ইনসাইড এডুকেশন

উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের খুঁটিনাটি

প্রকাশ: ০৮:০৩ এএম, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের খুঁটিনাটি

আপনি একজন শিক্ষার্থী, এবং আপনি অনেক দিন ধরেই কী ভাবছেন দেশের বাইরে যাওয়ার কথা? পরিকল্পনা করছেন বাইরে যাওয়া নিয়ে কিন্তু পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছেন না তথ্যের ঘাটতির জন্য, কিংবা দোটানায় ভুগছেন কিভাবে কী করবেন সেই ভেবে? তাহলে আজকের এই লিখা আপনার জন্যই। 

শিক্ষা জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের এমন মনোভাব তৈরি হয় যে দেশের বাইরে যাবে, উচ্চশিক্ষার জন্য। স্কলারশিপে কিংবা নিজেদের ব্যবস্থাপনায়। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনার। আসুন সবার আগে জেনে নেই কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ স্কলারশিপ দিয়ে থাকে কিংবা আপনি স্কলারশিপের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। 

যে যে বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ স্কলারশিপ দিয়ে থাকে- 

উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রথম পাঁচটি পছন্দের দেশ এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, মালেয়শিয়া, অস্ট্রেলিয়া,জার্মানি এবং কানাডা সর্বপ্রথমে। 

অনেক দেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে বৃত্তি প্রদান করে থাকে। হাংগেরি, চায়না, জাপান কিংবা কমনওয়েলথ। এ ধরণের  স্কলারশিপের মতো বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় বৃত্তিগুলো বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর মাধ্যমে আবেদন করা হয় এবং স্কলারশিপের জন্য মূলত এই দেশ গুলোর জন্যই চাহিদা বেশি। স্কলারশিপ নিয়ে বাইরে পড়াশোনা করতে আগ্রহী এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাংলাদেশে দিনদিন বাড়লেও, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় তা অনেক কম। অর্থাৎ সে সব দেশে যদি স্কলারশিপ এর জন্য এপ্লাই করতে চান, তবে অবশ্যই যে বিশ্ববিদ্যালয়ে এপ্লাই করবেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রিকোয়ারমেন্ট সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। তাতে করে সুযোগ সুবিধা জেনে আবেদন করা যাবে৷ পাশাপাশি কোনো জটিল পরিস্থিতি সম্মুখীন হতে হবে না। 

বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা:

একেক  বিশ্ববিদ্যালয়ের একেক শিক্ষাগত চাহিদা রয়েছে। আপনি কোন অবস্থানে আবেদন করতে চাচ্ছেন সেটাও বিবেচনার মুখ্য বিষয় সমূহের একটি। সাধারণত প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে কোন স্কলারশিপের জন্য নূন্যতম কতটুকু যোগ্যতা প্রয়োজন সে সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়ে থাকে। সেটুকু ঘাটাঘাটি করেও নিজের কাঙ্ক্ষিত স্কলারশিপ সম্পর্কে সব ধরণের তথ্য পাওয়া সম্ভব। যেমন, আপনি যদি এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে আন্ডারগ্রেডের জন্য যেতে চান তাহলে এক ধরণের স্কলারশিপ আবার কেউ যদি গ্র্যাজুয়েটের জন্য চায় সেক্ষেত্রে অন্য ব্যবস্থা। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে তথ্য পাওয়া যায়। প্রত্যেকটি স্কলারশিপের জন্যই আবেদন করার জন্য একটি নির্দিষ্ট ডেডলাইন থাকে। তাই আগে থেকেই আপনার প্রয়োজনের কাগজপত্র প্রস্তুত থাকাটা বাঞ্ছনীয়। এতে করে আপনার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আবেদন সম্পন্ন করতে সুবিধা হবে। 

স্কলারশিপ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়:

আপনি কোন দেশে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করছেন তার উপর সেই দেশের রিকোয়ারমেন্ট ভ্যারি করে। ধরুন,  যদি আপনি ফ্রান্স বা জার্মানিতে এপ্লাই করে থাকেন তাহলে সে দেশের ভাষার প্রতি আপনার দক্ষতা থাকলে সে বিষয়টিকে ইতিবাচক বলে ধরা হবে এবং স্কলারশিপ পেতে সুবিধা  হবে। বিশেষ ভাষার দক্ষতা থাকা প্রয়োজন এমন দেশগুলোতে।  তাছাড়া IELTS,  GRE, TOEFL এই ধরণের পরীক্ষা সমূহে ভালো নাম্বার অর্জন করলেও স্কলারশিপ নিশ্চিতে সাহায্য হয়।

এর বাইরে, আপনি যদি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী হন তাহলে সিজিপিএ কিছুটা অবদান রাখে স্কলারশিপ পেতে। যত ভালো সিজিপিএ থাকবে স্কলারশিপ এর সুবিধা তত বৃদ্ধি পাবে। 

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

 সাধারণত মেয়াদসম্পন্ন পাসপোর্ট, সকল পরীক্ষার সনদ, ভাষাগত দক্ষতার সনদ অনেক দেশেই এসব কাগজের নোটারি পেপার চায়। আবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে বা যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে নোটারি করার প্রয়োজন নেই। 

বিশেষ দক্ষতা কিংবা অভিজ্ঞতা:

শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি যদি কোনো সংস্থা, সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতা থেকে থাকে, নেতৃত্বের গুণাবলি থাকে তাহলে ইতিবাচক দিক হিসেবে সাধারণত ধরা হয়৷ অনেক ব্যাপার স্কলারশিপ এর ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয়। সেটা হতে পারে নিজের পড়াশোনার বাইরে এক্সট্রা-কারিকুলার একটিভিটিজ।

খেলাধুলা, অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ, বিভিন্ন সেবামুলক সংগঠনে কাজ করা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ইত্যাদি। পড়াশোনার পাশাপাশি কোনো গঠনমূলক কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করাটাও খুব গুরত্বপুর্ন একটা ব্যাপার। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পুঁথিগত বিদ্যায় বিশ্বাসী না। আপনার ওভার অল পারফর্মেন্স তারা দেখবে। এসব ব্যাপার তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোনো পাবলিকেশন, রিসার্চ ওয়ার্ক থাকে তাহলে সেসব যোগ করাও প্রয়োজনীয়।  

রিকমেন্ডেশন লেটার:

অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই স্কলারশিপের জনহ আগের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের রিকমেন্ডেশন লেটারের দরকার হয়। এই লেটারের ভাষা যদি আট দশজন আবেদনকারীর মতোই হয়, তবে বৃত্তি পাবার সম্ভাবনা কমে যাবে। তাই আপনি যেই শিক্ষকের অধীনে পড়াশোনা করেছেন, তাকে যথেষ্ট সময় দিয়ে একটি রিকমেন্ডেশন লেটার লিখে নিন। 

স্টেটমেন্ট অফ পার্পাস (SOP):

বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই বৃত্তি পাবার জন্য স্টেটমেন্ট অব পারপার(SOP) অর্থাৎ কেন আপনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যেতে চান সেটা সম্পর্কে সুন্দর একটা কনসেপ্ট পেতে চাইবে।আপনার লেখার মাধ্যমে আপনাকে তুলে ধরতে হবে, কেন আপনি তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যেতে চান। আপনার প্ল্যান কি? আপনাকে কেন স্কলারশিপ দেয়া উচিত। আপনার স্পেশালিটি কি? এই ব্যাপারগুলো তুলে ধরবেন। অর্থাৎ এটা একরকমের চিঠি বলতে পারেন। এই চিঠির মাধ্যমেই ওনাদেরকে কনভিন্স করতে হবে যে, আপনি তাদের স্কলারশিপের জন্য রাইটফিট! যারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্কলারশিপ পেয়েছেন, তারা SOP লেখার ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিভ বা সৃজনশীল হবার জন্য বলেছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই লেটার

কিভাবে আবেদন করা হয়:

কাগজপত্র সব তৈরি থাকলে সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের ওয়েবসাইটে স্কলারশিপ এর সার্কুলার দিলেই আবেদন করার সুযোগ হয়। সেখানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, সার্টিফিকেট,  কোনো অ্যাচিভমেন্ট এর স্বীকৃতি ইত্যাদি যোগে আবেদন করতে হয়।  এর ভাইরে কখনো কখনো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ বা তথ্য মাফিক দেওয়া আবেদনের নিয়মে আবেদন করতে হয়। সেক্ষেত্রে সাবধানতার সাথে সব কাজ করতে হয় এবং কাগজপত্র গুছাতে হয়। তা না হলে স্কলারশিপ বাতিল পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে কিংবা স্কলারশিপের জন্য সিলেক্ট না হতেও পারেন। তাই কাগজপত্রের জমা দেওয়ার মধ্য দিয়ে আবেদনের প্রাথমিক এবং গুরুত্বপূর্ণ ধাপ সাবধানতার সাথে পার করতে হয়।

স্বপ্ন যত বড়ই হোক, কখনো দুষ্প্রাপ্য না যদি সঠিক পরিকল্পনার সাথে আগানো হয়। কৃতীদের সাহায্য নিন প্রয়োজনে, পরিকল্পনা করে ধাপে ধাপে এগিয়ে যান আপনার লক্ষ্যের উদ্দেশ্যে। কাগজপত্র গুছানো, বৃত্তির জন্য আগানো, সিলেকশন, ভিসা এসব কিছুই লম্বা প্রক্রিয়ার কাজ সেক্ষেত্রে রাখতে হবে ধৈর্য এবং হাল না ছাড়ার মনোভাব। তবেই স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা অর্থ ব্যয়ে পড়ার স্বপ্ন সত্যি হয়ে উঠবে।

উচ্চশিক্ষা   বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

‘তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে গেলে অঞ্চলভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে’

প্রকাশ: ০২:৩৫ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল

তীব্র তাপদাহের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবারও বন্ধের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, বেশি গরম পড়ছে বলেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হবে এটার কোনো মানে নেই। কোন জেলার তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে গেলে ঐদিন সংশ্লিষ্ট এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছু হলেই প্রথমেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে এ ধারণা রাখা চলবে না। আমাদের নতুন কারিকুলাম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক, তাই শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে আসা জরুরি। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাস করা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, শনিবার স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত গরমে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে করা হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে গেলে পরে আবারও মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।

এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহ আর হিট অ্যালার্টের মধ্যেই খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কমেছে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি‌র হার। কিছু শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ায় তীব্র তাপপ্রবাহ চলাকালীন স্কুল বন্ধ রাখা বা অনলাইনে ক্লাস নেয়ার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

ঈদুল ফিতর ও তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর আজ খুলে দেওয়া হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে তীব্র তাপপ্রবাহ ও বিরূপ আবহাওয়া অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার আনন্দ।

দেশব্যাপী বয়ে চলা তীব্র তাপপ্রবাহের পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার দাবি জানান অভিভাবকরা।‌


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   শিক্ষা মন্ত্রণালয়   তীব্র তাপদাহ   মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

তাপপ্রবাহের মধ্যে খুলল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নতুন সিদ্ধান্তে চলবে ক্লাস

প্রকাশ: ০৮:৩৯ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপদাহের মধ্যে বন্ধ থাকা দেশের সব স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা খুলল। আাজ রোববার (২৮ এপ্রিল) এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শ্রেণি কার্যক্রম।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, এক সপ্তাহ ছুটির পর রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও খুলছে। তবে ক্লাসের সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্লাস হবে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একশিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহ প্রতিদিন সকাল ৮ থেকে বেলা সাড়ে ১১টা চলবে।

দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহে ১ম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট ৯.৪৫ থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলমান থাকবে।

প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে বলা হয় আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে খুলছে দেশের দেশের সব স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপপ্রবাহের কারণে গত ২০ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের স্মারক মোতাবেক ঘোষিত ছুটি সমাপ্ত হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নরূপ সিদ্ধান্ত প্রদান করা হলো-

১) আগামী রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

২) তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

৩) শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে।

৪) তাপদাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। আর ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার। তবে ছুটি না বাড়ায় রোববার থেকে ক্লাস শুরু হচ্ছে।


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   তাপপ্রবাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

তাপপ্রবাহ: শিক্ষার্থীর ক্ষতি হলে দায় নিতে হবে সরকার ও প্রতিষ্ঠানকে

প্রকাশ: ০৮:২৬ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যয়েও শুরু হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ রোববার (২৮ এপ্রিল) প্রাক-প্রাথমিক বাদে সব স্তরের ক্লাস শুরু হবে। তবে, সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।

সংগঠনটি বলছে, সরকারের সিদ্ধান্ত মানতে সবাই বাধ্য। এ সিদ্ধান্ত মানতে গিয়ে যদি কোনও শিক্ষার্থীর শারীরিক কোনও ক্ষতি বা জীবন বিপন্ন হয়, তবে এর দায়ভার সম্পূর্ণ সরকার ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে সংগঠনের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এমন হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, তীব্র তাপপ্রবাহে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ রেখে অনলাইনে শ্রেণি কার্যক্রম তথা পাঠদানের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছিল অভিভাবকদের সংগঠন অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। কিন্তু সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহের তেমন কোনও উন্নতি না হওয়া সত্ত্বেও রবিবার থেকে সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার পরিপত্র জারি করেছে সরকার। ফলে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা তীব্র তাপপ্রবাহ চলমান থাকা অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে বাধ্য হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, সরকারি সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য দেশের সব মানুষ। তীব্র তাপপ্রবাহে সরকারি সিদ্ধান্তে দেশের কোথাও যদি কোনও শিক্ষার্থীর কোনও রকম জীবন বিপন্ন ঘটে বা কোনও রকম ক্ষতি হয়, তার সব ধরনের দায়ভার সরকার ও সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে।

অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু বলেন, বড়রাই যেখানে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না, সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শিশুদের ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছিল। নতুন করে হিট অ্যালার্ট জারি অব্যাহত থাকায় সামনে আরও এক সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আমরাও আরও এক সপ্তাহ স্কুল-কলেজ বন্ধ রেখে অনলাইনে ক্লাস করানোর দাবি করেছি। কিন্তু সরকার তা শোনেনি। এরপর যদি কোনও শিক্ষার্থীর ক্ষতি হয়, এর দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।


অভিভাবক ঐক্য ফোরাম   শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

এসএসসি ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ জানাল বোর্ড

প্রকাশ: ০৮:২৯ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল আগামী ৯ থেকে ১১ মে’র মধ্যে প্রকাশিত হতে পারে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ৯, ১০ ও ১১ মে- এই তিনটি তারিখের মধ্যে যে কোনো এক দিন ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির ওপর।

সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। সে হিসাবে, মে মাসের ১১ তারিখের মধ্যে ফল প্রকাশিত হওয়ার কথা। এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য তিন দিনের সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি।

এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে ফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করে। কারণ, এসব পরীক্ষার ফল প্রকাশের কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন। ফলে তিনি যেদিন সময় দিতে পারেন, সেদিনই ফল প্রকাশ করা হয়।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় এবং শেষ হয় ১২ মার্চ। এবারের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিলের (ভোকেশনাল) মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৪৮ হাজার।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বছর দেশের ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। মোট ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।


এসএসসি   শিক্ষা বোর্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড এডুকেশন

গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা শুরু আজ, তাপপ্রবাহ ঘিরে বিশেষ ব্যবস্থা

প্রকাশ: ১১:৪৫ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ (২৭ এপ্রিল)। দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা। একই দিনে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নেওয়া হবে আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষা।

এছাড়া আগামী ৩ মে শুক্রবার (‘বি’ ইউনিট-মানবিক) এবং ১০ মে শুক্রবার (‘সি’ ইউনিট-বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ দুই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত।

ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ইতোমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে চলমান তাপপ্রবাহে পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষায় বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে এবার। বিষয়টি নিশ্চিত করে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, তাপপ্রবাহের মধ্যে যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে সব বিশ্ববিদ্যালয়কে। একইসঙ্গে গুচ্ছভুক্ত সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যেন ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষায় পরীক্ষা কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সুপেয় পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রীর ব্যবস্থা রাখেন।

চলতি বছর গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মোট ২১ হাজার আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি। সেই হিসেবে আসনপ্রতি লড়বেন ১৫ জন ভর্তিচ্ছু।

এবারের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আবেদন চলে ১২-২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে।


গুচ্ছ   ভর্তি   পরীক্ষা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন