গণপরিবহনে ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু হবার পর সড়ক পরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য ঠেকাতে মাঠে নেমেছে বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমান আদালত। এদিন হঠাৎই ভ্রাম্যমান আদালত পরিদর্শনে আসেন সড়ক ও মহাসড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। এ সময় যে সমস্ত পরিবহনের বিরুদ্ধে ভাড়া নৈরাজ্য নিয়ে অভিযোগ পাওয়া যায়, সে সমস্ত পরিবহন মালিকদের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
রোববার (৫ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে বিআরটিএ’র নির্বাহী মেজিস্ট্রেট সমর কুমার পালের নেতৃত্বে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। এ সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে বিভিন্ন পরিবহনকে জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, আমরা এসে যা দেখলাম। প্রতিটি গাড়িতেই টিকেট দিয়ে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। যেসব গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, তাদেরকে আমরা অফিসে ডাকতেছি। তাদের সাথে কথা বলছি। তবে এটা দেখুন, দীর্ঘ বহু বছর পরে আমরা এ সিস্টেমটা চালু করেছি। এটা ১০০ ভাগ ঠিক করতে আরও কিছু সময় লাগবে। আমাদের টিম রাস্তায় কাজ করতেছে, আমি নিজে রাস্তায় কাজ করতেছি। আগে আমাদের রাস্তায় ৯ জন চেকার ছিল, এখন আরও ১০ জন যোগ করা হয়েছে। টোটাল ১৯ জন চেকার রাস্তায় কাজ করছে- পদ্ধতিটাকে ঠিক করার জন্য।
তিনি বলেন, যে কয়টা গাড়িতে জিজ্ঞাসা করলাম যাত্রীরা বললেন,ঠিক আছে। যাত্রীরা ১০০ ভাগ সন্তুষ্ট। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করা। আগে ছিল গেইটলক সার্ভিস, সিটিং সার্ভিস, এগুলো সব আমরা বন্ধ করেছি। এসব আমাদের অভিযানের ফসল। এই অতিরিক্ত ভাড়াও বন্ধ হবে বলে আমরা আশা করছি। গণপরিবহনে যেন অতিরিক্ত ভাড়া কেউ না নিতে পারে, সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, যে পরিবহনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে (বিকাশ পরিবহন) সে পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এখানে আছেন। আমরা উনাকে মৌখিকভাবে বলেছি, অফিসিয়ালি বলেছি। এখানে কাউকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এই জায়গাটাতে আমাদের জিরো টলারেন্স।
এ সময় সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এয়ারপোর্ট পরিবহন মাত্র দুইদিন আগে শুরু হলো, ঢাকা শহরে অতীতে যে স্টপিজগুলো ছিল, সেখানে কোনো মাইলেজ ছিল না। আমরা রাস্তা মেপে মেশিনে মাইলেজ ইমপোর্ট দিয়ে দিয়েছি। ৬/৭ দিন যাবৎ এ কাজটি চলছিল, এখন যদি বিআরটিএ অনুমোদন দেয় তাহলেই এটা চালু হবে। কত কিলোমিটারে কত টাকা ভাড়া, অতীতে বিআরটিএ যে চার্ট দিয়েছিল, সেখানে ছিল না। আমরা এটা করছি। বিআরটিএ অনুমতি দিয়ে দিলেই আমরা ওটা মাইলেজে ভাড়াটা দিয়ে দিব। ভাড়ার সাথে কত কিলোমিটার যাবে সেটাও উল্লেখ থাকবে।
গণপরিবহন ভাড়া নৈরাজ্য খন্দকার এনায়েত উল্লাহ কড়া নির্দেশনা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ডা. সামন্ত লাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ঢাকা-৪ ড. আওলাদ হোসেন জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীলতা, বাজার ব্যবস্থাপনায় অসামঞ্জস্যতা এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সূত্রে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়ার শঙ্কা থাকে। এছাড়া, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে পণ্য সরবরাহের সাপ্লাই-চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে মূলত ইরান বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট পরিবহন খরচ বাড়তে পারে। এতে পণ্য তৈরি ও সরবরাহ ব্যয় বাড়ায় রপ্তানিকারকরা কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে পারেন।’
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের আশঙ্কার বিষয়ে দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দেশ দিয়েছি যাতে প্রত্যেকে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখে এবং এ বিষয়ে নিজ নিজ করণীয় নির্ধারণ করে। সংঘাত দীর্ঘ হলে কোন কোন সেক্টরে প্রভাব পড়তে পারে তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো সংঘাত বা সংঘাতের খবর জ্বালানি তেলের বাজারকে প্রভাবিত করে। এতে পণ্যের জাহাজ ভাড়া বাড়ে। যা আমদানি ব্যয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। সার আমদানি ব্যয়ে প্রভাব পড়ে। এতে বিকল্প উৎস হিসেবে চীন, মরক্কো, তিউনেশিয়া, কানাডা, রাশিয়া ইত্যাদি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সংকট আরও ঘনীভূত ও দীর্ঘায়িত হলে তা বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ
মন্তব্য করুন
ভোটের বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, দিনাজপুরের হাকিমপুরে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কামাল হোসেন ২২ হাজার ২৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ টেলিফোন প্রতীকে ১৯ হাজার ৩৭৮ ভোট পেয়েছেন।
সারা জীবন চাকরি করছেন। চাকরি করলেও তিনি একজন ভিশনারি সরকারি চাকুরে ছিলেন। একটা লক্ষ্যে সারা জীবন নিজেকে নিবেদিত করেছেন। একটা লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তিনি জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। মানবসেবাই তাঁর ব্রত। বাংলাদেশে দগ্ধ মানুষের জন্য তিনি একজন ত্রাতা এবং দগ্ধ মানুষের চিকিৎসার জন্য তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বে সমাদৃত। একজন মানবিক চিকিৎসকের প্রতিরূপ তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’