ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘আমরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চাই না’

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ১২ মার্চ, ২০২২


Thumbnail ‘আমরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চাই না’

ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে অনেক কিছুই দেখেছে ইউক্রেনীয় জনগণ। বন্ধু বন্ধু বলে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে দেওয়া ইইউ বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেনা দিয়ে কিংবা ভারী কোন সরঞ্জাম দিয়ে ইউক্রেনীয়দের সাহায্য তো করেইনি বরং রাশিয়ার হামলা ঠেকাতে ন্যাটোর সদস্য করা কিংবা ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করা, ইউক্রেনের কোন চাহিদাই শেষ পর্যন্ত পূরণ করতে সক্ষম হয়নি পশ্চিমারা। আর তাই তো দিন শেষে নিজেদের যুদ্ধ এখন তাই নিজেদেরই করে যেতে হচ্ছে ইউক্রেনবাসীদের। 

তবে কথার ফুলঝুরিতে থেমে নেই পশ্চিমা বিশ্ব। রাশিয়ার নানা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপর বিধিনিষেধ এবং দেশটির বিভিন্ন রপ্তানিকারক পণ্যর উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তারা যেনো ইউক্রেনীয় বাসীদের সামনে ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকার’ ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। যাতে লাভের লাভ থেকে যুদ্ধটাই দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে ইউক্রেনের। 

রাশিয়ার উপর যতই বিধিনিষেধ নিয়ে হুঙ্কার করুক না কেনো পশ্চিমারা বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলো আদতে রাশিয়ার উপর তাদের অর্থনীতি অনেকাংশেই নির্ভর। ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার দেশটির প্রাকৃতিক সম্পদ বিশেষ করে তেল-গ্যাসের প্রাচুর্য। ইউরোপের মোট গ্যাসের চাহিদার ৪০ শতাংশ, তেলের ২৭ এবং কয়লার প্রায় ৪৬ শতাংশ এক রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল। আর তাই মুখে ইউরোপের দেশগুলো যে যাই বলুক আর যত বিধিনিষেধ আরোপ করুক রাশিয়ার মূলধনের উপর আধতে হাত দেওয়ার সাহস নেই কোন দেশেরই। আর তাই তো যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত হওয়া ইইউয়ের জরুরি বৈঠকে কোন দেশই রাশিয়ার তেল-গ্যাসের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে একমত তো হতেই পারেনি বরং কোন কোন দেশ এই মুহূর্তে ইউরোপে রাশিয়ার জ্বালানী সরবরাহের ব্যাপারে যাতে কোন বাঁধার সম্মুখীন না হয় সে বিষয়ে অনেক বেশি চিন্তিত দেখা গেছে। কারণ ইতিমধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের ইউরোপে জ্বালানী সরবরাহ বন্ধের হুমকি ইউরোপের দেশগুলোকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে বিচলিত করে তুলেছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ তথা ন্যাটোর এমন গা ছাড়া ভাব ইউক্রেনীয় রাজনৈতিকদের যেনো আরো বেশি অস্থির করে তুলেছে। যেই ন্যাটোতে যোগদান নিয়েই আসলে রাশিয়ার সাথে ইউক্রেনের এই যুদ্ধ সেই ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সিদ্ধান্ত পরিবর্তন এবং রাশিয়ার দেওয়া চাহিদা মেনে নেওয়ার বিষয়ে আভাস কিন্তু দিন শেষে রাশিয়াকে এই যুদ্ধের আসল বিজয়ী হিসেবে দিন দিন সামনে নিয়ে আসছে। 

তবে এই যুদ্ধের সবচেয়ে বড় খেলোয়াড় কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানে উৎসাহ, রাশিয়ার সাথে বিরোধ এই সব কিছুর পিছনে কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই কলকাঠি নাড়িয়ে গেছে। যদিও যুদ্ধের শুরুর পর থেকে শুধু বিধিনিষেধ দিয়েই পুরো ঘটনা প্রবাহ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে দেশটি। যুদ্ধর পর থেকে ইউক্রেনের উপর ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণার ব্যাপারে দ্বিমত, ইউক্রেনে সেনা পাঠানো নিয়ে সরাসরি মানা করে দেওয়া, দেশটির প্রেসিডেন্টকে সুরক্ষার নামে যুদ্ধর মাঝ থেকে ইউক্রেন থেকে বের করে নিয়ে আসার প্রস্তাব যেনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আরো একবার নির্মম স্বার্থবাদী দেশ হিসেবে আবারো বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে। 

এত কিছুর পরেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহ প্রদান করে চললেও নিজেদের সেনাদের ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানোর ক্ষেত্রে আবারো মানা করে দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কিকে। এর কারণ হিসেবে তিনি তৃতীয় যুদ্ধে বেঁধে যাওয়ার কথা উল্লেখ্য করেন। নিজের এক টুইট বার্তায় বাইডেন বলেন, “পরিষ্কার করে বলতে চাই আমরা ন্যাটো অঞ্চলের প্রতিটি ইঞ্চিতে আমরা তাদের সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করব। আমরা ইউক্রেনে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করব না। ন্যাটো ও রাশিয়া মুখোমুখি অবস্থান নিলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে।“ 

বাইডেন আরও জানান, রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি লড়তে মার্কিন সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি এবং নতুন করে রাশিয়ার অ্যালকোহল, সি ফুড ও হীরা আমদানি নিষিদ্ধের পথে হাঠছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সাথে প্রয়োজনে রাশিয়া থেকে তেল-গ্যাস আমদানি বন্ধের পর স্বাভাবিক বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়ে রাশিয়াকে চাপে ফেলা হবে বলেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে আশ্বস্ত করেছেন বাইডেন। 

আদতে বাইডেন কি নিজেকেই আরেকবার আশ্বস্ত করলেন? গ্রাম-গঞ্জে একটা কথার খুব প্রচলন আছে, ‘খাবারের আগে যাও, মারামারির পরে’। আমেরিকা সহ সমগ্র ইউরোপ খুব ভালো করেই জানে আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে যাওয়া মানেই নিজেদের ঘাড়ে যুদ্ধকে সরাসরি টেনে আনা। কারণ বিশ্বের সবচেয়ে পরমাণু শক্তিধর এবং দ্বিতীয় সামরিক শক্তিধর দেশটিকে নাড়া দেওয়া মানে নিজ দেশের জনগণের উপর এক সাক্ষাৎ জাহান্নাম নামিয়ে আনা। আর তাইতো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশটিও সরাসরি যুদ্ধে না গিয়ে শুধু অর্থনৈতিক যুদ্ধের পথটিই বেছে নিয়েছে নিজের সবচেয়ে বড় শত্রুকে ঘায়েল করতে। আর তাই তো মুখ ফুটে বার বারই একটা কথা বিশ্বকে স্মরণ তিনি করিয়ে চলেছেন ‘আমরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চাই না’।

রাশিয়া   ইউক্রেন   যুদ্ধ   যুক্তরাষ্ট্র   ন্যাটো   ইউরোপ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালাচ্ছে চীন: ব্লিঙ্কেন

প্রকাশ: ০৯:১১ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনে চীন হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তবে অভিযোগ নয় বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রমাণও আছে। এমন দাবি করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) চীন সফরের শেষ দিন মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ অভিযোগ করেন।

তিনদিনের চীন সফরের শেষ দিন গত শুক্রবার বেইজিংয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের কাইলি অ্যাটউডকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে চীনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তোলেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

চীন সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। নানা বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে চলমান টানাপোড়েনের মধ্যেই চীন সফরে গিয়েছিলেন তিনি।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানান, গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। তখনও ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চীন যাতে হস্তক্ষেপ প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা না চালায়— এমন বার্তা সিকে দিয়েছিলেন জো বাইডেন। সে সময় চিন পিং তাঁকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন চীনের পক্ষ থেকে এমন কোনো কাজ করা হবে না।

শুক্রবার সিএননকে দেওয়া সাক্ষাতকারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার ও প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ সংক্রান্ত প্রমাণও ওয়াশিংটনের হাতে এসেছে।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনে চীনের যেকোনো হস্তক্ষেপের বিষয় আমরা খুবই সতর্কতার সঙ্গে নজর রাখছি। এটা আমাদের কাছে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। সেই বার্তা আমি দিয়েছি।’

তবে চীনের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে তারা হস্তক্ষেপ করে না। কারণ অন্য কোনো দেশের কোনো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার নীতি বেইজিং সব সময়ই মেনে চলে।


মার্কিন   পররাষ্ট্রমন্ত্রী   অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন   যুক্তরাষ্ট্র   নির্বাচন   হস্তক্ষেপ   চীন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রা উঠল ৪৫.৮ ডিগ্রিতে

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে পশ্চিমবঙ্গের কলাইকুন্ডায় শনিবার সবচেয়ে বেশি গরম ছিল। আলিপুর আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডায় দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।  

শনিবার দক্ষিণবঙ্গের মাত্র চার জায়গায় তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির নিচে। বাকি সব এলাকায় পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে চলেছে তাপপ্রবাহ। শনিবার দক্ষিণের ৯ জায়গায় হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ। কলকাতাতেও দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। উত্তরবঙ্গের মালদহেও চলেছে তাপপ্রবাহ।

 কলাইকুন্ডার পরেই তাপমাত্রার নিরিখে রাজ্যে দ্বিতীয় পানাগড়। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের হিসাবে সেখানে শনিবার দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। পিছিয়ে নেই মেদিনীপুরও। সেখানে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বর্ধমান, ব্যারাকপুর, ঝাড়গ্রামেও দিনের তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। কৃষ্ণনগর, ক্যানিং, শ্রীনিকেতন, আসানসোল, পুরুলিয়া, সিউড়িতে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। কলকাতায় দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

উলুবেড়িয়া, ডায়মন্ড হারবার, মেদিনীপুর, ক্যানিং, কলাইকুন্ডা, বর্ধমান, পানাগড়, আসানসোল, ব্যারাকপুরে শনিবার ছিল তীব্র তাপপ্রবাহ। তাপপ্রবাহের হাত থেকে বেঁচেছে দক্ষিণের মাত্র তিন জায়গা— উপকূলবর্তী দিঘা, সাগরদ্বীপ এবং বসিরহাট। তিন জায়গাতেই তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে।

উত্তরবঙ্গের মালদহে শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। সেখানে তাপপ্রবাহও চলেছে শনিবার। বালুরঘাটের তাপমাত্রার পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। তবে উত্তরের বাকি এলাকায় তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। দার্জিলিংয়ে দিনের তাপমাত্রা ছিল ২০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। কালিম্পংয়ে ছিল ২৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আবহাওয়া অধিদপ্তর   ভারত   আলিপুর   পশ্চিমবঙ্গ   কলাইকুন্ডায়  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কম্বোডিয়ায় সেনা ঘাঁটিতে বিস্ফোরণে ২০ সেনা নিহত

প্রকাশ: ০৮:৩৫ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কম্বোডিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটিতে গোলাবারুদের গুদামে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।

আল জাজিরার খবর অনুসারে, শনিবার বিকালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে একটি সামরিক ঘাঁটিতে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

বিস্ফোরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী হুন মানেট। ফেসবুকে প্রকাশিত এক পোস্টে হুন মানেট বলেন, আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। কম্বোডিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের কাম্পং স্পিউ প্রদেশের একটি সামরিক ঘাঁটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

নিহত সেনাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে হুম মানেট বলেন, নিহতদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য অর্থ প্রদান করা হবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে ধোঁয়ায় ঢাকা একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত একতলা ভবন দেখা যাচ্ছে। হতাহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নেয়ার দৃশ্যও উঠে এসেছে ছবিতে। এছাড়া গ্রামের বাসিন্দারাও তাদের ঘরের ভাঙা জানালার ছবিও অনলাইনে শেয়ার করছেন।


কম্বোডিয়ায়   সেনা ঘাঁটি   বিস্ফোরণ   নিহত ২০  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে হিজবুল্লাহর হামলা

প্রকাশ: ০৮:২১ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উত্তরাঞ্চলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করেছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা লেবানন থেকে আসা একটি ‘সন্দেহজনক আকাশযান’ গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এই আকাশযান (ড্রোন) উত্তর ইসরায়েলের মানারা এলাকার দিকে যাচ্ছিল।

হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা উত্তর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন এবং গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। বেসামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলায় তাদের দুই সদস্যসহ তিনজন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে তারা এই হামলা চালিয়েছে।

এক বিবৃতিতে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, তারা আল মানারা সামরিক কমান্ডের সদর দফতর এবং গোলানি ব্রিগেডের ৫১তম ব্যাটালিয়নের বাহিনীকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরক ড্রোন ও গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে একটি কঠিন হামলা চালিয়েছে।

৭ অক্টোবর থেকে হিজবুল্লাহ ও দক্ষিণ লেবাননে তাদের মিত্রদের সঙ্গে নিয়মিতভাবেই ইসরায়েলের গোলা বিনিময় চলছে। ধাপে ধাপে পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতাও বাড়ছে।

এদিকে হামাসের সামরিক শাখা দুইজন ইসরায়েলি বন্দীর একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওতে জিম্মি ব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের কাছে ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়ে তাদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর দাবি জানিয়েছে। তারা গাজায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ নিয়েও সতর্ক করেছে।


ইসরায়েল   উত্তরাঞ্চল   হিজবুল্লাহ   হামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে হামাস

প্রকাশ: ০৮:১৫ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কাতার ও মিশরের মাধ্যমে হামাসের কাছে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠিয়েছে ইসরায়েল। হামাস জানিয়েছে, এ প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে তারা। এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে।

শনিবার ( ২৭ এপ্রিল ) ইসরায়েলের যুদ্ধিবিরতির প্রস্তাব প্রসঙ্গে হামাসের উপপ্রধান খলিল আল-হাইয়া বলেন, ‘ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি আমাদের কাছে পৌঁছেছে। গত ১৩ এপ্রিল তারা কাতার ও মিশরের মাধ্যমে এ প্রস্তাবটি পাঠিয়েছে। আমরা প্রস্তাবটি খতিয়ে দেখছি ও পর্যালোচনা করছি। পর্যালোচনা শেষে আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরব।’

এর আগে গত ১৩ এপ্রিলেই হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, জিম্মি মুক্তির শর্তে তারা স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চায়। কিন্তু ইসরায়েল তখন রাজি হয়নি।

এখন আবার নতুন করে যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু হয়েছে। যুদ্ধবিরতির আলোচনায় মধ্যস্থতা করতে এরই মধ্যে ইসরায়েলে পৌঁছেছেন মিশরের একটি প্রতিনিধিদল। এ সংক্রান্ত আলোচনা করতে সৌদি আরবে গেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বিশেষ সম্মেলনে যোগ দিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনসহ বিভিন্ন দেশের নেতা সেখানে যাচ্ছেন। সেখানেও গাজা যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক মহল থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জোরালো হচ্ছে। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে গাজা। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি না হলে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে সেখানে দুর্ভিক্ষ শুরু হবে।
এদিকে গাজায় এখনো হামলা অব্যাহত রেখে ইসরায়েল। গত শুক্র ও শনিবারেও রাফাহ এলাকায় হামলা চালিয়েছে তারা। রাফাহর একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমার মা, বাবা, আমার মেয়ে, দুই ছেলে—সবাই মরা গেছে। এই দুনিয়ায় আমার আর কেউ নেই। ওরা (ইসরায়েলি বাহিনী) আমার বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।’

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার এবং ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, রাফাহ এলাকার মানবিক সংকট ইতিমধ্যেই গুরুতর। এর মধ্যে সেখানে ইসরায়েল অভিযান চালালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

তবে ইসরায়েল সেখানে নির্বিচার অভিযান চালানোর ব্যাপারে এখনো অটল। গতকাল থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৩২ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। এ নিয়ে গত ছয় মাসের যুদ্ধে ৩৪ হাজার ৩৮৮ জন ফিলিস্তিনি মারা গেলেন।



ইসরায়েল   প্রস্তাব   হামাস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন