ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিশ্বব্যাপী মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কতটা প্রভাব রাখে?

প্রকাশ: ১০:৩৬ পিএম, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পরাশক্তি দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে তাদের স্বার্থ বিদ্যমান। এ কারণে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের উপর নিজেদের প্রভাব বিস্তার করে থাকে তারা। এই প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে নিজেদের একটি বলয় তৈরি করে রাখে দেশটি।

 বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষার বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞাকে তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। যেসব দেশে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে অসমর্থ বা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় সেসব দেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে দেশটির জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা রক্ষায় বিভিন্ন দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে মার্কিন প্রশাসন। এই নিষেধাজ্ঞা হতে পারে পুরো দেশের ওপর অথবা নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর। এ নিষেধাজ্ঞা সামাল দেওয়া ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য বেশ কষ্টসাধ্য। 

সাধারণত মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সন্ত্রাসবাদ ও আর্থিক গোয়েন্দা শাখার বৈদেশিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ এসব নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে। তবে বিশ্বব্যাপী মার্কিন এসব নিষেধাজ্ঞার প্রভাব ও কার্যকারিতা ঠিক কতটা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে প্রায়ই।

মূলত নিষেধাজ্ঞা দেওয়াও মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। কোনো দেশ, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলে বিদেশে থাকা সেই দেশ বা ব্যক্তির সম্পদ জব্দ করা হয়ে থাকে। ফলে দেশের বাইরে থাকা সম্পদ ব্যবহার করতে পারে না নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তি। অনেক ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার আওতায় অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরাও অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকেন। ফলে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তির ব্যক্তিগত সম্পদের পাশাপাশি তার পারিবারিক সম্পদও আন্তর্জাতিক লেনদেনে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে ওঠে। এছাড়া সে ব্যাক্তি ও তার পরিবারের সদস্য যুক্তরাষ্ট্রসহ এর পাশাপাশি একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা দেশগুলোতে ভ্রমন করতে পারেনা। 

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা ও শ্রমিকদের স্বার্থ ও অধিকার সংরক্ষণে নিষেধাজ্ঞার ব্যবহার করছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু দেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কোনো দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলে সে দেশের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্থগিত করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে অর্থনৈতিকভাবে একটি বড় ধাক্কা খায় নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত দেশটি। বিশ্বের সাথে বাণিজ্য যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ছোট দেশগুলোর জন্য এ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া বেশ কঠিন।  

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দেশটির পররাষ্ট্রনীতির একটি অন্যতম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে সবসময় এসব নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি কার্যকর হয় না। অনেক সময় এসব নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী দেশগুলো আরও ঐক্যবদ্ধ হয় এবং নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বাড়িয়ে তুলে। যেমন রাশিয়ার উপর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রকম নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তেও রাশিয়া অর্থনৈতিকভাবে এখনো সাবলীল অবস্থায় রয়েছে। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোন দেশে নিষেধাজ্ঞা দিলে তা একই সঙ্গে কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় মার্কিন মিত্ররাও কার্যকর করে থাকে। ফলে কোনো দেশ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা মানে একই সঙ্গে আরও কয়েকটি দেশের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়ে যাওয়া। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইরান, উত্তর কোরিয়া, ভেনেজুয়েলা, কিউবার মতো দেশগুলো। ফলে এ দেশগুলো চীন ও রাশিয়ার সাথে ভাল সম্পর্ক স্থাপন করেছে। 

ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অব ফরেইন রিলেশনসের জিওইকোনমিকস বিভাগের সিনিয়র পলিসি ফেলো আগাথি ডেমারাইস জানান, নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাষ্ট্রগুলো মার্কিন স্বার্থবিরোধী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলে। ফলে বিভিন্ন দেশ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়লে তারা ক্রমেই চীন ও রাশিয়ার দিকে ঝুঁকতে থাকে। 

তবে অপেক্ষাকৃত ছোট অর্থনীতির দেশগুলোর জন্য এ নিষেধাজ্ঞা সামাল দেওয়া কঠিন। তাই ছোট দেশগুলো মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়াতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে চায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিজেদের মতবিরোধ মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করে। তবে যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নেই তাদের ক্ষেত্রে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা খুব একটা কার্যকর হয় না বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।


মার্কিন নিষেধাজ্ঞা   ইউরোপিয়ান কাউন্সিল   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   ভিসা নিষেধাজ্ঞা   বিশ্ব সংবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিজের ভাইরাল নাচের ভিডিও শেয়ার করে মোদি বললেন, ভালো লেগেছে

প্রকাশ: ০২:১৫ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। ৩য় দফার ভোটে দেশটির ৯৩টি লোকসভা আসনে চলছে ভোটগ্রহণ। আর এর মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের নাচের এক ভিডিও শেয়ার করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  

ভিডিওটিতে তাকে এক মঞ্চে কায়দা করে হাঁটতে এবং নাচতে দেখা যাচ্ছে। না, ভিডিওটি সত্যিকারের নয়। তৈরি করা। পাগলু সেই নাচের ভিডিও নিজেই শেয়ার করে মোদি লিখেছেন- নিজেকে নাচতে দেখে আনন্দ পেলাম।  

সোমবার (৬ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ভিডিওটি প্রথমে এথেয়িস্ট কৃষ্ণ নামের একটি এক্স হ্যন্ডেল থেকে শেয়ার করা হয়েছিল। এর সঙ্গে ক্যাপশনে লেখা ছিল, 'এই ভিডিওটি পোস্ট করছি, কারণ আমি জানি এর জন্য 'ডিক্টেটর' আমাকে গ্রেপ্তার করবে না।'

আর এই ভিডিওটিই ফের শেয়ার করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সঙ্গে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, 'আপনাদের সকলের মতো আমিও নিজেকে নাচতে দেখে আনন্দ পেয়েছি। ভোটের ভরা মৌসুমে এই ধরনের সৃজনশীলতা সত্যিই আনন্দ দেয়।' 

কিন্তু হঠাৎ কেন ভোটের মধ্যে নিজের নাচের স্পুফ ভিডিও শেয়ার করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এর পেছনেও রয়েছে রাজনীতি। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তৈরি প্রায় একই ধরনের একটি ভিডিও শেয়ার করার প্রেক্ষিতে, এক এক্স ব্যবহারকারীকে নোটিশ দিয়েছে পুলিশ।

আর সেই ঘটনার ঠিক পরপরই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ভিডিও শেয়ার করা কাকতালীয় বলে মানছেন না বিশ্লেষকরা।

মূলত মোদি যে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন, সেটি আসলে মার্কিন র‍্যাপ সঙ্গীত শিল্পী লিল ইয়াচটির মঞ্চে প্রবেশ করার এক ভিডিও। ২০২২ সালের ২১ জুন ইউটিউবে ভিডিওটি প্রথম পোস্ট করা হয়েছিল।

তারপর থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর সাহায্যে অ্যাডলফ হিটলার থেকে শুরু করে ডিসি কমিকসের সুপারভিলেন জোকারের মতো, বিভিন্ন বিখ্যাত বা কুখ্যাত ব্যক্তিত্বদের মুখ, ইয়াচটির জায়গায় ব্যবহার করে মিম তৈরি করা হয়েছে। এবার সেই জায়গায় বসলো নরেন্দ্র মোদির মুখও।

মজার বিষয়, সোমবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি স্পুফ ভিডিও শেয়ার করার দায়ে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের নোটিশ পেয়েছেন দুই এক্স ব্যবহারকারী।

তাদের শেয়ার করা ভিডিওটির নিচেই কলকাতা পুলিশ লিখেছিল, যদি তারা অবিলম্বে তাদের নাম ও বাসস্থান-সহ পরিচয় প্রকাশ না করে, তাহলে ফৌজদারি আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরে অবশ্য পুলিশের পক্ষ থেকে ওই পোস্ট মুছে দেওয়া হয়।

তবে, ততক্ষণে ওই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। কলকাতা পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'পাপোশের মতো' আচরণ করছে বলে কটাক্ষ করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য।

কলকাতায় মোদিকে ব্যঙ্গ করে অশ্লীল পোস্টার লাগানোর বিষয়ে কলকাতা পুলিশ কেন কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।

অবশ্য মোদি তার নিজের স্পুফ ভিডিওটি এক্স অ্যাকাউন্টে শেয়ার করার পর, এই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেছেন হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা আসনের বিজেপির প্রার্থী তথা বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত।

এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, 'মমতা দিদি জি এটাকে বলে 'টেকিং আ চিল পিল (মাথা ঠান্ডা রাখা)। আপনিও মাঝে মাঝে এটা ব্যবহার করুন। আপনি সবসময় রেগে থাকেন। কয়েকটা বাচ্চা ছেলে আপনার নাচের ভিডিও বানিয়েছে। আপনি তাদের জেলে পাঠানোর চেষ্টা করছেন। আপনি খুব রাগী এবং অনমনীয়।' 


ভারত   লোকসভা নির্বাচন   প্রধানমন্ত্রী   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: আহমেদাবাদে ভোট দিলেন মোদি

প্রকাশ: ১২:২২ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচনের তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণে ভোট দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ৭টার একটু পরই ভোট কেন্দ্রে পৌঁছান মোদি। গুজরাটের আহমেদাবাদের ভোটার মোদি। আহমেদাবাদের রানিপ এলাকার নিশান উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন তিনি।  

প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ভোটকেন্দ্রে স্বাগত জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই ভোটকেন্দ্রটি গান্ধীনগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। মোদির দল বিজেপি থেকে সেখানকার এবারের প্রার্থী অমিত শাহ।

ভোট দেওয়ার পর দেশের জনগণের প্রতি কেন্দ্রে হাজির হয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। 

মোদি বলেন, 'আমাদের দেশে 'দান' এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সেই চেতনা থেকে দেশবাসীকে ভোট দিতে হবে। এখনও চার দফা ভোট বাকি। এই অহমেদাবাদের বুথেই আমি বরাবর ভোট দিই। অমিত ভাই এই কেন্দ্রের প্রার্থী।' 

এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তাদের স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা দেন নরেন্দ্র মোদি। 

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম দফা ১৯ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফা ২৬ এপ্রিল ভোট হয়েছে। আজ তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মোট ৯৩টি আসনে। ভোটাভুটি চলবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। ১ জুন সপ্তম দফার মাধ্যমে ভোটের ইতি ঘটবে। সাত ধাপের সবকটিরই ফল ঘোষণা করা হবে ৪ জুন।


লোকসভা নির্বাচন   আহমেদাবাদ   ভোট   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে রাফায় ইসরায়েলের বিমান হামলা

প্রকাশ: ১১:২৭ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেওয়া সত্ত্বেও রাফায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। 

এদিকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে যে দোলাচল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে দুর্ভোগে পড়েছে রাফায় আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি শরণার্থী।

সোমবার (৬ মে) ইসরায়েল বাহিনী ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ওই এলাকা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। 

সোমবার বিকেলে হামাসের পক্ষ থেকে ‍যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেওয়ার পর অনেকে রাস্তায় নেমে উল্লাস করে। কিন্তু পরক্ষণেই সেই উল্লাস ইসরায়েলি বোমা হামলায় ফিকে হয়ে যায়। 

ইসরায়েল সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামাসকে লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছে। একটি গোপন সূত্রের বরাত দিয়ে অ্যাক্সিওস সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে রাফার পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক দেখা গেছে। তারা রাফার ফিলিস্তিনি অংশ দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এ অঞ্চলটি মিশর এবং গাজাবাসীদের জন্য মানবিক সহায়তা সরবরাহের একমাত্র পথ। 

গার্ডিয়ান বলছে, নিরপেক্ষভাবে ওই প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে বার্তা সংস্থা এপি ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান এবং মিশর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রাফাহ ক্রসিংয়ের ২০০ মিটার দূরে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক অবস্থান নিয়েছে। 

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, কায়েরো এবং মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস যে শর্তে তাদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নিয়েছে তাতে তেল আবিবের শর্ত পূরণ হয় না। তবে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চালিয়ে যেতে ইসরায়েল আরও প্রতিনিধি দল কায়রো পাঠাবে।  

ইসারায়েল যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা বলছে, জিম্মিদের মুক্তি এবং হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে তারা রাফায় অভিযান চালিয়ে যাবে। 


যুদ্ধবিরতি   রাফা   ইসরায়েল   বিমান হামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চুরির দায়ে রাশিয়ায় মার্কিন সেনা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১১:১৭ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ায় গিয়ে চুরির অভিযোগ এক মার্কিন সেনা গ্রেফতার হয়েছেন। গ্রেফতারকৃত ওই মার্কিন সেনার নাম স্টাফ সার্জেন্ট গর্ডন ব্ল্যাক। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত ছিলেন।

মঙ্গলবার (৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত এক মার্কিন সেনাকে রাশিয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তারকৃত ওই মার্কিন সেনার নাম স্টাফ সার্জেন্ট গর্ডন ব্ল্যাক।

বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস জানিয়েছে, সার্জেন্ট গর্ডন ব্ল্যাকের বিরুদ্ধে একজন নারীর কাছ থেকে চুরি করার অভিযোগ রয়েছে। রাশিয়ার সুদূর পূর্বের ভ্লাদিভোস্টক শহরে গত ২ মে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে সেসময় তিনি সরকারি সফরে ছিলেন না। 

ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র 'এই ঘটনার পাশাপাশি রাশিয়ার সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয় সম্পর্কেও অবগত'।

স্থানীয় সময় সোমবার হোয়াইট হাউসে ব্রিফিংয়ে কিরবি বলেন, তিনি এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানাতে পারবেন না।

অন্যদিকে মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি বিবৃতি অনুসারে, রাশিয়ায় গ্রেপ্তারকৃত ওই সৈনিক অপরাধমূলক অসদাচরণের অভিযোগের মুখোমুখি হচ্ছেন।

মুখপাত্র সিনথিয়া স্মিথ বলেছেন, 'সেনাবাহিনী তার পরিবারকে এই বিষয়টি অবহিত করেছে এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর রাশিয়ায় গ্রেপ্তার হওয়া সৈনিককে উপযুক্ত কনস্যুলার সহায়তা প্রদান করছে।' 

সিবিএস অনুসারে, সৈনিকটি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে মার্কিন অঙ্গরাজ্য টেক্সাসের ফোর্ট কাভাজোসে ডিউটি ​​স্টেশন পরিবর্তন করার প্রক্রিয়ায় ছিলেন।


রাশিয়া   গ্রেপ্তার   মার্কিন সেনা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপের হেভিওয়েট প্রার্থী যারা

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আর তৃতীয় দফায় ভারতজুড়ে ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৩টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

মঙ্গলবার (৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রথম দফায় শতাধিক আসনে ভোটগ্রহণের পর দ্বিতীয় দফায় ভোট হয়েছিল ৮৮টি আসনে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, দ্বিতীয় দফার ভোটের পরে দশ দিনের বিরতির শেষে মঙ্গলবার ভারতজুড়ে ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৩টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে চারটি আসনেও আজ ভোটগ্রহণ হচ্ছে।

যেসব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট হবে সেগুলো হলো, আসাম, বিহার, ছত্তিশগড়, দাদরা ও নগর হাভেলি, দামান ও ডিউ, গোয়া, গুজরাট, জম্মু-কাশ্মীর, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ।

তৃতীয় ধাপের গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীরা

৯৩টি আসনে মোট ১ হাজার ৩৫১ জন প্রার্থী লড়াই করছেন। মোট ২ হাজার ৯৬৩ জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন- 

অমিত শাহ (গান্ধীনগর, গুজরাট)

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গুজরাটের গান্ধীনগর থেকে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হতে লড়াই করছেন। এই আসনটি বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত। এই আসন থেকেই নির্বাচনে জিতেছেন দলের প্রবীণ নেতা ভারত রত্ন লাল কৃষ্ণ আদভানি। ১৯৮৯ সাল থেকে এই আসনে পরাজিত হননি কোনও বিজেপি প্রার্থী।

এবার কংগ্রেসেনের সোনাল প্যাটেলের বিরুদ্ধে লড়ছেন অমিত শাহ। ২০১৯ সালে সিজে চাভদাকে সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে বড় জয় পেয়েছিলেন তিনি।

 জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (গুনা, মধ্যপ্রদেশ)

বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী ও সাবেক কংগ্রেস নেতা মধ্যপ্রদেশের গুনা আসন থেকে লড়ছেন। বিজেপিতে যোগ দিয়ে ২০২০ সাল থেকে তিনি রাজ্যটির রাজনীতিতে উত্থান-পতনের জন্ম দিয়েছেন।

২০১৯ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে তিনি বিজেপির কৃষ্ণ পাল সিংয়ের কাছে হেরেছিলেন। এবার বিজেপির টিকিটে তিনি কংগ্রেসের যাদবেন্দ্র রাও দেশরাজ সিংয়ের বিরুদ্ধে লড়ছেন।

ডিম্পল যাদব (মাইনপুরি, উত্তরপ্রদেশ)

সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের স্ত্রী ডিম্পল যাদব। উত্তর প্রদেশের মাইনপুরি থেকে পুনরায় নির্বাচিত হতে ভোটে লড়ছেন তিনি। এই আসন থেকে অতীতে জিতেছেন তার শ্বশুর ও দলের প্রবীণ নেতা মুলায়লাম সিং যাদব। ২০২৩ সালে মুলায়লাম সিংয়ের মৃত্যু হতে আসনটি শূন্য হয়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে উপ-নির্বাচনে ডিম্পল জয়ী হন। বিজেপি প্রার্থী রাঘুরাথ সিংকে তিনি ২ লাখ ৮৮ হাজার ৪৬১ ভোটে হারিয়েছিলেন। এবার তার বিরুদ্ধে লড়ছেন বিজেপির প্রার্থী জয়বীর সিং ঠাকুর। 

সুপ্রিয়া সুলে (বারামাতি, মহারাষ্ট্র)

পাওয়ার পরিবারের ঘাঁটি বলে পরিচিত বারামাতি। এবার সেখানে লড়াই হবে শারদ পাওয়ারের মেয়ে ও তিনবারের এমপি সুপ্রিয়া সুলের সঙ্গে অজিত পাওয়ারের স্ত্রী সুনেত্রা পাওয়ারের। অজিত পাওয়ার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে যোগ দিয়েছেন এবং মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।

শারদ পাওয়ার প্রথমবার বারামাতিতে জয়ী হয়েছিলেন ১৯৮৪ সালে। ১৯৯১ সালে তার ভাইপো অজিত পাওয়ার আসনটিতে জয়ী হন। ১৯৯৬ সাল থেকে এখানে জয়ী হয়েছেন শারদ পাওয়ার ও পরে সুপ্রিয়া সুলে। ২০১৯ সালে দেড় লাখ ভোটের ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থী কাঞ্চন রাহুলকে পরাজিত করেছিলেন সুপ্রিয়া। 

দিগবিজয় সিং (রাজগড়, মধ্যপ্রদেশ)

মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা দিগবিজয় সিং রাজগড় আসনে ভোটের লড়াইয়ে ফিরেছেন। এটিকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আসন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। 

তিনি এই নির্বাচনকে শেষ নির্বাচন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী দুইবারের বিজেপি এমপি রদমাল নগর।

শিবরাজ সিং চৌহান (ভিড়িশা, মধ্যপ্রদেশ)

মধ্যপ্রদেশে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা এই নেতা ভিড়িশা থেকে নির্বাচনে লড়ছেন। তিনি কংগ্রেসের প্রতাপ ভানু শর্মার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন।

প্রহ্লাদ জোশি (ধারওয়াড়, কর্নাটক)

কর্নাটনের ধারওয়াড় আসন থেকে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার লড়াইয়ে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জোশি। এই আসনে ২০০৪ সাল থেকে জয়ী হয়ে আসছেন তিনি। এবার তিনি কংগ্রেসের বিনোদ আসুটির সঙ্গে লড়বেন।

অধীর রঞ্জন চৌধুরী (বহরমপুর, পশ্চিমবঙ্গ)

সিনিয়র কংগ্রেস নেতা ও বর্তমান এমপি অধীর রঞ্জন চৌধুরী ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের নির্বাচনে বহরমপুরে জয়ী হয়েছেন। ২০১৯ সালে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের অপূর্ব সরকারকে ৮০ হাজার ভোটে হারিয়েছিলেন। এবার তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির নির্মল সাহা ও তৃণমূলের সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানের সঙ্গে।

বদরুদ্দিন আজমল (দুবড়ি, আসাম)

অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটি ফ্রন্ট সভাপতি বদরুদ্দিন আজমল ২০০৯ সাল থেকে দুবড়ি আসনের এমপি। ২০১৯ সালে তিনি তৃতীয়বার সাত লাখের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। এবার চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচিত হতে লড়ছেন তিনি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন কংগ্রেসের রাকিবুল হোসেন।


লোকসভা নির্বাচন   নির্বাচন   ভারত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন