংখ্যা ২৬ জন। যেখানে বাংলাদেশ থেকে জায়গা পেয়েছেন একজন। তিনি শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। শুক্রবার (৩ মে) এক বিবৃতিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আম্পায়ার প্যানেল ঘোষণা করে আইসিসি। 

৫৫ ম্যাচের টুর্নামেন্টে সৈকতের সঙ্গে ম্যাচ পরিচালনা করবেন গত বছরের আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার জেতা রিচার্ড ইলিংওর্থ, কুমার ধর্মসেনা ক্রিস গ্যাফানি, পল রাইফেল, জোয়েল উইলসনের মতো আম্পায়াররা। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল তো গ্যাফানি এবং রাইফেল পরিচালনাও করেছিলেন। 

ওয়ানডে বিশ্বকাপে দারুণ আম্পায়ারিংয়ের পুরস্কার এ বছরের মার্চে পেয়েছেন সৈকত। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আম্পায়ারদের এলিট প্যানেলে জায়গা করে নেন তিনি। এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে নিরপেক্ষ আম্পায়ার হিসেবে ম্যাচ পরিচালনাও করেছেন তিনি। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আম্পায়ার এবং ম্যাচ রেফারির তালিকা-

আম্পায়ার

ক্রিস ব্রাউন, ক্রিস গ্যাফানি, কুমার ধর্মসেনা, মাইকেল গফ, অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক, রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ, আল্লাহুদিন পালেকার রিচার্ড কেটলবরো, জয়রাম মদনগোপাল, নিতিন মেনন, স্যাম নোগাস্কি, আহসান রাজা, রশিদ রিয়াজ, পল রাইফেল, ল্যাংটন রুসিয়ার, শহীদ সৈকত, রডনি টাকার, অ্যালেক্স ওয়ার্ফ, জোয়েল উইলসন ও আসিফ ইয়াকুব। 

ম্যাচ রেফারি

ডেভিড বুন, জেফ ক্রো, রঞ্জন মাদুগালে, অ্যান্ড্রু পাইক্রফট, রিচি রিচার্ডসন ও জাভাগাল শ্রীনাথ।


টি-টোয়েন্টি   বিশ্বকাপ   আইসিসি   স্কোয়াড   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সহজ জয় বাংলাদেশের

প্রকাশ: ১০:৪৮ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে খেলতে নেমে বোলিং তোপে আগেই প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়েকে মাত্র ১২৪ রানেই গুটিয়ে দিয়েছিলেন তাসকিন-সাইফউদ্দিন-মেহেদীরা। আর পরবর্তীতে বোলারদের গড়ে দেয়া ভিতে দাঁড়িয়ে সহজ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। যদিও এই অল্প রানের লক্ষ্য তাড়ায় দাপট দেখিয়েছেন অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিম ও তাওহিদ হৃদয়। তাদের দৃঢ়তায় ১২৫ রানের লক্ষ্য ২৮ বল হাতে রেখে মাত্র দুই উইকেট হারিয়েই পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

এই ম্যাচেই অভিষেক হয়েছে ওপেনার তানজিদ তামিমের। লিটনের সাথে ইনিংসের শুরুর সুযোগ পান তিনি। তবে এই ম্যাচেও ব্যর্থ হয়ে ফেরেন লিটন দাস। দলীয় ৫ রানের সময় ব্যক্তিগত একরানে সাজঘরে ফেরেন এই ডানহাতি। তবে নিজের অভিষেক ম্যাচে টিম ম্যানেজমেন্টের ভরসার প্রতিদান দেন তামিম। অর্ধশতক তুলে নিয়ে স্মরণীয় করে রাখলেন নিজের অভিষেকটাও।

যদিও তামিমের অর্ধশতক এসেছে কিছুটা ধীরগতির ব্যাটিংয়ে। ৫০ পৌঁছাতে তিনি মোকাবিলা করেছেন ৩৬ বল। অর্ধশতক করার পথে দুই ছক্কা ও ছয়টি চার মেরেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ৬৭ রান করে দলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন তামিম। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৮টি চার ও ‍দুইটি ছক্কার মার। অপরদিকে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন তাওহিদ হৃদয়। তিনি ১৮ বলে পাঁচ চার ও এক ছয়ে এই রান করেন।

