বাংলা নববর্ষের ঋতু বসন্ত পহেলা ফাল্গুন
আজ। আর এই ঋতুরাজ বসন্তেই ফাগুনের হাওয়া বইছে দক্ষিণা দুয়ারে। প্রতিবছরই শুকনো পাতায়
ভর করে আসে এই ঋতুরাজ বসন্ত। গাছে গাছে সবুজ পাতা আর নানা রঙ্গের ফুলে সুভাষিত থাকে
প্রকৃতি। কোকিলের কণ্ঠে আজ বসন্তের আগমনী গান। ফুলে ফুলে ভ্রমরও করছে খেলা। গাছে গাছে
পলাশ আর শিমুলের মেলা। এসব কিছুই জানান দেয় আজ পহেলা ফাল্গুন।
বসন্তের আগমনেই প্রকৃতির সাথে তরুণ
হৃদয়েও লাগে দোলা। প্রাণের কলরবের পহেলা ফাল্গুনে একে অপরের হাত ধরে হাঁটাই যেন তরুণ
তরুণীদের আনন্দমেলা। আবহমান বাংলায় রয়েছে নানা সংস্কৃতি সাহিত্যের নানা শাখায়ও পহেলা
ফাল্গুন বা ঋতুরাজ বসন্তকে নিয়ে রয়েছে নানা রচনা। এমনকি পহেলা ফাল্গুন নিয়ে কবিদের
ভাষায়ও রয়েছে ‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত’।
এই বসন্তের ফাল্গুন শিমুল আর কৃষ্ণচূড়ার
লাল রঙ মনে করিয়ে দেয় বায়ান্নর ফাল্গুনে শহীদদের কথা। ফাল্গুন মনে করিয়ে দেয় ভাষা শহীদের
রক্তের ইতিহাস। বসন্তের আগমনের বার্তায় ১৯৫২ সালের ৮ ফাল্গুনে দ্রোহ ঘোষণা করে ভাষার
অধিকারের দাবিতে জেগে উঠেছিল বাঙালি। সেই ফাল্গুনই মনে করিয়ে দেয় ভাষার দাবিতে প্রাণ
দিয়েছিলেন রফিক-জব্বাসহ বাংলার তরুণরা।
এছাড়াও স্বাধীন এই দেশে ঠিক এই বসন্তেই
শিক্ষার অধিকারের লড়াইয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন দিপালী-কাঞ্চনরা। এই বসন্তের প্রাক্কালেই
১০ বছর আগেও শাহবাগ চত্বরে এ দেশের জন্মের বিরোধিতা করে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে
জড়িতদের শাস্তির দাবিতে জেগে উঠেছিল তরুণ প্রজন্ম। তবে বাংলাদেশের ফাল্গুনি ইতিহাস
এবং ত্যাগগুলোকে আকড়ে ধরে, সকল কুসংস্কার এবং বিভেদকে পেছনে ফেলে, নতুন প্রত্যয়ে সামনে
এগিয়ে যাওয়ার বার্তা নিয়ে বসন্তের উপস্থিতি।
শীতকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়েই বসন্ত
বরণে চলছে ধুম আয়োজন। শীত চলে যাবে রিক্ত হস্তে, আর বসন্ত আসছে ফুলের ডালা সাজিয়ে।
বাসন্তী ফুলের পরশ আর সৌরভে কেটে যাবে শীতের জরা-জীর্ণতা।
গ্রাম বাংলায় চলছে মেলা, সার্কাসসহ
নানা বাঙালি আয়োজনের সমারোহ। ভালোবাসার মানুষেরা বাসন্তী রঙ্গে মন রাঙ্গায় আপনমনে।
ফাল্গুনকে কেন্দ্র করেই চলে ভালোবাসার হিড়িক। কেউ ভালোবাসে আর কেউ করে ভালোবাসার মানুষকে
ঘিরে বেঁচে থাকার প্রত্যয়।
গবেষণায় দেখা যায়, ভালবাসলে মানুষের
মন ও শরীর শান্ত থাকে। বিশেষ এক ধরণের হরমোন নিঃসৃত হওয়ার কারণে মানুষের নার্ভাস সিস্টেমকে
পুর্নগঠিত করতে সাহায্য করে, এতে করে তৈরী হয় ব্রেনসেল। এটি মূলত মানুষের স্মৃতিশক্তি
বৃদ্ধি করে।
সেই ভালোবাসার বসন্তে তারুণ্য মেতে
উঠে বসন্ত উৎসবে। সেই তারুণ্যের সুবাস ছড়িয়ে পড়ে টিএসসি হয়ে শাহবাগ, রমনা বটমূল কিংবা
ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর সহ রাজধানীর পুরো শহরে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ডা. সামন্ত লাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ঢাকা-৪ ড. আওলাদ হোসেন জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীলতা, বাজার ব্যবস্থাপনায় অসামঞ্জস্যতা এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সূত্রে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়ার শঙ্কা থাকে। এছাড়া, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে পণ্য সরবরাহের সাপ্লাই-চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে মূলত ইরান বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট পরিবহন খরচ বাড়তে পারে। এতে পণ্য তৈরি ও সরবরাহ ব্যয় বাড়ায় রপ্তানিকারকরা কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে পারেন।’
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের আশঙ্কার বিষয়ে দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দেশ দিয়েছি যাতে প্রত্যেকে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখে এবং এ বিষয়ে নিজ নিজ করণীয় নির্ধারণ করে। সংঘাত দীর্ঘ হলে কোন কোন সেক্টরে প্রভাব পড়তে পারে তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো সংঘাত বা সংঘাতের খবর জ্বালানি তেলের বাজারকে প্রভাবিত করে। এতে পণ্যের জাহাজ ভাড়া বাড়ে। যা আমদানি ব্যয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। সার আমদানি ব্যয়ে প্রভাব পড়ে। এতে বিকল্প উৎস হিসেবে চীন, মরক্কো, তিউনেশিয়া, কানাডা, রাশিয়া ইত্যাদি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সংকট আরও ঘনীভূত ও দীর্ঘায়িত হলে তা বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অর্থনীতি
মন্তব্য করুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ
মন্তব্য করুন
ভোটের বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, দিনাজপুরের হাকিমপুরে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কামাল হোসেন ২২ হাজার ২৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ টেলিফোন প্রতীকে ১৯ হাজার ৩৭৮ ভোট পেয়েছেন।
সারা জীবন চাকরি করছেন। চাকরি করলেও তিনি একজন ভিশনারি সরকারি চাকুরে ছিলেন। একটা লক্ষ্যে সারা জীবন নিজেকে নিবেদিত করেছেন। একটা লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তিনি জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। মানবসেবাই তাঁর ব্রত। বাংলাদেশে দগ্ধ মানুষের জন্য তিনি একজন ত্রাতা এবং দগ্ধ মানুষের চিকিৎসার জন্য তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বে সমাদৃত। একজন মানবিক চিকিৎসকের প্রতিরূপ তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’