বাংলাদেশে ১১ জুলাই তিন দিনের সফর শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। এর নেতৃত্বে থাকছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বেসামরিক নিরাপত্তা বিষয়ক আন্ডার-সেক্রেটারি উজরা জেয়া। তাঁর সঙ্গে থাকবেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। চার সদস্যের মার্কিন প্রতিনিধি দলে আরও থাকছেন একান্ত বিশেষ সহকারী ও অন্যজন স্টাফ সহকারী। সফরে তাঁরা ঢাকার বাইরে কক্সবাজারে কাটাবেন গোটা একটি দিন। সেখানে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে দেখবেন।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, মার্কিন প্রতিনিধি দলের সফরে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রম অধিকারের মতো বিষয়গুলোকেই জোর দেওয়া হচ্ছে। সেভাবেই সফরের সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। সফরে প্রতিনিধি দলটি পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রীসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবে।
সেই সঙ্গে নিহত শ্রমিকনেতা শহিদুল ইসলাম ইস্যুতে তাঁর সহকর্মী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলবেন তাঁরা। সফরের দ্বিতীয় দিন ১২ জুলাই তাঁরা সকালে চলে যাবেন কক্সবাজারে। দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে সরাসরি আলাপচারিতার বাইরে নিউট্রিশন সেন্টার, কালচারাল মেমোরি সেন্টার ঘুরে দেখবেন ও কক্সবাজারে কর্মরত প্রায় সব আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে বিকালে ঢাকায় ফিরবেন আন্ডার-সেক্রেটারি উজরা জেয়া ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু।
যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কর্মকর্তা উজরা জেয়া মূলত বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ, সর্বজনীন মানবাধিকারের অগ্রগতি, উদ্বাস্তু ও মানবিক ত্রাণকে সমর্থন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মাদকবিরোধী সহযোগিতা, দুর্নীতি ও অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে লড়াই, সশস্ত্র সংঘাত প্রতিরোধ ও মানব পাচার দূর করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এর আগে তাঁর সমমানের কর্মকর্তা মার্কিন রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার-সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড গত বছরের ১৯-২৩ মার্চ ঢাকা সফরে এসেছিলেন।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক রাজনৈতিক ও অন্যান্য বিষয়ের প্রধান দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। এ অঞ্চলের দেশগুলোর বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে রয়েছে। ডোনাল্ড লু চলতি বছরের জানুয়ারিতে সর্বশেষ ঢাকায় এসেছিলেন। ওই সফরে সম্পর্কোন্নয়নের ঘোষণা দিয়ে ঢাকা ছেড়েছিলেন তিনি। পরে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতির পর এ নীতির সরাসরি ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে ডোনাল্ড লু বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশ একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক দেশ, যেটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি রাখে।’
মার্কিন প্রতিনিধি দল গণতন্ত্র মানবাধিকার শ্রম অধিকার বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ডা. সামন্ত লাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ঢাকা-৪ ড. আওলাদ হোসেন জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীলতা, বাজার ব্যবস্থাপনায় অসামঞ্জস্যতা এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সূত্রে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়ার শঙ্কা থাকে। এছাড়া, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে পণ্য সরবরাহের সাপ্লাই-চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে মূলত ইরান বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট পরিবহন খরচ বাড়তে পারে। এতে পণ্য তৈরি ও সরবরাহ ব্যয় বাড়ায় রপ্তানিকারকরা কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে পারেন।’
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের আশঙ্কার বিষয়ে দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দেশ দিয়েছি যাতে প্রত্যেকে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখে এবং এ বিষয়ে নিজ নিজ করণীয় নির্ধারণ করে। সংঘাত দীর্ঘ হলে কোন কোন সেক্টরে প্রভাব পড়তে পারে তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো সংঘাত বা সংঘাতের খবর জ্বালানি তেলের বাজারকে প্রভাবিত করে। এতে পণ্যের জাহাজ ভাড়া বাড়ে। যা আমদানি ব্যয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। সার আমদানি ব্যয়ে প্রভাব পড়ে। এতে বিকল্প উৎস হিসেবে চীন, মরক্কো, তিউনেশিয়া, কানাডা, রাশিয়া ইত্যাদি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সংকট আরও ঘনীভূত ও দীর্ঘায়িত হলে তা বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ
মন্তব্য করুন
ভোটের বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, দিনাজপুরের হাকিমপুরে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কামাল হোসেন ২২ হাজার ২৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ টেলিফোন প্রতীকে ১৯ হাজার ৩৭৮ ভোট পেয়েছেন।
সারা জীবন চাকরি করছেন। চাকরি করলেও তিনি একজন ভিশনারি সরকারি চাকুরে ছিলেন। একটা লক্ষ্যে সারা জীবন নিজেকে নিবেদিত করেছেন। একটা লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তিনি জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। মানবসেবাই তাঁর ব্রত। বাংলাদেশে দগ্ধ মানুষের জন্য তিনি একজন ত্রাতা এবং দগ্ধ মানুষের চিকিৎসার জন্য তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বে সমাদৃত। একজন মানবিক চিকিৎসকের প্রতিরূপ তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’