রাজধানীর মোহাম্মদপুর
ও ধানমন্ডি এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে
র্যাব।
গ্রেফতারকৃতরা
হলো - মো. নান্নু (৪১), শাহজালাল শিকদার (৫০), আমির হাসান (২৫)। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়
অভিযান চালিয়ে গত ৭ নভেম্বর থেকে ৯ নভেম্বরের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার (১১
নভেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (এএসপি) শিহাব করিম এ তথ্য
নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন,
রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রাজধানীর
বিভিন্ন স্থান থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে
মো. নান্নুকে (৪১) সাভার থানার দক্ষিণ রাজাসন এলাকা, শাহজালাল শিকদারকে (৫০) রাজধানীর
শ্যামলী এলাকা এবং আমির হাসানকে (২৫) রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
শিহাব করিম
আরও বলেন, গত পহেলা নভেম্বর নান্নু ও শাহজালাল শিকদারসহ তাদের সহযোগীরা মোহাম্মদপুর
থানার শ্যামলী রোড এলাকায় পুলিশ বক্সের সামনে অবরোধ করে যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের
ঘটনা ঘটায়। দেশীয় ধারালো অস্ত্র হামলা করে সাধারণ মানুষ ও দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীদের
জখম করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায়। এই ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা
আইনে একটি মামলা দায়ের হয়। এই মামলায় আসামি নান্নু ও শাহজালাল শিকদারকে গ্রেফতার করা
হয়।
এছাড়া গত ৮
নভেম্বর আমির হাসান তার সহযোগী রাজধানীর ধানমন্ডি থানার জিগাতলা রোডে যাত্রীবাহী বাসে
অগ্নিসংযোগ করে। এই ঘটনায় রাজধানীর ধানমন্ডি মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলা
দায়ের হয়। মামলায় আসামি আমির হাসানকে গ্রেফতার করা হয়।
তাদের
বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট থানায়
হস্তান্তর করা হয়েছে বলে
জানান র্যাব কর্মকর্তা।
বাসে আগুন গ্রেফতার যাত্রীবাহী বাস
মন্তব্য করুন
লালমনিরহাট থেকে ঢাকাগামী বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি
লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) ভোরে পাবনার ঈশ্বরদীতে মুলাডুলি স্টেশনে এ বগি
লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে। রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন।
জানা গেছে, ঢাকাগামী বুড়িমারী এক্সপ্রেসের একটি শোভন চেয়ার কোচের
দুইটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এরই মধ্যে এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা
হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেনকে আহ্বায়ক করে
বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) মো. মোমতাজুল ইসলাম ও বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল
মণ্ডল। ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করবেন তারা।
এদিকে ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনায় পদ্মা, লালমনি, পঞ্চগড়, চিত্রা,
নীলসাগর, একতা ও রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
লাইনচ্যুত ট্রেন বগি উত্তরবঙ্গ রেল যোগাযোগ
মন্তব্য করুন
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে রংপুরের পীরগাছা উপজেলায়
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন ৩ ফুট উচ্চতার শারীরিক প্রতিবন্ধী
মোছা. ইশরাত জাহান সুইটি।
বুধবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রজাপতি প্রতীক
নিয়ে মোট ভোট পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৭৪৯ তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোছা. রেহেনা বেগম
পদ্মফুল প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ২৯৫ ভোট।
অপর প্রার্থীদের মধ্যে মোছা. জরিনা বেগম ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন
১২ হাজার ২২ ভোট, মোছা. মাহমুদা বেগম হাঁস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮ হাজার ৬৭৫ ভোট, বর্তমান
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তানজিনা আফরোজ কলস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৯৯ ভোট
ও মোছা. শারমিন আক্তার বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ৮১ ভোট।
বুধবার (৮ মে) রাতে উপজেলা অডিটরিয়াম থেকে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে
তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
ইশরাত জাহান সুইটির বাড়ি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার অনন্তরাম গ্রামে।
জন্মের পর পাঁ বেকে যাওয়ায় অন্য ৮-১০টা শিশুর মতো শারীরিক বৃদ্ধি হচ্ছিল না তার। শিশু
বয়সেই হয় বাবা-মার বিচ্ছেদ। ঠিকমত বাবা-মার আদর পাননি। হয়নি ঠিকঠাক চিকিৎসা। জীবনে
এতসব প্রতিবন্ধকতার মাঝেও সুইটি মাস্টার্স পাশ করেছেন। নির্বাচনে লড়ে হয়েছেন বিজয়ী।
এর আগে ইশরাত জাহান সুইটিকে নিয়ে কালবেলার মাল্টিমিডিয়া, অনলাইন ও প্রিন্ট সংস্করণে
প্রতিবেদন করা হয়।
বিজয়ী হওয়ার পর ইশরাত জাহান সুইটি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমার
এ বিজয় আমি পীরগাছা উপজেলাবাসীকে উৎসর্গ করলাম। তারা যে ভালোবাসা আমাকে দেখিয়েছে তার
মান যেন আমি রক্ষা করতে পারি, সকলের কাছে সেই দোয়া চাই। সেই সঙ্গে আমাকে বিপুল ভোটে
বিজয়ী করার জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি’।
উপজেলা নির্বাচন প্রতিবন্ধী সুইটি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ডা. সামন্ত লাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ঢাকা-৪ ড. আওলাদ হোসেন জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
ভোটের বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, দিনাজপুরের হাকিমপুরে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কামাল হোসেন ২২ হাজার ২৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ টেলিফোন প্রতীকে ১৯ হাজার ৩৭৮ ভোট পেয়েছেন।
সারা জীবন চাকরি করছেন। চাকরি করলেও তিনি একজন ভিশনারি সরকারি চাকুরে ছিলেন। একটা লক্ষ্যে সারা জীবন নিজেকে নিবেদিত করেছেন। একটা লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তিনি জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। মানবসেবাই তাঁর ব্রত। বাংলাদেশে দগ্ধ মানুষের জন্য তিনি একজন ত্রাতা এবং দগ্ধ মানুষের চিকিৎসার জন্য তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বে সমাদৃত। একজন মানবিক চিকিৎসকের প্রতিরূপ তিনি।