লিটন দাসের মতো এই ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। ২৪ বলে মাত্র ২১ রান করে জঙ্গির বলে শন উইলিয়ামসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন শান্ত। শুরুতে স্লো স্ট্রাইকিংয়ে ব্যাটিং করায় দুইবার বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকার কারণে ডিএল মেথডে হারের শঙ্কা জেগেছিল বাংলাদেশের। তবে দ্বিতীয়বার বৃষ্টি থামার পর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয় তুলে নেয় টাইগাররা।

এর আগে, চট্টগ্রামে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের প্রথম বলেই শরিফুল ইসলামের বলে চার মেরে দারুণ শুরুর আভাস দিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের তরুণ ব্যাটার জয়লর্ড গাম্বি। ওই ওভারের শেষ বলে আবারও চার মেরেছিলেন তিনি। তবে প্রথম ওভারে ৮ রান তোলা জিম্বাবুয়ের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হানেন টাইগার স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী। তার দ্বিতীয় বলেই বোল্ড হয়ে শূন্য রানে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের ওপেনার ক্রেইগ আরভিন। তৃতীয় ওভারে শরিফুলের প্রথম তিন বলেই চার মেরে আগ্রাসী রূপ দেখানোর আভাস দিয়েছিলেন তিন নম্বরে নামা ব্রায়ান বেনেট। ওপেনার গাম্বির সাথে জুটি বেধে তোলেন ২৮ রানও।

তবে এই জুটিকে স্থায়ী হতে দেননি দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন। তার লুজ বলে শর্ট ফাইনে তাসকিনের হাতে গাম্বি ক্যাচ দিলে ভাঙ এই জুটি। এরপরই শুরু জিম্বাবুয়ে ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মিছিল। ২ উইকেটে ৩৬ রান তোলা জিম্বাবুয়ের স্কোরকার্ড কিছুক্ষণের মধ্যে দাঁড়ায় ৪১/৭।

মূলত ষষ্ট ওভারে মেরুদণ্ড ভেঙে যায় জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনের। ৫ দশমিক ১ ওভারে শেখ মেহেদীর বলে রানআউট হয়ে ফেরেন বেনেট। পরের বলেই উইকেরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। পাওয়ার প্লেতে সফরকারীরা ৪ উইকেটে সংগ্রহ করে ৩৮ রান।

পরের ওভারে বোলিংয়ে আসেন স্পিডস্টার তাসকিন আহমেদ। সপ্তম ওভারের প্রথম দুই বলেই শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন। দুইজনই গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফিরে যান। পরের ওভারে সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার লুক জঙ্গি। তার এই উইকেটে জিম্বাবুয়ের স্কোর দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪ ওভারে ৪১/৭।

এরপর ক্লাইভ মাদান্দে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ব্যাটে বিপর্যয় কিছুটা সামাল দেয় জিম্বাবুয়ে। ৬৫ বলে ৭৫ রান ওঠে এই জুটিতে। দলীয় ১১৬ রানের সময় এই জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাদান্দে। তার ব্যাট থেকে আসে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৩ রান। জিম্বাবুয়ের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ব্যাট থেকে। ৩৮ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলার পথে দুইটি ছক্কা ও দুইটি চার মারেন মাসাকাদজা।

এই ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ চার ওভারে ১৪ রান খরচায় শিকার করেন তিন উইকেট। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিন চার ওভারে ১৫ রানের বিনিময়ে নেন তিনটি উইকেট। শেখ মেহেদী পান দুই উইকেট। তবে ম্যাচে বেশ খরুচে ছিলেন পেসার শরিফুল ইসলাম ও লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। দু’জনেই চার ওভারে দিয়েছেন ৩৭ রান করে। তবে থেকেছেন উইকেটশূন্য।


বাংলাদেশ   জিম্বাবুয়ে   টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন