নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৭ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০১৮
প্রতিদিন রেলে দুই লাখ ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করলেও ঈদুল আযহা উপলক্ষে দৈনিক তিন লাখ যাত্রী চলাচলের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।
গতকাল বৃহস্পতিবার রেল ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, সুষ্ঠ ও নিরাপদে রেলে চলাচলের সুবিধার্থে রেল পরিচালনায় সম্পৃক্ত কর্মমর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা করা হবে।
এদিকে রেল কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এছাড়াও ঈদের বাড়তি চাপ এড়াতে ট্রেনে বাড়তি কোচ সংযোজনসহ বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা থাকবে। যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে ঈদের তিন আগে থেকে কনটেইনার ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন ছাড়া কোনো গুডস ট্রেন চলাচল করবে না। পবিত্র ঈদুল আজহার ৫ দিন আগে ১৮ আগস্ট থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত সব আন্তঃনগর ট্রেন সাপ্তাহিক বন্ধের দিনও চলাচল করবে। এছাড়াও ঈদুল আযহার দিন বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কতিপয় মেইল এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে।
প্রতিবারের মতো এবারও ১০ দিন আগে থেকে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। ৮ আগস্ট থেকে ঈদের অগ্রিম টিকিট দেয়া হবে এবং ১৫ আগস্ট থেকে ফিরতি যাত্রীদের জন্য অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে।
রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের উপস্থিতিতে রেলওয়ে মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিতি ছিলেন।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে
মন্তব্য করুন
লালমনিরহাট থেকে ঢাকাগামী বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি
লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) ভোরে পাবনার ঈশ্বরদীতে মুলাডুলি স্টেশনে এ বগি
লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে। রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন।
জানা গেছে, ঢাকাগামী বুড়িমারী এক্সপ্রেসের একটি শোভন চেয়ার কোচের
দুইটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এরই মধ্যে এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা
হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেনকে আহ্বায়ক করে
বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) মো. মোমতাজুল ইসলাম ও বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল
মণ্ডল। ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করবেন তারা।
এদিকে ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনায় পদ্মা, লালমনি, পঞ্চগড়, চিত্রা,
নীলসাগর, একতা ও রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
লাইনচ্যুত ট্রেন বগি উত্তরবঙ্গ রেল যোগাযোগ
মন্তব্য করুন
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে রংপুরের পীরগাছা উপজেলায়
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন ৩ ফুট উচ্চতার শারীরিক প্রতিবন্ধী
মোছা. ইশরাত জাহান সুইটি।
বুধবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রজাপতি প্রতীক
নিয়ে মোট ভোট পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৭৪৯ তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোছা. রেহেনা বেগম
পদ্মফুল প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ২৯৫ ভোট।
অপর প্রার্থীদের মধ্যে মোছা. জরিনা বেগম ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন
১২ হাজার ২২ ভোট, মোছা. মাহমুদা বেগম হাঁস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮ হাজার ৬৭৫ ভোট, বর্তমান
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তানজিনা আফরোজ কলস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৯৯ ভোট
ও মোছা. শারমিন আক্তার বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ৮১ ভোট।
বুধবার (৮ মে) রাতে উপজেলা অডিটরিয়াম থেকে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে
তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
ইশরাত জাহান সুইটির বাড়ি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার অনন্তরাম গ্রামে।
জন্মের পর পাঁ বেকে যাওয়ায় অন্য ৮-১০টা শিশুর মতো শারীরিক বৃদ্ধি হচ্ছিল না তার। শিশু
বয়সেই হয় বাবা-মার বিচ্ছেদ। ঠিকমত বাবা-মার আদর পাননি। হয়নি ঠিকঠাক চিকিৎসা। জীবনে
এতসব প্রতিবন্ধকতার মাঝেও সুইটি মাস্টার্স পাশ করেছেন। নির্বাচনে লড়ে হয়েছেন বিজয়ী।
এর আগে ইশরাত জাহান সুইটিকে নিয়ে কালবেলার মাল্টিমিডিয়া, অনলাইন ও প্রিন্ট সংস্করণে
প্রতিবেদন করা হয়।
বিজয়ী হওয়ার পর ইশরাত জাহান সুইটি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমার
এ বিজয় আমি পীরগাছা উপজেলাবাসীকে উৎসর্গ করলাম। তারা যে ভালোবাসা আমাকে দেখিয়েছে তার
মান যেন আমি রক্ষা করতে পারি, সকলের কাছে সেই দোয়া চাই। সেই সঙ্গে আমাকে বিপুল ভোটে
বিজয়ী করার জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি’।
উপজেলা নির্বাচন প্রতিবন্ধী সুইটি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ডা. সামন্ত লাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ঢাকা-৪ ড. আওলাদ হোসেন জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
ভোটের বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, দিনাজপুরের হাকিমপুরে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কামাল হোসেন ২২ হাজার ২৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ টেলিফোন প্রতীকে ১৯ হাজার ৩৭৮ ভোট পেয়েছেন।
সারা জীবন চাকরি করছেন। চাকরি করলেও তিনি একজন ভিশনারি সরকারি চাকুরে ছিলেন। একটা লক্ষ্যে সারা জীবন নিজেকে নিবেদিত করেছেন। একটা লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তিনি জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। মানবসেবাই তাঁর ব্রত। বাংলাদেশে দগ্ধ মানুষের জন্য তিনি একজন ত্রাতা এবং দগ্ধ মানুষের চিকিৎসার জন্য তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বে সমাদৃত। একজন মানবিক চিকিৎসকের প্রতিরূপ তিনি।