পচাঁত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর আওয়ামী লীগ প্রতিবাদ করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নিয়ে একাধিক তার আক্ষেপের কথা প্রকাশ্যে বলেছেন। প্রায় প্রতিবছর আগস্টে এলে তিনি এ কথা পুনরাবৃত্তি করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আক্ষেপ করে বলেন, আওয়ামী লীগ এত বড় একটি দল, এত নেতা কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যার পর কোন প্রতিবাদ হল না কেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রতিবাদ হয়েছিল বটে তবে সেটা আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে প্রতিবাদ হয়েছে বিক্ষিপ্তভাবে। বিভিন্ন জেলা, বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে কিন্তু নেতৃত্ব সীমাহীন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছিল। শুধু রাজনৈতিক ব্যর্থতাই ছিল না, ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে আরও অনেকে। সেনাবাহিনী সহ সশস্ত্র বাহিনী তিন বাহিনী সে সময় চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন কে এম সফিউল্লাহ। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সেনাবাহিনী প্রধান কে এম সফিউল্লাহ ও বিমানবাহিনী প্রধান এ কে খন্দকারকে লাল টেলিফোনে ফোন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে উদ্ধার এবং তার খুনিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিলেও সেটা তারা পালন করেনি।
সে সময়কার বাংলাদেশ রাইফেলসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মুহাম্মদ খলিলুর রহমানও চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেন। হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ বেতারে নতুন সরকারের প্রতি আনুগত্যের প্রতিশ্রুতির ঘোষণা দেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী চার জাতীয় নেতাকে জেল হত্যাকাণ্ড ঘটার পর তৎকালীন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) মেজর জেনারেল এম খলিলুর রহমান খবর পান। কিন্তু তিনি খালেদ-শাফায়েতদের এই তথ্য জানান নাই। খুনী মেজরকূল ব্যাংককে পার হয়ে যাবার পর খালেদ-শাফায়েতরা জেল হত্যাকাণ্ডের কথা যখন জানতে পারেন তখন এই ব্যাপারে জেনারেল খলিলকে প্রশ্ন করলে তিনি নিরুত্তর থাকেন।
রক্ষীবাহিনীর ভূমিকাও হতাশাজনক। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ক্যাপ্টেন মনসুর আলী আইজিপিকে নির্দেশ দিলেও তারা সেদিন কোন উদ্যোগ নেয়নি। খুনি মেজর চক্র যে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়েছিল তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছিল সেনাপ্রধান সহ সশস্ত্র বাহিনীর তিন প্রধান। শুধু তাই নয়, এই সময় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যারা ছিলেন তারা তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছিল।
সেনাবাহিনী শুধু নয়, রক্ষীবাহিনীও দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। এ সময় কাপুরুষতার পরিচয় দিয়েছিল প্রশাসনও। সে সময় মন্ত্রিসভার সচিব ছিলেন এইচ টি ইমাম। এইচ টি ইমাম মন্ত্রি পরিষদের সচিব থাকাকালীন তিনি খুনি মোশতাকের মন্ত্রিসভায় শপথ বাক্য পাঠ করেছিলেন। এটা একটা সীমাহীন ব্যর্থতাই শুধু নয়, কাপুরুষতার অন্যতম একটি নজিরও বটে। সে সময় বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব ছিলেন তোফায়েল আহমেদ। তোফায়েল আহমেদের ভূমিকাও সাহসিকতার পরিচয় বহন করেনি। তিনিও যথা সময়ে সঠিক ভূমিকা পালন করতে পারেননি।
এদিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে জাতীয় চার নেতা আটক হয়েছিলেন অথবা গৃহ অন্তরীণ ছিলেন। কাজেই তারা প্রতিবাদ করার সুযোগ পাননি। কিন্তু অন্যান্য নেতারা তাদের দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। বরং এটি আওয়ামী লীগের জন্য একটি হতাশার উদাহরণ। কারণ বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার অধিকাংশ সদস্য খুনি মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছিলেন। কাজেই আগস্ট ব্যর্থতার জন্য একটি নিমোর্হ তদন্ত দরকার। কার কি ভূমিকা ছিল, কার কি অযোগ্যতা ছিল তা খুঁজে বের করার দরকার। তবে মোটা দাগে যারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তাদের কাপুরুষিকতার ভূমিকা আগস্টের কলঙ্ককে আরও গাঢ় করেছে।
১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ডা. সামন্ত লাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ঢাকা-৪ ড. আওলাদ হোসেন জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীলতা, বাজার ব্যবস্থাপনায় অসামঞ্জস্যতা এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সূত্রে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়ার শঙ্কা থাকে। এছাড়া, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে পণ্য সরবরাহের সাপ্লাই-চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে মূলত ইরান বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট পরিবহন খরচ বাড়তে পারে। এতে পণ্য তৈরি ও সরবরাহ ব্যয় বাড়ায় রপ্তানিকারকরা কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে পারেন।’
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের আশঙ্কার বিষয়ে দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দেশ দিয়েছি যাতে প্রত্যেকে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখে এবং এ বিষয়ে নিজ নিজ করণীয় নির্ধারণ করে। সংঘাত দীর্ঘ হলে কোন কোন সেক্টরে প্রভাব পড়তে পারে তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো সংঘাত বা সংঘাতের খবর জ্বালানি তেলের বাজারকে প্রভাবিত করে। এতে পণ্যের জাহাজ ভাড়া বাড়ে। যা আমদানি ব্যয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। সার আমদানি ব্যয়ে প্রভাব পড়ে। এতে বিকল্প উৎস হিসেবে চীন, মরক্কো, তিউনেশিয়া, কানাডা, রাশিয়া ইত্যাদি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সংকট আরও ঘনীভূত ও দীর্ঘায়িত হলে তা বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ
মন্তব্য করুন
ভোটের বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, দিনাজপুরের হাকিমপুরে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কামাল হোসেন ২২ হাজার ২৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ টেলিফোন প্রতীকে ১৯ হাজার ৩৭৮ ভোট পেয়েছেন।
সারা জীবন চাকরি করছেন। চাকরি করলেও তিনি একজন ভিশনারি সরকারি চাকুরে ছিলেন। একটা লক্ষ্যে সারা জীবন নিজেকে নিবেদিত করেছেন। একটা লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তিনি জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। মানবসেবাই তাঁর ব্রত। বাংলাদেশে দগ্ধ মানুষের জন্য তিনি একজন ত্রাতা এবং দগ্ধ মানুষের চিকিৎসার জন্য তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বে সমাদৃত। একজন মানবিক চিকিৎসকের প্রতিরূপ তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’