ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মণিপুর ও মিজোরামের জন্য আরও বড় সমস্যা হয়ে উঠবে মায়ানমারের 'গৃহযুদ্ধ'

প্রকাশ: ১০:৫৪ এএম, ৩১ মে, ২০২৩


Thumbnail

ভারতের মণিপুরে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে যে জাতিগত হিংসা চলছে, তা উত্তর-পূর্ব ভারতের অসংখ্য সমস্যার  একটি মাত্র। এই হিংসা নানান সমস্যার একটা ফল— কারণ নয় এমনটাও বলা যেতে পারে এক্ষেত্রে। আগামী দিনে একটা বড় বিপদের সম্মুখীন হতে চলেছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল। বস্তুত, অঞ্চলটি ইতিমধ্যেই সমস্যায় আক্রান্ত। এই বিপদ হল মায়ানমারের গৃহযুদ্ধ।

মায়ানমারের সঙ্গে ভারতের প্রায় ১,৬৫০ কিলোমিটারের সীমান্ত। এই সীমান্তের প্রায় ৪০০ কিলোমিটার মণিপুরের সঙ্গে। মণিপুর-লাগোয়া মায়ানমারের দু’টি প্রদেশ হল সাগাইং এবং চিন। এই দুই প্রদেশেই গণতন্ত্রকামী বাহিনীর সঙ্গে মায়ানমারের সামরিক বাহিনী টাটমাডো'র লড়াই চলছে। লড়াই তীব্র হয়েছে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির পরে। মাঝে মাঝেই টাটমাডো সাগাইং এবং চিনে বোমা ফেলছে। বছর ছয়েক আগে চিনের দক্ষিণে রাখাইন থেকে যখন লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিলেন, তখন ভারত এ নিয়ে মাথা ঘামায়নি। রোহিঙ্গারা মুসলমান বলে তাঁদের ‘বেআইনি অনুপ্রবেশকারী’ বলে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এখন বিপদ অন্য ধরনের। চিন প্রদেশ থেকে যাঁরা গত দু’বছর ধরে ঢুকছেন, তাঁদের সঙ্গে জাতিগত (এথনিক) সম্পর্ক রয়েছে মিজোরাম এবং মণিপুরের জনজাতি সমাজের। ফলে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা অতীতে স্পষ্ট জানিয়েছেন, চিন প্রদেশ থেকে শরণার্থী আসতে দিতে হবে। সমস্যা হল, ভারত নানা কারণে আন্তর্জাতিক শরণার্থী চুক্তিতে (১৯৫১) সই করেনি। ফলে, শরণার্থী বলে কিছু ভারতে হয় না— যেটা হয়, তার নাম ‘বেআইনি অনুপ্রবেশকারী’।

এখন জ্ঞাতিভাইদের ‘বেআইনি অনুপ্রবেশকারী’ বলতে নারাজ মিজোরাম। ফলে মিজোরামে ভারতের নীতি হচ্ছে চুপচাপ থাকা। মিজোরামের মানুষ চিন প্রদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের তাঁদের সামর্থ্য মতো খাবারদাবার, জায়গা দিয়ে বসিয়েছেন। শিশুদের পড়াশোনার ব্যবস্থাও করেছেন। আন্তর্জাতিক শরণার্থী অধিকার আন্দোলনের কর্মীরা মিজোদের মানবিকতার প্রশংসা করেছেন। শুধু ‘এথনিক’ সম্পর্ক নয়, মিজোরামে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ অনেক কম। এর কারণ, মিজোরামের ৯৫% মানুষ জনজাতি সম্প্রদায়ের। প্রায় ৮৮% খ্রিস্টান। বিরোধের ক্ষেত্র সীমিত।

অন্যদিকে, মণিপুরের চিত্র আলাদা। সেখানেও কুকি সমাজের (এখানে বোঝার সুবিধার জন্য জনজাতি সমাজের কুকি-চিন-মিজো-যোমি-হামর জনজাতিদের কুকি বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে। মণিপুরেও তা-ই করা হয়) মানুষ অরণ্য ও পাহাড় অঞ্চলে শরণার্থীদের বসিয়েছেন। গত বছরের মে মাসে এক প্রতিবেদনে ইম্ফল ফ্রি প্রেস জানিয়েছিল, ৯৬৬টি নতুন বসতি গড়ে উঠেছে মণিপুরের অরণ্য-পাহাড়ে। তারা সরকারি স্বীকৃতির আবেদন জানিয়েছিল।

কিন্তু মণিপুরে জনসংখ্যার ৪০% জনজাতি, যার মধ্যে প্রধান কুকিরা। এই ৪০% মানুষ রাজ্যের ৯০% পাহাড়-অরণ্য অঞ্চলে রয়েছেন বলে দাবি সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইদের, যাঁরা জনজাতিভুক্ত নন। তাঁদের বক্তব্য, সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও তাঁরা রয়েছেন মাত্র ১০ শতাংশ অঞ্চলে। এর উপরে মায়ানমার থেকে শরণার্থী প্রবেশের ফলে তাঁদের জায়গা আরও কমবে। ভবিষ্যতে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ার আশঙ্কা। সেই কারণেই তাঁরা জনজাতি হিসাবে সংরক্ষণ চেয়েছেন, যার পরিণতি গোষ্ঠী সংঘাত। আগামী দিনে মায়ানমারের ‘যুদ্ধ’ মণিপুর ও মিজোরামের জন্য আরও বড় সমস্যা হয়ে উঠবে বলেই আশঙ্কা।

দ্বিতীয় সমস্যা ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির। দীর্ঘ সময় ধরে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির প্রবক্তাদের একটা বড় অংশ উত্তর-পূর্ব ভারতে হিন্দুত্বের চর্চা করছেন। শুধু উত্তর-পূর্বেই নয়, গোটা ভারতেই জনজাতি অঞ্চলে দীর্ঘ দিন ধরে হিন্দুত্বের চর্চা হচ্ছে। সম্প্রতি এ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিস্তর গবেষণা হচ্ছে। এই গবেষকদের অন্যতম অর্কটং লংকুমের। উত্তর-পূর্ব নিয়ে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের মধ্যে ইউরোপ-আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে চর্চিত নাম তিনি। উত্তর-পূর্বে হিন্দুত্বের প্রসার নিয়ে তাঁর বই দ্য গ্রেটার ইন্ডিয়া এক্সপেরিমেন্ট: হিন্দুত্ব অ্যান্ড দ্য নর্থ-ইস্ট-এ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) কাজকর্মের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। “আমি যখন পিএইচ ডি-র ফিল্ডওয়ার্ক (২০০৪-০৫) করতে অসমের ডিমা হাসাও জেলার হাফলং এবং লাইসং-এ ছিলাম, তখনই সেখানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে কঠোর পরিশ্রম করতে দেখেছিলাম। তাঁদের ‘কমিটমেন্ট’ দেখে অবাক হয়েছিলাম। তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে বুঝেছিলাম যে, তাঁরা গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতে তাঁদের কাজকর্ম ছড়াতে চান,” অধ্যাপক লংকুমের লিখেছেন তাঁর বইয়ের মুখবন্ধে।

এই ছড়ানোর কাজ আরএসএস উত্তর-পূর্বে খুব ভাল ভাবে করেছে গত বিশ-ত্রিশ বছরে। উত্তর-পূর্বে সাতটির মধ্যে এখন ছ’টি রাজ্যে বিজেপি সরকারে রয়েছে। যেখানে নেই— অর্থাৎ মিজোরামে— সেখানেও ক্ষমতাসীন দল (মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট) পরোক্ষভাবে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স-এ রয়েছে। নানা ভাবে আরএসএস উত্তর-পূর্ব ভারতে ঢুকেছে। এই প্রবেশের একটা প্রধান দিক হল, উত্তর-পূর্ব ভারতের ধর্মীয় বিশ্বাস ‘অ্যানিমিজম’ (নির্জীব বস্তু, উদ্ভিদ, প্রাকৃতিক ঘটনা, সব কিছুর মধ্যে প্রাণের দর্শন) এবং ‘শ্যামিনিজম’-কে (ভিন্ন ধরনের প্রাণের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক) বোঝা। অঞ্চলে পড়ে থেকে হিন্দুত্ববাদীদের একাংশ দীর্ঘদিন এ কাজ করেছেন, এক ধরনের ‘মিশনারি’ প্রতিজ্ঞা নিয়ে। চিন-ভারত যুদ্ধের পরে, চিনের থেকে অরুণাচল প্রদেশকে সুরক্ষিত করতে কংগ্রেসও সেখানে হিন্দু জাতীয়তাবাদী চেতনাকে মদত দিয়েছে।

হিন্দুত্ববাদীদের গবেষণার যে অংশটা এখন সামনে আসছে, সেটা তাৎপর্যপূর্ণ। অরুণাচল প্রদেশে ‘ডনি-পোলো’ সম্পর্কে হিন্দুত্ববাদীদের নির্দিষ্ট মতামত রয়েছে। ‘ডনি-পোলো’ হল সূর্য এবং চাঁদ এবং সংশ্লিষ্ট ধর্ম। যেহেতু হিন্দু ধর্মে চন্দ্র-সূর্য দেবতা, ‘ডনি পোলো’তে বিশ্বাসীদের বলা হচ্ছে যে, হিন্দু ধর্মের সঙ্গে তাঁদের ধর্মের ‘ওভারল্যাপ’ রয়েছে। নাগাল্যান্ডে রয়েছে আরও চমকপ্রদ এক আধুনিক ধর্মীয় আন্দোলন, যার নাম হেরাকা। লংকুমেরের এ নিয়েও একটি বই রয়েছে। এর পাশাপাশি আরও একাধিক 'অ্যানিমিস্ট' বা 'শ্যামিনিস্ট' ধর্মীয় আন্দোলন রয়েছে উত্তর-পূর্বে (আমিক মাতাই, রংফ্রা প্রভৃতি), যা প্রধানত খ্রিস্টধর্ম আসার পরে চাপা পড়ে যায়। এখানেই রাজনৈতিক খেলা— হিন্দু ধর্মের পাশাপাশি যেহেতু উত্তর-পূর্বের অন্যতম প্রধান খ্রিস্ট ধর্ম, তাই খ্রিস্টানদের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে না গিয়ে লোকজ ধর্মকে বোঝানো হচ্ছে যে, তাঁরা চাপা পড়ে গিয়েছেন খ্রিস্টানদের জন্য।

এর ফলে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে উত্তর-পূর্বে। কারণ উত্তর-পূর্বে তিন রাজ্যে (মেঘালয়, মিজোরাম ও নাগাল্যান্ড) খ্রিস্টানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। অরুণাচল প্রদেশে দু’পক্ষই সমান, প্রায় ৩০ শতাংশ। মণিপুরেও তাই, দুই পক্ষই ৪১ শতাংশ। সমসংখ্যক হিন্দু এবং খ্রিস্টান থাকার ফলে মণিপুরে কী হয়েছে, সে সম্পর্কে পাঠক হয়তো অবগত। ‘গুডউইল মিশন’ নামে মণিপুরের গির্জাসমূহের সংগঠন জানায়, সাম্প্রতিক সংঘাতের দুই সপ্তাহে ২৯৩টি গির্জা বা গির্জা সংলগ্ন অফিস আংশিক বা পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। এখানে এটাও মনে রাখা প্রয়োজন যে, যাঁরা লোকজ ধর্মের মধ্যে রয়েছেন, তাঁরা আবার সংগঠিত ধর্মের মধ্যেও থাকতে পারেন। তাছাড়া, জনজাতি সমাজের বড় অংশ এখনও খ্রিস্টান। ফলে সংঘাত আরও জোরালো হতে পারে। খ্রিস্টান সম্প্রদায় যে চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন, তা সম্প্রতি বুঝতে পারলাম শিলঙে। শিলঙের এক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মন্তব্য করলেন, “এর পরের টার্গেট তবে আমরাই।” তার এই মন্তব্যের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা এবং আতঙ্ক স্পষ্ট। নিরাপত্তাহীনতা যে কোনও সমাজকেই অস্থির করে। আর সেটাই সত্যি। চূড়ান্ত অস্থিরতার মধ্যে দিন কাটছে উত্তর-পূর্বের একাংশের।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিজের ভাইরাল নাচের ভিডিও শেয়ার করে মোদি বললেন, ভালো লেগেছে

প্রকাশ: ০২:১৫ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। ৩য় দফার ভোটে দেশটির ৯৩টি লোকসভা আসনে চলছে ভোটগ্রহণ। আর এর মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের নাচের এক ভিডিও শেয়ার করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  

ভিডিওটিতে তাকে এক মঞ্চে কায়দা করে হাঁটতে এবং নাচতে দেখা যাচ্ছে। না, ভিডিওটি সত্যিকারের নয়। তৈরি করা। পাগলু সেই নাচের ভিডিও নিজেই শেয়ার করে মোদি লিখেছেন- নিজেকে নাচতে দেখে আনন্দ পেলাম।  

সোমবার (৬ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ভিডিওটি প্রথমে এথেয়িস্ট কৃষ্ণ নামের একটি এক্স হ্যন্ডেল থেকে শেয়ার করা হয়েছিল। এর সঙ্গে ক্যাপশনে লেখা ছিল, 'এই ভিডিওটি পোস্ট করছি, কারণ আমি জানি এর জন্য 'ডিক্টেটর' আমাকে গ্রেপ্তার করবে না।'

আর এই ভিডিওটিই ফের শেয়ার করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সঙ্গে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, 'আপনাদের সকলের মতো আমিও নিজেকে নাচতে দেখে আনন্দ পেয়েছি। ভোটের ভরা মৌসুমে এই ধরনের সৃজনশীলতা সত্যিই আনন্দ দেয়।' 

কিন্তু হঠাৎ কেন ভোটের মধ্যে নিজের নাচের স্পুফ ভিডিও শেয়ার করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এর পেছনেও রয়েছে রাজনীতি। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তৈরি প্রায় একই ধরনের একটি ভিডিও শেয়ার করার প্রেক্ষিতে, এক এক্স ব্যবহারকারীকে নোটিশ দিয়েছে পুলিশ।

আর সেই ঘটনার ঠিক পরপরই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ভিডিও শেয়ার করা কাকতালীয় বলে মানছেন না বিশ্লেষকরা।

মূলত মোদি যে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন, সেটি আসলে মার্কিন র‍্যাপ সঙ্গীত শিল্পী লিল ইয়াচটির মঞ্চে প্রবেশ করার এক ভিডিও। ২০২২ সালের ২১ জুন ইউটিউবে ভিডিওটি প্রথম পোস্ট করা হয়েছিল।

তারপর থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর সাহায্যে অ্যাডলফ হিটলার থেকে শুরু করে ডিসি কমিকসের সুপারভিলেন জোকারের মতো, বিভিন্ন বিখ্যাত বা কুখ্যাত ব্যক্তিত্বদের মুখ, ইয়াচটির জায়গায় ব্যবহার করে মিম তৈরি করা হয়েছে। এবার সেই জায়গায় বসলো নরেন্দ্র মোদির মুখও।

মজার বিষয়, সোমবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি স্পুফ ভিডিও শেয়ার করার দায়ে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের নোটিশ পেয়েছেন দুই এক্স ব্যবহারকারী।

তাদের শেয়ার করা ভিডিওটির নিচেই কলকাতা পুলিশ লিখেছিল, যদি তারা অবিলম্বে তাদের নাম ও বাসস্থান-সহ পরিচয় প্রকাশ না করে, তাহলে ফৌজদারি আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরে অবশ্য পুলিশের পক্ষ থেকে ওই পোস্ট মুছে দেওয়া হয়।

তবে, ততক্ষণে ওই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। কলকাতা পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'পাপোশের মতো' আচরণ করছে বলে কটাক্ষ করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য।

কলকাতায় মোদিকে ব্যঙ্গ করে অশ্লীল পোস্টার লাগানোর বিষয়ে কলকাতা পুলিশ কেন কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।

অবশ্য মোদি তার নিজের স্পুফ ভিডিওটি এক্স অ্যাকাউন্টে শেয়ার করার পর, এই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেছেন হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা আসনের বিজেপির প্রার্থী তথা বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত।

এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, 'মমতা দিদি জি এটাকে বলে 'টেকিং আ চিল পিল (মাথা ঠান্ডা রাখা)। আপনিও মাঝে মাঝে এটা ব্যবহার করুন। আপনি সবসময় রেগে থাকেন। কয়েকটা বাচ্চা ছেলে আপনার নাচের ভিডিও বানিয়েছে। আপনি তাদের জেলে পাঠানোর চেষ্টা করছেন। আপনি খুব রাগী এবং অনমনীয়।' 


ভারত   লোকসভা নির্বাচন   প্রধানমন্ত্রী   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: আহমেদাবাদে ভোট দিলেন মোদি

প্রকাশ: ১২:২২ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচনের তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণে ভোট দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ৭টার একটু পরই ভোট কেন্দ্রে পৌঁছান মোদি। গুজরাটের আহমেদাবাদের ভোটার মোদি। আহমেদাবাদের রানিপ এলাকার নিশান উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন তিনি।  

প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ভোটকেন্দ্রে স্বাগত জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই ভোটকেন্দ্রটি গান্ধীনগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। মোদির দল বিজেপি থেকে সেখানকার এবারের প্রার্থী অমিত শাহ।

ভোট দেওয়ার পর দেশের জনগণের প্রতি কেন্দ্রে হাজির হয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। 

মোদি বলেন, 'আমাদের দেশে 'দান' এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সেই চেতনা থেকে দেশবাসীকে ভোট দিতে হবে। এখনও চার দফা ভোট বাকি। এই অহমেদাবাদের বুথেই আমি বরাবর ভোট দিই। অমিত ভাই এই কেন্দ্রের প্রার্থী।' 

এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তাদের স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা দেন নরেন্দ্র মোদি। 

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম দফা ১৯ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফা ২৬ এপ্রিল ভোট হয়েছে। আজ তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মোট ৯৩টি আসনে। ভোটাভুটি চলবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। ১ জুন সপ্তম দফার মাধ্যমে ভোটের ইতি ঘটবে। সাত ধাপের সবকটিরই ফল ঘোষণা করা হবে ৪ জুন।


লোকসভা নির্বাচন   আহমেদাবাদ   ভোট   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে রাফায় ইসরায়েলের বিমান হামলা

প্রকাশ: ১১:২৭ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেওয়া সত্ত্বেও রাফায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। 

এদিকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে যে দোলাচল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে দুর্ভোগে পড়েছে রাফায় আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি শরণার্থী।

সোমবার (৬ মে) ইসরায়েল বাহিনী ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ওই এলাকা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। 

সোমবার বিকেলে হামাসের পক্ষ থেকে ‍যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেওয়ার পর অনেকে রাস্তায় নেমে উল্লাস করে। কিন্তু পরক্ষণেই সেই উল্লাস ইসরায়েলি বোমা হামলায় ফিকে হয়ে যায়। 

ইসরায়েল সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামাসকে লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছে। একটি গোপন সূত্রের বরাত দিয়ে অ্যাক্সিওস সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে রাফার পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক দেখা গেছে। তারা রাফার ফিলিস্তিনি অংশ দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এ অঞ্চলটি মিশর এবং গাজাবাসীদের জন্য মানবিক সহায়তা সরবরাহের একমাত্র পথ। 

গার্ডিয়ান বলছে, নিরপেক্ষভাবে ওই প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে বার্তা সংস্থা এপি ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান এবং মিশর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রাফাহ ক্রসিংয়ের ২০০ মিটার দূরে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক অবস্থান নিয়েছে। 

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, কায়েরো এবং মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস যে শর্তে তাদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নিয়েছে তাতে তেল আবিবের শর্ত পূরণ হয় না। তবে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চালিয়ে যেতে ইসরায়েল আরও প্রতিনিধি দল কায়রো পাঠাবে।  

ইসারায়েল যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা বলছে, জিম্মিদের মুক্তি এবং হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে তারা রাফায় অভিযান চালিয়ে যাবে। 


যুদ্ধবিরতি   রাফা   ইসরায়েল   বিমান হামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চুরির দায়ে রাশিয়ায় মার্কিন সেনা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১১:১৭ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ায় গিয়ে চুরির অভিযোগ এক মার্কিন সেনা গ্রেফতার হয়েছেন। গ্রেফতারকৃত ওই মার্কিন সেনার নাম স্টাফ সার্জেন্ট গর্ডন ব্ল্যাক। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত ছিলেন।

মঙ্গলবার (৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত এক মার্কিন সেনাকে রাশিয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তারকৃত ওই মার্কিন সেনার নাম স্টাফ সার্জেন্ট গর্ডন ব্ল্যাক।

বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস জানিয়েছে, সার্জেন্ট গর্ডন ব্ল্যাকের বিরুদ্ধে একজন নারীর কাছ থেকে চুরি করার অভিযোগ রয়েছে। রাশিয়ার সুদূর পূর্বের ভ্লাদিভোস্টক শহরে গত ২ মে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে সেসময় তিনি সরকারি সফরে ছিলেন না। 

ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র 'এই ঘটনার পাশাপাশি রাশিয়ার সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয় সম্পর্কেও অবগত'।

স্থানীয় সময় সোমবার হোয়াইট হাউসে ব্রিফিংয়ে কিরবি বলেন, তিনি এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানাতে পারবেন না।

অন্যদিকে মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি বিবৃতি অনুসারে, রাশিয়ায় গ্রেপ্তারকৃত ওই সৈনিক অপরাধমূলক অসদাচরণের অভিযোগের মুখোমুখি হচ্ছেন।

মুখপাত্র সিনথিয়া স্মিথ বলেছেন, 'সেনাবাহিনী তার পরিবারকে এই বিষয়টি অবহিত করেছে এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর রাশিয়ায় গ্রেপ্তার হওয়া সৈনিককে উপযুক্ত কনস্যুলার সহায়তা প্রদান করছে।' 

সিবিএস অনুসারে, সৈনিকটি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে মার্কিন অঙ্গরাজ্য টেক্সাসের ফোর্ট কাভাজোসে ডিউটি ​​স্টেশন পরিবর্তন করার প্রক্রিয়ায় ছিলেন।


রাশিয়া   গ্রেপ্তার   মার্কিন সেনা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপের হেভিওয়েট প্রার্থী যারা

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আর তৃতীয় দফায় ভারতজুড়ে ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৩টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

মঙ্গলবার (৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রথম দফায় শতাধিক আসনে ভোটগ্রহণের পর দ্বিতীয় দফায় ভোট হয়েছিল ৮৮টি আসনে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, দ্বিতীয় দফার ভোটের পরে দশ দিনের বিরতির শেষে মঙ্গলবার ভারতজুড়ে ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৩টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে চারটি আসনেও আজ ভোটগ্রহণ হচ্ছে।

যেসব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট হবে সেগুলো হলো, আসাম, বিহার, ছত্তিশগড়, দাদরা ও নগর হাভেলি, দামান ও ডিউ, গোয়া, গুজরাট, জম্মু-কাশ্মীর, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ।

তৃতীয় ধাপের গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীরা

৯৩টি আসনে মোট ১ হাজার ৩৫১ জন প্রার্থী লড়াই করছেন। মোট ২ হাজার ৯৬৩ জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন- 

অমিত শাহ (গান্ধীনগর, গুজরাট)

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গুজরাটের গান্ধীনগর থেকে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হতে লড়াই করছেন। এই আসনটি বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত। এই আসন থেকেই নির্বাচনে জিতেছেন দলের প্রবীণ নেতা ভারত রত্ন লাল কৃষ্ণ আদভানি। ১৯৮৯ সাল থেকে এই আসনে পরাজিত হননি কোনও বিজেপি প্রার্থী।

এবার কংগ্রেসেনের সোনাল প্যাটেলের বিরুদ্ধে লড়ছেন অমিত শাহ। ২০১৯ সালে সিজে চাভদাকে সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে বড় জয় পেয়েছিলেন তিনি।

 জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (গুনা, মধ্যপ্রদেশ)

বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী ও সাবেক কংগ্রেস নেতা মধ্যপ্রদেশের গুনা আসন থেকে লড়ছেন। বিজেপিতে যোগ দিয়ে ২০২০ সাল থেকে তিনি রাজ্যটির রাজনীতিতে উত্থান-পতনের জন্ম দিয়েছেন।

২০১৯ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে তিনি বিজেপির কৃষ্ণ পাল সিংয়ের কাছে হেরেছিলেন। এবার বিজেপির টিকিটে তিনি কংগ্রেসের যাদবেন্দ্র রাও দেশরাজ সিংয়ের বিরুদ্ধে লড়ছেন।

ডিম্পল যাদব (মাইনপুরি, উত্তরপ্রদেশ)

সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের স্ত্রী ডিম্পল যাদব। উত্তর প্রদেশের মাইনপুরি থেকে পুনরায় নির্বাচিত হতে ভোটে লড়ছেন তিনি। এই আসন থেকে অতীতে জিতেছেন তার শ্বশুর ও দলের প্রবীণ নেতা মুলায়লাম সিং যাদব। ২০২৩ সালে মুলায়লাম সিংয়ের মৃত্যু হতে আসনটি শূন্য হয়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে উপ-নির্বাচনে ডিম্পল জয়ী হন। বিজেপি প্রার্থী রাঘুরাথ সিংকে তিনি ২ লাখ ৮৮ হাজার ৪৬১ ভোটে হারিয়েছিলেন। এবার তার বিরুদ্ধে লড়ছেন বিজেপির প্রার্থী জয়বীর সিং ঠাকুর। 

সুপ্রিয়া সুলে (বারামাতি, মহারাষ্ট্র)

পাওয়ার পরিবারের ঘাঁটি বলে পরিচিত বারামাতি। এবার সেখানে লড়াই হবে শারদ পাওয়ারের মেয়ে ও তিনবারের এমপি সুপ্রিয়া সুলের সঙ্গে অজিত পাওয়ারের স্ত্রী সুনেত্রা পাওয়ারের। অজিত পাওয়ার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে যোগ দিয়েছেন এবং মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।

শারদ পাওয়ার প্রথমবার বারামাতিতে জয়ী হয়েছিলেন ১৯৮৪ সালে। ১৯৯১ সালে তার ভাইপো অজিত পাওয়ার আসনটিতে জয়ী হন। ১৯৯৬ সাল থেকে এখানে জয়ী হয়েছেন শারদ পাওয়ার ও পরে সুপ্রিয়া সুলে। ২০১৯ সালে দেড় লাখ ভোটের ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থী কাঞ্চন রাহুলকে পরাজিত করেছিলেন সুপ্রিয়া। 

দিগবিজয় সিং (রাজগড়, মধ্যপ্রদেশ)

মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা দিগবিজয় সিং রাজগড় আসনে ভোটের লড়াইয়ে ফিরেছেন। এটিকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আসন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। 

তিনি এই নির্বাচনকে শেষ নির্বাচন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী দুইবারের বিজেপি এমপি রদমাল নগর।

শিবরাজ সিং চৌহান (ভিড়িশা, মধ্যপ্রদেশ)

মধ্যপ্রদেশে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা এই নেতা ভিড়িশা থেকে নির্বাচনে লড়ছেন। তিনি কংগ্রেসের প্রতাপ ভানু শর্মার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন।

প্রহ্লাদ জোশি (ধারওয়াড়, কর্নাটক)

কর্নাটনের ধারওয়াড় আসন থেকে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার লড়াইয়ে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জোশি। এই আসনে ২০০৪ সাল থেকে জয়ী হয়ে আসছেন তিনি। এবার তিনি কংগ্রেসের বিনোদ আসুটির সঙ্গে লড়বেন।

অধীর রঞ্জন চৌধুরী (বহরমপুর, পশ্চিমবঙ্গ)

সিনিয়র কংগ্রেস নেতা ও বর্তমান এমপি অধীর রঞ্জন চৌধুরী ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের নির্বাচনে বহরমপুরে জয়ী হয়েছেন। ২০১৯ সালে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের অপূর্ব সরকারকে ৮০ হাজার ভোটে হারিয়েছিলেন। এবার তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির নির্মল সাহা ও তৃণমূলের সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানের সঙ্গে।

বদরুদ্দিন আজমল (দুবড়ি, আসাম)

অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটি ফ্রন্ট সভাপতি বদরুদ্দিন আজমল ২০০৯ সাল থেকে দুবড়ি আসনের এমপি। ২০১৯ সালে তিনি তৃতীয়বার সাত লাখের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। এবার চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচিত হতে লড়ছেন তিনি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন কংগ্রেসের রাকিবুল হোসেন।


লোকসভা নির্বাচন   নির্বাচন   ভারত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন