ইনসাইড বাংলাদেশ

বিদেশী বউ নিয়ে হেলিকপ্টারে বাড়ি ফিরলেন সিঙ্গাপুর প্রবাসী

প্রকাশ: ১১:০৭ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে বিদেশি বউ নিয়ে হেলিকপ্টারে বাড়ি ফিরেছেন এক সিঙ্গাপুর প্রবাসী। শনিবার (১১ মে) দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার কর্ণসূতি দক্ষিণ পাড়া ঈদগাহ মাঠে হেলিকপ্টার থেকে নামেন তাঁরা। এই দম্পতিকে এক নজর দেখতে এ সময় ঈদগাহ মাঠে শত শত নারী-পুরুষ ভিড় করেন।

 

সিঙ্গাপুর প্রবাসী রেজাউল ইসলাম কামারখন্দ উপজেলার কর্ণসূতি গ্রামের মৃত মকুল প্রামাণিকের ছেলে। আর তাঁর স্ত্রী জানু ইন্দোনেশিয়ান বংশোদ্ভুত সিঙ্গাপুরের নাগরিক। পেশায় তিনি ব্যাংকার। 

 

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রেজাউল ইসলাম ১৫-১৬ বছর ধরে সিঙ্গাপুরে একটি কোম্পানিতে কাজ করছেন। কাজের সুবাদে ওই নারীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক হয়। এরপর সেখানেই বিয়ে করেন।

 

তাদের আগমন উপলক্ষে রোববার (১২ মে) নিজ বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

 

প্রবাসী রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে থাকি। ইচ্ছে ছিল বিদেশি বউ নিয়ে হেলিকপ্টারে করে বাড়ি ফিরব। সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই হেলিকপ্টারে বাড়ি ফিরেছি। এ জন্য ভালো লাগছে।’ 

 

রেজাউল ইসলামের চাচা বদিউজ্জামান ফেরদৌস বলেন, রেজাউল ছোট থাকতেই ওর বাবা মারা যায়। ওর বাবা বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই খুশি হতেন। সিঙ্গাপুর থেকে আমার ভাতিজা ইন্দোনেশিয়ার এক নারীকে বিয়ে করে হেলিকপ্টারে করে বাড়ি ফিরবে, খবরে এলাকাবাসী খুব আগ্রহ নিয়ে দেখতে এসেছেন। আমাদেরও ভালো লাগছে।


প্রবাসী   হেলিকপ্টারে বড়   বিদেশী বউ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন সালাহ উদ্দিন টিপু


Thumbnail

একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু, লক্ষ্মীপুরে সাহসী নেতৃত্বের মূর্ত প্রতীক। লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের ইতিহাসে স্মরণীয় রাজনৈতিক ঘটনা ছিল ১৯৯৬ সালের ছাত্র সংসদ নির্বাচন। সে ঐতিহাসিক নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রসংসদের ভিপি নির্বাচিত হন তিনি। ছাত্রসংসদের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর সালাহ উদ্দিন টিপু নিজের দক্ষতা আর সাহসী নেতৃত্বে অল্প দিনের মাঝে শুধু লক্ষ্মীপুর কলেজই নয়, পুরো জেলার ছাত্রছাত্রীদের মাঝে জনপ্রিয় নেতায় পরিণত হন। লক্ষ্মীপুরের রাজনীতির মাঠে তিনি যেখানেই হাত দিয়েছেন সেখানেই সফল হয়েছেন। তার হাত ধরেই লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগ এক সময় গতি পায়। ছাত্রলীগের নানা পদপদবী অতিক্রম করে তিনি দায়িত্ব নেন অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়া যুবলীগে। বিংশ শতাব্দির শুরু থেকে নেতাকর্মীদের মাঝে তার পরিচয় লক্ষ্মীপুরের আওয়ামী রাজনীতির শক্তিদাতা হিসেবে। প্রথমে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পরে সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার হাত ধরেই লক্ষ্মীপুর জেলার সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক সহযোগী সংগঠনের নাম যুবলীগ।

সাহসী রাজনৈতিক নেতৃত্বের কল্যাণে ২০১৪ সালে তিনি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর সরকারের উন্নয়ন বার্তা নিয়ে তিনি লক্ষ্মীপুরের গ্রাম থেকে শহরের আনাচে কানাচে চষে বেড়িয়েছেন। একদিকে উপজেলার অভাবনীয় উন্নয়ন, অন্যদিকে নিজের দলের উন্নয়নে সমান তালে কাজ করেছেন তিনি। 

তিনি লক্ষীপুর বনিক সমিতি, লক্ষীপুর পৌর আইডিয়াল কলেজ, আজিম শাহ্ উচ্চ বিদ্যালয়, টাউন হল, লক্ষীপুর কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়, চকবাজার জামে মসজিদ, কামানখোলা অলিউল্ল্যাহ মুসলিম পলিটেকনিক একাডেমী, জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দৃশ্যমান উন্নয়নে অবদান রাখায় জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে একাধিকবার শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি একেএম সালাহ্ উদ্দিন টিপু লক্ষ্মীপুর পৌরসভার প্রয়াত মেয়র মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবু তাহেরের মেঝো ছেলে।

রাজনীতির পাশাপাশি ছাত্রজীবনের পর তিনি কিছু সময় সাংবাদিকতা করেন। বর্তমানে তিনি লক্ষ্মীপুর থেকে প্রকাশিত ও লক্ষ্মীপুরের প্রথম রঙিন সংবাদপত্র দৈনিক ভিশনের সম্পাদক।

বর্ণাঢ্য রাজনীতির এই মহা পুরুষ ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৩য় ধাপে ২৯ মে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাপ পিরিচ প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ছাড়াও আরো চারজন এ পদে প্রার্থী থাকলেও তার বাবা ও তার রাজনৈতিক জীবনীর দিকে সম্মান করে এক প্রার্থী চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কাশেম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এতে করে নির্বাচনী মেরুকরণে অনেকটাই দলছুট অন্য প্রার্থীদের দিকে তেমন একটা নজর নেই দলীয় নেতাকর্মীদের। 

দলমত নির্বিশেষে উন্নয়নের রূপকার একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুকেই কাপ পিরিচ প্রতীকে ২৯ মে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার দাবি জানান স্থানীয়রা।

সালাহ উদ্দিন টিপু   লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নদীখেকোদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা দরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:৩৫ পিএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের নদী রক্ষার জন্য নদীখেকো, বালুখেকো, নদী দখলকারী এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা দরকার। আর যে সমস্ত শিল্পের মালিকেরা নদীতে রঙিন পানি ফেলে, তারা সমাজের শত্রু। এদের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তোলা দরকার।  

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে নোঙর ট্রাস্ট আয়োজিত ‘২৩ মে, জাতীয় নদী দিবস ঘোষণার দাবিতে’ ঢাকা নদী সম্মেলন প্রস্তুতি সভায় তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি সবার জন্য নদীর পানির ন্যায্যতা নিশ্চিত করার জন্য অর্থাৎ নদীর অববাহিকায় যারা বসবাস করে সবার জন্য সুষমভাবে পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে আঞ্চলিক সহযোগিতা দরকার। আমাদের যৌথ নদী কমিশন আছে, কিন্তু আমি মনে করি এটাকে আরও ইফেক্টিভ করা দরকার।

তিনি বলেন, আমি ছোটবেলায় যে নদীর পাড়ে খেলা করতাম, সেই নদী আর এখন নেই, বালুচরও নেই। কারণ নদী শুকিয়ে গেছে। আর এর পেছনের কারণ হচ্ছে নদীতে বিভিন্ন রাবার ড্যাম তৈরি হয়েছে, তাই নদীর উজানে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। এটি সারা দেশের চিত্র। আর শহর অঞ্চলের যে নদী সেগুলো ক্ষমতাসীনরা দখল করেছে। এখন নদী শুকানোর পাশাপাশি আবার সরু হয়ে যাচ্ছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের একটি আঞ্চলিক সহযোগিতার ফোরাম গঠন করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। কারণ নদীর উৎপত্তি নেপালে, তারপর ভারতের ওপর দিয়ে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে সাগরে গিয়ে মিশে। এখানে কয়েকটি দেশ জড়িত। অতএব সবাই মিলে যদি আমরা একটা আঞ্চলিক ব্যবস্থাপনা দাঁড় করাতে পারি তাহলে সবার জন্যই এটি সুবিধা হবে।

নগরায়ণের প্রভাব পরিবেশে পড়েছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, গত ৫০ বছরে পৃথিবীতে মানুষ ৩০০ কোটি থেকে ৮০০ কোটিতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় তিনগুণের কাছাকাছি। মানুষ বাড়ছে, আগে মানুষ দুই এক বালতি পানি দিয়ে গোসল করত। কিন্তু এখন সেটা করে না। এখন আবার অনেকে বাথটাব ব্যবহার করে। তাই মানুষ বাড়ার কারণে পানির ব্যবহার বেড়েছে। আবার ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের কারণে, নগরায়ণের কারণে পানির ব্যবহার বাড়ছে। এগুলোর একটা ইফেক্ট পরিবেশের ওপর, নদীর ওপরে পড়েছে। আবার কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার, সারফেস ওয়াটার এবং নদীর ওপর প্রভাব পড়েছে। কিন্তু সেটাকে প্রোপারলি ম্যানেজ করার জন্য সবাইকে সমন্বয় করে যে রিজিওনাল কো-অপারেশন দরকার ছিল, সেটা নাই।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশের মানুষ এখন উন্নয়ন মানেই বোঝে রাস্তা, ব্রিজ ও বিল্ডিং বানানো। এটাকেই মানুষ উন্নয়ন মনে করে। এই উন্নয়নের সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করি। রাস্তা বানাতে গিয়ে যেটা হচ্ছে খাল-বিল-নদী-নালার ওপরে ব্রিজ বানানো হচ্ছে, কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে। আমরা যদি শুরু থেকে নদীর নাব্যতা রক্ষা করে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতাম তাহলে কিন্তু আজকে নদীর এই অবস্থা দাঁড়াতো না।

ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মো. আওলাদ হোসেন বলেন, এক সময় এই ঢাকার মধ্যেই অনেক পালতোলা নৌকা চলাচল করত। এক সময় ঢাকা গড়েই উঠেছিল নদীকে কেন্দ্র করেই। নদীপথে পণ্য পরিবহন করা যায় কম খরচে। তাই এর গুরুত্ব অপরিসীম। তাই আমাদের পরিবেশ ও সৌন্দর্য রক্ষায় নদীকে রক্ষা করতে হবে।

নোঙর ট্রাস্টের চেয়ারম্যান সুমন শামসের সভাপতিত্বে দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান ও সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় প্রেসক্লাব   নোঙর ট্রাস্ট   পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ   ড. মো. আওলাদ হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আনার হত্যা কাণ্ড: অশান্ত আন্ডারওয়ার্ল্ড

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের পর চোরাচালান এবং আন্ডারওয়ার্ল্ড অশান্ত হয়ে পড়েছেন। ঝিনাইদহ-৪ আসনের এই এমপি নিজেও এক সময় সর্বহারা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। সর্বহারা রাজনীতির নামে গলাকাটা, মানুষ হত্যার রাজনীতি ছিল ঝিনাইদহ অঞ্চলে একটি পরিচিত রূপ। পুরো ঝিনাইদহ এই সর্বহারাদের হাতে জিম্মি ছিল। সেখানে মানুষ ছিল নিরাপত্তাহীন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সর্বহারাদের বিরুদ্ধে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেন। সর্বহারাদের আস্তানাগুলো তিনি চুরমার করে দেন। এর পরপরই আস্তে আস্তে সর্বহারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। রাজনৈতিক অবস্থান থেকে তারা সরে আসে। এই সর্বহারাদের হাতে বিপুল অস্ত্র ছিল এবং প্রায় তারা নিরাপত্তার জন্য ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করতেন। আর যখন সর্বহারাদের নেটওয়ার্ক ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে ভেঙে দেওয়া হয় তখন এদের অনেকেই চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত হন এবং বিভিন্ন অপরাধ কর্মে জড়িয়ে পড়েন।

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনারের সঙ্গেও চোরাচালানের সম্পর্কের কথা অনেকে জানেন। যদিও তিনি এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার এই ব্যবসা বাণিজ্যের বাইরে তিনি মানুষের জন্য প্রচুর উপকার করতেন। কিন্তু যেহেতু তিনি আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং বিভিন্ন চোরাচালান চক্রের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার তথ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে এসেছে, তাতে মনে করা হয় যে আন্ডারওয়ার্ল্ডের দ্বন্দ্ব এবং স্বর্ণ চোলাচালানের দ্বন্দ্বের কারণেই আনার খুন হয়ে থাকতে পারেন। এই খুনের অভিযোগে ইতোমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চিহ্নিত করছেন আখতারুজ্জামান শাহিনকে। চরমপন্থী নেতা আমানুল্লাহ এই কিলিং মিশন বাস্তবায়ন করার জন্য কলকাতায় গিয়েছিলেন বলেও প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণে জানা গেছে। বাংলাদেশের ছয় জন এই মিশনে অংশ নিয়েছিল বলেও এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে বলা হচ্ছে। আনারের মৃত্যুর পর ঝিনাইদহ সহ সারা বাংলাদেশের আন্ডারওয়ার্ল্ড এবং চোরাচালান চক্র অশান্ত হয়ে উঠছে।  

বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে যে, আনার এলাকায় কেমন প্রভাবশালী জনপ্রিয় ছিলেন না, তিনি এই গ্রুপগুলোর একটি অংশের নেতা ছিলেন। তার নেতৃত্বে সেখানে একটি বড় ধরনের চক্র গড়ে উঠেছিল, যে চক্রের সঙ্গে আনারের বাল্যবন্ধু এবং ব্যবসায়িক অংশীদার আকতারুজ্জামান ওরফে শাহীনের দ্বন্দ্ব হয়। 

ধারণা করা যায় যে, একটি স্বর্ণ চোরাচালানের টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়েছিল। এই দ্বন্দ্বের ফলে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আর এই হত্যা কাণ্ডের ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর আন্ডারওয়ার্ল্ড এখন অশান্ত হয়ে উঠেছে। চোরাচালান চক্রের বিভিন্ন গ্রুপ গুলো তৎপরতা শুরু করেছে। বিশেষ করে যারা আনারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিল তারা এখন প্রতিশোধ নেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। ঝিনাইদহ সহ বিভিন্ন অঞ্চলে একটি অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন সূত্র মনে করছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছেএ রকম তথ্য আছে যে, আনার হত্যার পাশ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে আন্ডারওয়ার্ল্ডের মাধ্যমে আরও বড় ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটতে পারে।

আনোয়ারুল আজিম আনার   ঝিনাইদহ-৪  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জনপ্রতিনিধিদের চেয়ে আমলারাই ক্ষমতাবান

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় সংসদের সদস্যরা সবসময় শুল্কমুক্ত গাড়ি সুবিধা পান। কিন্তু এবার অর্থনৈতিক সংকটের কারণে সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি দেওয়া হবে কি না এ নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিদের গাড়িতে অন্ততপক্ষে ১৫ থেকে ৪০ শতাংশ শুল্কারোপের একটি প্রস্তাব এনবিআর বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে।

জনপ্রতিনিধিরা দেশে আইন প্রণয়ন করেন। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র। কাজেই সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদ সার্বভৌম। আর সার্বভৌম সংসদের প্রতিনিধিরা শুল্কমুক্ত গাড়ি পেলে রাষ্ট্রের কতটুকু ক্ষতি হবে, তার চেয়েও বড় কথা হল এই প্রণোদনা তাদের জনগণের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে অনুপ্রাণিত করবে। কিন্তু সেই চেষ্টায় এবার বাগড়া দিয়েছেন আমলারা। তারা মনে করছেন কৃচ্ছ্রসাধনের এই সময়ে সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি সুবিধা দেওয়া উচিত না। কেউ কেউ এটাকে অনৈতিকও বলছেন। এটি নিয়ে যখন আলোচনা এবং বিতর্ক ঠিক সেই সময় চলমান অর্থ সংকটের মধ্যে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের জন্য ৩৮১ কোটি টাকা ৫৮ লাখ টাকার ২৬১ টি নতুন জীব গাড়ি কেনা হচ্ছে। অর্থ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি এসব গাড়ি কেনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। 

তাহলে প্রশ্ন ওঠে যে, আমলাদের জন্য কি দেশে অর্থ সংকট নেই? আমলাদের জন্য কি কৃচ্ছতার নীতি প্রযোজ্য নয়। আমলারা অবশ্য সব কিছুর উর্দ্ধে, ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের বিচার করা যায় না। কারণ আমলা অপরাধ করলে তার বিভাগীয় তদন্ত হয় বিভাগীয় তদন্তে। তার সর্বোচ্চ শাস্তি হয় পদোন্নতি আটকে দেয়া অথবা একটি ইনক্রিমেন্ট কমিয়ে দেওয়া। তারপরও তারা সেটির বিরুদ্ধে আপিল করেন। রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করেন এবং এসব আবেদন গৃহীত হওয়ার পর তাদের দণ্ড মওকুফ করা হয়। আর দুর্নীতি দমন কমিশনও সরকারের অনুমতি ছাড়া কোন আমলাকে গ্রেপ্তার করতে পারে না। বিচারের আওতায় আনতে পারেন না।

আমলারা এখন জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে উঠে গেছেন। সরকার আমলাদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার জন্য ১৯৭৯ সালের আইন কার্যকর করার উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু সেই উদ্যোগও সফল হয়নি। যখন সরকার কৃচ্ছতা সাধন বাস্তবায়নের জন্য বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করছেন, তখন আমলারা দিব্যি সরকারি খরচে বিদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর যে সময়ে জনপ্রতিনিধিদের জন্য শুল্কমুক্ত গাড়ি সুবিধা রহিত করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত প্রায় ঠিক সেই সময় আমলাদের জন্য প্রায় চারশ কোটি টাকার জিপ গাড়ি তাও আবার মাঠ আমলাদের জন্য ক্রয় করা কতটুকু যৌক্তিক সেই প্রশ্ন উঠেছে। 

এর আগে আমলাদেরকে বিনা সুদে গাড়ির লোন সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। সেই গাড়ি গুলো আমলারা বেশির ভাগ উবারে ব্যবহার করছেন, ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। গাড়ির জন্য মাসে মাসে ৫০ হাজার করে টাকাও নিচ্ছেন। অথচ তাতে সরকারি গাড়ি বা সরকারি তেলের তোন সাশ্রয়ী হচ্ছে না। একেক আমলা সুদ মুক্ত গাড়ি কিনছে। আবার একাধিক সরকারি গাড়িও ব্যবহার করছেন। এ রকম অবস্থা যখন চলছে তখন আমলাদের রাজত্ব ভালো ভাবে অনুভব করছে গোঠা বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক এই সংকটের মুখে আমলাদের জন্য ২৬১ টি গাড়ি কেনা কতটুকু যৌক্তিক সেই প্রশ্ন যেমন উঠেছে তার চেয়েও বড় প্রশ্ন হল যে, আমলারা কি তাহলে জনপ্রতিনিধিদের চেয়েও বেশি ক্ষমতাবান? আমলারা কি তাহলে দেশ চালাচ্ছেন?

জনপ্রতিনিধি   আমলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আনারকে হত্যার পর হাড্ডি ও মাংস আলাদা করা হয়: ‍ডিবি প্রধান

প্রকাশ: ০৪:১১ পিএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকায় বসে ২/৩ মাস আগে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। ঢাকায় না পেরে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে কৌশলে  নেওয়া হয় কলকাতায়। সেখানে তাকে হত্যার পর শরীর টুকরো টুকরো করে হাড্ডি ও মাংস আলাদা করা হয়। এরপর হলুদ মিশিয়ে ব্যাগে ভরে ওই বাসা থেকে বের করা হয়েছে। তবে কোথায় মরদেহের খণ্ডিত অংশ ফেলা হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার পরিকল্পনা হয় দুই থেকে তিন মাস আগে। তারা পরিকল্পনা করেছিল ঢাকায় হত্যা করবে। কিন্তু বাংলাদেশ পুলিশের নজরদারি ও ঢাকায় হত্যাকাণ্ডের পরে সব হত্যার ক্লু পুলিশ বের করে নেবে বলেই হত্যাকারীরা কলকাতায় এ ঘটানা ঘটিয়েছে।

হারুন অর রশীদ বলেন, অপরাধীরা বিদেশের মাটিতে অপরাধ করলে বাংলাদেশ পুলিশের নজরে আসবে না বলেই কলকাতা বেছে নেয়। বাংলাদেশের মাটিতে অপরাধ করার সাহস পায়নি। তবে তারা এ হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে থাকতে পারেনি। আমরা তিনজকে গ্রেপ্তার করেছি। আরও কয়েকজনকে নজরাদিতে রাখা হয়েছে।


আনার   ডিবি প্রধান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন