ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরাক-জর্ডানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই

প্রকাশ: ১০:২২ এএম, ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশোধমূলক হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে জর্ডান। সম্প্রতি ইরাক ও সিরিয়ায় এই প্রতিশোধমূলক হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া বাগদাদ সরকারের সাথে সমন্বয় করে ওয়াশিংটন এই হামলা চালিয়েছে বলে যে দাবি করা হয়েছিল, সেটিও অস্বীকার করেছে ইরাক।

গত সপ্তাহে জর্ডানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার জবাবে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনী ও তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত মিলিশিয়াদের ৮৫টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে এই হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন এই হামলায় ইরাক ও সিরিয়ায় ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু ও তাস।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার ইরাকে সর্বশেষ মার্কিন হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আগে থেকেই কোনও ধরনের সমন্বয়ের কথা অস্বীকার করেছে বাগদাদ।

ইরাকি সরকারের মুখপাত্র বাসেম আল-আওয়াদি বলেছেন, ওই হামলার সময় আমেরিকান যুদ্ধবিমানগুলো আকাশাত এবং আল-কাইম অঞ্চলে ইরাকি ঘাঁটি ও কাছাকাছি বেসামরিক এলাকাগুলোতে বোমাবর্ষণ করে।

ইরাকি নিউজ এজেন্সি (আইএনএ) আল-আওয়াদির বরাত দিয়ে বলেছে, ‘এটি করার মাধ্যমে, আমেরিকান প্রশাসন ইরাকের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে নতুন আগ্রাসন শুরু করেছে।’

তিনি বলেছেন, ‘এই নির্লজ্জ আগ্রাসনের ফলে বেসামরিক নাগরিকসহ ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া হামলায় ২৫ জন আহত হওয়ার পাশাপাশি আবাসিক ভবন ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি ও লোকসান হয়েছে।’

তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে ‘এই আগ্রাসন পরিচালনা করার আগে সমন্বয় করা হয়েছে বলে ঘোষণা করে’ প্রতারণা করার জন্যও অভিযুক্ত করেছেন।

মূলত জর্ডানে ড্রোন হামলায় তিনজন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র গত শুক্রবার ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পসের কুদস ফোর্স এবং ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালায়।

ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুক্রবার রাতের ওই হামলায় সব মিলিয়ে ৮৫টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে ১২৫টিরও বেশি নির্ভুল অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।

ইরাকের ইরান-সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠী নুজাবা মুভমেন্টের সাথে সম্পৃক্ত একটি টেলিগ্রাম পোস্ট অনুসারে, পশ্চিম ইরাকে মার্কিন হামলায় হাশদ আল-শাবি শিয়া মিলিশিয়া বাহিনীর একটি অস্ত্রের ডিপোতে শুক্রবার গভীর রাতে হামলা হয়েছে।

পৃথক প্রতিবেদনে রুশ বার্তাসংস্থা তাস জানিয়েছে, ইরাকে মার্কিন হামলায় তাদের বিমান বাহিনীর জড়িত থাকার খবর অস্বীকার করেছে জর্ডান। এমনকি দেশটির এক সামরিক কর্মকর্তা এই ‘অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন’।

জর্ডানের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল কমান্ডের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, রয়্যাল জর্ডানিয়ান এয়ার ফোর্স গত রাতে ইরাকে মার্কিন বাহিনীর পরিচালিত বিমান হামলায় অংশ নেয়নি।

জর্ডানিয়ান নিউজ এজেন্সি (পেট্রা) তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই ধরনের ‘অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন’ ওই সামরিক কর্মকর্তা।


ইরাক   যুক্তরাষ্ট্র   মধ্যপ্রাচ্য   মধ্যপ্রাচ্য সংকট   বিশ্ব সংবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রা উঠল ৪৫.৮ ডিগ্রিতে

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে পশ্চিমবঙ্গের কলাইকুন্ডায় শনিবার সবচেয়ে বেশি গরম ছিল। আলিপুর আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডায় দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।  

শনিবার দক্ষিণবঙ্গের মাত্র চার জায়গায় তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির নিচে। বাকি সব এলাকায় পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে চলেছে তাপপ্রবাহ। শনিবার দক্ষিণের ৯ জায়গায় হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ। কলকাতাতেও দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। উত্তরবঙ্গের মালদহেও চলেছে তাপপ্রবাহ।

 কলাইকুন্ডার পরেই তাপমাত্রার নিরিখে রাজ্যে দ্বিতীয় পানাগড়। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের হিসাবে সেখানে শনিবার দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। পিছিয়ে নেই মেদিনীপুরও। সেখানে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বর্ধমান, ব্যারাকপুর, ঝাড়গ্রামেও দিনের তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। কৃষ্ণনগর, ক্যানিং, শ্রীনিকেতন, আসানসোল, পুরুলিয়া, সিউড়িতে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। কলকাতায় দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

উলুবেড়িয়া, ডায়মন্ড হারবার, মেদিনীপুর, ক্যানিং, কলাইকুন্ডা, বর্ধমান, পানাগড়, আসানসোল, ব্যারাকপুরে শনিবার ছিল তীব্র তাপপ্রবাহ। তাপপ্রবাহের হাত থেকে বেঁচেছে দক্ষিণের মাত্র তিন জায়গা— উপকূলবর্তী দিঘা, সাগরদ্বীপ এবং বসিরহাট। তিন জায়গাতেই তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে।

উত্তরবঙ্গের মালদহে শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। সেখানে তাপপ্রবাহও চলেছে শনিবার। বালুরঘাটের তাপমাত্রার পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। তবে উত্তরের বাকি এলাকায় তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। দার্জিলিংয়ে দিনের তাপমাত্রা ছিল ২০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। কালিম্পংয়ে ছিল ২৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আবহাওয়া অধিদপ্তর   ভারত   আলিপুর   পশ্চিমবঙ্গ   কলাইকুন্ডায়  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কম্বোডিয়ায় সেনা ঘাঁটিতে বিস্ফোরণে ২০ সেনা নিহত

প্রকাশ: ০৮:৩৫ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কম্বোডিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটিতে গোলাবারুদের গুদামে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।

আল জাজিরার খবর অনুসারে, শনিবার বিকালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে একটি সামরিক ঘাঁটিতে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

বিস্ফোরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী হুন মানেট। ফেসবুকে প্রকাশিত এক পোস্টে হুন মানেট বলেন, আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। কম্বোডিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের কাম্পং স্পিউ প্রদেশের একটি সামরিক ঘাঁটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

নিহত সেনাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে হুম মানেট বলেন, নিহতদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য অর্থ প্রদান করা হবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে ধোঁয়ায় ঢাকা একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত একতলা ভবন দেখা যাচ্ছে। হতাহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নেয়ার দৃশ্যও উঠে এসেছে ছবিতে। এছাড়া গ্রামের বাসিন্দারাও তাদের ঘরের ভাঙা জানালার ছবিও অনলাইনে শেয়ার করছেন।


কম্বোডিয়ায়   সেনা ঘাঁটি   বিস্ফোরণ   নিহত ২০  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে হিজবুল্লাহর হামলা

প্রকাশ: ০৮:২১ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উত্তরাঞ্চলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করেছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা লেবানন থেকে আসা একটি ‘সন্দেহজনক আকাশযান’ গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এই আকাশযান (ড্রোন) উত্তর ইসরায়েলের মানারা এলাকার দিকে যাচ্ছিল।

হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা উত্তর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন এবং গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। বেসামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলায় তাদের দুই সদস্যসহ তিনজন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে তারা এই হামলা চালিয়েছে।

এক বিবৃতিতে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, তারা আল মানারা সামরিক কমান্ডের সদর দফতর এবং গোলানি ব্রিগেডের ৫১তম ব্যাটালিয়নের বাহিনীকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরক ড্রোন ও গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে একটি কঠিন হামলা চালিয়েছে।

৭ অক্টোবর থেকে হিজবুল্লাহ ও দক্ষিণ লেবাননে তাদের মিত্রদের সঙ্গে নিয়মিতভাবেই ইসরায়েলের গোলা বিনিময় চলছে। ধাপে ধাপে পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতাও বাড়ছে।

এদিকে হামাসের সামরিক শাখা দুইজন ইসরায়েলি বন্দীর একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওতে জিম্মি ব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের কাছে ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়ে তাদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর দাবি জানিয়েছে। তারা গাজায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ নিয়েও সতর্ক করেছে।


ইসরায়েল   উত্তরাঞ্চল   হিজবুল্লাহ   হামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে হামাস

প্রকাশ: ০৮:১৫ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কাতার ও মিশরের মাধ্যমে হামাসের কাছে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠিয়েছে ইসরায়েল। হামাস জানিয়েছে, এ প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে তারা। এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে।

শনিবার ( ২৭ এপ্রিল ) ইসরায়েলের যুদ্ধিবিরতির প্রস্তাব প্রসঙ্গে হামাসের উপপ্রধান খলিল আল-হাইয়া বলেন, ‘ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি আমাদের কাছে পৌঁছেছে। গত ১৩ এপ্রিল তারা কাতার ও মিশরের মাধ্যমে এ প্রস্তাবটি পাঠিয়েছে। আমরা প্রস্তাবটি খতিয়ে দেখছি ও পর্যালোচনা করছি। পর্যালোচনা শেষে আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরব।’

এর আগে গত ১৩ এপ্রিলেই হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, জিম্মি মুক্তির শর্তে তারা স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চায়। কিন্তু ইসরায়েল তখন রাজি হয়নি।

এখন আবার নতুন করে যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু হয়েছে। যুদ্ধবিরতির আলোচনায় মধ্যস্থতা করতে এরই মধ্যে ইসরায়েলে পৌঁছেছেন মিশরের একটি প্রতিনিধিদল। এ সংক্রান্ত আলোচনা করতে সৌদি আরবে গেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বিশেষ সম্মেলনে যোগ দিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনসহ বিভিন্ন দেশের নেতা সেখানে যাচ্ছেন। সেখানেও গাজা যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক মহল থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জোরালো হচ্ছে। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে গাজা। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি না হলে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে সেখানে দুর্ভিক্ষ শুরু হবে।
এদিকে গাজায় এখনো হামলা অব্যাহত রেখে ইসরায়েল। গত শুক্র ও শনিবারেও রাফাহ এলাকায় হামলা চালিয়েছে তারা। রাফাহর একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমার মা, বাবা, আমার মেয়ে, দুই ছেলে—সবাই মরা গেছে। এই দুনিয়ায় আমার আর কেউ নেই। ওরা (ইসরায়েলি বাহিনী) আমার বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।’

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার এবং ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, রাফাহ এলাকার মানবিক সংকট ইতিমধ্যেই গুরুতর। এর মধ্যে সেখানে ইসরায়েল অভিযান চালালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

তবে ইসরায়েল সেখানে নির্বিচার অভিযান চালানোর ব্যাপারে এখনো অটল। গতকাল থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৩২ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। এ নিয়ে গত ছয় মাসের যুদ্ধে ৩৪ হাজার ৩৮৮ জন ফিলিস্তিনি মারা গেলেন।



ইসরায়েল   প্রস্তাব   হামাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কেন আত্মহত্যা করতে গেছেন বাইডেন?

প্রকাশ: ১০:৪২ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জীবনে আত্মহত্যা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে গিয়ে অনেকেই হয়েছেন হতাশা, ব্যর্থতা কিংবা গ্লানির তিক্ততায়ও আত্মহত্যা করার মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এমন আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু অনেকটা নাটকীয়ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। যা অনেকের কাছে অনুপ্রেরণার।

জো বাইডেন ১৯৪২ সালের ২০ নভেম্বর জন্ম নিয়েছেন। শুরুতে আইনজীবী হিসেবে তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। ১৯৬৬ সালে প্রথমবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তার প্রথম স্ত্রীর নাম ছিল নেইলিয়া হান্টার। এই দম্পতির তিন সন্তান ছিল জোসেফ, রবার্ট হান্টার এবং নাওমি ক্রিস্টিনা অ্যামি।

এরপর ১৯৭২ সালে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় বাইডেনের স্ত্রী এবং কন্যা নিহত হন। দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে বিউ এবং হান্টারও ছিলেন, তবে তাদের আঘাত গুরুতর না হওয়ায় বেঁচে যান তারা। কাকতালীয়ভাবে ওই বছরই মার্কিন পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্য নির্বাচিত হন বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বাইডেনই সবচেয়ে কম বয়সে সিনেটর নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড গড়েন। মাত্র ৩০ বছর বয়সে সিনেট সদস্য হন তিনি।

তবে পৃথিবীর অন্য অনেক সাধারণ মানুষের মতো জো বাইডেনও ওই সময় আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। সম্প্রতি বিখ্যাত মার্কিন সাংবাদিক হাওয়ার্ড স্টার্নকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেই।

বাইডেন বলেন, তার প্রথম স্ত্রী নিহত হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। সারাক্ষণ বিষণ্ন থাকতেন। এক রাতে মদ্যপ অবস্থায় তার মনে হয়েছিল এই জীবনের কোনো অর্থ নেই। এ কথা মনে হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ডেলাওয়্যার মেমোরিয়াল ব্রিজের উদ্দেশে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে পড়েন বাইডেন। এরপর ব্রিজের ওপর থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে চান।

‘কিন্তু ব্রিজে পৌঁছানোর পর হঠাৎ তার মনে হলো, তার আরও দুটি ছোট সন্তান আছে। যদি তিনি আত্মহত্যা করেন, তাহলে তাদের দেখাশোনা করার কেউ থাকবে না। সন্তানদের মুখ চোখের সামনে ভেসে ওঠামাত্র বাইডেন গাড়ি ঘুরিয়ে ফেলেন। ফিরে আসেন বাড়িতে। এরপর ১৯৭৮ সালে জিল ট্রেসি জ্যাকবকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর তার নাম হয় জিল বাইডেন।

বাইডেন বলেন, ‘আসলে প্রত্যেক মানুষের জীবনেই এমন মুহূর্ত আসে, যখন তার আত্মহত্যা করার প্রবল ইচ্ছে জাগে। কিন্তু ওই সময়টায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় এবং বলতে হয়, আত্মহত্যা হলো সবচেয়ে বোকামি কাজ।

সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত দুই ছেলে বিউ এবং হান্টারকে একাই বড় করেছেন তিনি। পাশাপাশি সিনেটর হিসেবে রাজনৈতিক দায়িত্বও পালন করেছেন।


জো বাইডেন   আত্মহত্যা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন